Oradin 10 mg এর কাজ কি- Oradin খাওয়ার নিয়ম-দাম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রিয় পাঠক আপনি কি Oradin 10 mg এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে Oradin 10 mg এর কাজ কি এবং Oradin খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়া আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন Oradin এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ওরাডিন ট্যাবলেট এর কাজ কি,ওরাডিন এর দাম ও ওরাডিন সিরাপ এর কাজ কি সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যায়।
ওরাডিন এর দাম
ওরাডিন এই ওষুধ সিরাপ আকার পাওয়া যায় এবং ট্যাবলেট আকারেও পাওয়া যায়। দুইটার দাম ভিন্ন ভিন্ন। আপনি যদি সিরাপ আকারে এই ওষুধ কিনতে যান তাহলে ৬০ মিলি ওরাডিন সিরাপ এর দাম নিবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। আপনি যদি ট্যাবলেট কিনতে যান তাহলে প্রতি পিছের দাম নিবে চার টাকা করে।.
10 mg( 10 x 10 = 400) টাকা। ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে দাম যাচাই বাছাই করে নিবেন। ওষুধটি সরকার অনুমোদি কি না সেই দিকেও লক্ষ্য রাখবেন এবং ওষুধের মেয়াদ রয়েছে নাকি সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। অন্যথায় সে ওষুধ খাওয়ার কারণে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
Oradin 10 mg এর কাজ কি
Oradin 10 হচ্ছে এলার্জি জনিত সমস্যার ওষুধ। মানুষের অনেক রকমের এলার্জি থাকে যেমন চোখে এলার্জি হয়। আবার অনেকের এলার্জির কারণে হাঁচি কাশি হয়। যেগুলোকে ডাস্ট এলার্জি বলে। নাক দিয়ে পানি পড়া। হাতে চোখ চুলকানো এলার্জি। চোখ দিয়ে পানি পড়া। গলা চুলকানো। শরীরে বিভিন্ন জ্বালাপোড়া করা।
সর্দি হাচি হওয়া। হালকা জ্বর এসব সমস্যার জন্য এই ওষুধ খাওয়ানো হয়। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত এলার্জিজনিত যেসব সমস্যা গুলো রয়েছে ভালো হয়ে যায়। এলার্জি কয়েক রকমের হয়ে থাকে কারো অ্যালার্জি হলে চোখ মুখ চুলকায় আবার কারো শরীরে বিভিন্ন রকমের হ্রাস বের হয় উভয়প্রকার এলার্জির জন্য Oradin 10 ওষুধ খাওয়া হয়।
এসব সমস্যার জন্য Oradin 10 খাওয়ার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই ওষুধ খাওয়ার পরে খুব দ্রুতই অ্যালার্জি জাতীয় যেসব সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো ভালো হয়ে যায়।
Oradin খাওয়ার নিয়ম
কোন ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। নিয়মের বিপরীত ওষুধ খেলে অবশ্যই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ওরাডিন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয় বছর বয়সের শিশুদের জন্য ১০ mg একটি ট্যাবলেট দিনে একবার খাবে। দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদেরকে একটি ট্যাবলেটের অর্ধেক খাওয়াবে অর্থাৎ 5 mg
যদি সিরাপ খাওয়ানোর কথা চিন্তা করেন তাহলে দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চাদেরকে 5 ml পরিমাণ প্রতিদিন একবার খাওয়াবেন। প্রাপ্তবয়স্ক এবং বছরের উপরের বাচ্চাদেরকে 10 মিলির সমান পরিমাণ সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে বাচ্চাদেরকে কখনোই এই ওষুধ খাওয়াবেন না। তাদেরকে এ ওষুধের পরিবর্তে অন্য ওষুধ খাওয়াতে পারেন
আরো পড়ুন :: টাফনিল খেলে কি ক্ষতি হয়- টাফনিল খেলে কি ঘুম হয়
এবং এ ওষুধ খাওয়ানো থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ খেলে হবে। তারপরও খাওয়ার আগে একবার ওষুধের প্যাকেটে লেখা নিয়ম ভালো করে পড়ে নিবেন তাহলে আপনার জন্যই তা ভালো হবে।
Oradin এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
