প্রজাপতি কতদিন বাঁচে- প্রজাপতির কয়টি চোখ- প্রজাপতির প্রজনন

আপনি কি প্রজাপতি কত দিন বাঁচে - প্রজাপতির চোখ কয়টি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে প্রজাপতি কত দিন বাঁচে - প্রজাপতির চোখ কয়টি এবং প্রজাপতির খাদ্য ও প্রজাপতির শারীরিক গঠন সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রজাপতি কতদিন বাঁচে
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন প্রজাপতি নিয়ে ক্যাপশন এবং প্রজাপতির প্রজনন - প্রজাপতির কয়টি ডানা ও ঘরে প্রজাপতি আসলে কি হয় ইসলাম কি বলে এবং স্বপ্নে প্রজাপতি দেখলে কি হয় সে সম্পর্কে। তাই তোর কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

প্রজাপতি এমন একটি প্রাণে যা আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। প্রজাপতিকে এত সুন্দর ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে তাকে দেখলেই ভালো লাগে। প্রজাপতি শরীরের রং এবং গঠন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। প্রজাপতি বিভিন্ন প্রজাতির হয়। প্রজাপতিকে অনেকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেও চিহ্নিত করে। প্রজাপতির পাখা এমনভাবে তৈরি করা যেন মনে হয় রঙের ক্যানভাস।


কিছু প্রজাপতির ডানা দেখলে মনে হয় সেগুলো কাচ দিয়ে তৈরি কারণ সেসব এতটাই স্বচ্ছ।

প্রজাপতির খাদ্য

জীবন ধারণ করার জন্য প্রত্যেক প্রাণীরই খাবারের প্রয়োজন হয়। কোন প্রাণী না খেয়ে জীবন যাপন করতে পারেনা। সেই হিসেবে প্রজাপতিও খাবার খায়। আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে যে প্রজাপতি ফুলের রস অর্থাৎ মধু খায় একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। প্রজাপতির কোন অবস্থাতে এবং কখনো মধু খায় না এবং তারা মধু খেতে পছন্দ করে না।

প্রজাপতির প্রধান খাবার হচ্ছে উদ্ভিদের রস। তারা বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদের রস পান করে। প্রজাপতির দাঁত নেই যার কারণে তারা কামড় মেরে কোন কিছু খেতে পারেনা। তারা এমন খাবার খায় যেগুলো রসালো। উদ্ভিদের রস বাদেও মানুষের শরীরের ঘাম,বিভিন্ন প্রাণীর মলমত্র খেয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা গেছে বিভিন্ন প্রজাপতি বিভিন্ন প্রাণীর মরা দেহ খায়।

তারা মরা দেহ থেকে মুখের সাহায্যে রস শোষণ করে সেগুলো পান করে। প্রজাপতিদের মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে। সেই ভাগের মধ্যে দুই ধরনের প্রজাপতি হচ্ছে রাজাহ এবং নয়াবেরা এই দুই প্রজাতির প্রজাপতি রা পৌঁছে যাওয়া চিংড়ি এবং পচে যাওয়া কাঁকড়া খেতে পছন্দ করে। ব্যারন ক্যাস্টর রাজা এসব প্রজাপতির প্রজাপতিরা টাটকা এবং রসালো ফল খেতে ভালোবাসে।

স্ত্রীলিঙ্গের যেসব প্রজাপতি আছে তারা ডিম ধারণ করার সময় থেকে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত সবুজ গাছপালা খায়। প্রজাপতিদের যখন তৃষ্ণা লাগে তখন তারা পানি পান করে না। পানির বিপরীতে তারা বিভিন্ন গাছের পাতা খাই এতে করে পাতার রস তাদের পানির চাহিদা পূরণ করে দেয়। এসবই হচ্ছে প্রজাপতিদের প্রধান খাবার তারা। জীবন ধারণ করার জন্য এই খাবারগুলো খায়।

প্রজাপতি নিয়ে ক্যাপশন

অনেকে আছে যারা নিজেকে প্রজাপতির মত ভাবে বা কল্পনায় তারা প্রজাপতির মতো উড়তে চাই। প্রজাপতি সবার কাছে অনেক পছন্দের একটি প্রাণী। প্রজাপতি প্রায় মানুষ ভালোবাসে। চলুন এবার আমরা প্রজাপতি নিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু ক্যাপশন স্ট্যাটাস উক্তি জানি-

