৬ মাসের বাচ্চার সুজি রান্না- বাচ্চাদের জন্য কোন সুজি ভালো- বাচ্চাদের সুজি খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের সুজি রান্নার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আমি। এ পোষ্টের মধ্যে বাচ্চাদের সুজি রান্নার নিয়ম এবং ৬ মাসের বাচ্চার সুজি রান্না ও বাচ্চাদের জন্য কোন চাল ভালো সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
বাচ্চাদের সুজি রান্নার নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বাচ্চাদের ডিম সুজির রেসিপি এবং বাচ্চাদের সুজি খাওয়ালে কি হয় ও বাচ্চাদের জন্য কোন সুযোগ ভালো সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

ছোট বাচ্চাদের ভাত খাওয়ানোর পূর্বে সুজি খাওয়ানো হয়। এই সুজি এমন কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যেগুলো বাচ্চা শরীরের জন্য পুষ্টিকর। অনেক মা আছেন যারা তাদের বাচ্চাকে ছয় মাস বয়সের পরে সুজি খাওয়াতে চান। সুজি চাউল দিয়ে তৈরি করা হয় যার কারণে বাচ্চা খুব ভালো খায় এবং বাচ্চা শরীরের জন্য উপকারী।


সুজি সবজির সাথে এবং বিভিন্ন রকম জিনিসের সাথেও খাওয়ানো যায় এতে করে বাচ্চারা আরো বেশি পুষ্টি পায় এবং খুব সহজেই খায়।

বাচ্চাদের জন্য কোন সুজি ভালো

সুজি দোকানেও কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে শুধুই বাসাতেও বানাতে পারবেন। দেখা যায় দোকানে সুজি শুধু তারা চাউল বা শুধু গমের মাধ্যমে তৈরি করে থাকে। এতে করে বাচ্চার শরীরে পুষ্টির চাহিদা পরিপূর্ণভাবে পূরণ হয় না। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি বাসাতে সুজি বানালে এতে করে দেখা যায় অনেক রকমের উপাদান দিয়ে সুজি বানানো হয়।

যার কারণে বাচ্চার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ প্রবেশ করে এবং এই সুজির স্বাদ দোকানে কেনা সুজির চেয়ে অনেক বেশি হয়। ভুট্টা গম চাল এই তিনটি উপাদান একসাথে করে সুজি বানালে সবচেয়ে ভালো হবে কারণ এই তিনটি উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন থাকে যেগুলো একটি বাচ্চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

ভুট্টা এবং গম দেয়ার কারণে এগুলো খেতে মিষ্টি হবে এবং আপনি বাচ্চাদেরকে খুব সহজে খাওয়ায় দিতে পারবেন। প্রতিদিন তাদেরকে শুধু সুজি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন চেষ্টা করবেন সুজির সাথে কিছু সবজি মিক্স করার বা আপনি চাইলে সুজির সাথে ডিম মিক্স করতে পারবেন এতে করেও বাচ্চা খুব ভালো খাবে।

আরেকটি উপাদান রয়েছে আপনি চাইলে সেটাও মিক্স করতে পারবেন। যেসব ভালো ভালো বিস্কিট রয়েছে সেই বিস্কুট গুলা রান্না করার সময় সুজির মধ্যে দিয়ে দিলে বাচ্চার জন্য আরো উপকারী হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন দোকানের সুজিত চেয়ে বাসায় তৈরি করা খুঁজে বাচ্চার জন্য কতটুকু উপকারী।

বাচ্চাদের সুজি খাওয়ালে কি হয়

সুজির সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যেমন গম,ভুট্টা,চাল যার কারণে বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সুজিততে রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আইরন ভিটামিন বি ভিটামিন ই এ প্রতিটি উপাদান বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক বেশি জরুরী এবং উপকারী। বাচ্চাকে সুজি খাওয়ানোর আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে

সুজি বাচ্চাদের পেটে খুব সহজে হজম হয় যার কারণে বাচ্চাদের পেটে কোন রকমের সমস্যা হওয়া সম্ভব না থাকে না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় বেশি ভোগে সুজি খাওয়ালে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সমস্যা একেবারে থাকে না। সুজি রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়ায় যার কারণে বাচ্চা ছোটবেলায় তার শরীরের রক্তস্বল্পতার সম্ভাবনা কমে যায়

এবং পরবর্তীতে গিয়ে দেখা যায় তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত থাকে। সুজি এক ধরনের সুষম খাদ্য যা বাচ্চার শরীরকে সুস্থ-সব রাখতে অনেক প্রয়োজন। ছয় মাসের পূর্বে বাচ্চাকে কখনো সুজি খাওয়াবেন না। ৬ মাস হওয়ার পরে বাচ্চাদেরকে শুধু সুজি খাওয়াবেন। বাচ্চার বয়স যখন ১১-১২ মাস হবে সে সময় সুজির সাথে গরুর দুধ মিক্স করবেন।