একটা ওষুধ তখনই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যখন তা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয়ে যায় অথবা শরীরের সাথে মিল না করে। আপনি যদি এই ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে আপনার মধ্যে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। গর্ভাবস্থায় ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অন্যান্য ওষুধের সাথে ওষুধ মিক্স করে খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।
যখন আপনি ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন তখন আপনার এলার্জির পরিমাণ কমার বিপরীতে বেড়ে যেতে পারে আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওষুধ খাওয়ার পরে আপনার ঘুম বেশি আসতে পারে অর্থাৎ ঘুমের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। তন্দ্রা ভাব আসবে। শরীরের এক ধরনের ক্লান্তি বোধ কাজ করবে। বমি বমি ভাব হতে পারে। মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি আপনার শরীরে এসব পার্শ্ব প্রতিক্রি লক্ষ্য করেন তাহলে চিন্তিত হবেন না। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন ডাক্তার যেই নিয়মে খেতে বলে সেভাবে খাবেন তাহলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
ওরাডিন সিরাপ এর কাজ কি
ওরাডিন সিরাপ এই সেরা বাচ্চাদের জন্য এলার্জির সমাধান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চাদের হাঁচি কাশি সর্দি চুলকানি এলার্জি চোখ লাল হয়ে যাওয়া শরীর জ্বালাপোড়া করা শরীরের বিভিন্ন স্থান রাশ বের হওয়া এইসব সমস্যার জন্য এ ওষুধ খাওয়ানো হয়। এই সিরাপ খাওয়ালে খুব দ্রুত এলার্জি সমস্যা এবং আরো যেসব সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো ভালো হয়ে যায়।
দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের জন্য মূলত এই সিরাপ তৈরি করা হয়েছে। দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদেরকে এক চামচ অর্থাৎ পাঁচ মিলে সমান এ ওষুধ খাওয়াবে। দুই বছরের নিচে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবে। এই সিরাপের দাম ৪০ টাকা।
ওরাডিন ট্যাবলেট এর কাজ কি
এই ট্যাবলেট এর কাজ হচ্ছে নাক দিয়ে পানি পড়া,চোখ চুলকানো এলার্জি,চোখ দিয়ে পানি পড়া,গলা চুলকানো.শরীরে বিভিন্ন জ্বালাপোড়া করা.সর্দি হওয়া.হালকা জ্বর এসব সমস্যার জন্য এই ওষুধ খাওয়ানো হয়। এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত এলার্জি জনিত যেসব সমস্যা গুলো রয়েছে ভালো হয়ে যায়।
এলার্জি কয়েক রকমের হয়ে থাকে কারো অ্যালার্জি হলে চোখ মুখ চুলকায় আবার কারো শরীরে বিভিন্ন রকমের হ্রাস বের হয় উভয়প্রকার এলার্জির জন্য এই ট্যাবলেট কাজ করে। এখন থেকে যদি আপনার এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই ট্যাবলেট খাবেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত আপনার চোখ মুখ চুলকানো পানি পড়া সর্দি গলা চুলকানো শরীর জ্বালাপোড়া করা এই সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যাবে।
এসব সমস্যাগুলো দূর করতে এই অসুখ অনেক ভালো কার্যকর। খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন কখনোই অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না। যখন আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন তখন উপকারের বিপরীতে অপকার পাবেন এবং তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
শেষ কথা
ওষুধ অসুস্থতার জন্য যতটুকু খাওয়া প্রয়োজন সেই পরিমাপে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না এবং খাওয়ার আগে ও কেনার আগে মেয়াদ ভালো করে দেখে নেবেন এবং তা সরকার অনুমত কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও ওরাডিন ট্যাবলেট এবং সিরাপ সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url