  • সুখের পেছনে ছুটতে নেই। সুখ প্রজাপতির মত। ধরতে চাইলে ধরা দেয়না। কিন্তু চুপ করে থাকলে ঠিকই গায়ে এসে বসে।
  • প্রজাপতির মতো করে উড়ে বেড়াও কারণ তুমি যত বেশি প্রজাপতির মত উড়বে ,তত বেশি আনন্দে থাকবে।
  • প্রজাপতির স্বভাব অনেকটা মেয়েদের মত। দেখতে সুন্দর হলেও এগুলো মেয়েদের মতোই হারিকেনের গতিতে উড়ে বেড়ায়।
  • আপনি একটি সুন্দর প্রজাপতি হওয়ার আগে আপনাকে একটি শুঁয়োপোকা হতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ মানুষ শুঁয়োপোকা হতে ইচ্ছুক নয়।
  • তুমি যতদিন প্রজাপতির মত ডানা মেলতে না শিখবে,ততদিন পর্যন্ত তুমি শিখতে পারবে না বহুদূর উড়ে যেতে হয়।
  • ভালবাসা হচ্ছে অনেকটা প্রজাপতির মত এটি যেখানে খুশি সেখানে যায় এবং যেখানে যায় সেখানে খুশি হয়।
  • আমরা হচ্ছি সেই প্রজাপতির মত যারা একদিনের জন্য উড়াউড়ি করে এবং মনে করে এটা চিরস্থায়ী।
  • প্রজাপতি মাস না হলেও আনন্দঘন এবং যথেষ্ট সময় আছে ।
  • প্রজাপতি সুন্দর,বৈচিত্র্যময় এবং মন্ত্রমুগ্ধকর,ছোট কিন্তু সহজলভ্য। প্রজাপতি আপনাকে জীবনের রৌদ্রোজ্জ্বল দিকে নিয়ে যায়। সবাই একটু রোদ পেতে চায় ।
  • আপনি যখন নিজেকে হতাশ এবং বিচ্ছিন্ন মনে করবেন , যখন অন্ধকার থেকে আপনার পথ খুঁজে পাবেন না, তখন মনে রাখবেন যে শুঁয়োপোকাও একদিন রঙিন ডানা মেলে উড়ে যায়।
  • শুঁয়োপোকা এর রঙিন ডানা থাকলেই সেটি প্রজাপতি হয়ে যায়না।শুঁয়োপোকা কে অনেক রূপান্তরের মাধ্যমে প্রজাপতি হতে হয়।
  • আমি তোমার নিষ্পাপ এবং বিস্মিত হাসির জন্য পৃথিবীর সব প্রজাপতিকে ছোট কিংবা বড় করে দিতে পারব শিমু।

প্রজাপতির প্রজনন - প্রজাপতির কয়টি ডানা

মানুষ যেমনভাবে লিঙ্গবিশিষ্ট প্রাণী তেমনি ভাবে প্রজাপতিরাও লিঙ্গ বিশিষ্ট প্রাণী। প্রজাপতির মধ্যেও পুরুষ এবং মহিলার ভাগ রয়েছে। প্রজাপতিদের মাধ্যমেও বংশবিস্তার হয়। পুরুষ এবং মহিলা প্রজাপতির মিলনের কারণে তাদের বংশবিস্তার হতে থাকে। পুরুষ প্রজাপতির শুক্রাণু থেকে মহিলারা ডিম ফুটাতে পারে।

মহিলা প্রজাপতিরা বিভিন্ন গাছের পাতায় অথবা ফুলের উপরে নিজেদের ডিম পাড়ে। এভাবে তাদের আস্তে আস্তে জীবনের ধাপ শুরু হয়। ডিম পাড়া হচ্ছে একটি প্রজাপতি জন্মের প্রথম ধাপ। প্রজাপতির গ্রীষ্ম শীত এবং বসন্ত এ তিন ঋতুতে ডিম পারতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণে বিভিন্ন সময় ডিম পাড়ে। প্রজাপতির ডিম অনেক ছোট হয় এবং আকারে গোলাকার হয়।