এতে করে বাচ্চার শরীরের জন্য উপকারী হবে এবং স্বাদও বৃদ্ধি হবে। ছয় মাসের সময় সুজি রান্নার পূর্বে তেলের পরিবর্তে ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিবেন এবং রান্না করার সময় চেষ্টা করবেন ডিম মিক্স করার এতে করে বাচ্চার শরীরে শর্করার চাহিদা মেটাতে সম্ভব হবে। একজন বুদ্ধিমান মা কখনোই শুধু সুজির সাথে চিনি দিয়ে রান্না করবে না সুজি

এবং চিনি রান্না করার কারণে একটি বাচ্চা শরীরের জন্য অত বেশি উপকার হয় না।

বাচ্চাদের সুজি রান্নার নিয়ম

আপনার বাচ্চাকে সুজি খাওয়াতে চাইলে সুজি রান্নার ক্ষেত্রে অবশ্যই পারফেক্ট এবং সুস্বাদুভাবে সুজি রান্না করতে হবে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে সহজে সুযোগ খাওয়াতে পারবেন। প্রথমে সুজি ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নেবেন। এরপরে যে পাত্রে সুজির আনবেন তা চুলায় বসাবেন। চুলার আছ থাকবে মধ্যম। এরপর সেখানে ফ্রেশ পানি দিবেন।

পানি যখন কুসুম গরম হবে তখন সেখানে এক চামচ বা দের চামচ সমপরিমাণ সুজি দিবেন। এরপর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সুযোগ পানির সাথে মিক্স করে নিবেন। তারপর কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দেবেন। আপনি শুধু সেই সময় পর্যন্ত রান্না করবেন যতক্ষণ না সুজি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। ঢেকে দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ পরে আবার নেড়ে দিবেন।

যখন দেখবেন আপনার সুজি সিদ্ধ হয়ে গেছে তখন চুলা বন্ধ করে দেবেন। ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে সুযোগ খাওয়াতে চাইলে একেবারে পাতলা করবেন। চামচে নেওয়ার পরে কাজ করলে যেন শুধু পড়ে যায় এরকম পাতলা করতে হবে কারণ বাচ্চারা দুধ ছাড়ার পরে শক্ত খাবার খেতে দিলে অভ্যস্ত হবে না যার কারণে কিছুদিন তাদেরকে এই পাতলা সুজি খাওয়াবেন।

আপনি চাইলে সেখানে সামান্য পরিমাণ ডিমও মিক্স করে দিতে পারেন এতে করে বাচ্চা শরীরের জন্য আরও উপকারী হবে। সুজি রান্না হয়ে গেলে কিছুক্ষণ নামিয়ে রাখবেন। তারপর যখন একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন বাচ্চাদেরকে খাওয়াবেন। ১০ থেকে ১১ মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে সুযোগ খাওয়াতে চাইলে সুজির সাথে গরুর দুধ দিতে পারেন।

ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে একেবারে শুরুতে গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত হবে না কিন্তু যখন বাচ্চার বয়স ১১-১২ মাস হয়ে যাবে তখন সুজির সাথে গরুর দুধ দেওয়া সবচেয়ে ভালো এতে করে তাদেরকে দুধ খাওয়ানো হবে এবং সুজি খাওয়ানো হবে ও তারা উপকৃত বেশি হতে পারবে। পানি পানির পরিবর্তে দুধ দিয়ে সুজি রান্না করলেই হয়ে যাবে।

পদ্ধতি একই থাকবে শুধু পানির স্থানে পরিমাণ মতো দুধ ব্যবহার করলে দুধের সুজি হয়ে যাবে।

৬ মাসের বাচ্চার সুজি রান্না

বাচ্চার বয়স ৬ মাস হওয়ার পূর্বে কখনোই তাদেরকে সুযোগ খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাস হওয়ার পরে তাদেরকে সুজি খাওয়াতে হবে। বাচ্চারা ছয় মাস বয়সের পরে তাদের মায়ের বুকের দুধ ছাড়তে শুরু করে এই সময় তাদেরকে একেবারে পাতলা ভাবে সুজি রান্না করে খাওয়াতে হবে। শক্ত বা গারো করে সুজি রান্না করলে তাদের খাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

শুরুর কয়েক মাস অর্থাৎ ছয় মাস,সাত মাস,আট মাস এই তিন মাস তাদেরকে একেবারে পাতলা সুজি খাওয়াবেন। এই সময় তাদেরকে শুধু পানির মাধ্যমে সুজি রান্না করে খাওয়াবেন। ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে দুধের সাহায্যে সুজি রান্না করে খাওয়ানো উচিত নয়। যখন বাচ্চার বয়স বেশি হবে তখন আপনি তাদেরকে দুধের সাহায্যে সুজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন।

ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদেরকে শুধু পানি দিয়ে সুজি রান্না করে খাওয়াবেন। প্রথমে চুলার উপরে পাতিল দিয়ে চুলার তাপ মধ্যম অবস্থায় রেখে পানি দিবেন। এরপরে যখন পানি কুসুম গরম হবে তখন সেখানে এক থেকে দেড় চামচ পরিমাণ সুজি দিবেন। তারপরে ভালোভাবে সুজি এবং পানি একসাথে মিক্স করে দিবেন। এরপর ঢাকনা সাহায্যে ঢেকে রাখবেন।


