ট্রেডিং মানে কি- মোবাইল ট্রেডিং কি- অনলাইন ট্রেডিং কি- জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি ট্রেডিং মানে কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে ট্রেডিং মানে কি এবং মোবাইল ট্রেডিং কি ও মোবাইল ট্রেডিং কি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্ট পড়তে থাকুন তাহলে ট্রেডিং সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
ট্রেডিং মানে কি- মোবাইল ট্রেডিং কি- অনলাইন ট্রেডিং কি
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ট্রেডিং কিভাবে করব সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে অনলাইন মুদ্রা চলে এসেছে। অনলাইন মুদ্রার মাধ্যমেই অনলাইন অর্থাৎ ভার্চুয়াল জগতে কেনা বেচা করা যায়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এই কাজ হচ্ছে। ট্রেডিং বিষয়টা এমন যেখানে সবকিছু ভার্চুয়াল ভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে দিন দিন ট্রেডিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে আছে। ট্রেডিং করার মাধ্যমে মানুষ লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে।

মোবাইল ট্রেডিং কি

ট্রেডিং কম্পিউটারের মাধ্যমেও করা যায় আবার মোবাইলের মাধ্যমেও করা যায়। বিশেষ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে কেনাবেচা করার মাধ্যমে ট্রেডিং করা যায়। কম্পিউটারের জন্য ট্রেডিং এর নিয়ম ভিন্ন এবং মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেডিং করার জন্য ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। মোবাইল ট্রেডিং বলতে সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে বেতার প্রযুক্তির ব্যবহার বোঝায়।

মোবাইলের ট্রেডিং করা কম্পিউটারের সেটিং করার তুলনায় অনেকটাই সহজ। কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে কিছু স্টক অথবা কিছু কয়েন কিনতে পারেন এবং পরবর্তীতে দাম বাড়লে তখন সেটা বিক্রি করে দেবেন। ট্রেডিং এর ভাষায় কেনাকে বলে বাই এবং বিক্রি করাকে বলে সেল।
মোবাইল ট্রেডিং কি
মোবাইল ট্রেডিং এর মধ্যে আপনি কিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করতে পারবেন অথবা শেয়ার বাজারে ট্রেইট করা যাবে কিংবা ফরেক্স ট্রেডিং করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে এই তিন ধরনের ট্রেডিং করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারণ মোবাইলে এই তিন ধরনের ট্রেডিং এর নিয়ম একেবারেই সহজ। মোবাইলে ট্রেডিং করার কিছু অ্যাপস রয়েছে সে এপস গুলোর নাম হচ্ছে-
আপনি এসব অ্যাপের মাধ্যমেই মোবাইলে ট্রেডিং করতে পারবেন। এখানে যেসব এপ্স এর নাম বলা হলো প্রতিটি অ্যাপসে আপনি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ডাউনলোড করে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেডিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। মোবাইলে ট্রেডিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। যদি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে ট্রেডিং করা লাভজনক হবে না।

ট্রেডিং মানে কি

ট্রেডিং এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে লেনদেন কেনাবেচা। পরিভাষায় ট্রেডিং বলতে বোঝায় ভার্চুয়াল কোন পণ্য কেনা এবং বিক্রি করা। ট্রেডিং জগতে অনেক কয়েন বা টোকেন রয়েছে যেগুলো ডলারের মাধ্যমে কিনতে হয়। পরবর্তী সময়ে যখন আপনি সেখান থেকে লাভবান হবেন তখন সেটা বিক্রি করে দিবেন। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে ট্রেডিং এর প্রচলন রয়েছে।

বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা ট্রেডিং করে। ট্রেডিং এর আরো একটি সংজ্ঞা রয়েছে তা হচ্ছে শেয়ারবাজারে একটি স্টক কেনা হল পরবর্তীতে যখন সেটার দাম বৃদ্ধি হবে তখন তা বিক্রি করে দেওয়া। মোটকথা ট্রেডিং বলতে বুঝায় কোন অদৃশ্য বস্তুকে একটি এপস এর মাধ্যমে কেনা এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে লাভবান হয়ে বিক্রি করে দেওয়া।


ট্রেডিং এর মধ্যে আপনি যে কয়েন বা যে স্টক কিনবেন সেটার দাম যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে আবার কমে যেতেও পারে। ট্রেডিং জগতে পণ্যর দাম উঠানামা করা নির্ভর করে মার্কেটের সচ্ছলতার ওপরে। যদি মার্কেটে বিক্রির পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে সেই টোকেনের দাম কমতে থাকবে আর যদি মার্কেটে কোন পণ্যর ক্রয় বেশি হতে থাকে তাহলে সে পণ্যের দাম বাড়তে থাকবে।

