বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ- বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিংক

প্রিয় পাঠক আপনি কি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিংক। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানোর যাক।

ভূমিকা

বিকাশ একাউন্ট এর মধ্যে অনেক রকমের ভাগ রয়েছে সে ভাগ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। এটা মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিকাশ কোম্পানি চালু করেছে। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট দেয়ার মধ্যে কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধা থাকে। ক্যাশ আউট করতে বা অন্য কোন লেনদেনের ক্ষেত্রেও আপনি যদি এটার মাধ্যমে করে থাকেন তাহলেও আপনার থেকে চার্জ কাটা হবে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য চালু করা হয়েছে। আপনি এটার মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলেও আপনার থেকে চার্জ কাটা হবে। চার্জের পরিমাণ সবসময় টাকা আর পরিমাণের ওপর নির্ধারণ করে ধরা হয়ে থাকে।
  • বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর ক্যাশ আউট চার্জ হচ্ছে অ্যাপস এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলে ১০০০ টাকায় ২ % ক্যাশ আউট চার্জ নিবে অর্থাৎ ১০০০ টাকায় ২০ টাকা ক্যাশ আউট চার্জ নেবে।
  • এদের নাম্বারে ক্যাশ আউট করলে ১০০০ টাকায় ১.৮৫% চার্জ কাটবে অর্থাৎ ১০০০ টাকায় ১৮ টাকা ৫০ পয়সা চার্জ নিবে।
  • আপনি যদি এজেন নাম্বারকে প্রিয় নাম্বার করে দেন তাহলে আপনার ক্যাশ অফ চার্জ অনেকটা কমে আসবে প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে ক্যাশ আউট করলে ১.৪৯% চার্জ কাটে অর্থাৎ এক হাজার টাকায় ১৪ টাকা ৯০ পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ নিয়ে থাকে। যখন আপনার লেনদেন 50000 টাকার বেশি হয়ে যাবে তখন এক হাজার টাকায় ১.৮৫% চার্জ বিকাশ কাটবে।
আপনি যদি এ ক্যাশ আউট করতে যান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে এজেন্ট নাম্বারকে প্রিয় নাম্বার করে নেওয়া তাহলে আপনার খরচ বেঁচে যাবে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

এই একাউন্টে যেমন ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু সুবিধা রয়েছে তেমনভাবে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানা জরুরী যাতে করে সে সমস্যা গুলো বা অসুবিধা গুলো হলে আমরা চিন্তিত না হয়। চলুন প্রথমে আমরা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জানি
  • এই অ্যাকাউন্টে আপনি দ্রুত এবং খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন অথবা লেনদেন করতে পারবেন।
  • আপনি যত টাকা লেনদেন করবেন সব ইতিহাস অর্থাৎ লেনদেনের রিসিভ থেকে যাবে।
  • এইভাবে লেনদেন করলে তা একেবারে সুরক্ষিত এখানে আরো উন্নত মানের নিরাপত্তা দেয়া হয়।
  • বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন যেমন কিউআর কোড পেলেইং ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
  • এখানে পেমেন্ট অপশন থাকে যার কারণে বিক্রি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এই একাউন্ট দিনে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন অর্থাৎ সব সময় আপনি এখান থেকে সেবা নিতে পারবেন।
এইসব হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা। চলুন এবার আমরা কিছু বিকাশ মার্জেন্ট একাউন্টের অসুবিধা জানি
  • আপনি লেনদেন করলেই প্রতিদিন এর জন্য বিকাশ নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে নেবে।
  • বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনি বিকাশের কোড নাম্বার ডায়াল করে লেনদেন করতে পারবেন না।
  • স্বাভাবিকভাবে লেনদেনের চেয়ে এভাবে লেনদেন করা অনেক ব্যবসায়ীদের কাছে একটু জটিল মনে হতে পারে কারণ এখানে কিছু পদ্ধতি ভিন্ন।
  • লেনদেনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা সংকীর্ণ অর্থাৎ আপনি এখান থেকে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে এসব অসুবিধা গুলোই রয়েছে। এসব ছাড়া আর কোন বাড়তি অসুবিধা নেই।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিংক

প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে আপনি এই অ্যাপস এর লিংক অন্য কোথাও পাবেন না আমি নিচে লিংক দিয়ে দিচ্ছি আপনি এখানে ক্লিক করলে প্লেস্টোর অথবা গুগল থেকে এই অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারবেন

আপনি এই লিংকগুলো থেকে অ্যাপস নামায় নিয়ে সেখানে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট করতে পারবেন।

শেষ কথা

আপনি যদি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায় হয়ে থাকেন তাহলে এই একাউন্টে আপনার জন্য আর আপনি যদি সাধারণ বিকাশ একাউন্ট করতে চান অর্থাৎ ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার জন্য সাধারণ বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করাই ভালো হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url