ঢেকে রাখার পর থেকে সুজি একেবারে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত এর মধ্যবর্তী সময়ে কয়েকবার নাড়াচাড়া করে দেবেন। এরপর যখন সুধি সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিবেন। পাতলা বলতে সুজি এমন ভাবে রান্না করতে হবে যে চামচে সুজি নিয়ে একদিকে কাত করলে তা একেবারে পড়ে যাবে। এরপর কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে বাচ্চাদেরকে খাওয়াবেন।

গরম অবস্থায় খাওয়ালে বাচ্চার মুখ পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে এবং বাচ্চা খেতে চাইবে না যার জন্য কিছু সময় রেখে তারপরে খাওয়াবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে সেখানে সামান্য পরিমাণ ডিমের কুসুম দিয়ে দিবেন অর্থাৎ রান্না করার সময় ডিমের কুসুম দিবেন এতে করে বাচ্চা শরীরের জন্য আরো পুষ্টিকর হবে।

বাচ্চাদের জন্য কোন চাল ভালো

বাচ্চারা দুধ ছাড়ার পর থেকে তাদেরকে ভাত বা সুজি খাওয়ানো হয়। অনেকে চিন্তা করে থাকেন বাচ্চাদের কি সাধারণ যে চালগুলো রয়েছে সেগুলো খাওয়ানো ভালো নাকি অন্য কোন চাল রয়েছে যেগুলো বাচ্চা শরীরের জন্য বেশি উপকার হবে এবং বাচ্চারা রুচিসহকারে খাবে। এক ধরনের চাল রয়েছে যেটাকে ব্রাউন চাউল বলা হয়।

বাচ্চাকে ভাত খাওয়ানো বা সুজি খাওয়ানোর চিন্তা-ভাবনা করলে এই চাউল সবচেয়ে ভালো হবে। এই চাল বাচ্চারা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। এই চালের মধ্যে অনেক রকমের পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই ব্রাউন বা বাদামি চালে রয়েছে জিংকো,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,ফসফরাস,মাঙ্গানিজ,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,ফ্যাট,কার্বোহাইডেট ভিটামিন বি।

এসব প্রত্যেকটি একটি বাচ্চার জন্য অনেক বেশি উপকারী। ব্রাউন চালে ফ্যাটি এসিড থাকে যা বাচ্চার শরীর এবং ব্রেন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ছোট বাচ্চাদের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় কিন্তু এই ব্রাউন চালের ভাত খাওয়ালে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া সম্ভবনা একেবারেই থাকে না।

তাই আপনার ছয় মাস বয়সের বাচ্চার জন্য সবচেয়ে সেরা চাউল হবে এই ব্রাউন বা বাদামি চাউল।

বাচ্চাদের ডিম সুজির রেসিপি

সুজি এমনিতেই বাচ্চার জন্য উপকারী যদি সেখানে ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় তাহলে তা বাচ্চার জন্য আরো বেশি উপকারী হবে। ডিম দিয়ে সুজি রান্না করার পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে সুজিকে ঘি এর মাধ্যমে হালকা ভাবে ভেজে নিবেন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে আরেকটি পাত্রে একটি ডিম ভেঙে দিবেন। তারপর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে

ডিম এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে নিবেন। এরপর সেখানে সুজি দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে নিবেন। যদি আপনার বাচ্চার বয়স ১১ মাসের বেশি হয় তাহলে পানির পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করতে পারেন আর ১১ মাসের কম হলে শুধু পানি ব্যবহার করবেন। এরপর চুলার উপরে মধ্যম আছে রান্না করবেন। চুলার উপরে সুজি দেয়ার পর থেকে অনবরত নাড়াচাড়া করতে থাকবেন।


যখন দেখবেন সুজি সম্পন্ন সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং সামান্য আঠালো ভাব চলে এসেছে তখন তা চুলা থেকে নামিয়ে নেবেন এবং কিছুক্ষণ রেখে দিলেই তা আরো আঠালো হয়ে যাবে। এই সুজি বাচ্চার জন্য অনেক বেশি পুষ্টিকর এবং বাচ্চারা খেতেও স্বাচ্ছন্নবোধ করে।

শেষ কথা

সুজি বাচ্চাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এজন্য আপনার বাচ্চার বয়স ছয় মাস পার হলে চেষ্টা করবেন তাদেরকে অন্য খাবার না দিয়ে কিছুদিন সুজি খাওয়ানোর। যদি তারা সুজি খেতে অভ্যস্ত হয় তাহলে তাদেরকে সুজি খাওয়াতে থাকবেন এবং কিছুদিন পরে অন্যান্য খাবার খাওয়াতে শুরু করবেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের বাচ্চাদের সুজি খাওয়ানোর ব্যাপারে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url