সয়াবিন তেলের ক্ষতিকর দিক- কালো জিরার তেল খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার পরিমাণ

প্রিয় পাঠক, আপনি কি সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার জন্য এই পোস্টটি। আমি এই পোস্টে সরিষার তেলের উপকারিতা ও সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করব।
খাবার তেলের উপকারিতা এবং অপকারিতা
এই পোস্টে আপনি পাবেন সয়াবিন তেলের ক্ষতিকর দিক,কালো জিরার তেল খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার পরিমাণ। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভূমিকা

রান্না করার ক্ষেত্রে তেলের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। তেল ছাড়া রান্না প্রায় অসম্ভব বলা যায়। আমরা অনেকেই জানি না কোন তেল খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী আর কোন খাওয়া ক্ষতিকর। তাই এই পোস্টে তেলের উপকারিতা এবং অপকারিতা ও তেল সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হবে। কোন তেল খাওয়া ভালো এই সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের জানতে হবে যে আমরা বাংলাদেশের মানুষ খাবার রান্নার ক্ষেত্রে ২ রকমের তেল ব্যবহার করে থাকি। ১ সরিষার তেল ২ সয়াবিন তেল।


দুই প্রকার তেলেরই ভালো মন্দ উভয় দিক রয়েছে।নিচের দিকে দুই প্রকার তেলেরই বর্ণণা দেওয়া আছে আপনি পড়তে থাকুন।

সরিষার তেলের উপকারিতা

খাবার তেলের মধ্যে উপকারিতা এবং অপকারিতা দুইটাই রয়েছে। এবার আমরা সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
  • সরিষার তেল অনেকটা ঘন হয় এজন্য সরিষার তেলে ভিটামিন ই থাকে।আর ভিটামিন ই শরীর থেকে বয়সের ছাপ দূর করার জন্য খুব উপকারী।
  • সরিষার তেল ত্বককে অনেক দূষিত পর্দাথ থেকে রক্ষা করে এজন্য স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • সরিষার তেল ত্বকের অনেক দাগ দূর করতে সাহায্য করে।আপনি স্কিনকেয়ার জাতীয় ভিডিও দেখলে খেয়াল করবেন সেখানে বলে বেসন,মধু,সরিষার তেল দিয়ে স্কিনচর্চা করার জন্য।
  • সরিয়ার তেলে তো অনেক রকমেরই উপাদান থাকে সেসবের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে গ্লুকোসিলোনেট নামক উপাদন।এই উপাদন টিউমার জনিত ক্যান্সার প্রতিরোধে সহযোগী।
  • সরিষার তেলে ভিটামিন মিনালের থাকে, এসব আপনার চুল পরা এবং পাকা থেকে রক্ষা করবে।
  • সরিষার তেল আপনার কব্জি এবং এ ধরণের জয়েন্টের যেসব ব্যথা আছে সেসব দূর করে দিবে।এছাড়াও সরিষার তেল ত্বকে ব্যবহার জন্য যেকোন লোসনের চেয়ে বেশি উপকারী।

সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক

  • সরিষার যেমন টিউমারের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে ঠিক তেমনি ভাবে সরিষার তেল ল্যাং ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বাড়াই।
  • কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো না,ত্বকের অতিরিক্ত সরিষার তেল ব্যবহার করলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
  • খাবারে যে ধরণের এসিড থাকে সেটা বরাবরই ক্ষতিকর,সরিষার তেলে ইরোসিক নামের এক ধরণের এসিড থাকে যেটা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
  • গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রে সরিষার তেল থেকে বিরত থাকা উত্তম এবং সরিষার তেলে অনেকের এল্যার্জি থাকে।

সয়াবিন তেলের উপকারিতা

আমাদের শরীর ঠিক রাখতে যেসব তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় সেসবের উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় সম্পর্কে জানতে হবে।  তাই চলুন এবার সয়াবিন তেলের উপকারিতা জেনে নেই।
  • সয়াবিন তেলে অনেক রকমের ভিটামিন রয়েছে, সেসবের মধ্যে একটা হচ্ছে ভিটামিন বি।আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতিকর উপাদান থাকে,সয়াবিন তেল শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং কমিয়েও দেয়।
  • আমাদের শরীরে প্রোটিন দরকার হয় এজন্য আমরা ডিম মাংস খাই,সয়াবিন তেলেও প্রোটিন থাকে যেটা আমাদের শরীরের প্রোটিনের অভাব পূরণ করে।
  • সয়াবিন তেলে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে এজন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।সয়াবিন তেলে আয়রন থাকে এজন্য রক্ত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • শরীরের হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে।আঁচিল,মেসতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • এখনকার সময়ে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে, সয়াবিন তেল স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাই।
  • সয়াবিন তেল মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে সাহায্য এতে করে কাজের গতি বেড়ে যায়। ক্লান্তি ভাব সহজে আসে না।

সয়াবিন তেলের ক্ষতিকর দিক

  • সয়াবিন তেলেও অনেক রকমের ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
  • গড়ে প্রতিদন ৫ চামচের বেশি খাওয়া উচিত না।
  • অতিরিক্ত সয়াবিন তেল খাওয়ার জন্য লিভারে সমস্যা হতে পারে।
  • সয়াবিন তেল যেমন শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি ভাবে অতিরিক্ত সরিষার তেল খাওয়ার কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল তৈরি হয় যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত তেল খাওয়ার কারণে ডায়বেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।এজন্য সর্তক থাকা দরকার।

কালো জিরার তেল খাওয়ার উপকারিতা

  • আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন কালো জিরা এবং মধু মৃত্যু বাদে সকল রোগের সমাধন।
  • কালো জিরার তেল খাওয়ার কারণে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃষ্টি করে।
  • হার্টের সমস্যার হবার ভয় কম থাকে।
  • শরীরের কোন অংশে ব্যথা হলে কালো জিরার তেল ব্যথা দূর করতে কার্যকারী।
  • গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মুখে যদি ব্রণ বের হয় তাহলে ব্রণ সারাতে সাহায্য করে।
  • উচ্চরক্তচাপ হবার সম্ভবনা থাকে না।
  • মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য কর।শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনে।
  • শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • কালো জিরার তেল খাওয়ার নিয়ম
  • কখনওই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এতে করে পেটে সমস্যা হতে পারে এজন্য প্রতিদন ১/২ চা চামচ পরিমাণ খাবে।

শেষ কথা

বর্তমানে বাজারে অনেক খোলা তেল পাওয়া যায় এসব থেকে সাবধান থাকবেন।আপনি ২০ টাকা বাঁচাতে গিয়ে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা টেনে আনবেন না।আপনার উপকারের জন্য উপরে সরিষা এবং সয়াবিন দুই ধরণের তেল নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে কোন তেল আপনার জন্য বিপদজনক কম।

অবশ্যই কালো জিরার তেল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।এটা আপনার জন্য ভীষণ উপকারী। যদি আমার পোস্টটা আপনার ভালো লাগে অথবা উপকৃত হোন তাহলে আপনি আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুমহলে শেয়ার করে তাদেরও উপকার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url