হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ - হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ

প্রিয় পাঠক আপনি কি হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব।
হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের ঔষধ এবং হাঁসের ভিটামিন ঔষধ ও হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

হাঁস লালন পালন করার সময় বিভিন্ন রকম অসুখের সম্মুখীন হতে হয়। হাঁসের এক এক সময় একেক রকমের অসুখ হয়ে থাকে। ঠান্ডা লাগা প্যারালাইসিস ভিটামিন এর অভাব চুনাপায়খানা ইত্যাদি। হাঁস গৃহপালিত একটি প্রাণী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে হাঁসের মাংস চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়।আরো পড়ুন::


আস্তে আস্তে হাঁসের খামারের চাহিদা বাড়তে আছে

হাঁসের ভিটামিন ঔষধ

হাসকে নিয়মিত ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো উচিত কারণ ভিটামিন ওষুধ খাওয়ালে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি তাদের শরীর ভালো থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি হয়। যখন তাদেরকে ভিটামিন ওষুধ ঠিকমতো খাওয়ানো হবে না তখন তাদের শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ হতে থাকবে। একটা সময় গিয়ে হাঁস সেসব রোগের কারণে মারা যায়।
  • WS ৩ লিটার পানিতে এক গ্রামে ওষুধ মিশিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চার সপ্তাহ বয়সে হাঁসকে এই ওষুধ খাওয়াবেন।
  • ভিটামিন এডি৩ই ৩ লিটার পানিতে এক গ্রামে ওষুধ মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন খাওয়াবেন। যেসব হাঁসের ডিম পাড়ার সময় হয়ে যায় তাদেরকে অবশ্যই এই ভিটামিন ওষুধ খাওয়াতে হবে।
  • ই সেল এই ওষুধ ৩ লিটার পানিতে এক গ্রাম মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন খাওয়াবেন। এই ওষুধ সেইসব হাঁসের জন্য বেশি উপকারে যাদের ডিম পাড়ার সময় হয়ে গেছে।
  • জিংক ভেট এই ওষুধ দুই লিটার পানিতে এক গ্রাম মিশিয়ে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন খাওয়াবেন।রেনামাইসিন এই ওষুধ খাবারের সাথে মিক্স করে খাওয়াতে হয়। দুই কেজি খাবারের সাথে এক গ্রাম মিশিয়ে দুই মাস পর পর চার থেকে পাঁচ দিন হাঁসকে খাওয়াতে হয়।
  • হাঁসের বাচ্চা জন্ম হওয়ার পরেই তাদেরকে নিয়মিত ভিটামিন বেশি এবং ভিটামিন এ জাতীয় ট্যাবলেট খাবারের সাথে গুড়ো করে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এইসব ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানোর ফলে তাদের ঘাড় বেঁকে যাওয়া বা চোখের সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকবে।
  • হাঁসের বাচ্চা গুলোকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে এবং খুব দ্রুত বড় হওয়ার জন্য লিভার টনিক খাওয়াতে হবে।
  • হাঁসের বাচ্চার শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে এবং শরীরে কোন ক্ষত হলে সে ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি শুকাতে আর্সেনিক এই ভিটামিন ওষুধ খাওয়াতে হবে।
  • হাঁসের মাথা থেকে চুল উঠে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিলে জি সিরাপ তাদেরকে খাওয়াতে হবে। এই সিরাপ খাওয়ালে তাদের মাথা থেকে চুল উঠা বন্ধ হয়ে গিয়ে আবার নতুন ভাবে চুল গজায়।
  • হাঁস যদি ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া না করে এতে করে তাদের চলাফেরা করা কষ্ট হয়ে যায় এবং তারা আস্তে আস্তে শুকাতে থাকে যদি আপনি কোন হাঁসের এই সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে সে হাসকে স্রেপটা খাওয়াতে হবে।
  • মাঝেমধ্যে হাসকে স্যালাইন পানির সাথে মিশিয়ে খেতে দেবেন এতে করে তাদের শরীরের জন্যই ভালো হবে।
আপনি হাঁসকে এসব ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ালে আপনার হাঁস একেবারে সুস্থ থাকবে এবং খুব দ্রুত বৃদ্ধি হয়ে ডিম পাড়ার কাছাকাছি চলে যাবে এতে করে আপনি বেশি লাভবান হতে পারবেন।

হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ

কিছুদিন পর পরে হাঁসের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দেয় তা হচ্ছে হাঁসের ভয় পায়খানা না হয় হয়ে চুনা পায়খানা হয়। এ পায়খানা তখনই হয় যখন একটি হাঁস অসুস্থ হয়। এভাবে কিছুদিন চুনা পায়খানা হতে থাকার কারণে হাঁসের খাবারের প্রতি রুচি কমে যায় এবং হাঁস আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। হাঁসের চুনা পায়খানা হলে কিছু ওষুধ রয়েছে


