মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায়- ভালোবাসার প্রমান কি- মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা

প্রিয় পাঠক আপনাকে মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায় এবং ভালোবাসার প্রমান কি ও ছেলেদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন মেয়েদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায় এবং মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা ও ভালোবাসা পরীক্ষা করার উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

পৃথিবীর প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে সত্যি মিথ্যা আসল নকল রয়েছে কারণ সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর বিষয়গুলোকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যেখানে সবকিছুর বিপরীত দিক থাকে। ভালবাসার বিপরীতে প্রতারণা। সৎ থাকার বিপরীতে ধোকা দেওয়া। ভালোবাসার ময়দানে এমন একটা ময়দান এখানে ছেলে বা মেয়ে যে কেউ যেকোনো সময় প্রতারণা করতে পারে


অথবা শুরু থেকেই নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য সময় কাটাতে পারে। ছেলে মেয়ে উভয়ের ভালোবাসা অনেক সময় সত্যি হয় আবার অনেক সময় মিথ্যা হয়।

মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা

মেয়েরা যাকে ভালবাসে তাকে সর্বপ্রথম ইশার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করে। একটি কথা প্রচলিত আছে মেয়েদের বুক ফুটে তারপরও মুখ ফোটে না। মেয়েরা এমন স্বভাবেই তৈরি যে তারা আপনাকে ভালবাসলেও নিজে থেকে কখনো বলবে না। যখন আপনি তাকে প্রপোজ করবেন তারপরে সে উত্তর দেবে।

মেয়েরা যাকে ভালবাসে তাকে কিছু ইশারা বা লক্ষণ দেয়। যদি কোন মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে তাহলে সে এমন কাজগুলো করবে যে কাজগুলো আপনি ভালোবাসেন। সব সময় চেষ্টা করবে আপনাকে খুশি করার। আপনি যদি তাকে ফাজলামো করেও কোন কিছু করতে বলেন তারপরও সে সিরিয়াস ভাবে সে কাজ করে ফেলবে কারণ সে আপনাকে ভালোবাসে।

সব সময় চেষ্টা করবে আপনার কেয়ার করার। আপনি কখন কি করেন কোথায় কখন যান ঠিকমতো খাইছেন কিনা এই বিষয়গুলো সে লক্ষ্য করবে। আপনাকে প্রচুর পরিমাণে কেয়ার করবে। আপনি যদি অগোছালো হয়ে চলেন তাহলে সে ঠিকভাবে গোছানো হতে বলবে। খাবার না খেলে জোর করে খাবার খাওয়াবে।

মোটকথা একটা মানুষকে যতভাবে কেয়ার করা যায় সবদিক দিয়ে সে কেয়ার করবে। আপনার জন্য সাজুগুজু করে আসবে। আপনি যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেন বা রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে বলেন তাহলে সে আপনার জন্য স্পেশালভাবে সাজুগুজু করে আসবে যাতে তাকে আপনার সামনে আরো বেশি সুন্দর দেখায়।

আপনি কোথাও ঘুরতে যেতে বললে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছাড়াই আপনার উপরে ভরসা করে ঘুরতে যাবে। আপনি যদি তাকে দেখা করার কথা বলেন তাহলে সে কোন অজুহাত ছাড়াই আপনার সাথে দেখা করতে চলে আসবে। সে কোন কাজ করার আগে আপনার সাথে অবশ্যই পরামর্শ করবে। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগেও আপনাকে জানাবে এবং সে মনে মনে আপনার মতামতের আশা করবে।

কোন মেয়ে যদি আপনাকে ভালোবাসে তাহলে সেই মেয়ে কখনোই আপনার মুখ থেকে অন্য কোন মেয়ের প্রশংসা বা সুনাম সহ্য করতে পারবে না। যদি আপনি তার সামনে অন্য কোন মেয়ের কথা বলেন তাহলে সে রেগে যাবে বা আপনার সাথে কথা বন্ধ করে দেবে। তখনই আপনার বুঝতে হবে এই মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে।

সে বাদে অন্য কোন মেয়ের সাথে আপনার অতিরিক্ত চলাফেরা বা ঘনিষ্ঠতা সে সহ্য করতে পারবে না। এসব বিষয় নিয়ে রাগারাগি করবে। আপনি কোন বিপদে পড়লে বা অসুস্থ হলে সব সময় আপনার সাথে থাকবে আপনি যাতে সুস্থ হয়ে যান সে ব্যবস্থা করবে এবং কোন বিপদে পড়লে সে বিপদ থেকে উদ্ধার করার সাধ্যমত চেষ্টা করবে।


