২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম- অমেরুদণ্ডী ও মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য

প্রিয় পাঠক আপনি কি ২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে ২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম এবং ১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম নিয়ে আলোচনা করব।
২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

আমাদের আশেপাশে অসংখ্য প্রাণী রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশ মেরুদন্ডী। অপরদিকে কিছু প্রাণী রয়েছে যেগুলো মেরুদন্ডে ছাড়া অর্থাৎ অমেরুদন্ডী। একটি মানুষের সঠিকভাবে চলাফেরা করার জন্য মেরুদন্ড সবচেয়ে বেশি জরুরি। যদি কারো মেরুদন্ড না থাকে তাহলে সে সোজাভাবে চলাফেরা করতে পারবে না।


যেসব প্রাণীর মেরুদন্ড রয়েছে সেসব প্রাণীকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয় আর যেসব প্রাণীর মেরুদন্ড নাই তাদেরকে অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়।

১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম

আমাদের আশেপাশে অসংখ্য অমেরুদন্ডী প্রাণে রয়েছে। এরা সোজা হয়ে চলাফেরা করতে পারে না এবং তাদের মেরুদন্ড নাই যার কারণে তাদেরকে অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়। চলুন এবার আমরা দশটি অমেরুদন্ডে প্রাণী সম্পর্কে জানি
  1. প্রজাপতি। আমাদের আশেপাশে তাকালে আপনি অনেক রকমের প্রজাপতি দেখতে পাবেন। পৃথিবীতে প্রায় ১৫ হাজার টির বেশি প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। প্রজাপতি আদিবাসী কীটপতঙ্গের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আমরা সচরাচর যেসব প্রজাপতি দেখি সেগুলো হচ্ছে হলুদ প্রজাপতি। নীল প্রজাপতি। তামা প্রজাপতি। ব্র্যান্ড প্রজাপতি। মেটালমার্ক প্রজাপতি। স্কিপার প্রজাপতি। আমরা সাধারণত এসব প্রজাপতি আমাদের আশেপাশে দেখতে পাই। এছাড়াও আরও অসংখ্য প্রজাপতি রয়েছে যেগুলো আমরা দেখতে পাই না।
  2. অক্টোপাস। অক্টোপাস সমুদ্রে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে মানুষ অক্টোপাস খাওয়ার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। প্রায় তিনশটির বেশি প্রজাতির অক্টোপাস রয়েছে। অক্টোপাসের একটি জটিল স্নায়ও তত্ত্ব এবং একটি মস্তিষ্ক রয়েছে। অক্টোপাস অনেক নরম দেহের অধিকারী। অক্টোপাসের শরীরে তিনটি হৃদপিণ্ড রয়েছে সেগুলোর মধ্যে দুইটি দিয়ে তারা রক্তপাম করে এবং আরেকটি সাহায্যে শরীরের বাকি অংশে রক্ত প্রবেশ করায়। অক্টোপাসের আটটি বাহু রয়েছে।
  3. জাম্পিং স্পাইডার অর্থাৎ জাম্পিং মাকড়সা। পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রজাতির মাকড়সা রয়েছে। জাম্পিং মাকড়শা চমৎকার দৃষ্টি শক্তির জন্য বেশি প্রসিদ্ধ। জাম্পিং মাদ্রাসার চারজোড়া চোখ আছে। এরা খুব সহজে কোন কিছু শিকার করার জন্য সেদিকে মনোযোগ দিতে পারে। তাদের চোখ অনেক ক্ষেত্রে লাফায় যার কারণে শিকারি হিসেবে তারা অনেক বেশি দক্ষ। জাম্পিং মাকড়সার ৩৬০ ডিগ্রি দৃষ্টি আছে অর্থাৎ তারা তাদের আশেপাশে চারিদিকে দেখতে পায়।
  4. কাকড়া। কাকড়া দশ টি পা, একটি লেজ,একজোড়া মুখ রয়েছে । কাঁকড়া পৃথিবীর প্রতিটা দেশে পাওয়া যায় এবং মানুষ কাঁকড়া খাওয়ার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। কাঁকড়া সাধারণত মিঠা পানিতে বড় হয়। কাকরাই অনেক রকমের ভিটামিন রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির কাকড়া রয়েছে।
  5. উইপোকা। আমাদের বাসা বাড়িতে খোঁজ করলে আপনি উইপোকা দেখতে পাবেন। উইপোকা কাপড় এবং বই খাতা নষ্ট করতে অনেক বেশি পারদর্শী। উইপোকা সাধারণত গ্রীষ্মকালে দেখা যায়। পৃথিবীতে প্রায় ১৯০০ প্রজাতির এর উইপোকা রয়েছে উইপোকা রয়েছে। অধিকাংশ উইপোকা আকারে মাঝারি হয় এবং লম্বায় চার থেকে পাঁচ মিমি হয়। যে সব রানী উইপোকা রয়েছে তারা সত্তর মিমি পর্যন্ত লম্বা হয়। উইপোকা আজ থেকে ২০ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে বসবাস করছে।
  6. কেঁচো। মাটির ভিতরে গর্ত খুর সেখানে বসবাস করে। কেঁচোর প্রধান খাবার হচ্ছে মাটি। কেঁচো যেই মাটিতে বসবাস করে সেই মাটিকে তারা অনেক বেশি উর্বর করে দেয় যার কারণে চাষাবাদ করার অনেক বেশি সহজ হয়। কেচোকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়। কৃষি কাজে কেঁচোর অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফসল ভালো হতে কিছু কৃষকদেরকে অনেক বেশি সহায়তা করে।
  7. চিংড়ি। অনেকে ধারণা করেন চিংড়ি এক প্রকার মাছ। আসলে চিংড়ি কোন মাছ নয়। চিংড়ি হচ্ছে এক ধরনের সামুদ্রিক পোকা যা অমেরুদন্ডী। চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়। পৃথিবীতে ৪০০ থেকে ৪৫০ প্রজাতির চিংড়ি রয়েছে। বাংলাদেশে ২৫ থেকে ২৭ টি প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। চিংড়ি আকারে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। চিংড়ি পুরুষ মহিলা দুই লিঙ্গেরই হয়ে থাকে। পুরুষ চিংড়ি এবং মহিলা চিংড়ি দুইজনের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন রকম। চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অসংখ্য পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে।
  8. পিঁপড়া এক ধরনের পোকা। পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ কিরও বেশি প্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। পিঁপড়ার বিভিন্ন নাম রয়েছে। প্রতিটি জাতের নাম আলাদা যেমন কালো পিপড়া লাল পিপড়া বিষ পিপড়া ক্ষুদে পিপড়া ইত্যাদি। পিপড়া সাধারণত গর্তে বসবাস করে এবং পিপড়া সব সময় দলবদ্ধভাবে লাইন আকারে চলাফেরা করে।
  9. মাকড়সা। অমেরুদন্ডী প্রাণী গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মাকড়শা। মাকড়সার ৮ টি পা রয়েছে। মাকড়সা দুইটি অংশে বিভক্ত। মাকড়সার শরীরে কোন রকমের পাখা নেই। প্রেসার জাল টানলে অনেক বড় লম্বা হয় কিন্তু তা খুব সহজে ছিলে না। পৃথিবীতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি প্রজাতির মাকড়শা রয়েছে। মাকড়সা কখনো দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। মাকরাসা পোকামাকড় খেয়ে তাদের জীবন যাপন করে।
  10. তেলাপোকা। পৃথিবীতে প্রায় ৪৬০০ প্রজাতির তেলাপোকা রয়েছে। তেলাপোকার আরেকটি নাম হচ্ছে আরশোলা। ঘরে এবং বন জঙ্গলে তেলাপোকা পাওয়া যায়। ৪৬০০ এর তেলাপোকার মধ্যে শুধু চার প্রজাতির তেলাপোকা মানুষের ক্ষতি করে। তেলাপোকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তেলাপোকার মাথার কেটে ফেলার পরও এরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তেলাপোকা পৃথিবীতে ৩০০মিলিয়ন বছর পূর্ব থেকে বসবাস করে।

