রকেট থেকে লোন- বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি রকেট থেকে লোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে রকেট থেকে লোন সম্পর্কে আলোচনা করব।
রকেট থেকে লোন
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং বিভিন্ন ধরনের রয়েছে একটা হচ্ছে সাধারণ ব্যাংকিং আর একটা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। ঋণ নেওয়ার বা লোন নেয়ার সাধারণ ব্যাংকের সংখ্যা অনেক আর মোবাইল ব্যাংকিং যেসব মাধ্যম রয়েছে। সেগুলো হাতেগোনা কয়েকটি যেমন নগদ বিকাশ রকেট উপায়। উভয় ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করা যায়


এবং সাধারণ যে ব্যাংকিং মাধ্যম রয়েছে সেটার মাধ্যমে লোন নেয়া যায় ও মোবাইল যে ব্যাংকিং সেবা গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে শুধু একটির মাধ্যমে লোন নেওয়া যায়।

রকেট থেকে লোন

রকেট একটি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম রকেটের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায় এবং টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন এক প্রান্তে থেকে আরেক প্রান্তে পাঠানো যায়। এছাড়াও রকেটে আরো বিভিন্ন রকমের সুবিধা রয়েছে যেমন ব্যাংক ট্রান্সফার করা,কেনাকাটার পরে বিল দেওয়া অথবা বিদ্যুৎ বিল বা ওয়াইফাই অথবা গ্যাসের বিল দেয়ার ক্ষেত্রে আপনি নগদ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

অনেকে মনে করে থাকেন রকেট মোবাইল ব্যাংকিং হওয়ার কারণে রকেট থেকে লোন দেয়া হয়। রকেট থেকে লোন দেয়া হয় এটা ভাবার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বিকাশ তারা লোন দিয়ে থাকে এজন্য মানুষ ভাবে হয়তো রকেট কোম্পানিও লোন দেয়। যারা এই চিন্তা-ভাবনা করেন বা রকেট থেকে লোন নেয়ার চিন্তা করছেন তাদেরকে

আমি বলছি এ ধারণা বা এই চিন্তা-ভাবনা বাদ দেন কারণ রকেট থেকে কোন লোন সার্ভিস চালু নেই। আপনারা রকেট অ্যাপসের ভিতর গেলে দেখতে পাবেন সেখানে লোন জাতীয় কোন অপশন চালু নেই। অপরদিকে আপনি বিকাশ এপস এর ভিতর গেড়ে দেখতে পাবেন সেখানে লোন সার্ভিস চালু রয়েছে। কিছু মানুষ রয়েছে যারা বলে রকেট থেকে লোন দেয়


এই গুজবে কান না দিয়ে সর্বপ্রথম আপনি যে কাজ করবেন তা হচ্ছে রকেট এপস এর ভিতরে গিয়ে ভালোভাবে তা যাচাই-বাছাই করে নিবেন। আপনি রকেট এপস এর ভিতরে গেলে কোথাও লোন জাতীয় কিছু পাবেন না। রকেট কোম্পানি তারা কবে লোন সার্ভিস চালু করবে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। যখন তারা লোন সার্ভিস চালু করবে তখন তারা তাদের অ্যাপসের ভিতর সেই অপশন দিয়ে দেবে।

আপনি তখনই রকেট থেকে লোন নিতে পারবেন এর আগে রকেট থেকে লোন নেওয়ার কোন রকমের সুযোগ সুবিধা নেই। আপনার যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লোন নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি বিকাশ থেকে সেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম

বর্তমান সময়ে বিকাশ তাদের অ্যাপসের মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকে আর এই লোন পরিচালনা করে সিটি ব্যাংক অর্থাৎ সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে বিকাশ কোম্পানি তাদের গ্রাহকদেরকে লোনের সুবিধা দিয়ে থাকছেন। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ গ্রাহকদেরকে লোন দিয়ে থাকে।

এই লোনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে আপনি আবেদন করার সাথে সাথে লোন পাবেন। ব্যাংকে কোনো রকমের অ্যাকাউন্ট বা জামানত দেওয়া লাগবে না। কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না। তিন মাস মেয়াদের মধ্যে এর লোন শোধ করতে হবে। আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স থেকে তারা অটো কিস্তি পরিশোধ করে নিবে এবং লোনের উপরে 0.5% ভ্যাট কাটবে।

বিকাশ কোম্পানি সবাইকে লোন দেয় না। বিকাশ কোম্পানির সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে লোন সার্ভিস চালু করলেও এখন পর্যন্ত সেই লোন সকল গ্রাহকদের জন্য চালু করেনি। এই লোন সেসব গ্রাহকদের জন্য চালু করেছে যারা যথেষ্ট পরিমাণে টাকা লেনদেন করে। যেসব ব্যক্তি বিকাশ ঠিকভাবে ব্যবহার করেনা অর্থাৎ বিকাশ একাউন্ট খুলে রেখে দিয়েছে


এবং বিকাশের মাধ্যমে কোন লেনদেন করে না তাদেরকে বিকাশ কোম্পানি লোন দিবে না। আপনি যদি বিকাশ থেকে 10000 টাকা লোন নিতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার বিকাশ একাউন্টে প্রতিদিন বা সপ্তাহে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা অন্যের সাথে লেনদেন করতে হবে। তারা আপনার লেনদেনের উপরে বিবেচনা করে আপনাকে লোন দিবে। সর্বপ্রথম লোন নিলে তারা 10000 টাকা লোন দিয়ে থাকে।

আপনি লোন নেয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা তা আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টের অ্যাপসে গেলেই দেখতে পাবেন। বিকাশ একাউন্ট থেকে 10 হাজার টাকা নেয়ার নিয়ম হচ্ছে সর্বপ্রথম আপনি বিকাশ একাউন্টের এপস এ যাবেন। এরপর লোন অপশনে যাবেন। লোন অপশনে যাওয়ার পরে আপনি যদি লোন নেয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সামনে এরকম পেজ আসবে।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম
আর আপনি যদি লোন নেয়ার জন্য উপযুক্ত না হন তাহলে আপনার সামনে এমন পেজ আসবে।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম
আপনি যখন লোন নেয়ার জন্য উপযুক্ত হবেন তখন পরবর্তীতে ক্লিক করবেন। এরপর আপনার সামনে কিছু ট্রাম এন্ড কন্ডিশন দেওয়া হবে সেসব পড়ে সম্মতি লেখার উপরে ক্লিক করবেন। এরপর আপনার সামনে আরেকটি পেজ আসবে সেখানে আপনি পিন নাম্বার দিবেন। পিন নাম্বার দেওয়ার পর আপনার সামনে আরেকটি পেজ আসবে।


আপনি সেখানে চেপে ধরে থাকলে তারা আপনাকে মুহুর্তের মধ্যেই লোন দিয়ে দিবে। বিকাশ থেকে লোন নেয়া একেবারেই সহজ শুধু লোন নেয়ার জন্য প্রযোজ্য হওয়াটাই কঠিন। তাই আপনার যদি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সর্বপ্রথম বিকাশে লেনদেন করার পরিমান বাড়িয়ে দিন।

শেষ কথা

বাংলাদেশে বিকাশ কোম্পানির ব্যতীত আর কোন মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ নগদ রকেট উপায় আরো যা যা আছে কোনটাই মানুষকে লোন দেয় না। আপনি যদি এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লোনের সেবা নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে তাহলে আপনি বিকাশ একাউন্ট এর মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url