পিডিয়া সিওর খাওয়ার বয়স এবং নিয়ম উপকারিতা অপকারিতা ও দাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি পিডিয়া সিওর খাওয়ার বয়স জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে পিডিয়া সিওর খাওয়ার বয়স এবং পিডিয়া সিওর এর উপকারিতা - Pediasure এর উপকারিতা ও পিডিয়া সিওর এর দাম কত সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
পিডিয়া সিওর খাওয়ার বয়স
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন পিডিয়া সিওর খাওয়ার নিয়ম - Pediasure খাওয়ার নিয়ম এবং pediasure age 1 3 - pediasure 200g price in bangladesh ও pediasure - pediasure milk,পিডিয়া সিওর বানানোর নিয়ম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

একটি বাচ্চার গ্রোথ এবং শরীরে পুষ্টিগুণের ভরপুর রাখতে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়ানো হয়। অনেকে আছেন যারা তাদের বাচ্চাকে পিডিয়া সিওর খাওয়ান। এই দুধ এমন ভাবে তৈরি করা হয় যা বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। একটি বাচ্চার জন্য প্রধান খাবার হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। যখন বাচ্চা বড় হয় তখন তাদেরকে পিডিয়া সিওর খাওয়ানো হয়।

পিডিয়া সিওর খাওয়ার বয়স

প্রতিটি খাবার খাওয়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্টের বয়সের প্রয়োজন হয়। যদি বয়সের আগে কোন খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে সেই খাবার কোনভাবেই বাচ্চার শরীরের জন্য উপকারী হয় না। কোন বাচ্চাকে পিডিয়া সিওর খাওয়াতে চাইলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি বয়স হওয়ার পরে খাওয়াতে হবে। বাচ্চার বয়স যখন দুই বছর হবে সে সময় থেকে আপনি আপনার বাচ্চাকে পিডিয়া সিওর খাওয়াতে পারবেন

এবং দশ বছর বয়স পর্যন্ত এতে খাওয়ানো যায় অর্থাৎ বাচ্চার বয়স দুই বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত তাদেরকে এই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো যেতে পারে তবে এই খাবার কে কখনোই প্রধান খাবার হিসেবে ধরবেন না। সাইট খাবার হিসেবে রাখতে হবে। এ সময় বাচ্চাকে অর্থাৎ দুই থেকে দশ বছরের মধ্যে বাচ্চাকে সবসময় প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াবেন

তাহলে আপনার বাচ্চার মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটবে।

পিডিয়া সিওর খাওয়ার নিয়ম - Pediasure খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাকে কোন খাবার খাওয়ালে অবশ্যই সেটা নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। পিডিয়া সিওর একটি বাচ্চার জন্য কোন ভাবে আহামরি উপকারী নয় এবং এটাকে কখনোই প্রধান খাবার হিসেবে রাখা যাবে না। ঘরোয়া যে সব পুষ্টিকর খাবার রয়েছে অর্থাৎ মাছ-মাংস শাকসবজি ফলমূল এই খাবারগুলো তাদেরকে খাওয়াতে হবে।

এই খাবার খাওয়ার কারণে বাচ্চা শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি পোস্টটি ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম প্রবেশ করবে। কোন বাচ্চা যদি ওজনের দিক দিয়ে ঠিক থাকে এবং ঘরোয়া যে সব খাবার রয়েছে সে খাবার গুলো ঠিকমতো খায় তাদেরকে কখনোই পিডিয়া সিওর খাওয়ানো উচিত হবে না। এটি সেসব বাচ্চার জন্য তৈরি করা হয়েছে যেসব বাচ্চারা ঠিকমতো খাবার খায় না

এবং দিন দিন পুষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ও ঘরোয়া খাবারের পথে অনেক বেশি অনীহা তাদেরকেই শুধু এটা খাওয়ানো যায়। পিডিয়া সিওর কখনোই রেগুলার খাবার হিসেবে তাদেরকে খাওয়াবেন না। সবসময় এটিকে সাইড খাবার হিসেবে রাখতে হবে অর্থাৎ সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন খাওয়াবেন এর বেশি কখনোই খাওয়ানো যাবে না।

আপনি যদি এটাকে বাচ্চাদের খাওয়াতে অভ্যস্ত করে দেন তাহলে একটা সময় গিয়ে আপনার বাচ্চা যতটুকু উপকৃত হবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ডাক্তার সবসময় সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা জাতীয় যেসব দুধ রয়েছে সেগুলো খাওয়াতে মানা করেন কারণ বাচ্চার শরীরে সেইসব দুধগুলো যে পরিমাণ উপকার করে তার চেয়ে বেশি উপকার করে ঘরোয়া খাবার।


যদি আপনার বাচ্চাকে পিডিয়া সিওর খাওয়ানোর দরকার হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন অথবা পরামর্শ না করলে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন খাওয়াবেন এর বেশি কখনোই খাওয়াবেন না। আপনার বাচ্চা যদি ঘরোয়া খাবার ঠিকভাবে খেতে না চায় তাহলে তাদেরকে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে বা রান্নার মধ্যে পরিবর্তন এনে খাওয়াতে হবে।

