তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়-36 সপ্তাহে সিজার করা যায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায় এবং 36 সপ্তাহে সিজার করা যায় ও 37 সপ্তাহে সিজার করা যায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়
এছাড়াও আপনি এ পোষ্টের মধ্যে পাবেন কয় সপ্তাহে সিজার করা যায় ও দ্বিতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায় ও সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায় সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

একজন গর্ভবতী মহিলার পেটে যে সময় বাচ্চা থাকে তখন অনেক রকমের সমস্যা তৈরি হয়। সে সমস্যার জন্য অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চা আগে বের করে নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। একটা বাচ্চা পৃথিবীতে আসতে সর্বোচ্চ সময় দশ মাস দশ দিন লাগে। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার কারণে সিজার করার মাধ্যমে আগেই তুলে নিতে হয়।

সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়

একটা বাচ্চাকে সিজার করে তুলে নেওয়ার জন্য তার নির্দিষ্ট একটি বয়স ও সময়সীমার প্রয়োজন হয়। অনেক সময় সমস্যার কারণে বাচ্চাকে দশ মাস দশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই সিজারের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়ে থাকে। একটা বাচ্চাকে সুস্থভাবে সিজার করে তুলে নেয়ার জন্য সব সর্বনিম্ন সময় ৩৯ সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস ২১ দিন হলে সবচেয়ে ভালো হয়

কারণ ৩৯ সপ্তাহ বা ৯ মাস ২১ দিন হলে একটি বাচ্চার শারীরিক দিক দিয়ে সম্পন্নভাবে গঠন হয়ে যায় এতে করে বাচ্চার জন্য খুব ভালো হবে আর যদি কোন কারণ ছাড়াই ৩৯ সপ্তাহের পূর্বে বাচ্চাকে সিজার করার মাধ্যমে তুলে নেয়া হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চার অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বাচ্চা এমন অবস্থায় তুলে নেওয়া নিরাপদ নয়।

যদি কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে যদি ডাক্তার ৩৯ সপ্তাহ হওয়ার আগেই তুলে নিতে বলে তাহলে সিজার করার মাধ্যমে তুলে নেবেন। সর্বোপরি উত্তম সমাধান হচ্ছে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। ডাক্তার গর্ভবতী মহিলার পেটের বাচ্চার অবস্থা দেখে যদি সিজার করে নিতে বলে তাহলে সিজার করে নেওয়ায় ভালো হবে

আর আপনি যদি নিজে থেকে পরামর্শ না করে সিজার করতে চান সেক্ষেত্রে বাচ্চার বয়স সর্বনিম্ন ৩৯ সপ্তাহ বা 9 মাস 21 দিন হলে সিজার করে নেয়া সবচেয়ে ভালো।

কয় সপ্তাহে সিজার করা যায়

সিজার করার জন্য দুইটি বিষয়ের লক্ষ্য রাখা জরুরি একটি হচ্ছে কোন সমস্যার কারণে সিজার করে তুলে নেওয়া আরেকটি হচ্ছে এমনিতেই সিজার করে তুলে নেওয়া। যদি কোন সমস্যার কারণে আপনি সিজার করে বাচ্চাকে তুলে নেন তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। সবচেয়ে জরুরী ডাক্তার যে পরামর্শ দেয় সে পরামর্শ মোতাবেক কাজ করলে সবচেয়ে ভালো হবে

কারণ যে সময় সমস্যা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই সময়ই বাচ্চাকে সিজার করে তুলে নিতে হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা ছোট হওয়ার কারণে কিছুদিন রাখার পরে তারপর সিজার করার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি এমনিতে সিজার করে নিতে চান সে ক্ষেত্রে 39 সপ্তাহ পরে সিজার করা সবচেয়ে ভালো যা দিন হিসেবে ১০ মাস ২১ দিন সময় ধরা হয়।


একটি বাচ্চা সম্পন্ন হয়ে পৃথিবীতে আসতে দশ মাস দশ দিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সিজার করে তুলে নেন তাহলে ৯ মাস ২১ দিন সময়ও আপনি সিজার করে তুলে নিতে পারবেন। ৯ মাস 21 দিন বয়সে সিজার করে তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি তা হচ্ছে বাচ্চার শারীরিক গঠন সম্পন্ন হয়েছে

কি না। যদি বাচ্চার গঠন মাসের তুলনায় পরিপূর্ণ না হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চা তুলে না নেওয়াই ভালো হবে কারণ এভাবে বাচ্চা সিজার করে তুলে নিলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

তৃতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়

দুইটা বাচ্চা থাকার পরও তৃতীয় বাচ্চা সময় যদি সিজার করার প্রয়োজন হয় তাহলে সিজার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা এবং সময় মেনে সিজার করতে হবে। যদি গর্ভবতী মহিলার কোন রকমের সমস্যা না হয় তাহলে তৃতীয় সিজারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হবে 38 থেকে 39 সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

যখন গর্ভধারণের সময় 38 বা 39 সপ্তাহ হয়ে যাবে তখন তৃতীয় সিজার করে নেওয়া যাবে। আর যদি এর মাঝে কোন রকমের সমস্যা তৈরি হয়ে যায় অর্থাৎ 38 বা 39 সপ্তাহ আগেই কোন সমস্যা তৈরি হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তার যেভাবে সিজারের কথা বলে সেভাবে সিজার করে নেয়া হয় ভালো হবে।