আপনি তাকে ফোন করলে সে কখনোই বিরক্ত হবে না। যতই ব্যস্ততার মধ্যে থাকুক আপনার ফোন রিসিভ করবে এবং আপনার সাথে কথা বলার জন্য অপেক্ষায় থাকবে। আপনার কল আসলে সে আরো বেশি খুশি হবে। মেয়েদের চোখ অনেক বেশি কথা বলে আপনি তার চোখের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন।

সে আপনার দিকে অপলকে করে তাকিয়ে আছে বা আপনাকে চোখের দ্বারা কিছু বোঝাতে চাই। মেয়েদের ভালোবাসা বোঝার জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে চোখের ভাষা বোঝা। আপনি এইসব ইশারা যদি কোন মেয়ের মধ্যে বুঝতে পারেন তাহলে আপনি বুঝে নেবেন সেই মেয়েটি আপনাকে ভালোবাসে।

ভালোবাসা পরীক্ষা করার উপায়

সর্বপ্রথম কথা হচ্ছে কাউকে ভালবাসলে তাকে পরীক্ষা করা কোনভাবেই উচিত নয়। আপনার যদি তার কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকে বা কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয় তাহলে সে বিষয়ে তাকে সরাসরি বলা ভালো কারণ অনেকে আছে যারা পছন্দ পরিমাণে ভালোবাসলেও তাদেরকে কোনোভাবে পরীক্ষা করলে তারা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না।

পরীক্ষা করার চেয়ে সবচেয়ে বড় জরুরী বিষয় হচ্ছে আপনি তার ব্যবহার আচরণ চালচলন দেখলেই বুঝে নিতে পারবেন যে সে কি আসলেই আপনাকে ভালোবাসে নাকি ভালোবাসে না। মানুষের আচরণ কথাবার্তা ব্যবহার অনেক কিছু প্রকাশ করে দেয়। এরপরও আপনি যদি কারো ভালোবাসা পরীক্ষা করতে চান তাহলে কিছু উপায় আছে

আপনি সেসব উপায় অবলম্বন করে তার ভালোবাসা পরীক্ষা করতে পারবেন। ভালোবাসার মধ্যে সম্মান থাকা জরুরী। যে এই সম্পর্কে সম্মান নাই সে সম্পর্ক কখনো সুন্দর হতে পারে না। আপনার ভালবাসার মানুষ আপনাকে কতটুকু সম্মান করে আপনি যদি সেই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনার পরীক্ষা করার উপায় হচ্ছে

আপনি নিজের নামে তার কাছে খারাপ খারাপ কথা বলবেন বা আপনার নামে বদনাম করবেন যদি সে এর প্রতিবাদ না করে তাহলে বুঝবেন সে আপনাকে সম্মান করে না। অথবা আপনি আপনার কোন বান্ধবী বা পরিচিত কাউকে দিয়ে তার কাছে আপনার নামে বদনাম করতে বলবেন। যদি সে তার প্রতিবাদ করে তাহলে বুঝতে হবে সে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সম্মান করে।

সেক্রিফাইস বা ত্যাগ তিতিক্ষা করার মন-মানসিকতা। একটি সম্পর্ক টেকানোর জন্য উভয়কে উভয়ের ছোট ছোট বিষয়গুলোতে ছাড় দেওয়া জরুরী। অনেকে আছে যারা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে। সেসব সম্পর্ক গুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আপনার যদি তার সেক্রিফাইস পরীক্ষা করতে চান তাহলে আপনি ছোট ছোট বিষয় ভুল করবেন

বা আপনার কষ্টের কথা তাকে বলবেন সে যদি সে ভুলগুলো মেনে নিতে পারে বা আপনার কষ্টের সঙ্গী হয় তাহলে বুঝবেন সে আপনার জন্য সেক্রিফাইস করতে পারবে। ক্ষমা করার মন-মানসিকতা নিয়ে চলা। কেউ যদি ক্ষমা করতে না পারে তাহলে সে সম্পর্ক বহু দূর আগায় না কারণ পৃথিবীতে মানুষ মাত্রই ভুল। যে মানুষ সে ভুল করবে এটা স্বাভাবিক।

