মাসে লাখ টাকা আয় করার ১২ টি উপায়- যেভাবে মাসে লাখ টাকা আয় করবেন
প্রিয় পাঠক আপনি কি মাসে লাখ টাকা আয় - মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে মাসে লাখ টাকা আয় - মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় এবং ভিডিও এডিটিং করে মাসে কত টাকা আয় যায় ও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন কত সেই সম্পর্কে বলবো।
এছাড়াও আপনি পোষ্টের মধ্যে পাবেন কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $500 আয় করা যায় এবং ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম ও ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে ইনকাম করার উপায় অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। সবাই চায় মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করবে যেটা লাখ টাকার সমান হবে। অনলাইনের এমন কিছু উপায় এবং কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আপনার মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি যদি একবার সঠিক পদ্ধতি পান তাহলে আপনি খুব সহজে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমি এই পোষ্টের মধ্যে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় বিস্তারিত বলবো।
মাসে লাখ টাকা আয় - মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে এসে মাসে লাখ টাকা আয় করা খুবই সহজ একটি ব্যাপার। যুগ উন্নত হওয়ার সাথে সাথে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাহায্যে আপনি ঘরে বসেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য শুধু দুইটি জিনিসের প্রয়োজন একটি হচ্ছে মনোবল শক্তি আরেকটি হচ্ছে সঠিক রাস্তা বুঝে কাজ করা।
মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে আপনি সেই উপায়গুলো অনুসরণ করলেই মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। মাসে লাখ টাকা আয় করার কিছু উপায় নিম্নে বলা হলো -
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $500 আয় করা যায় - ফেসবুকের ভিডিও বানানোর মাধ্যমে
বর্তমান সময়ে ফেসবুকে ভিডিও বানানোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। বাংলাদেশে অসংখ্য কনটেন্ট রয়েছে যারা ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করছে। ফেসবুকে ভিডিও বানানোর পরে যখন আপনার ভিডিও একটু ভাইরাল হবে অর্থাৎ ভালো পরিমাণ ভিউ আসবে তখন বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর আপনার সাথে যোগাযোগ করবে
এতে করে আপনি ফেসবুকে ভিডিও থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং স্পন্সরের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাস শেষে দেখা যায় মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকার উপরে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব। ফেসবুকে ভিডিও বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে কোন একটি বিষয় নির্ধারণ করতে হবে অথবা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আপনি ভিডিও বানাতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে মানুষ ফেসবুকে ভিডিও দেখার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী যার কারণে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে নিজের ভিডিও বানানো বাদেও আরো একটি উপায় রয়েছে সেটা হচ্ছে যেসব ভিডিও কপিরাইট ছাড়া রয়েছে সেসব ভিডিও নিজের পেজে ছেড়ে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যাই।
অনেক ভিডিও আছে যারা নিজের ভিডিওতে কপিরাইট দিয়ে রাখে না সেক্ষেত্রে আপনি সেসব ভিডিও ডাউনলোড করে নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করবেন এবং সেখান থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। মানুষ নাটকের clip দেখার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহে। এডিট করার মাধ্যমে নাটকের ক্লিপের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন করা যায়
যার কারণে সেটা ফেসবুকে আপলোড করলে কোন রকমের কপিরাইট আসবে না। যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি করে নাটকের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন তাহলেও আপনি মাসে সেখান থেকে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন ফেসবুক থেকে লাখ টাকা কিভাবে আয় করতে হয়।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম - ইউটিউবে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে
ভিডিওর আরেকটি প্লাটফর্ম হচ্ছে youtube. মানুষ দিনশেষে বা দিনের মধ্যে ফাঁকা সময়ে কম বেশি সবাই ইউটিউবে ভিডিও দেখে। ইউটিউবে ভিডিওর জনপ্রিয়তা বাংলাদেশ বেশ রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন ইউটিউবে একটি করে ভিডিও আপলোড করতে থাকেন এবং সেখান থেকে যে ভিউ আসবে সেটার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও বানানোর একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি facebook এর জন্য যে বিষয়টিও বানাবেন সেই ভিডিও আপনি ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন এতে করে দেখা যাবে এক পরিশ্রমে দুই জায়গা থেকে ইনকাম করতে পারছেন। ফেসবুক এবং ইউটিউব উভয় জায়গা থেকে ভিউয়ের উপরে ভালো পরিমান টাকা দিয়ে থাকে
