গায়েবী রিজিকের দোয়া- গায়েবী রুজি পাওয়ার আমল ফলাফল ১০০ পরীক্ষিত

প্রিয় পাঠক আপনি কি গায়েবী রিজিকের দোয়া জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে গায়েবী রিজিকের দোয়া এবং গায়েবী রুজি পাওয়ার আমল ফলাফল ১০০ পরীক্ষিত ও রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল সম্পর্কে আলোচনা করব।
গায়েবী রিজিকের দোয়া
এছাড়াও আপনি পোষ্টের মধ্যে পাবেন রিজিক বৃদ্ধির দোয়া এবং হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

আপনি যতই টাকা পয়সা উপার্জন করেন না কেন যদি সে টাকা পয়সার মধ্যে বরকত না থাকে তাহলে তা কোনভাবেই আপনার জন্য উপকারে আসবে না। রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর সেই থেকে বরকত পেতে হলে অবশ্যই সেটা হালাল হতে হবে। যদি হালাল না হয় তাহলে কোনভাবেই সেখানে বরকত পাওয়া সম্ভব হবে না।


রিজিক যেহেতু আল্লাহতালা পক্ষ থেকে আসে সেহেতু আল্লাহ তা'আলা চাইলেই বৃদ্ধি করে দিতে পারবেন এজন্য আল্লাহ তার কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে যেন আল্লাহ তাআলা রিজিক বৃদ্ধি করে দেন।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহতালার কাছে সব সময় দোয়া করতে হবে। দোয়া করার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা বৃদ্ধি করে দেন। যদি আপনি আল্লাহতালার কাছে দোয়া না করেন তাহলে আল্লাহ তাআলা কখনো বৃদ্ধি করবে না। রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা উপর থেকে রিজিক নির্ধারণ করেন এজন্য অবশ্যই আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি রিজিকের জন্য দোয়া করতে হবে।

রিজিক বৃদ্ধির কিছু দোয়া রয়েছে সেসব দোয়া পড়লে রিজিক বৃদ্ধি হয় রিজিক বৃদ্ধির একটি দোয়া হচ্ছে
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي ، وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي ، وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফির লি জাম্বি, ওয়া ওয়াসসি লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি। অর্থ : হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে জীবিকা দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন।

আরো একটি দোয়া রয়েছে সেটি হচ্ছে اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।’ এই দুই তিন দোয়া সকাল সন্ধ্যা পড়লে আস্তে আস্তে আপনার দিকে বরকত আসতে শুরু হবে। এই দোয়া বাদেও দ্বীনের অধিকাংশ সময়

যখন ফাঁকা থাকবেন চেষ্টা করবেন আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার। আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা রিজিককে বৃদ্ধি করে দেন।

রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল

রিজিক বৃদ্ধি করার জন্য কিছু আমল রয়েছে সে আমলগুলো করলে রিজিক বৃদ্ধি হয়। দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে যেমন রিজিক বৃদ্ধি করা যায় এমনভাবে আমল করার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি করা যায়। চলুন এবার আমরা সেই আমলগুলো জানি যে আমলগুলো করলে আপনার রিজিক বৃদ্ধি হবে। রিজিক বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে প্রথম যে কাজ আপনাকে করতে হবে তা হচ্ছে

আপনাকে হালাল উপার্জন করতে হবে। আপনার রিজিক যদি হালাল হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেটা বৃদ্ধি করে দেবেন। হালাল অল্প ইনকাম হারাম শত কোটি টাকা ইনকামের থেকেও উত্তম। রিজিক বৃদ্ধির জন্য তাসবি রয়েছে যেটা প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় 100 বার করে পড়তে হবে। তাজবীহটি হচ্ছে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।

এই তাজবী প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় ১০০ বার করে পড়বেন। ফজরের এবং মাগরিবের নামাজের পরে। এই তাসবীহ পড়া হলে 100 বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন। আস্তাগফিরুল্লাহ বললে আল্লাহ তালা ছোট ছোট গুনাহ মাফ করে দেয় এবং রিজিকে বরকত আনে। আল্লাহতালার উপরে পরিপূর্ণ ভরসা রাখতে হবে।


কোরআন শরীফে রয়েছে যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে যথেষ্ট মনে করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে এজন্য সবসময় আল্লাহতালার উপরে ভরসা রাখবেন। দেখবেন আপনার এই যে আস্তে আস্তে এমনিতেই বৃদ্ধি হয়ে যাবে। মাঝে মধ্যে আপনার সাধ্যমত কিছু টাকা সদকা করবেন। সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করে দেয়।

সব সময় আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে হবে। আপনি যেমন পরিস্থিতিতে থাকেন না কেন তারপরও আপনাকে আল্লাহতালা শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন যে ব্যক্তি আমার শুকরিয়া আদায় করবে আমি তার নিয়ামতকে বাড়িয়ে দেব। হালাল উপার্জনের চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি হালাল ইনকাম না করেন তাহলে