আপনার যদি তার ক্ষমার দিক পরীক্ষা করতে চান তাহলে আপনি কোন দোষ না করেও তার কাছে এসে বলবেন আপনি অমুক একটি দোষ করে ফেলেছেন। যদি সে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করে এবং সেই ভুলের সমাধান খুঁজে তাহলে বুঝবেন সে ক্ষমা করতে জানে আর যদি আপনার ভুল সোনার সাথে সাথে এসে আপনার সাথে রাগারাগি শুরু করে দেয়

বা বিভিন্ন রকম গালাগালি করে তাহলে বুঝবেন সে ক্ষমা করার মতো যোগ্যতা রাখে না। আপনাকে কখনোই কোন ভাবে গালাগালি করবে না। হ্যাঁ সম্পর্কের মধ্যে টুকটাক ছোটখাটো গালাগালি হয় কিন্তু রাগারাগিরি সময় যদি সে আপনাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাহলে বুঝবেন এ সম্পর্ক বেশিদূর আগানো সম্ভব না।

ধৈর্য থাকা। প্রত্যেক সম্পর্কে থাকা উভয় মানুষের জন্য জরুরি যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে সে সম্পর্ক আগানো সম্ভব না। আপনি তার ধৈর্য পরীক্ষা করার জন্য মাঝেমধ্যে অকারণে রাগারাগি করবেন বা আপনার মন খারাপ বলে বাহানা দিবেন। দেখবেন সে আপনাকে কতটুকু সহ্য করতে পারে। তার মন মানসিকতা পরীক্ষা করে।

দেখবেন সে আসলে কেমন মানুষের সাথে তার ব্যবহার আচরণ কেমন। আপনার পরিবার বা আপনার বন্ধুবান্ধবকে কোন চোখে দেখে এ বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। আপনি যখনই অপর মানুষকে পরীক্ষা করতে যাবেন তার আগে অবশ্যই আপনার নিজের সেইসব বিষয়ে সৎ হওয়া জরুরি আপনি নিজে যদি সৎ না থাকেন তাহলে কোন ভাবে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষকে

পরীক্ষা করার অধিকার রাখেন না কারণ আপনি যেভাবে চান আপনার ভালবাসার মানুষ আপনাকে পরিপূর্ণ ভালবাসবে এবং আপনার সবদিক খেয়াল রাখবে সেভাবে সেই মানুষটিও চায় যাতে আপনিও তাকে পরিপূর্ণ ভালবাসেন এবং তারা সব দিকে খেয়াল রাখেন। যদি আপনি নিজে পরীক্ষা দেয়ার যোগ্য হন তারপরে গিয়ে আপনি পরীক্ষা নেবেন

অন্যথায় পরীক্ষা নিতে যাবেন না এতে করে আপনি নিজেই বিপদে পড়তে পারেন।

মিথ্যা ভালোবাসা চেনার উপায়

বর্তমানে এমন সময় চলছে যেখানে সত্যিকারের ভালোবাসা চেয়ে মিথ্যা ভালোবাসার প্রচলনাই বেশি। সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া অনেকটা কঠিন বিষয়। আপনি কাউকে ভালবাসছেন সে যে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসে এর নিশ্চয়তা অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না। আপনি সেই মানুষটিকে একেবারে পাও না পর্যন্ত কখনোই বলতে পারবেন না সে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসে।

যারা মিথ্যা ভালবাসে তারা সম্পূর্ণ অভিনয় করে ভালবাসতে পারে না। মিথ্যা ভালোবাসা চেনার জন্য কিছু উপায় থাকে। আপনি সেই উপায় বা লক্ষণগুলো খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন আসলে সে আপনার সাথে সময় পাস করছে। সে মূলত আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে না। যে আপনাকে মিথ্যা ভালোবাসে সে কখনোই আপনার ইচ্ছা ভালোলাগা খারাপ লাগার গুরুত্ব দেবে না।


বিশেষ করে আপনার যদি অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকে তারপরও সে আপনার মন খারাপের গুরুত্ব দেবে না। সে আপনার থেকে সবসময় ভালো সময় চাইবে। কখনোই আপনার খারাপ সময়ের সঙ্গী সে হবে না। সে কখনোই আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করবে না। সে আপনার সাথে এমন ব্যবহার করবে যে ব্যবহারগুলো আপনি যদি তার সাথে করেন তাহলে সে মেনে নিতে পারবে না।