সুতরাং আপনি যদি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ইউটিউবে ভিডিও বানাতে পারেন। দিন দিন youtube ফেসবুক এসবের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে সুতরাং আপনি যদি এখন থেকেই ইউটিউবে ভিডিও বানাতে শুরু করেন তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারছেন।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগিং করার মাধ্যমে ইনকাম
ব্লগিং বলা হয় গুগলে আর্টিকেল লেখাকে। ব্লগিং করেও মানুষ প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবে। ব্লগিংয়ের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কোন একটি বিষয় বা যেকোনো বিষয়ের উপরে গুগলে লেখালেখি করা। আপনি যখন প্রতিদিন গুগলে লিখালিখি করবেন তারপর কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সেখান থেকে ইনকাম শুরু হবে
এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি সেখান থেকে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং শুধু হাতের ফোন দাঁড়াই করা যায়। যাদের কম্পিউটার রয়েছে বা ল্যাপটপ রয়েছে তাদের জন্য ব্লগিং করা আরো সহজ। ভয়েসের মাধ্যমে টাইপ করবে তাহলে লেখা সহজে হয়ে যাবে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কঠিন বলতে শুধু বিষয় খুঁজে বের করা একটু কঠিন এছাড়া কোন কঠিন কাজ নেই।
আপনি যদি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগিং কেউ বেছে নিতে পারেন। ব্লগিং এমন একটি ইনকাম যখন আপনি পরবর্তীতে যদি কাজ নাও করেন তারপরও সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। টাকা আপনার একাউন্টে এমনিতে এসে জমা হয়ে যাবে কারণ ব্লগিংকে প্যাসিভ ইনকাম বলা হয় যা একবার চালু হলে সারা জীবন চলতে থাকবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের অসংখ্য ছেলেপেলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশ প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনকাম করছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক সেক্টর রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কাজ করার মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অনেকটাই সহজ। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্লাটফর্ম যেখান থেকে আপনি অল্প দিনের মধ্যেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং করে মাসে কত টাকা আয় যায় - ভিডিও এডিটিং
বাংলাদেশ ভালো ভিডিও এডিটরের অনেক অভাব। অনেক লোক আছেন যারা ভালো ভিডিও এডিটর খোঁজে কিন্তু পায় না। এডিটরের ডিমান্ড অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো এডিটর হতে পারেন অর্থাৎ ভিডিও ভালোভাবে এডিট করতে পারেন এবং এদের যত যাবতীয় যা আছে সবকিছু পারেন তাহলে আপনাকে ভালো পরিমান টাকা দেয়ার মাধ্যমে তারা তাদের ভিডিও এডিটিং করে নেবে।
ভিডিও এডিটিং জানার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বিদেশ থেকে কাজ পাওয়া যায় আর আপনি বিদেশ থেকে একবার কাজ পেতে শুরু করলে আপনার কাছে কাজের কোন অভাব হবে না। বাংলাদেশে এমনও মানুষ আছে যারা ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ইনকাম করছে।
এমনকি তারা ভিডিও এডিটিং এর কোম্পানিও দিয়েছে সুতরাং আপনি যদি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য বেস্ট অপশন হবে ভিডিও এডিটিং।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন কত - গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন বহুল প্রচলিত কাজ। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক ডিজাইনার হন তাহলে বিদেশের মানুষের সাথে কাজ করার পাশাপাশি দেশে অসংখ্য মানুষের সাথে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি চান কোন মানুষের সাথে কাজ করবেন না শুধু যেসব ব্যানার বানানোর দোকান রয়েছে তাদেরকে ডিজাইন করে দেবেন তাহলেও আপনি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন কারণ এই কাজ আপনি ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে পারবেন। কোন দোকানে বা কোথায় যাওয়ার আপনার প্রয়োজন পড়বে না
সুতরাং আপনি ঘরে বসে নিজের সুবিধা মত কাজ করে মাসে লাখ টাকার উপরে করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনি যদি দক্ষতা সম্পন্ন গ্রাফিক ডিজাইনার না হতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কাজ পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে যাবে।
থাম্বেল বানিয়ে ইনকাম - থাম্বেল বানানোর মাধ্যমে
খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা ঠিক ভাবে সুন্দর এবং পারফেক্ট থাম্বেল বানাতে পারে। থাম্বেল বলা হয় ভিডিওর উপরে যে একটি পিকচার থাকে অর্থাৎ এমন একটি পিকচার যেটা মানুষকে আকর্ষণ করে এবং এতটাই আকর্ষণ করে যে মানুষ সেখানে ক্লিক করতে বাধ্য হয়। আপনি যদি ঠিকভাবে থাম্মেল বানাতে পারেন তাহলে