ট্রেডিং এর ভাষায় কোন টোকেন বা স্টক কেনাকে বাই বলে এবং বিক্রি করাকে সেল বলা হয়। সম্পূর্ণ ট্রেডিং জগত বাই এবং সেল এই দুইটা শব্দের উপরে চলমান। শেয়ার বাজারের ট্রেডিং বলতে বোঝায় কোন কোম্পানির একটি স্টক কেনা এবং পরবর্তী একদিন দুইদিন অথবা একমাস পরে সেটিকে বিক্রি করে দেওয়া।

তৃপ্ত কারেন্সির ভাষায় ট্রেডিং বলতে বুঝায় কোন নির্দিষ্ট টোকেন অথবা কয়েন কিনা এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে লাভবান হলে তা বিক্রি করে দেওয়া। সহজ ভাষায় ট্রেডিং বলতে বোঝায় ভার্চুয়াল পণ্য কেনা বেচা করাকে। ট্রেডিং চার প্রকার
  • Swing Trading
  • Intraday Trading
  • Future Trading
  • spot Trading
ট্রেডিং কৌশলের উপর ভিত্তি করে
  • মোমেন্টাম ট্রেডিং।
  • মিন রেভের্শনের ওপর ভিত্তি করে।
সময়সীমার উপর ভিত্তি করে
  • স্ক্যাল্পিং
  • ডে-ট্রেডিং।
  • সুইং ট্রেডিং।
  • পজিশনাল ট্রেডিং।
বিশ্লেষণ প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে:
  • টেকনিকাল ট্রেডিংফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং।
  • টেক্নো-ফান্ডামেন্টাল ট্রেডিং।
অ্যাসেট ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে :
  • ইকুইটি ট্রেডিং।
  • কমোডিটি ট্রেডিং।
  • ক্রিপ্টো ট্রেডিং।
ট্রেডিং করার কিছু সুবিধা রয়েছে। ট্রেডিং এর সুবিধাগুলো হচ্ছে
  • আপনি অল্প টাকার মাধ্যমে ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন।
  • ট্রেডিং করার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।
  • মার্কেট ডাউনে চলে গেলেও শর্ট সেল এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
  • ট্রেডিং করার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়
অপরদিকে ট্রেডিং করার কিছু অসুবিধা রয়েছে। সে অসুবিধা গুলো হচ্ছে
  • ট্রেডিং খুবই রিস্কি একটা বিষয়। অনেকে আছেন যারা ট্রেডিং করতে গিয়ে একেবারে সর্বহারা হয়ে গেছে।
  • ট্রেডিং সম্পূর্ণ নির্ভর করে মার্কেটের উপরে। কেউ 100% নিশ্চিত ভাবে কোন কিছু বলতে পারবে না।
  • ট্রেডিং একটা নেশার মত। আপনি এখানে লস খাওয়ার পরও তার উপরেই নির্ভর হয়ে থাকবেন এতে করে আপনি খুব সহজেই সর্বহারা হয়ে যাবেন।
  • ট্রেডিং করার জন্য সারাদিন মোবাইল অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে চোখ রাখা লাগে যার কারণে চোখে প্রেসার পড়ে।
  • যারা ট্রেদার আছে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা মানসিকভাবে খিটখিটে হয়ে থাকে। তাদের মন মানসিকতা নির্ভর করে মার্কেটের উঠানামার উপরে।
আপনি যদি ট্রেডিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শেয়ারবাজার এবং মার্কেট সম্পর্কে বুঝতে হবে। যদি আপনি ট্রেডিং সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনি সেখানে লস করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ট্রেডিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন

নতুবা দক্ষতা সম্পন্ন না হওয়ার কারণে এখান থেকে লস খেয়ে সর্বোহরা হয়ে যাবেন। গবেষণায় দেখা গেছে ট্রেডিং করে ১০০% মাত্র 5% মানুষ ধারাবাহিকভাবে এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে বাকি ৯৫% মানুষ লস খায়।

অনলাইন ট্রেডিং কি

অনলাইন ট্রেডিং বলতে বোঝায় কোন জিনিস ভার্চুয়াল ভাবে কেনার পরে যখন সেখানে লাভ আসবে অর্থাৎ সেই জিনিসের দাম বৃদ্ধি হবে তখন সেটাকে বিক্রি করা। অনলাইনে ট্রেডিং কম্পিউটারের মাধ্যমেও করা যায় আবার মোবাইলের মাধ্যমেও করা যা। অনলাইন ট্রেডিং এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হচ্ছে এখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করা যায়

