গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়া- কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে

প্রিয় পাঠক আপনি কি গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়া জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়া এবং কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে ও যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন দ্রুত টাকা আয়ের দোয়া এবং টাকা হাতে আসার দোয়া ও টাকা পয়সা বরকতের দোয়া সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

জীবন চলার পথে টাকার প্রয়োজন আছে। কোন কিছু কেনার ক্ষেত্রে অথবা সংসার চালাতে বা নিজের প্রয়োজন পূরণ করতে অবশ্যই টাকা পয়সার প্রয়োজন। টাকা পয়সা ইনকাম করার জন্য পরিশ্রম করার পাশাপাশি ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়। কিছু আমল থাকে যেগুলো করলে আল্লাহ তা'আলা ইনকামের পথ অনেক সহজ করে দেয়।


ইনকামের জন্য চেষ্টা এবং আল্লাহর রহমত ২ টায় প্রয়োজন হয়।

কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে

টাকা ইনকাম করার জন্য যেমন ভাবে পরিশ্রম করতে হয় তেমনি ভাবে কিছু আমল করার প্রয়োজন হয়। কিছু দুয়া রয়েছে যেগুলো পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা টাকা আসার পথ সহজ করে দেয়। অনেক ব্যক্তি পাবেন যারা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে কিন্তু ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারে না আবার কিছু ব্যাক্তি পাবেন যারা অল্প পরিশ্রম করে কিন্তু ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করে।

আপনি যদি ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে চান তাহলেও দোয়া আছে। সেই দোয়া পড়লে আপনার কাছে টাকা খুব সহজেই চলে আসবে। টাকা আসার জন্য যে দোয়া পড়তে হয় সেই দোয়াতে হচ্ছে 
لا غِنَى بي عن بَرَكَتِكَ
উচ্চারণ : ইয়া রব্বি, লা-গিনান বি- আন-বারাকাতিক। অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার বরকত থেকে আমি অমুখাপেক্ষী নই। এই দোয়া প্রতিদিন বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে কমপক্ষে প্রতিদিন ১০০বার এই দোয়া পাঠ করবেন।
আরেকটি দোয়া হচ্ছে
اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعفَافَ، والغنَى
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকাল হুদা ওয়াততুক্বা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করছি। এ দোয়া পড়লেও আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতিদিন এই দোয়া ও আপনাকে কমপক্ষে ১০০ বার করে পাঠ করতে হবে।

প্রতিবার নামাজের শেষে বসে এই দোয়া পড়বেন। আরেকটি দোয়া হচ্ছে দোয়াঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম আস্তাগফিরুল্লাহ,,অর্থঃ মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

এই দোয়া প্রতিদিন সকালে ১০০ বার এবং বিকালে ১০০ বার অর্থাৎ ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এবং মাগরিব ও আসরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে ১০০ বার পাঠ করবেন। আপনি এই দোয়াগুলোর উপরে আমল করলে আশা করা যায় আল্লাহ খুব সহজে আপনার টাকা আসার রাস্তা খুলে দিবে। আরেকটি কাজ করা লাগবে তা হচ্ছে প্রতিবার নামাজ শেষ করার পরে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়া

গায়েবী টাকা পয়সা অথবা গায়েবী বরকত সবার ভাগ্যে আসে না। যাদের ওপরে আল্লাহ নেক নজর দেন বা ঐ ব্যক্তি এমন কোনো ভালো কাজ করেছে যার বদলা হিসেবে আল্লাহতালা গায়েবীভাবে তাকে টাকা পয়সা দেন। গায়েবীভাবে টাকা পয়সা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিদিন আল্লাহ যে সব হুকুম রয়েছে সে হুকুমগুলো পালন করতে হবে।

কখনোই আল্লাহ হুকুমের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না এবং প্রতিবার নামাজের শেষে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তুমি আমার অর্থ সম্পদ সচ্ছল করে দাও। বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে। আল্লাহর ৯৯ টি নাম রয়েছে সে নামগুলো প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা বেলা একবার করে পড়তে হবে। গায়েবি ভাবে টাকা পয়সা পাওয়ার জন্য যে দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে তা হচ্ছে ইয়া ওয়াহহাবু।


এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়লে খুব সহজে আপনি গায়েবের অর্থ সম্পদ পাওয়া শুরু করবেন। এটি হচ্ছে আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে একটি নাম। হযরত শাহ আব্দুল আজিজ রহমাতুল্লাহ আলাই বলেন যে ব্যক্তির রিজিকের প্রশস্ততার জন্য অর্থাৎ ভালো চাকরি বা উত্তম কর্মের আশায় চাস্তের নামাজের সময় ১২ রাকাত নামাজ পড়ে