একটি মহিলা প্রজাপতি একসাথে অনেকগুলো ডিম দেয় কিন্তু সেখান থেকে অল্পসংখ্যক ডিম বাচ্চা পর্যন্ত জন্ম নেয়। প্রজাপতি যে পাতাতে ডিম পাড়ে তারা সেই পাতাকে খাদ্য হিসেবে খেতে থাকে। বাচ্চা থেকে প্রথমে শুয়োপোকা হয়। শুয়োপোকা ডিমের উপরের অংশ খেয়ে নেয় এবং এখান থেকে তারা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সংগ্রহ করে।


শুয়োপোকা পাঁচটি পর্যায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রজাপতি রুপে সম্পূর্ণ করতে পারে। ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার পর প্রথমেই সেই প্রাণীর নাম প্রজাপতি থাকে না। বাচ্চা থেকে প্রাণী ফুটার পরে সেই প্রাণীর নাম থাকে শুয়োপোকা। এরপর আস্তে আস্তে সেটি প্রজাপতিতে রূপান্তর হয়। শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হতে তাদের শরীরের আকৃতি ১০০ গুন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয়।

প্রজাপতির পূর্ণাঙ্গ বয়স হতে ১২ থেকে ১৪ দিন অতিক্রম হওয়া লাগে। প্রজাপতির প্রকারভেদে এই সময় কম বেশি হয়। প্রজাপতি দেখতে যতটুকু সুন্দর তাদের প্রজনন ততটাই কঠিন। প্রজাপতি কখনো একদিনে প্রজাপতি হয় না। কষ্ট সহ্য করে আস্তে আস্তে তারা সুন্দর একটি রূপে রূপান্তরিত হয়। প্রজাপতির দেহ কাণ্ডে দুই জোড়া ডানা থাকে এবং তিন জোড়া ছোট ছোট পা থাকে।

সেই দুই জোড়া ডানার সাহায্যে তারা উড়ে বেড়ায় এবং ছোট ছোট তিন জোড়া পায়ের সাহায্যে তারা চলাফেরা করে জীবন যাপন করে।

প্রজাপতি কতদিন বাঁচে - প্রজাপতির চোখ কয়টি

প্রত্যেক প্রাণীর জীবনের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মানুষ যেমন ভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাঁচে তেমনিভাবে প্রজাপতিরও একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এই সময়ের পরে তারা মারা যায়। প্রজাপতি ডিম থেকে ফুটার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত তাদের জীবন সম্পন্ন হতে সময় লাগে। কারো কারো মতে প্রজাপতি পৃথিবীতে এই ১৫ দিনে বাঁচে। এরপরে তারা মারা যায়।

কেউ কেউ বলেন একমাস পর্যন্ত প্রজাপতি বাঁচার ক্ষমতা রাখে তবে এই জীবনসীমা সম্পন্ন নির্ভর করে আবহাওয়া প্রকৃতি খাদ্য এবং জাতের উপরে। দক্ষিণ আফ্রিকার হেলিকোনিয়াস এরাটো,তাই টাইগেটিস মারমেরিয়া এবং ইউরোপের গোনেপটেরিক্স আরহামনি প্রজাতের প্রজাপতিরা এক বছরের একটু কম সময় পর্যন্ত বাঁচে।

কোন কোন বিজ্ঞানী বলেছেন প্রজাপতি কত দিন বাঁচে এর কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। সাধারণ দৃষ্টিতে প্রজাপতির ও মানুষের মতো দুইটি চোখ রয়েছে তবে একটি প্রজাপতি ১২ হাজার লেন্সের সাহায্যে দেখতে পাই। যদি সাধারণ দৃষ্টিতে চোখ হিসাব করেন তাহলে তাদের চোখ দুইটা আর যদি লেন্সের বিবেচনায় হিসাব করেন তাহলে তাদের চোখ ১২ হাজারটি।