আপনার কাছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে কাজের অফার আসবে। আপনি শুধু তাদেরকে একটি পিকচার বানিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ এই অসংখ্য কনটেন্ট ক্রেতর রয়েছে যারা থাম্বেল বানানোর জন্য মানুষকে খুঁজে পাই না। আপনি যদি ঠিকমতো থাম্বেল বানাতে পারেন তারাই আপনার কাছে এসে কাজ দিয়ে যাবে।
আপনি শুধু ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করে মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় - ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে
ডাটা এন্ট্রির কাজ বলা হয় বিদেশের কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠানের ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে। আমেরিকার লোকেরা বাংলাদেশের লোকদেরকে প্রচুর পরিমাণে ডাটা এন্টির কাজ দিয়ে থাকে কারণ বাঙালিরা খুব যত্ন সহকারে এ কাজ করতে পারে। ডাটা এন্ট্রির কাজ একেবারে সহজ আপনি দিনের মধ্যে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় কাজ করলে সেখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক বড় বড় কোম্পানির রয়েছে যারা ডাটা এন্ট্রির জন্য মানুষকে খোঁজ করে কিন্তু সঠিক মানুষ খুঁজে পায় না। আপনি যদি একজন ভালো ডাটা এন্ট্রি সংগ্রহ হন তাহলে আপনার কাছে কাজের কোন অভাব হবে না। অনেক বড় বড় কোম্পানি আপনার সাথে কাজ করার জন্য অফার করবে এবং আপনি তাদের থেকে মাসে অসংখ্য টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ইনকাম
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয় আপনি কোন একটি কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দেবেন এবং তারা সেখান থেকে কিছু শতাংশ আপনাকে কমিশন দিবে। অ্যামাজন আলি বাবা এসব বড় বড় কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি আপনার নিজের একটি ওয়েব সাইটে তাদের কোম্পানির পণ্য দিয়ে রাখবেন।
মানুষ সেখান থেকে যদি পণ্য কিনে আপনি সেই পণ্যের কিছু শতাংশ কমিশন পাবেন। বাংলাদেশে অসংখ্য ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার আলাদা কোন পরিশ্রমের দরকার নেই। আপনি শুধু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে রাখবেন তাহলেই হয়ে যাবেঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।
ফেসবুকে ব্যবসা করার মাধ্যমে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে মানুষ কেনাকাটার জন্য ফেসবুকে বেশি ব্যবহার করে। ফেসবুকে অসংখ্য পেজ রয়েছে যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে থাকে। আপনি চাইলে এই কাজ করার মাধ্যমেও লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে ফেসবুকে একটি পেজ। আপনি একটি পেজ খুলে সেখানে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন
যেমন শীতের সময় গুড় মধু। ফলের মৌসুমে আম লিচু। ঈদের সময় বিভিন্ন পোশাক এবং বছরের অন্যান্য সময় কসমেটিকের পণ্য অথবা ভালো ভালো পোশাক। আপনি যদি পোশাক বিক্রি করতে না চান তাহলে অনেক ইলেকট্রনিক পণ্য রয়েছে যেগুলো মানুষ প্রচুর পরিমাণে কিনে থাকে। আপনি চায়না থেকে আমদানি করেও ফেসবুকে বিক্রি করতে পারবেন
এতে করে দেখা যাবে আপনি ভালো পরিমান টাকা সেখান থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
ট্রেডিং করার মাধ্যমে আয়
ট্রেনিং বলা হয় কোন ভার্চুয়াল কোয়েনার টোকেন কিনে সেটাকে বেশি দামে বিক্রি করা। ট্রেডিং এমন একটি বিষয় যেখান থেকে মাসে লাখ টাকা কেন দিনে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনার কিছু টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে এবং দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। ট্রেডিং যেমনভাবে লাভের বিষয়ে তেমনভাবে সেখানে লস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
ট্রেডিং অনেক রিস্কি একটি বিষয়। বাংলাদেশে অনেকে আছে যারা ট্রেডিং করে। ট্রেডিং থেকে টাকা ইনকাম খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। এমনও মানুষ আছে যারা ট্রেডিং করার মাধ্যমে দিনে 10 থেকে 12 লাখ টাকার বেশি ইনকাম করে। আপনি যদি ট্রেডিং সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষ হতে পারেন তাহলে আপনার কাছে টাকা ইনকাম করা পানি পান করার মতই সহজ হয়ে যাবে।
ট্রেডিং করার জন্য ভালো ভালো উপায় এবং বই রয়েছে আপনি সেগুলো নিয়ে রিচার্জ করলে খুব সহজে ট্রেডিং করা শিখে যাবেন। তখন আপনার টাকা পয়সার কোনো রকমের অভাব থাকবে না।
শেষ কথা
মাসে লাখ টাকা আয় করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। আপনি যত বেশি পরিশ্রম করবেন তত অল্প সময়ের মধ্যে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ঠিকমতো 6 থেকে 7 মাস বা এক বছর যে কোন একটি বিষয় নিয়ে পরিশ্রম করেন তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনি লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। যদি আপনার ধৈর্য না থাকে তাহলে আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। দেখা যাবে আপনি 6 থেকে সাত মাস কোন টাকা ইনকাম করতে পারেন নাই পরবর্তী মাসে গিয়ে একবারে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ইনকাম করে নিয়েছেন সুতরাং অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য হতে হবে এবং সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url