আপনি যখনই দেখবেন সে কখনো আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করছে না আপনি বুঝে নেবেন সে আপনাকে ভালোবাসে না। যখনই আপনার সাথে কোন বিষয়ে ঝামেলা হবে সে সব সময় তৃতীয় ব্যক্তিকে টানবে অর্থাৎ আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য অন্য ছেলে বা অন্য মেয়ের সাথে সে মিশবে আপনার খারাপ লাগার দিকে পরোয়া করবে না।

একটা সম্পর্কের মধ্যে ঝামেলায় হতেই পারে স্বাভাবিক। ঝামেলা ছাড়া পৃথিবীর কোন সম্পর্ক হয় না কিন্তু যে আপনাকে ভালোবাসে না সে সে সম্পর্কে মধ্যে ঝামেলা হলে কখনোই নিজে থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে আসবে না বা তার এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভিতরে খারাপ লাগা কাজ করবে না। বিনা কারণেই সে আপনার সাথে রাগারাগি করবে।

সম্পূর্ণ দোষ তার এরপরও সে আপনার উপরে দোষ চাপিয়ে দেবে। সব সময় আপনার থেকে টাকা খরচ করার চিন্তা করবে। নতুন নতুন গিফট চাইবে। কোথাও ঘুরতে যেতে চাইবে। দামি খাবার দামি পোশাক এইসবের আশা করবে। সে আপনাকে কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলবে। আপনার অগোচরে অনেক কিছু করে বেড়াবে।

আপনি যদি কখনো বুঝতে পারেন বা তার সাথে কোন ছেলেকে দেখেন তাহলে সে জাস্ট ফ্রেন্ড বলে চালিয়ে দেবে। সে আপনাকে বিন্দুমাত্র সম্মান করবে না। সে সবসময় আপনাকে পুতুল মনে করবে। যখন যা ইচ্ছা আপনার সাথে করতে থাকবে। বিন্দুমাত্র আপনার প্রতি তার সম্মান আসবে না। ছোট ছোট বিষয়ে বাহানা দেখাবে। আপনার সাথে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যস্ততা দেখাবে।

আপনি তার থেকে সময় চাইলে সে আপনাকে অবহেলা করে ব্যস্ত থাকবে আর সে ব্যস্ত না থাকলেও বলবে ব্যস্ত আছি। সে আপনাকে কোন বিষয়ে ওয়াদা দিবে না। যদি ওয়াদা করে তাহলে সে বিষয়ে রাখবে না। আপনার অগোচরে শেষে ওয়াদা নিমিষে ভেঙে ফেলবে। আপনাকে সে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করতে পারবে না।

আপনি তার জন্য যত যাই কিছু না করেন না কেন দিনশেষে সে বলবে তুমি আমার জন্য কিছুই কর নাই বা আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না। আসলে যারা মিথ্যা ভালোবাসে তাদের ভালোবাসা বেশিদিন থাকে না। খুব সহজেই তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায়। এরা সত্যিকারে ভালোবাসার মতো অভিনয় করতে পারে না।

যতই যায় করুক না কেন দিন শেষে তাদের মিথ্যা অভিনয় আমাদের সামনে চলে আসে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সাথে ভালবাসবেন কারণ একবার ভালোবাসা জায়গায় প্রতারিত হলে পরবর্তীতে কাউকে বিশ্বাস করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

মেয়েদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায়

মেয়েরা যাকে একবার সত্যিকারে ভালোবাসে তাকে সারা জীবনের জন্য ভালোবাসে। পরিস্থিতি যতই যায় হয়ে যাক না কেন কখনোই মেয়েটা ওই ছেলের হাত ছাড়ে না। সবসময় চেষ্টা করে ছেলেকে ভালো রাখার এবং ছেলে তার পাশে সব সময় হাঁটার। একটা ছেলে যতই ভুল করুক না কেন যে মেয়ে সত্যিকারে ভালোবাসে সবসময়ই সে মেয়ে মাফ করে দেয়।

প্রতিবার মাফ করা কষ্টকর তারপরও মেয়েকে সবকিছু দেখে লক্ষ্য করে মাফ করে দেয়। যে মেয়ে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসে সে কখনোই আপনাকে মিথ্যা কথা বলবে না। পরিস্থিতি যেমন হয়ে যাক সব সময় আপনাকে সত্যি কথা বলবে। সে যদি কোন ভুল করে তারপরও আপনাকে সত্যি কথা বলবে। আপনার ভালো লাগাকে প্রাধান্য দেবে। সবকিছুর আগে আপনাকে গুরুত্ব দিবে।