সকল চেষ্টা করার পরেও যদি আপনার বাচ্চা ঘরোয়া পুষ্টিকর খাবার না খায় তাহলে আপনি তাদেরকে এ সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা দুধ খাওয়াতে পারেন। এই দুধ দুই থেকে ১০ বছর বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

পিডিয়া সিওর বানানোর নিয়ম

দুধ এবং পানি উভয়টা দিয়েই পিডিয়া সিওর বানানো যায়। আপনি যদি দুধ দিয়ে এটাকে খাওয়ান তাহলে ১২৫ মিলি থেকে ১৫০ মিলি কুসুম গরম দুধ নিতে হবে এবং সেখানে এক থেকে দুই চামচ পিডিয়া সিওর দিবেন এবং ভালোভাবে চামচের সাহায্যে গুলে নিবেন তাহলে হয়ে যাবে। আর আপনি যদি পানির দিয়ে খাওয়াতে চান তাহলে চার থেকে পাঁচ চামচ পরিমাণ পিডিয়া সিওর

১২৫ থেকে ১৫০ মিলিয়ে কুসুম গরম পানির সাথে ভালোভাবে মিক্স করবেন তাহলেই হয়ে যাবে। আপনি চাইলে সুজি বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবারের সাথেও এই পিডিয়া সিওর মিক্স করে খাওয়াতে পারবেন,, পানি অতিরিক্ত গরম কখনোই দিবেন না তাহলে বাচ্চা খেতে পারবেনা এবং পিডিয়া সিওরে যতটুকু পুষ্টিগুণ থাকবে তা নষ্ট হয়ে যাবে।

এজন্য সবসময় কুসুম গরম পানি নিতে হবে। ঠান্ডা পানি নিলে সেখানে ভালোভাবে মেশানো যাবে না। কখনোই আপনি ঠান্ডা পানির সাথে পিডিয়া সিওর মিক্স করে চুলায় গরম করবেন না তাহলে একেবারে পিডিয়া সিওর পুষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে। এটাই হচ্ছে পিডিয়া সিওর বানানোর নিয়ম। আপনার বাচ্চাকে আপনি পিডিয়া সিওর খাওয়াতে চাইলে এই নিয়মেই বানাবেন।

প্রতিদিন খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন খাওয়াবেন

পিডিয়া সিওর এর উপকারিতা - Pediasure এর উপকারিতা

এই সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা দুধ সেইসব বাচ্চার জন্যই উপকারী যেসব বাচ্চারা একেবারে প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না। যদি আপনার বাচ্চা ঘরোয়া পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে তাহলে কখনোই তাদেরকে এই সাপ্লিমেন্ট খেতে দেবেন না। আমরা অনেকে ভেবে থাকি ফর্মুলা দুধ বা এজাতীয় যা আছে এসবের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে এবং বাচ্চা উপকৃত হয়।

এ ধারণা একেবারেই ভুল। এখানে সামান্য পরিমাণ কিছু উপকারিতা থাকে। উপকারিতা পাওয়ার জন্য কখনোই তাদেরকে প্রতিদিন খাওয়ানো যাবে না। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার খাওয়াতে হবে। যদি তাদেরকে এ খাবার অভ্যস্ত করে দেন তাহলে আপনার বাচ্চার জন্য পরবর্তীতে ক্ষতিকর হবে। যেসব বাচ্চারা একেবারে ঘরোয়া খাবার খায় না

দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাদেরকেই শুধু এই সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা দুধ খেতে দিবেন। আপনার বাচ্চা যদি ঘরোয়া খাবার খেতে না চায় তাহলে তাদেরকে ভিন্ন কোন উপায়ে খাওয়াবেন। ঘরোয়া খাবারে যে উপকারিতা পাওয়া যায় তা কোন ভাবে কোন খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। আপনি এখন থেকে এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন


যে সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা দুধ বাচ্চার শরীরের জন্য উপকারী। কোনো উপায় না পেয়ে যখন একেবারে শেষ উপায় একটি থাকে তখন তাদেরকে এ দুধ খাওয়াতে বলা হয়। যখন বাচ্চা শরীলে পুষ্টির অভাব হয় তখন এই দুধ তাদের শরীরে কিছুটা পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে কারণ এই দুধ সে সকল বাচ্চার জন্যই তৈরি করা হয়েছে যে সকল বাচ্চারা খাবারের প্রতি অনীহা এবং স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।

পিডিয়া সিওর এর দাম কত

পিডিয়া সিওর কেনার আগে আপনার সবচেয়ে জরুরী যে কাজ তা হচ্ছে ভালোভাবে প্যাকেটের শরীরে থাকা মেয়াদ দেখে নেয়া। যদি মেয়াদ না থাকে তাহলে সেটা বাচ্চাকে কোনভাবে খাওয়ানো যাবে না। এটা তিন ফ্লেভারের হয়। চকলেট। ভ্যানিলা। কেসার বাদাম। আপনার বাচ্চা যে ফ্লেভার খেতে পছন্দ করে তার জন্য সেই ফ্লেভার কিনবেন।