প্রজাপতির শারীরিক গঠন

প্রজাপতি শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে অনেক সুন্দর। প্রজাপতিকে দেখলে মনে হয় রঙের ক্যানভাস। তারা এতটাই আকর্ষণীয় যে মানুষ এদেরকে অনেক বেশি পছন্দ করে। প্রজাপতির মাথা গোলাকার এবং তাদের শরীরে দশটি খন্ড রয়েছে অর্থাৎ তারা দশটি খন্ডে গঠিত। এদের দুইটি চোখ এবং ১২০০০ লেন্স রয়েছে।

প্রজাপতির শরীরে দুই জোড়া ডানা এবং তিন জোড়া খন্ড খন্ড পা হয়েছে। প্রজাপতি শেষের দুই তিন খন্ড যৌনাঙ্গে পরিণত হয়। এরা প্রথমে ডিম থেকে ফোটার পরে শুয়োপোকা থাকে। এর পরে আস্তে আস্তে প্রজাপতিতে রূপান্তরিত হয়। প্রজাপতিরা তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। ডানার সাহায্যে তারা একে অপরের কে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।


প্রজাপতি হচ্ছে শীতল রক্তের প্রাণী । ভোরবেলায় বা সন্ধ্যাবেলায় এরা রোদ পোহায়। রোদ পোহানোর মাধ্যমে এরা নিজের শরীরের অংশগুলোকে সচল রাখে। এটাই হচ্ছে প্রজাপতির নিজস্ব শারীরিক গঠনের বর্ণনা। প্রজাপতি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। প্রজাপতি প্রকৃতিকে আরো বেশি সৌন্দর্য করে তোলে। কখনোই প্রজাপতিকে মেরে ফেলবেন না।

সবসময় চেষ্টা করবেন প্রজাপতি সৌন্দর্য উপভোগ করার এবং তাদেরকে জীবিত রাখার।

ঘরে প্রজাপতি আসলে কি হয় ইসলাম কি বলে

অনেক সময় আমাদের ঘরে হঠাৎ প্রজাপতি ঢুকে পড়ে। প্রজাপতি ঘরে আসা নিয়ে অনেক রকমের কথা প্রচলিত আছে। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে ঘরে প্রজাপতি আশা নিয়ে অনেক মানুষ অনেক রকমের কথা বলে। তাদের ধারণা হচ্ছে যদি ঘরে লাল প্রজাপতি আসে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কোন সুসংবাদ আসবে অর্থাৎ বাস পরিবারের কারো বিয়ে হবে বা কোন সুখবর তাদের মাঝে আসবে।

যদি কাল প্রজাপতি ঘরে আসে তাহলে তারা ধারণা করে খুব তাড়াতাড়ি তাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি হবে অথবা তাদের কোন কাজে বরকত হবে। যদি একসাথে দুইটা প্রজাপতিকে ঘরে আসতে দেখে তাহলে তারা ধারণা করে ঘরের মধ্যে সবার সাথে সবার ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট হবে এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

যারা এইসব ধারণা করেন তাদের ধারণা একেবারেই ভুল। এই সব ধারণার কোনো ভিত্তি ইসলামে নেই। যারা এরকম ধারনা করেন তারা মূলত গুনাহ করছেন। এ ধারণা থেকে সব সময় বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ঘরে প্রজাপতি আসা স্বাভাবিক বিষয় এই বিষয় নিয়ে এত চিন্তার কোন কারণ নেই। ঘরে মশা মাছি অনেক কিছুই প্রবেশ করে।

সেই সাথে সাথে প্রজাপতি প্রবেশ করাও অনেকটা স্বাভাবিক বিষয়। যারা আগে ধারণা করতেন প্রজাপতি ঘরে ঢুকলে এরকম সুখবর হয় তারা এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করুন অন্যথায় আপনি গুনাহগার হবেন।

স্বপ্নে প্রজাপতি দেখলে কি হয়

স্বপ্নে অনেক সময় অনেক কিছু দেখা হয়। স্বপ্ন কখনো নিজের আয়ত্তে থাকে না। অনেক সময় মানুষ স্বপ্নে প্রজাপতিও দেখে। কোন নেককার ব্যক্তি যদি স্বপ্নে প্রজাপতি দেখে তাহলে তাকে এই বার্তা দেওয়া হয় যে খুব তাড়াতাড়ি তার অভাব অনত্রন কেটে যাবে এবং সে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। সে যে কাজ করতে যাবে সে কাজে সে সফলতা অর্জন করবে।