আপনার যদি কোন কারনে খারাপ লাগে বা মন খারাপ হয় তাহলে সে যেকোন স্বার্থে আপনার মন ভালো করার চেষ্টা করবে। আপনি কষ্ট পাবেন এমন কাজ ভুলেও করবে না আর যদি কোন ভাবে করে ফেলে তাহলে আপনার কাছে যেকোন ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেবে। আপনি তাকে ধমক দিলে বা তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে সে খুব সহজেই কেঁদে দিবে।

আসলে মেয়েরা অনেক সহজ সরল মনের হয়। বিশেষ করে যারা ভালোবাসে তারা তার ভালোবাসার মানুষের প্রতি একেবারেই নরম হয়ে যায়। কোনভাবে ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়তে চায় না। যেসব মেয়ে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসবে আপনি তার ব্যবহার আচরণ কথাবার্তা সবকিছু দেখেই বুঝতে পারবেন।

যা কিছুই হয়ে যাক না কেন সে আপনার ভালোবাসা ভুলবে না এবং আপনাকে কখনোই ধোকা দিয়ে বা মিথ্যা বলে ছেড়ে যাবে না।

ভালোবাসার প্রমান কি

ভালোবাসার কোন প্রমাণ হয় না। কেউ যদি ভালোবাসা প্রমাণ করতে যায় তাহলে সে মূলত নিজেকে প্রমাণ করছে। সে তার ভালোবাসাকে প্রমাণ করবে এমন কোন কিছু নাই। বর্তমানে সময়ে এসে বা দিন আস্তে আস্তে যত সামনের দিকে যাচ্ছে ভালোবাসার বিষয়গুলো তত সস্তা হয়ে যাচ্ছে। মানুষের কাছে এখন ভালোবাসার প্রমাণ বলতে বোঝায় ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দেবে

বা যতরকমের সোশ্যাল মিডিয়া আছে সবগুলোর পাসওয়ার্ড তাকে দিতে হবে ও সব সময় তাকে সময় দিতে হবে। তার কোন রকমের কোন কিছু থাকতে পারবেনা। পার্সোনাল খারাপ লাগা বলতে কিছু নাই। যদি আপনি এরকম চিন্তা ভাবনা নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার বুঝতে হবে আপনি সুস্থ সম্পর্ক নাই। যে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসবে অবশ্যই আপনাকে ভালবাসবে।

তার কাছে নতুনভাবে প্রমাণ চাওয়ার কিছু নাই আর যে আপনাকে কোনভাবেই ভালোবাসে না সে আপনি তার জন্য যতই যাই করেন না কেন আপনাকে কোনভাবেই সে ভালবাসবে না। আপনি যদি তার কাছে কোনো কারণে প্রমাণ চেয়েও থাকেন হয়তো আপনাকে খুশি করার জন্য কোন মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে দিবে। এতে করে আপনার কোন লাভ হবে না।


কিছু বিষয় থাকে যেগুলোর প্রমান এমনিতেই পাওয়া যায়। আবার মাঝেমধ্যে এমন কিছু বিষয় থাকে যেগুলোর প্রমাণ নিয়ে নিতে হয়। যেমন কোন ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ট হলে আপনি এই সব বিষয়ের প্রমান চাইতেই পারেন এতোটুকু আপনার অধিকার আছে। আপনাকে অতিরিক্ত ব্যস্ততা দেখায় এইটার কারণ আপনি চাইতে পারেন

কারণ যদি সে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যস্ততা দেখায় তাহলে আপনার খারাপ লাগতে পারে এজন্য আপনি এ বিষয়ে প্রমাণ চাওয়ার অধিকার রাখেন। সে কোথায় যায় কোথাও ঘুরতে যাবে কিনা এইসব বিষয়ে অধিকার দেখানো কোনভাবে উচিত নয়। তার নিজেরও ভালো লাগা খারাপ লাগা আছে এদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী।

প্রমান তো চলে আদালতে যেখানে মামলা হয়। ভালোবাসা বা কোন সম্পর্কের মধ্যে প্রমাণ শব্দটা আসলে মানায় না। ভালোবাসার প্রমাণ এমনিতেই কাজের দ্বারা আচরণের দ্বারা বা তার চালচলন দ্বারায় প্রকাশ পেয়ে যায়। নতুন করে তার কাছে প্রমাণ চাওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না।