আর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে এই কাজ অনেক খুব কম সংখ্যক মানুষ এখান থেকে লাভ করতে পারে। অনলাইন ট্রেডিং এর মধ্যে লাভ লস উভয়টি রয়েছে। অনলাইন ট্রেডিং তিন ধরনের
  • ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং
  • ফরেক্স ট্রেডিং
  • শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট
শেয়ার বাজার ট্রেডিং বলতে বোঝায় কোন কোম্পানির কিছু অংশ কেনা এবং যখন সেটার দাম বাড়বে তখন তা বিক্রি করে দেওয়া। ফরেক্স ট্রেডিং বলতে বোঝায় দুইতে মুদ্রার মধ্যে তৈরি করা অর্থাৎ আপনি কোন দেশের মুদ্রা কম দামে কিনে যখন সে তার মূল্য বেশি হবে তখন বিক্রি করে দেওয়া। ক্রিপ্ট কারেন্সি ট্রেডিং বলতে বোঝায় অনলাইন মুদ্রার মাধ্যমে কিছু টোকেন

বা কয়েন কেনা এবং পরবর্তীতে সেটার দাম বৃদ্ধি হলে বিক্রি করে দেওয়া। আপনি অনলাইনে এই তিন ধরনের ট্রেডিং করতে পারবেন। অনলাইন ট্রেডিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেখানে ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যদি সেখানে ইনভেস্ট না করেন তাহলে কোনভাবেই ট্রেডিং করতে পারবেন না। অনলাইন ট্রেডিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।


সে একাউন্টের মধ্যে আপনার অর্থ জমা থাকবে এবং সে অর্থের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ট্রেডিং করতে পারবেন। অনলাইনে ট্রেডিং করার জন্য কিছু অ্যাপস রয়েছে সে এপস এর মাধ্যমে ট্রেডিং করা যায়। অ্যাপসগুলো হচ্ছে
  • OctaFX
  • forex
  • kucoin
  • bainance
  • mexc
  • Expert Option
  • bybit
  • Octa trading app
এইসব অ্যাপ বাদেও আরো অনেক অ্যাপস রয়েছে তবে এই অ্যাপগুলো অনেক বেশি বিশ্বস্ত। অনলাইন ট্রেডিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনি যদি অনলাইন সম্পর্কে দক্ষ না হন তাহলে সেখান থেকে আপনার লাভ করা সম্ভব না একেবারেই নেই। অনলাইন ট্রেডিং এর জন্য অবশ্যই আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে

কারণ আপনি যদি একবার লস খান তাহলে সেখান থেকে যেন আবার উঠে দাঁড়াতে পারেন সেই পরিমাণ পরিস্থিতিতে থাকতে হবে। মানসিকভাবে চাপ নেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। অনলাইন ট্রেডিং এমন একটি বিষয় যা হুট করে হয়ে যায় না। কিছু সময় লাগে। একটা সময় পড়ে সেখান থেকে ভালো পরিমাণ লাভ পাওয়া যায়

এজন্য অবশ্যই ধৈর্যশীল এবং মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখতে হবে। সময়কে মূল্য দিতে হবে। আপনি ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে যত বেশি সময়কে মূল্য দেবেন তত বেশি এই পথে আগাতে পারবেন।  আপনি এইসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখলে অনলাইন ট্রেডিং এ ভালো কিছু করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ অনলাইন ট্রেডিং করার আগে অবশ্যই আপনি ভালোভাবে সে সম্পর্কে জ্ঞান নিবেন

এবং প্রতিদিন পড়াশোনা করবেন তাহলে আপনার জন্য লাভবান হওয়া সহজ হবে।

ট্রেডিং কিভাবে করব

অনেকেই চিন্তা করে ট্রেডিং শুরু করবে কিন্তু কিভাবে শুরু করবে সে সম্পর্কে জানেনা এজন্য আমি এখন বিস্তারিত বলবো কিভাবে ট্রেডিং শুরু করলে আপনার জন্য লাভ হবে। ট্রেডিং করার পূর্বে প্রথম যে শর্ত তা হচ্ছে আপনাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে হবে। যদি আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল না হন তাহলে ট্রেডিং থেকে একবার লস খেলে আপনি সর্বহারা হয়ে যাবেন।