সেই ওষুধগুলো তাদেরকে খাওয়ালে হাঁসের চুনা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। চুনা পায়খানা হলে প্রথমে হাঁসকে ওষুধ খাওয়াতে যাবেন না। প্রথমে লক্ষ্য করতে হবে চুনা পায়খানা হলে কোন অসুখের উপসর্গ কারণ চুনা পায়খানা কোন রোগ নয়। যখন কোন রোগের উপসর্গ হয় তখনই চুনা পায়খানা হয়ে থাকে। হাঁসের চুনা পায়খানা লক্ষ্য করলে

আপনি এই ওষুধগুলো তাদেরকে খাওয়াতে পারেন।
  • রেনামাইসিন
  • রিবোফ্লোক্সাসিন
  • জ্যান্তোমাইসিন
এই তিনটা ওষুধের মধ্যে যে কোন একটা ওষুধ নিয়ে এসে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালেই তাদের চুনা পায়খানা ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব ঔষধ খাওয়ানোর পরেও যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি আপনার আশেপাশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গিয়ে যোগাযোগ করবেন।

হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডার ঔষধ

অনেক সময় হাঁসের বাচ্চা ঠান্ডা লেগে যায়। ঠান্ডা লাগার কারণে অনেক রকমের রোগ হতে থাকে। সেসব রোগ স্থায়ী হলে হাঁস মারা যায়। সর্বপ্রথম আপনাকে চেষ্টা করতে হবে হাস যেন পানিতে না ভিজে। কারণ তারা পানিতে অতিরিক্ত সময় ভিজলে বা কাদা খেলে তাদের ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এনরোসিন ডেট হাঁসের ঠান্ডা লাগলে তাদেরকে এই ওষুধ খাওয়াবেন।

এই ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম হচ্ছে প্রতি দুই লিটার পানিতে এক মিলি পরিমাণে ওষুধ দিবেন তারপর ভালোভাবে মিশিয়ে সেই পানি হাঁসকে খেতে দিবেন তাহলে হাঁসের ঠান্ডা লাগা ভালো হয়ে যাবে এবং এই ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ দিন পর পর খাওয়াতে হবে। এই ওষুধের দাম ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের দাম নেই। এনরোফ্লক্সোসিন। ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশির জন্য এই ওষুধও খাওয়ানো যায়। এ ওষুধ খাওয়ালেও ভালো ফলাফল পাবেন। উপরে যে দুইটি ওষুধের নাম বলা হলো আপনার হাঁসের ঠান্ডা লাগলে বা হাঁসের বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে এই দুইটি ওষুধের মধ্যে একটু ওষুধ খাওয়াবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

হাঁসের ডিম বৃদ্ধির ঔষধ

হাঁস যত বেশি ডিম পারবে একজন খামারির জন্য তত বেশি লাভ কারণ সেই এই ডিম বিক্রি করার মাধ্যমে অথবা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মাধ্যমে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবে। এজন্য প্রত্যেক খামারি চাই যাতে তার খামারে থাকা হাসগুলো প্রচুর পরিমাণে ডিম পাড়ে। ডিম বৃদ্ধির জন্য কিছু ওষুধ এবং কিছু উপায় রয়েছে সে ওষুধগুলো খাওয়ালে

এবং উপায় গুলো অবলম্বন করলে খুব দ্রুত হাঁসের ডিম বৃদ্ধি করতে পারবেন। যখন হাঁসের ডিম পাড়ার সময় হয়ে যাবে তখন তাদেরকে ই সেল নামক এই ওষুধটি খাওয়াবেন। এই ওষুধ খাওয়ালে ডিম পাড়ার সময় তাদের জন্য অনেক বেশি কার্যকর হয়। জিংক ভেট এ ওষুধ ডিম পাড়ার সময় খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ওষুধ খাওয়ালে তাদের ডিম পাড়া অনেকটাই বৃদ্ধি হয়।


এডি৩ই এই ওষুধ খাওয়ালেও হাঁসের ডিম বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে এবং হাঁসকে দ্রুত ডিম পাড়তে সহায়তা করে। ক্যালসিয়াম জাতীয় যে ওষুধগুলো রয়েছে সে ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে। আপনি এইসব ঔষধ খাওয়ালে ডিম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন। এসব ওষুধ খাওয়ানো বাদেও কিছু উপায় রয়েছে সেই উপায়গুলো হচ্ছে