ছেলেদের সত্যিকারের ভালোবাসা চেনার উপায়

ছেলেদের সত্যিকারে ভালোবাসা বোঝা একেবারেই সহজ। ছেলেরা তাকে একবার সত্যিকারে ভালোবাসে সারা জীবন তাকেই ভালোবেসে যায়। সেই মেয়ে তার সাথে যতই যাই করুক না কেন ছেলে তাকেই ভালবাসবে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অসংখ্য পুরুষ রয়েছে যারা একটি মেয়েকে সারা জীবন ভালোবেসে গেছে।

সেই মেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে তারপরও তার জন্য সারা জীবন সিঙ্গেল রয়েছে। পুরুষের সত্যিকারের ভালোবাসা অসম্ভব ভয়ংকর। যে ছেলে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসে সে সর্বপ্রথম আপনাকে এই গুরুত্ব দেবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আপনাকে প্রাধান্য দেবে। তার যতই যা কিছু হয়ে যায় কখনোই আপনার উপর কোন কিছুর প্রভাব পড়তে দেবে না।

সব সময় চেষ্টা করবে আপনাকে ভালো রাখার। আপনাকে হাসিখুশি রাখার। যেকোন কোন কিছুর বিনিময়ে আপনাকে সে পাইতে চাইবে। আপনাকে পাওয়ার জন্য যেন পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ করতে হয় সে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত থাকবে। কোন কারণে সে আপনাকে হারাতে চাইবে না। যদি সে কোন ভুল করে থাকে আপনার রাগ ভাঙ্গবে

আর যদি সে ভুল না করার পরও আপনি কোন কারণে মন খারাপ করে থাকেন তারপরও সে আপনার মন ভালো করতে চাইবে এবং নিজে নিজে ভাববে যে আমি কোন ভুল করেছি কিনা এজন্য সে আপনার কাছে সরি বলবে। মোটকথা একটা ছেলে যখন কোন মেয়েকে ভালোবাসে সে ওই মেয়ের হাত কোনভাবে ছাড়ে না।

দরকার পড়লে পরিবার পরিজন সবকিছুর বিপরীতে চলে যেতে সে পারে কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে কখনোই ছাড়তে পারে না। যে ছেলে আপনাকে সত্যিকারের ভালবাসবে আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝে নিতে পারবেন। সে আপনাকে কখনো কোনোভাবে মিথ্যা বলবে না। ধোঁকা দেবে না। আপনি কষ্ট পাবেন এমন কোন কাজ তার দ্বারা হবে না।

সে আপনার জন্য নিজের সবকিছু শেষ করে দিতে পারবে। আপনাকে হারানোর ভয়ে কেঁদে দেবে। যে ছেলে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে আপনি কখনোই তার ভালোবাসা পরীক্ষা করতে যায় না। আপনি যদি কোন ছেলের সত্যিকারে ভালোবাসা পান তাহলে আপনার কাছে অনুরোধ আপনি কখনো তাকে ছেড়ে যাইয়েন না বা তাকে কষ্ট দিয়েন না।


কারণ একটা ছেলে যখন কাউকে সত্যিকারে ভালোবাসে তারপর যদি সে মেয়ের থেকে সে কষ্ট পায় পরবর্তীতে সে কোন মেয়েকে ভালবাসতে পারে না। ভালোবাসা তো অনেক দূরের বিষয় কোন মেয়েকে সে বিশ্বাসই করতে পারেনা। এজন্য আপনি যদি কোন ছেলের সত্যিকারের ভালোবাসা পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেক ভাগ্যবান। আপনার জন্য অনেক বেশি শুভকামনা রইল।

শেষ কথা

প্রতিদিন সম্পর্কের মধ্যে সত্য মিথ্যা থাকে সেগুলোকে সাথে নিয়ে চলতে হয়। কোন সম্পর্ক গেলে কখনোই হুট করে সে সম্পর্ক ভেঙে ফেলবেন না। কোন কিছু নিয়ে ঝামেলা হলে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবেন এবং সম্পর্ককে দুজন সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আপনার সম্পর্ক সুন্দরভাবে দীর্ঘস্থায়ী হবে।

আমার এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও ভালোবাসার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url