কখনোই আপনার টাকা-পয়সা বাড়ি থেকে আল্লাহতালা বৃদ্ধি দান করবেন না। বিয়ে করা। বিয়ে করলে আল্লাহ তা'আলা রিজিকের মধ্যে বরকত দান করেন। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। কেউ যদি আত্মীয়দের সাথে ভালোভাবে সম্পর্ক না রাখে তাহলে তার রিজিকের কখনোই বরকত আসবে না।

অসহায় গরীব মিসকিনদের সাথে সবসময় ভালো আচরণ করতে হবে। তাদের সাথে কখনো এমন আচরণ করা যাবে না যাতে করে তারা মনে কষ্ট পায়। আপনি এই আমল গুলো করলেই আল্লাহ তাআলা আপনার রিজিকের মধ্যে বরকত দান করবে এবং আপনার রিজিক খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হতে থাকবে।

গায়েবী রিজিকের দোয়া

রিজিক সবসময় আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আসে। গায়েবী রিজিক যদি আপনি পেতে চান অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা আচমকায় আপনার কাছে অর্থ সম্পদ পৌঁছাবে তাহলে কিছু দোয়া আছে সে দোয়াগুলা পাঠ করতে হবে এবং কিছু আমল রয়েছে সে আমলগুলো করতে হবে। আল্লাহ তাআলা কখন কাকে কিভাবে রিজিক দেবেন তা একমাত্র আল্লাহ তা'আলা জানে।

আল্লাহ তা'আলা দয়ার সাগর। কখন তার কার উপরে কিভাবে দয়া করবে বান্দা তা নিজেই জানে না। পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদেরকে আল্লাহ গায়েবী ভাবে রিজিক দিয়েছেন। একটি দোয়া রয়েছে সে দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আপনি গায়েবের রিজিক পাবেন দোয়াটি হচ্ছে-
গায়েবী রিজিকের দোয়া
এই দোয়া প্রতিদিন পড়লে আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আপনার কাছে রিজিক চলে আসবে। এ দোয়া পড়া বাদেও সব সময় ইস্তেগফার পড়তে হবে। যতটুকু সম্ভব হয় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। সবসময় আল্লাহ তালার উপরে ভরসা রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালা যেসব হুকুম দিয়েছেন সেই হুকুমগুলো পালন করতে হবে।

আপনি যদি এ কাজগুলো করেন তাহলেই দেখবেন আপনার কাছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে গায়েবীভাবে রিজিক চলে এসেছে।

গায়েবী রুজি পাওয়ার আমল ফলাফল ১০০ পরীক্ষিত

গায়েবী রিজিক পাওয়ারও কিছু আমল রয়েছে আপনি সেই আমলগুলো করলে আল্লাহতালার পক্ষ থেকে গায়েবী রিজিক চলে আসবে। আল্লাহতালা সব সময় কাউকে না কাউকে গায়েবী রিজিক দিয়ে থাকে। আপনি যদি আমলগুলো করেন তাহলে আল্লাহতালা অবশ্যই আপনাকেও গায়েবের রিজিক দান করবে।

গায়েবি রুজি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে তা হচ্ছে আপনাকে নিজে ইনকাম করার চেষ্টা করতে হবে। গায়েবী রিজিক মানে এই নয় যে আপনি বসে থাকবেন আর আল্লাহতায়ালা আপনার কাছে এমনিতে এমনিতেই দিয়ে দেবে। আপনি নিজের মত পরিশ্রম করতে থাকবেন এবং আল্লাহ তা'আলা পরিশ্রমের তুলনায় বেশি পরিমাণে আপনাকে দিবে।

আপনি যদি হালাল পন্থায় পরিশ্রম না করেন তাহলে কখনো আল্লাহ তাআলা আপনাকে গায়েবী রিজিক দিবে না। সব সময় আল্লাহ তাআলার উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনি যখন আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখবেন তখনই আল্লাহ তা'আলা তার খাজানা থেকে আপনাকে রিজিক দিবে। হালাল ইনকাম করতে হবে।


হালাল ইনকাম অল্প হলে আল্লাহ তাআলা সেখানে বরকত দিবে। যদি আপনার ইনকাম হালাল না হয় তাহলে কোন ভাবে আপনি সেখানে বরকত পাবেন না। নেক আমল করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালা যেসব হুকুম রয়েছে সে হুকুমগুলো মেনে চলতে হবে। সব সময় আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ পড়লে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করে।

কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। আপনি যখন মানুষের মনে কষ্ট দেবেন তখন আল্লাহ তা'আলা এতে করে কষ্ট পাবে সুতরাং মানুষের মনে কখনো কষ্ট দেওয়া যাবে না। মাঝেমধ্যে সদকা করতে হবে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দান সদকা করবেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি উত্তম বদলা দান করবে।

আপনি এই আমলগুলো করলেই আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে গায়েবী রুজি পেতে শুরু করবেন।

শেষ কথা

আল্লাহতালার পক্ষ থেকে নিয়ামত পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে নিজের চেষ্টা করতে হবে। আপনি যখনই নিজে চেষ্টা করবেন তখন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আসতে শুরু করবে। আপনার যদি চেষ্টা না করে বসে থাকেন তাহলে কখনোই আল্লাহতালার পক্ষ থেকে কোনোভাবেই রিজিক আসবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url