২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম

আমাদের আশেপাশে যেসব প্রাণীগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মেরুদন্ডী প্রাণী অর্থাৎ তাদের মেরুদন্ড রয়েছে। মেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণী হচ্ছে স্তন্যপায়ী উভচর মংস সরীসৃ পাখি। চলুন এবার আমরা বৃষ্টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম জানি-

  1. মানুষ। মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি হচ্ছে মানুষ। মানুষের মেরুদন্ড রয়েছে এবং মানুষ মেরুদন্ডের কারণে সোজা হয়ে চলাফেরা করে।
  2. কুমির। কুমির পানিতে বসবাস করে। কুমির অনেক হিংস্র প্রাণী। কুমিরের মেরুদন্ড রয়েছে।পৃথিবীর সব দেশে কম বেশি কুমির রয়েছে।
  3. কচ্ছপ। পৃথিবীতে ৩৬০ টি প্রজাতির বেশি কচ্ছপ রয়েছে। এক ধরনের কচ্ছপ একটা সময় গিয়ে তারা আকারে পরিবর্তন হতে পারে। কচ্ছপের উপরে যে খোলস রয়েছে তা অধিকাংশ হার দিয়ে তৈরি। কচ্ছপ বাতাসে শ্বাস নেয় এবং তারা পানের উপরে ডিম পাড়ে।
  4. জিরাফ। জিরাফ একটি বন্যপ্রাণী। জিরাফ প্রায় ১৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। উচ্চ প্রাণী গুলোর মধ্যে জিরাফ প্রথম সারিতে রয়েছে। জিরাফের দৃষ্টিশক্তি অনেক বেশি পখর হয়। সিরাপ আক্রমণের শিকার হলে ঘন্টায় ৫৬ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে। জন্মের সময় জিরা প্রায় ছয় ফুট লম্বা হয় এবং ওজন প্রায় ৬৫ থেকে ৬৮ কেজি হয়ে থাকে।
  5. হাঁস। হাঁস দুই ধরনের হয়ে থাকে রাজহাঁস এবং পাতি হাঁস। রাজহাঁস আকারে বড় হয় এবং পাতিহাঁস আকারে ছোট হয়। একটি হাঁস বছরে ১৫০ থেকে ১৬০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে। হাঁসের মেরুদণ্ড রয়েছে যার কারণে হাঁসকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়।
  6. সাপ। সাপ মেরুদন্ডী প্রাণী গুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীতে অসংখ্য প্রজাতির সাপ রয়েছে। অধিকাংশ শাফি বিষাক্ত হয়। সাপের বিষ দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে।
  7. কুনো ব্যাঙ। ব্যাঙ এর  এক ধরনের প্রজাতির নাম হচ্ছে কুনোব্যাঙ। এরা পোকামাকড় খেয়ে জীবন যাপন করে। শীতকালে কোন ব্যাঙ সম্পূর্ণ সময় ঘুমে কাটিয়ে দেয়। কুনোব্যাঙের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে। কুনো ব্যাঙ সাধারণত রাতের বেলা তাদের গর্ত থেকে বের হয়।
  8. দোয়েল। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হচ্ছে দোয়েল। দোয়েল একটি মেরুদন্ডী প্রাণী। দোয়েল আকারে ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। এদের একটি লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া হয়ে থাকে। দোয়েল সাধারণত ৫ থেকে ৬ ডিম দেয় এবং তারা ডিম দেওয়ার ৮ থেকে ১৫ দিনের পরে বাচ্চা ফুটে।
  9. হাঙ্গর। সমুদ্রে যেসব হাঙ্গর রয়েছে সেগুলো নয় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় আর তিমি হাঙ্গর যেসব রয়েছে সেগুলো ১২ মিটার অর্থাৎ ৩৯ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। হাঙ্গর শুধু সমুদ্রেই পাওয়া যায়।