ট্রেডিং এমন একটা জগত যেখানে ৫% মানুষ লাভবান হয় বাকি ৯৫ পার্সেন্ট মানুষ সেখান থেকে লস খায় সুতরাং বুঝতে পারছেন আপনার আর্থিক সফলতা থাকা জরুরী। দ্বিতীয়ত বিষয় হচ্ছে ট্রেডিং সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জ্ঞান থাকা লাগবে। আপনি যদি ট্রেডিং সম্পর্কে কোন কিছু না জেনেই শুরু করেন তাহলে আপনি কোনভাবেই লাভবান হতে পারবেন না।

মার্কেট সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখা লাগবে কারণ মার্কেট কখন উঠবে কখন নামবে সে সম্পর্কে বলা কঠিন তবে আপনাকে সেই সম্পর্কে সামান্য পরিমাণ হলেও জ্ঞান রাখতে হবে এতে করে আপনি লাভবান হবেন। ট্রেডিং করার জন্য নির্ভরযোগ্য স্থানে ইনভেস্ট করতে হবে। যদি ভুল জায়গায় আপনি ইনভেস্ট করেন তাহলে কোনভাবেই ট্রেডিং থেকে টাকা তুলতে পারবেন না।

আপনাকে একটি একাউন্ট খোলা লাগবে। সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি ট্রেডিং করতে পারবেন। ওই অ্যাকাউন্টের মধ্যে আপনার যাবতীয় অর্থ সঞ্চয় থাকবে। সেখান থেকে আপনি ট্রেডিং করবেন এবং প্রয়োজনে টাকা বের করে খরচ করবেন। ট্রেডিং সম্পর্কিত বই কিনে পড়াশোনা করতে হবে কারণ ট্রেডিং এর মার্কেটে কিছু দাগ রয়েছে যেটাকে ট্রেডিং এর মূল ভিত্তি ধরা হয়।

আপনি যদি সেই দাগ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলে লাভবান হবেন। চাট দেখা শিখতে হবে অর্থাৎ পূর্বে দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে মার্কেটের কি অবস্থা ছিল এবং সামনে কি হতে পারে সেটা চাট দেখার মাধ্যমে বোঝা যায়। ট্রেডিং এর কিছু ভাগ রয়েছে একটি হচ্ছে ফরেক্স ট্রেডিং যা অন্য দেশের মুদ্রা কেনা বেচা করার মাধ্যমে করা হয়।


আরেকটি হচ্ছে শেয়ার বাজার ট্রেনিং যেটা কোন একটি কোম্পানির স্টক কেনার মাধ্যমে করা হয়।আরেকটি হচ্ছে ক্রিপটো কারেন্সি ট্রেডিং যেটা ভার্চুয়াল পণ্য অর্থাৎ কয়েন বা টোকেন কেনাবেচার মাধ্যমে করা হয়। ট্রেডিংকে এক কথায় প্রকাশ করতে গেলে বোঝায় কোন পণ্য কম দামে কেনা সেটাকে বেশি দামে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হওয়া।

কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি মার্কেট সম্পর্কে না জানেন তাহলে দেখা যাবে আপনি কোন পণ্য কেনার পরে সেটার দাম কমতে থাকবে এবং আপনি সেখান থেকে লস খাবেন। তাই আপনার জন্য ট্রেডিং করার আগে উচিত হবে ট্রেডিং সম্পর্কিত বই পড়া এবং সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

ট্রেডিং করার কিছু অ্যাপস রয়েছে সে এপস গুলোতে ডেমো দেয়া হয় অর্থাৎ ডেমোর মাধ্যমে ধারণামূলক বা প্রশিক্ষণমূলক ট্রেডিং করা যায়।
সে অ্যাপসগুলোর নাম হচ্ছে
  • OctaFX
  • forex
  • kucoin
  • bainance
  • mexi
  • Expert Option
  • bybit
  • quotex
  • Exness Trade 
  • Octa trading app
আপনি এসব অ্যাপসের মধ্যে গিয়ে আগে ভালোভাবে দেখবেন এরপরে যদি আপনার মনে হয় আপনি এ রাস্তায় আগাবেন তাহলে আগাবেন। তাছাড়া হুট করে ট্রেডিংয়ে গেলে আপনার লস এর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।

শেষ কথা

ট্রেডিং করার মাধ্যমে অনেক মানুষ লাভবান হচ্ছে আবার অনেক মানুষ আছে যারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ট্রেডিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সতর্কতার সাথে করতে হবে এবং সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে অন্যথায় আপনি লস ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url