অন্য ফ্লেভার কিনলে হয়তো সে খেতে চাইবে না। আপনি যে প্যাকেট কিনছেন সেটি ইনটেক নাকি সেদিকেও ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • ভ্যানেলা ফ্লেভারের ৪০০ গ্রাম পিডিয়া সিওর এর দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে।
  • ২০০ গ্রাম ভ্যানেলা ফ্লেভার এর পিডিয়া শিওর এর দাম ৬২০ থেকে ৭২০ টাকার মধ্যে।
  • ৪০০ গ্রাম ভ্যানিলা ফ্লেভার এর পিডিয়া সিওর দুবাই এর দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে।
  • চকলেট ফ্লেভারের ৪০০ গ্রাম পিডিয়া শিওর এর দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।
পিডিয়া সিওর এর দাম এমনই হয়। আপনি কেনার আগে আরেকবার ভালোভাবে দাম এবং মেয়াদ যাচাই করে নিবেন তাহলে আর প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

pediasure age 1 3 - pediasure 200g price in bangladesh

এক থেকে তিন বছরের বাচ্চাদের পিডিয়া সিওর খাওয়ানো একেবারে উচিত নয়। যদি কোন কারণে খাওয়াতে হয় তাহলে দুই বছরের পর থেকে খাওয়ানো সবচেয়ে ভালো হবে। এক বছর থেকে খাওয়ালে তার শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি একটি ফর্মুলা দুধ যার কারণে অত বেশি উপকৃত হতে পারে না।

তাদেরকে চেষ্টা করবেন ফলের রস বা এ জাতীয় কিছু খাওয়ানোর তাহলে তারা উপকৃত হতে পারবে। যখন বাচ্চার বয়স দুই বছর হবে তখন তাদেরকে পিডিয়া সিওর দরকার পড়লে খাওয়াতে পারেন। দুই থেকে দশ বছরের বয়সের বাচ্চার জন্য পিডিয়া সিওর বানানো হয়। ২০০ গ্রাম পিডিয়া শিওর এর দাম ৬২০ থেকে ৭২০ টাকার মধ্যে হয়।

কেনার আগে ভালোভাবে দাম যাচাই বাছাই করে নেবেন তাহলে আপনি আর প্রতারিত হবেন না।

pediasure - pediasure milk

পিডিয়া সিওর হচ্ছে এক ধরনের সাপ্লিমেন্ট বা ফর্মুলা দুধ। যেসব বাচ্চা ঠিকমতো খাবার খায় না এবং প্রাকৃতিক যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রতি প্রচুর পরিমাণে অনীহা সেগুলো বাচ্চার শরীরে পুষ্টি যোগাতে এই দুধ খাওয়ানো হয়। যেসব বাচ্চা ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক খাবার ঠিকভাবে খেতে পারে তাদেরকে এই দুধ কখনোই খাওয়ানো উচিত নয়।

প্রতিদিন এই দুধ খাওয়ানো থেকে বাচ্চাদেরকে বিরত থাকতে হবে এবং এ দুধকে কখনো প্রধান খাদ্য হিসেবে ধরা যাবে না। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার সাইড খাবার হিসেবে তাদেরকে এই দুধ খেতে দিতে হবে। এই দুধ তিন ফ্লেভারের হয়। আপনার বাচ্চা যে ফ্লেভার খেতে ভালবাসবে তাদেরকে সেই ফ্লেভার খাওয়াবেন।


১২৫ থেকে ১৫০ মিলি পানিতে এক থেকে দুই চামচ পরিমাণ পিডিয়া সিওর মিক্স করবেন আর যদি আপনি পানি দিয়ে খাওয়াতে চান তাহলে চার থেকে পাঁচ চামচ পরিমাণ মিক্স করবেন তাহলে আপনার বাচ্চা খুব আরামে খাবে। বাচ্চারা সেইসব খাবার খেতে ভালোবাসে যেগুলো তাদের বেশি স্বাদ লাগে এজন্য

ঘরোয়া খাবারকে সবসময় এমন ভাবে বাচ্চাদের সামনে পরিবেশন করবেন যাতে বাচ্চাদের কাছে সুস্বাদু মনে হয় এবং তারা আগ্রহ সহকারে খায় তাহলে আর তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।

শেষ কথা

বাচ্চার গ্রোথ এবং শারীরিক বিকাশে এ দুধ যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য না করলেও সামান্য পরিমাণ সাহায্য করতে পারে। আপনার বাচ্চাকে এ দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে পরামর্শ করে নেবেন। ডাক্তার যে পরামর্শ দিবেন সে পরামর্শ মেনে চলবেন তাহলে আপনার বাচ্চা উপকৃত হতে পারবে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের বাচ্চাদের পিডিয়া সিওর খাওয়ানোর ব্যাপারে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url