এবং সিজদাতে গিয়ে ৫০ বার বা ১০০ বার ইয়া ওয়াহহাবু পড়বে তাহলে তার জন্য তাড়াতাড়ি অর্থ সম্পদের উত্তম ব্যবস্থা হয়ে যাবে। দিনের মধ্যে ৫০ থেকে ১০০ বার ইয়া রাজ্জাকু এ দোয়া দিয়ে বেশি বেশি করে পড়বেন। এটিও হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমের মধ্যে একটি নাম। যার অর্থ হচ্ছে রিজিকদান কারে।

এই আমলগুলো করলেই অতিসত্বর গায়েবীভাবে টাকা পাওয়া শুরু করবেন। গায়েবী ভাবে টাকা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সবসময় সৎ থাকতে হবে। কখনোই কোন অন্যায় করা যাবে না।

যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না

টাকা পয়সার অভাব খুব খারাপ। একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়। যাদের টাকা পয়সার অভাব রয়েছে তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। কোন ব্যক্তি চায় না তার টাকা-পয়সার অভাব থাকুক। টাকা পয়সার অভাব বলতে এমন অভাব বোধায় যেগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা দূর করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়।

টাকার অভাব দূর করতে কিছু আমল এবং দোয়া রয়েছে যেগুলো পাঠ করলে আপনার কখনোই টাকার অভাব হবে না অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন পূরণ করতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সেই পরিমাণ টাকা অর্থাৎ রিযিক আপনাকে দেওয়া হবে। টাকা পয়সার অভাব যেন কখনো না হয় এজন্য আপনাকে যে দোয়া পড়তে হবে তা হচ্ছে

اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ
উচ্চারণ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলিমা। অর্থ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী (জিললতি) থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে।


এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। এই দোয়া পাঠ করা বাদেও দ্বীনের মধ্যে বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পড়তে হবে। ইস্তেগফার দিয়ে কোন ইস্তেগফার হতে পারে। আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চাই সে যেন তার আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখে।

প্রতিবার নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হবে। আপনি যদি এই আমল গুলো করতে থাকেন তাহলে আপনার কখনোই টাকা পয়সার অভাব হবে না। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি তা হচ্ছে আপনি যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন সব সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তার নেয়ামত আপনার উপরে বৃদ্ধি করে দেবেন।

দ্রুত টাকা আয়ের দোয়া

অনেকে চাই টাকা পয়সা খুব দ্রুত চলে আসবে। টাকা পয়সা দ্রুত আসার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেই পরিমাণ পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি পরিশ্রম না করেন তাহলে কখনোই আপনার কাছে টাকা এমনি এমনি চলে আসবে না। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে তখনই দিবেন যখন দেখবে আপনি টাকা পয়সা ইনকামের জন্য পরিশ্রম করছেন।

আপনি যদি পরিশ্রম না করে চুপচাপ বসে থাকেন তাহলে কখনোই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অর্থ সম্পদ দিবে না। পরিশ্রম করার পাশাপাশি আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনার ইনকামের মধ্যে বরকত বাড়িয়ে দিবেন। যা আপনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়ে যাবে। দ্রুত টাকা আয় করার জন্য একটি দোয়া রয়েছে।

সে দোয়া পাঠ করলে খুব দ্রুত আপনার কাছে টাকা চলে আসবে সে দোয়াটি হচ্ছে
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنْ تَرْزُقَنِي رِزْقًا حَلَالًا طَيِّبًا، وَأَنْ تَكْفِيَنِي بِهِ شَرَّ مَا تَقَدَّمَ مِنْ أَعْمَالِي وَمَا تَأَخَّرَ
অর্থ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যে, তুমি আমাকে হালাল ও পবিত্র রিজিক দান করো। এবং তুমি আমার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল কর্মের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করো। এই দোয়াটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষ করার পরে পড়বেন এভাবে আপনি প্রতিদিন এই দোয়া পড়তে থাকলে আল্লাহ তাআলা খুব তাড়াতাড়ি আপনার দ্রুত আয়ের ব্যবস্থা করে দেবে।

এছাড়াও দিনের মধ্যে ইস্তেগফার বেশি পড়বেন। আল্লাহতালার কাছে দোয়া করবেন এবং আপনার সাধ্যমত পরিশ্রম করবেন তাহলে দেখবেন আল্লাহ তা'আলা আপনার ভাগ্য খুলে দিচ্ছে।