  10. মোরগ। মোরগ সাধারণত 0.9 থেকে 1.5 অর্থাৎ তিন থেকে পাঁচ ফুট মাটি থেকে উঁচু হয়। মোরগ তাদের বিপদ সংকেত বুঝতে পারলে তারা তাদের আওয়াজ দিতে শুরু করে। অনেক প্রজাতির মোরগ রয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে কম বেশি মোরগ রয়েছে।
  11. বেজি। বেজিকে সাপের শত্রু বলা হয়। বেজি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। বেজি দ্রুত চলাচল করতে পারে যার কারণে সাপ বেজির কাছে সব সময় পরাস্ত হয়।
  12. টিকটিকি। টিকটিকি লম্বায় তিন থেকে ছয় ইঞ্চি হয় এবং এরা ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। ছোট আকারে যে সব টিকটিগুলো রয়েছে এগুলো কখনোই মানুষের ক্ষতি করেনা এবং এরা বিষাক্ত না। কিন্তু যেসব বড় আকারের বা মাঝারি আকারে টিকটিকি রয়েছে এরা কোন বিপদের আভাস পেলে কামড় মারে যা খুব বিষাক্ত।
  13. শিয়াল। শিয়াল অনেক চালাক প্রকৃতির একটি প্রাণী। শেয়ালের লেজ সবসময় সোজা হয়ে থাকে এবং শিয়াল খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। শিয়ালের খাবার হচ্ছে মৃত প্রাণীর মাংস খরগোশ ইঁদুর টিকটিকি মুরগি।
  14. খরগোশ। অনেক সুন্দর একটি প্রাণী হচ্ছে খরগোশ। খরগোশের কান তুলনায় অনেক ছোট। যেসব বুনো খরগোশ রয়েছে সেগুলো আকারে বড় হয় এবং তাদের কান লম্বা হয়। খরগোশ জোরে কোন আওয়াজ শুনতে পারে না। অতিরিক্ত কোন আওয়াজ তাদের কানে গেলে তারা মারা যায়। খরগোশ গাছপালা ঝোপ মাটি খুঁড়ে সেসব জায়গায় বসবাস করে।
  15. গরু। গরু একটি গৃহপালিত প্রাণী। পৃথিবীর সব দেশে কম বেশি গরু রয়েছে। গরুর অসংখ্য প্রজাতি রয়েছে। গরুর গোস্ত মানুষের অনেক বেশি প্রিয় এবং গরু মানুষের অনেক কাজের উপকার করে।
  16. ভেড়া। ভেড়ার মাংস খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। ভেড়ার শরীরে লোম দিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় সামানা তৈরি করা হয় যেমন কম্বল ইত্যাদি। ভেড়ার দুধেও অসংখ্য পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। ভেড়ার মাংস পৃথিবীর অনেক দেশে খাওয়া হয়।
  17. গাধা। গাধা অনেক পরিশ্রমী একটি প্রাণী। গাধা হচ্ছে খর যুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। ঘোড়া এবং গাধা এই দুটি প্রাণী একই পরিবারের। পৃথিবীতে ৪ কোটিরও বেশি গাধা রয়েছে। গাধা পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকে। গাধার মাংস খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং গাধার দুধ অনেক বেশি পুষ্টিকর।
  18. গুইসাপ। গুইসাপ হচ্ছে স্তন্যপায় একটি প্রাণী। এরা সচরাচর ছোট ছোট পুকুরের আশেপাশে বসবাস করে। এরা হাঁস মুরগি ধরে খায়। আকারে এরা মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে।
  19. শুকুর। শূকরের মাংস মুসলমানের জন্য হারাম। পৃথিবীর অনেক দেশে শুকর লালন-পালন করা হয় এবং সেই মাংস বিক্রি করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে শুকরের মাংস চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে যার কারণে শূকরের দাম অনেক বেশি হয়। শুকুরের উৎপত্তি হচ্ছে ইংল্যান্ডে।
  20. কাক। কাকের শরীরের কালার ধূসর অথবা ফ্যাকাশে। কাকের ঠোঁট চোখ দেহ কালো। পৃথিবীতে ৪০ টির বেশি প্রজাতির কাক রয়েছে। কাক গোসল করতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। কাকের সমাবেশ পছন্দ করে যার কারণে এরা অধিকাংশ সময় একসাথে দল আকারে বসে থাকে।

মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য

মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয় যেসব প্রাণীর মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া রয়েছে। মেরুদন্ডী প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বৈশিষ্ট্য গুলো হল এদের দেহে মেরুদন্ড থাকে।
  • এদের দেহে করোটি অর্থাৎ মাথার খুলি থাকে।
  • মেরুদণ্ডী প্রাণী নিয়ে চলাফেরা করার জন্য এদের দুই জোড়া অঙ্গ থাকে।
  • মেরুদন্ডী প্রাণীর মাথা সুগঠিত থাকে। এছাড়াও মেরুদন্ডী প্রাণীর চোখ কান নাক থাকে।
  • মেরুদন্ডী প্রাণীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের শরীরে কিডনি থাকে।
  • মেরুদন্ডী প্রাণীদের অন্তকঙ্কাল থাকে।
  • মেরুদন্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক উন্নত হয়।
  • এদের পাখনা অথবা পা থাকে।
  • মানুষ ছাড়া প্রত্যেক মেরুদন্ডী প্রাণীর লেজ থাকে।
  • মেরুদন্ডী প্রাণে ফুলকা অথবা ফুসফুসের সাহায্যে তাদের শ্বাসকার্য পরিচালনা করে।

এসবগুলো হচ্ছে মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।

অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য

অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয় যেসব প্রাণীর মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া নেই। অমেরুদন্ডী প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে মেরুদন্ড থাকে না।
  • অমেরুদন্ডী শরীরের প্রাণী অন্তকঙ্কাল থাকে না।
  • বেশিরভাগ অমেরুদন্ডী প্রাণীদের পঞ্জাক্ষি থাকে।
  • অমেরুদন্ডী প্রাণীর ত্বক বা ফুলকার সাহায্যে তাদের শ্বাসকার্য চালায়।
  • অমেরুদন্ডী প্রাণীরশরীরের অঙ্গ হৃদপিণ্ড খাদ্যনালী মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরের মতো উন্নত নয়।
অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরের বৈশিষ্ট্য এসবই।

শেষ কথা

আমাদের আশেপাশের খোঁজ করলে আপনি অনেক মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী দেখতে পাবেন। আমার এই পোস্টে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর সম্পর্ক সব জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url