হাঁসকে নিয়মিত খেতে দিতে হবে এবং তাদের খাবার তালিকায় ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে। তাদেরকে সম্ভব হলে শামুক খাওয়াবেন কারণ শামুকের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে এতে করে হাঁসের ডিম পাড়া বৃদ্ধি হয়। ডিম পাড়ার সময় হয়ে গেলে তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

অন্য সময় যে পরিমাণ খাবার খেতে দেন তার চেয়ে দ্বিগুণ খাবার খেতে দিতে হবে এবং খাবারের মান অবশ্যই ভালো রাখতে হবে। তাদেরকে ভ্যাকসিন এবং টিকা দিতে হবে এতে করে তাদের শরীর রোগ থেকে মুক্ত থাকবে এবং ডিম পাড়া সহজ হবে। সবসময় তাদেরকে পরিষ্কার পানি খেতে দিতে হবে। কখনোই ময়লাযুক্ত পানিতে নামতে দেয়া যাবে না

এবং সেই পানি পান করতে দেয়া যাবে না এতে করে তাদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ডিম পাড়া কমিয়ে দিবে। যারা শুরু থেকে হাসকে দেখাশোনা করে তারাই শুধু হাঁসের খামার এর মধ্যে প্রবেশ করবে। চেষ্টা করবেন অপরিচিত লোককে হাঁসের খামারে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কারণ হাস অপরিচিত লোক দেখলে প্রচুর পরিমাণে ভয় পায়।

হাঁসের খামার নিরিবিলি জায়গায় করলে এতে করে হাঁস দ্রুত বৃদ্ধি হয় এবং ডিম পাড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। হাস যদি ডিম না পারে তাহলে আপনার খেয়াল করতে হবে হাঁস অসুস্থ কিনা সেই দিকটা লক্ষ্য করতে হবে। হাঁস যদি আপনার ছেড়ে দেওয়া থাকে অর্থাৎ সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় তাহলে আপনার লক্ষ্য করতে হবে হাঁস অন্য কোথাও ডিম পাড়ছে কিনা।

আপনি এসব উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনার হাঁসের ডিম পাড়া বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং আপনি সেসব ডিমের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

হাঁসের প্যারালাইসিস রোগের ঔষধ

হাঁস অনেক সময় প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এতে করে হাঁস অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যায়। এই মহামারী রোগ হাঁসের খামারিদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি নিয়ে আসে। হাঁসের এবং হাঁসের বাচ্চার শরীরে ভিটামিন বি,ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি ২ এবং ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে প্যারালাইসিসের মতো রোগ দেখা দেয়।

যেসব বড় হাঁস রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবেই প্যারালাইসিস রোগ বেশি হয়ে থাকে। হাঁসের প্যারালাইসিস হলে কিছু লক্ষণ থাকে আপনি যখন সেই লক্ষণ গুলো দেখবেন তখন বুঝতে হবে হাঁসের প্যারালাইসিস হয়েছে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে হাঁসের ঘাড় এবং পা বাঁকা হয়ে যাবে এবং হাঁস একদিকে ঝুঁকে পড়বে। সোজা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে না।

হাঁসের শারীরিক বৃদ্ধি আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। হাঁসের বাচ্চারা ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। বিভিন্ন রোগের কারণেও হাঁস এবং হাঁসের বাচ্চার প্যারালাইসিস হয়। যখন আপনি কোন রোগের কারণে প্যারালাইসিস দেখতে পাবেন তখন প্রথমে সেই রোগ ভালো করার চেষ্টা করবেন। হাঁসকে প্যারালাইসিস থেকে রক্ষা করতে সব সময় তাদেরকে সুষম খাবার দিতে হবে।


তাদেরকে এমন খাবার খাওয়াতে হবে যেগুলোতে ক্যালসিয়াম ভিটামিন প্রোটিন সবগুলাই থাকে। কিছুদিন পর পর ভিটামিন ওষুধ খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। প্যারালাইসিস হলে তাদেরকে ভিটামিন ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ খাওয়ালে তাদের প্যারালাইসিস ভালো হয়ে যাবে আর যদি কোন রোগের কারণে প্যারালাইসিস হয় তাহলে সেই রোগের ওষুধ খাওয়াবেন

এবং ভালোভাবে চিকিৎসা করবেন তাহলে আপনার হাঁসের প্যারালাইসিস ভালো হয়ে যাবে।

শেষ কথা

আপনি যদি হাঁস লালন পালন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাঁসের দিকে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে হবে এবং হাঁসের কোন রোগ হলে সেই রোগ দ্রুত সারাবার চেষ্টা করতে হবে তাছাড়া আপনি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও হাঁসের রোগ সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url