টাকা হাতে আসার দোয়া

টাকা পয়সা হাতে আনার জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি টাকা পয়সা হাতে আনার জন্য পরিশ্রম না করেন তাহলে কখনোই আপনার হাতে টাকা পয়সা আসবে না। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেন তোমরা নামাজ শেষ করে মাঠে ছড়িয়ে পড়ো নিজেদের রিযিকের জন্য। এর দ্বারাই বোঝা যায় আপনি যখন আল্লাহর ইবাদত করার পরে

রিজিকের সন্ধানে টাকা-পয়সা সন্ধানে কাজ করবেন তখন আল্লাহ তা'আলা আপনার রিজিকের মধ্যে বরকত দিবে এবং আপনার টাকা পয়সা ইনকামের রাস্তা সহজ করে দেবে এবং টাকা পয়সা অনেক বেশি করে দেবে। টাকা পয়সা হাতে আসার জন্য আপনাকে প্রতিদিন নামাজের পরে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে।


এছাড়াও দিনের মধ্যে বেশি বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন। যতটুকু সম্ভব হয় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবেন। আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবেন তাহলেই দেখবেন আল্লাহ তা'আলা আপনার হাতে খুব তাড়াতাড়ি টাকা পৌঁছে দেবে।এছাড়াও আল্লাহ তাআলার গুণবাচক একটি নাম রয়েছে যেটা পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা অর্থ সম্পদ বৃদ্ধি করে দেন।

সে নামটি হচ্ছে ইয়া রাজ্জাকু। এই নামটি দিনের মধ্যে ১০০ বার আদায় করলেই আল্লাহ তা'আলা আপনার ইনকামের রাস্তা সহজ করে দেবে এবং আপনার হাতে অনেক বেশি টাকা আসতে শুরু করবে।

টাকা পয়সা বরকতের দোয়া

টাকা পয়সা যদি বরকত না থাকে তাহলে আপনি যতই টাকা কামান না কেন সেই টাকা থাকবে না। আর যদি আপনার টাকার মধ্যে বরকত থাকে এবং আপনার সেই টাকার পরিমাণ অল্প হয় তারপরও সে টাকা দিয়ে আপনি সুখে শান্তিতে জীবন পার করতে পারবেন। বরকত না থাকলে সে টাকার দ্বারা কখনোই উন্নতি করা যায় না। যদি বরকত থাকে তাহলে অল্প টাকা দ্বারা অনেক বেশি উন্নতি করা যায়।

টাকা পয়সার মধ্যে যদি আপনি বরকত নিয়ে আসতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজ করতে হবে তা হচ্ছে হালাল উপার্জন করতে হবে। হারাম উপার্জনের টাকার মধ্যে কখনোই বরকত আসে না। বরকত ওই টাকাতে আসে যে টাকা হালাল হয়। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য রাখা ধরে তা হচ্ছে কোনভাবেই অপচয় করা যাবে না।

যতোটুকু প্রয়োজন সে পরিমাণে খরচ করতে হবে। আপনি যখন অপচয় করবেন তখন আল্লাহ তা'আলা সেখান থেকে বরকত তুলে নেবে কারণ হাদিস শরীফে আছে অপচয় কারী শয়তানের ভাই। প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পরে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাআলা আপনার নিজেকে বরকত দান করে।

এছাড়াও দোয়া রয়েছে বরকত লাভের জন্য সেই দোয়াটি হচ্ছে
اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ - আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিক, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করুন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করুন। আপনি যে টাকা উপার্জন করবেন সেখান থেকে আপনার সাধ্য অনুযায়ী

5 টাকা 10 টাকা 20 টাকা করে দান করবেন। এসব দান করার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আপনার উপার্জনের মধ্যে বরকত দিয়ে দিবে। তাকওয়া এবং খোদাভীতি রাখতে হবে অর্থাৎ সবসময় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী চলতে হবে। কখনোই মানুষের সাথে অন্যায় করা যাবে না এবং মানুষ কষ্ট পাবে এমন কাজ কোনোভাবেই করা যাবে না।

আপনি এই আমলগুলো করলেই আপনার টাকা পয়সার মধ্যে আল্লাহতালা বরকত দেবে। বরকত পেতে হলে অবশ্যই আল্লাহকে সব সময় স্মরণ রাখতে হবে।

শেষ কথা

নিজের রিজিকের মধ্যে বরকত পেতে অবশ্যই নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে এবং আল্লাহ তার কাছে দোয়া করতে হবে। যদি পরিশ্রম না করা হয় তাহলে আপনি কোনভাবেই টাকা পয়সার মধ্যে বরকত নিয়ে আসতে পারবেন না। আল্লাহতালা তখন একটা বান্দাকে সবকিছু দেয় যখন সে বান্দা চেষ্টা করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url