সমস্যা তৈরি হলে সেক্ষেত্রে কোন কিছু করার থাকে না আর যদি গর্ভবতী মহিলা একদম শেষ সময় পর্যন্ত সুস্থ সবল থাকে তাহলে ৩৮ বা ৩৯ সপ্তাহে সিজার করে নিতে পারবেন। ৩৮ বা ৩৯ সপ্তাহে সব সিজার করতে গেলেও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেওয়া ভালো হবে।

36 সপ্তাহে সিজার করা যায়

একটি শিশু বয়সের দিক দিয়ে ৩৯ সপ্তাহ এবং ওজনের দিক দিয়ে আড়াই কেজির বেশি হলে সে শিশুকে পরিপূর্ণ শিশু বলা হয়। এই সময় কোন কারণ ছাড়াই আপনি শিশুকে সিজার করে বের করে নিতে পারবেন। অনেক সময় সমস্যার কারণে শিশুর বয়স ৩৬ সপ্তাহ হলে তখনও সিজার করে বের করে নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

৩৬ সপ্তাহের শিশুকে কখনোই বিনা কারণে সিজার করে বের করে নেওয়া উচিত নয় কারণ সেই সময় পর্যন্ত শিশুর বয়স পরিপূর্ণ না হওয়ার কারণে শিশু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম এজন্য যদি সেই সময় অর্থাৎ ৩৬ সপ্তাহে কোনো কারণ ছাড়াই বের করে নেওয়া হয় তাহলে শিশু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


এমনকি ৩৬ সপ্তাহে শিশু বের করলে শিশু শরীরে আরো রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। ৩৬ সপ্তাহে শিশুকে বের করে নিতে হলে অবশ্যই এর পিছনে যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। যৌক্তিক কারণ থাকলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেই সময় বের করে নিতে পারবেন। ৩৬ সপ্তাহে শিশুকে বের করলে অবশ্যই শিশুকে যত্ন আরও বেশি নিতে হবে

তাছাড়া শিশুর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য যেসব গর্ভবতী মহিলা ৩৬ সপ্তাহে বাচ্চা সিজার করে বের করার প্রয়োজন হয় তারা তারও কিছু আগে দিন থেকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তারদের পরামর্শ দেয় সে মোতাবেক কাজ করবেন তাহলে আপনার জন্য এবং আপনার বাচ্চার জন্য উপকার হবে।

37 সপ্তাহে সিজার করা যায়

বাচ্চার বয়স ৩৭ সপ্তাহ হলে সেই সময়ও তাদেরকে সিজার করে বের করে নেয়া যায় তবে এর জন্য শর্ত হচ্ছে অবশ্যই কোন সমস্যা হতে হবে। গর্ভবতী মহিলার বা বাচ্চার কোন সমস্যা না হলে 37 সপ্তাহে কোন বাচ্চাকে সিজার করে বের করে নেওয়া কোন ভাবে উচিত নয়। কারণ একটি বাচ্চা পরিপূর্ণ হতে ৩৮ থেকে ৩৯ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে।

আপনি যদি এখন 37 সপ্তাহে বের করে নেন তাহলে সেই বাচ্চা পরিপূর্ণ বাচ্চা রুপান্তরিত হবে না যার কারণে 37 সপ্তাহে বের করার কারণে বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হবে এজন্য সে অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যদি আল্ট্রাসন করে কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তার যেইভাবে বলে সেভাবে কাজ করবেন

তাহলে গর্ভবতী মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য ভালো হবে আর যদি কোন উপায় না থাকে 37 সপ্তাহে সিজার করা আবশ্যক হয়ে যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সিজার করে নিবেন। এ সময় সিজার করার পরে বাচ্চাকে ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে এবং বাচ্চার দেখাশোনা ঠিকভাবে করতে হবে তাছাড়া বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দ্বিতীয় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়

প্রথম বাচ্চা সিজারে হওয়ার পরে যদি দ্বিতীয় বাচ্চা সিজারে হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় তাহলে গর্ভবতী মহিলার উচিত হবে ৩৮ সপ্তাহ বা ৩৯ সপ্তাহ পরিপূর্ণ হওয়ার। যদি ৩৮ বা ৩৯ সপ্তাহ পরিপূর্ণ না হয় তাহলে গর্ভবতী মহিলার সমস্যা হতে পারে। যখন সময় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং পেটের মধ্যে বাচ্চাও পরিপূর্ণ হবে সেই সময় দ্বিতীয় সিজার করলে বাচ্চা এবং গর্ভবতী মা উভয়ের জন্য ভালো হবে।


যদি কোন রকমের কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তার যে মোতাবেক বলে সে মোতাবেক সিজার করে নিবেন তাহলেই বাচ্চা এবং গর্ভবতী মা উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

শেষ কথা

সবসময় চেষ্টা করতে হবে নরমালে ডেলিভারি করার। যদি কোন কারণে তার সম্ভব না হয় তাহলে সিজারের উপায় বাচ্চা নিতে হবে। সিজার করার ক্ষেত্রে যখন পরিপূর্ণ বয়স হবে তখনই সিজার করা উচিত তাছাড়া বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

আমার এই পোস্টটা যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও সিজার সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url