মোটকথা তার ভাগ্য অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। কোন বদকার ব্যক্তি যদি স্বপ্নে প্রজাপতি দেখে তাহলে তাকে এই বার্তা দেয়া হয় যে খুব তাড়াতাড়ি তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কারো সাথে তার সম্পর্কের বিচ্ছেদ হবে এবং সে কোন একটি ক্ষতির সম্মুখীন হবে অথবা কোন মহিলার চক্রান্তে পড়বে এবং তার সাথে অন্যায় কাজে লিপ্ত হবে।

কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে যে সে প্রজাপতিকে ধরছে বা প্রজাপতিকে ধরে নিয়েছে তাহলে তার জীবনে বরকত আসবে এবং সুখ শান্তিতে ভরে যাবে। কোন ব্যক্তি যদি দেখে সে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার সামনে দিয়ে কোন প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে তাহলে তাকে এই ইশারা দেয়া হয় যে সে খুব তাড়াতাড়ি সুখবর পাবে অর্থাৎ সে যদি অবিবাহিত হয় তাহলে তার বিয়ে হবে

এবং যদি সে বিবাহিত হয় তাহলে তাদের ঘরে একটি সন্তান আসবে। কেউ যদি স্বপ্নে দেখে কোন প্রজাপতি এসে তার শরীরে বসছে তাহলে তার দ্বারা অনেক মানুষ উপকৃত হবে এবং মানুষেরা তাকে অনেক বেশি ভালবাসবে এবং সম্মান করবে। কোন সুন্দরী মেয়ে যদি স্বপ্নে প্রজাপতি দেখে তাহলে তার বাচ্চা হলে ওই বাচ্চা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর ও ফুটফুটে হবে।

কোন সুদর্শন পুরুষ যদি স্বপ্নের প্রজাপতি দেখে তাহলে তার পরিবার থেকে অভাব অনতন দূর হবে এবং সে মানুষের কাছে সম্মানিত হবে। কোন ব্যক্তি যদি দেখে সে স্বপ্নে হাতে প্রজাপতি নিচ্ছে তাহলে তার কোন কঠিন কাজ সহজ হয়ে যাবে এবং সে যদি কোন কাজের জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছে সে কাজটি হাসিল হবে।


কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে সে প্রজাপতিকে মেরে ফেলছে তাহলে তাদের অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝড়গা ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোন অবিবাহিত ব্যক্তির শরীরে যদি স্বপ্নে প্রজাপতি বসতে দেখে তাহলে তাকে নিয়ে কেউ সন্দেহ করবে এবং কিছু মানুষ তাকে নিয়ে হাসাহাসি ঠাট্টা বিদ্রুপ করবে।

কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে কোন মৃত প্রজাপতিকে দেখে তাহলে সে ছোটখাটো কোন বিপদ-আপদে পড়তে পারে। কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে নিজে প্রজাপতি ধরে অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রজাপতি দিয়ে দেয় এর দ্বারা তাকে এই বার্তা দেয়া হয় সে হালাল রিজেক উপার্জন করবে। স্বপ্নে প্রজাপতি দেখার ব্যাখ্যা এইসব। স্বপ্নে ব্যাখ্যা কোন ভিত্তি থাকে না।

সবসময় যে স্বপ্নের ব্যাখ্যা সত্য হবে এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্নের সাথে ব্যাখ্যার কোন মিল থাকে না। এজন্য আপনি স্বপ্নে যাই কিছুই দেখেন না কেন চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই।

শেষ কথা

প্রজাপতি হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রজাপতি প্রকৃতিকে অনেক বেশি সুন্দর করে তুলে এজন্য চেষ্টা করবেন সবসময় প্রজাপতিকে বাঁচিয়ে রাখার। ভুলক্রমেও কখনো প্রজাপতিকে মারবেন না। প্রজাপতির সৌন্দর্য উপভোগ করায় আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও প্রজাপতি সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url