সামুদ্রিক কাঁকড়া দেশি কাঁকড়া-গর্ভাবস্থায় কাঁকড়া খাওয়া যাবে কি
প্রিয় পাঠক আপনি কি সামুদ্রিক কাঁকড়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে সামুদ্রিক কাঁকড়া ও দেশি কাকা এবং ঢাকার কোথায় কাঁকড়া পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁকড়া বিছে কামড়ালে কি করা উচিত ও গর্ভাবস্থায় কাঁকড়া খাওয়া যাবে কি সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
কাকড়া একটি জলজ প্রাণী। দীর্ঘকাল ধরে মানুষ কাঁকড়া খেয়ে আসছে। বর্তমানে কাঁকড়া খাওয়ার জনপ্রিয়তা আরো বেশি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে কাঁকড়া রান্না করা হয় যার কারণে কাঁকড়া খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হওয়ার কারণে মানুষ কাঁকড়া খাওয়ার প্রতি আরও বেশি ঝুকে পড়ছে।
কাঁকড়ার মাংসে প্রোটিন থাকে এবং কাঁকড়া খুব সহজে মানুষের পেটে হজম হয়। কক্সবাজারের দিকে ঘুরতে গেলে মানুষের কাঁকড়া খাওয়া চাহিদা বেড়ে যায়। পৃথিবীতে ৬৭৯৩ তে প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে।
ঢাকার কোথায় কাঁকড়া পাওয়া যায়
অনেকে আছে যারা নিজেরা বাসায় মাঝে মধ্যে কাঁকড়া রান্না করে অথবা কাঁকড়া বারবিকিউ করে খেতে চান। বিশেষ করে যারা চট্টগ্রামে থাকে তারা যেকোনো সময় যেকোন জায়গাতে কাঁকড়া পেয়ে থাকে কিন্তু যারা ঢাকাতে থাকে তাদের জন্য কাকড়া পাওয়া অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়। ঢাকার অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেগুলোতে কাঁকড়া বিক্রি হয়।
বাংলাদেশের কাঁকড়া খাওয়ার প্রচলন অনেকটাই কম কিন্তু বহির বিশ্বে কাঁকড়া খাওয়ার প্রচলন অনেকটাই বেশি যার কারণে বাংলাদেশে সব জায়গায় সেভাবে কাঁকড়া পাওয়া যায় না। কাঁকড়া পাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম খোঁজ করতে হবে মাছের আড়তে গিয়ে। সেখানে অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা কাঁকড়া নিয়ে আসে।
আপনি তাদের থেকে কাকড়া কিনে নিতে পারেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে খুলনায় সাতক্ষীরায় এসব অঞ্চলে কাঁকড়া চাষ করা হয় এবং এসব অঞ্চল থেকে সারা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়। কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিদেশে কাঁকড়া রপ্তানি করার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে।
ঢাকার মধ্যে যারা কাঁকড়া কিনতে চান তারা মাছের আড়তে গিয়ে খোঁজ করবেন। আপনি সেখানে কাঁকড়া পেয়ে যাবেন। যদি এক মাছের আড়তে না পান তাহলে অন্য কোন আরতে খোঁজ করবেন।
কাঁকড়া বিছে কামড়ালে কি করা উচিত
কাঁকড়ার বিছে মাঝেমধ্যে মানুষকে কামড়ে দেয়। খুব কম সময় তারা নিজেরা থেকে মানুষকে আক্রমণ করে। যখন মানুষ তাদেরকে বিরক্ত করে তখন তারা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মানুষকে কামড় দেয়। কাঁকড়া বিছের কামড় অনেক ভয়ংকর। যদি সেই বিছে অনেক বেশি বিষাক্ত হয় তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।
যেমন শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হবে,খাবার ঠিকমতো গিলতে পারবেন না,জিব্বা ফুলে যাবে,কথা বলতে গেলে কথা জড়িয়ে যাবে,শরীর অনেক ক্লান্ত লাগবে,চোখে ঝাপসা দেখবেন, সারা শরীরে যন্ত্রণার পরিমাণ বেড়ে যাবে,চোখে ঠিকমত কোন কিছু দেখতে পাবেন না। যদি কোন বিষাক্ত বিছে বা যেকোন বিছে আপনাকে কামড় মারে তাহলে প্রথমে আপনি
সেই জায়গা ভালোভাবে স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন যাতে করে সেখানে কোন রকমের জীবাণু না থাকে। সেই স্থান পরিষ্কার করা হয়ে গেলে সেখানে বরফ দিয়ে চেপে ধরবেন যাতে করে সেই স্থান দেখানো হয় এবং জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে। এরপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রথমে পরীক্ষা করে নিবেন যে সেই বিষ কতটা বিষাক্ত।
যদি বিষ অনেক বেশি বিষাক্ত হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শরীর থেকে সেই বিষ দূর করার জন্য চেষ্টা করবেন। অনেক সময় দেখা যায় ২৪ ঘন্টা এমনকি ৪৮ ঘন্টাতেও বিছের কামড় প্রভাব ফেলতে পারে না। পরবর্তী সময়ে গিয়ে তার শরীরে প্রভাব ফেলে এজন্য বিছে কামরানোর পরপর থেকেই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সতর্ক থাকতে হবে।
যেকোন সময় আপনার শরীরে বিষ ছড়িয়ে যেতে পারে। কেন্দু গাছ কাঁকড়া বিছে বিষ দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর। যখন কাঁকড়া বিছে কামড় মারবে তখন কেন্দু গাছের ছাল নিয়ে এসে তা ভালোভাবে বেটে কামড় মারা স্থানে লাগিয়ে দিবেন দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বালাপোড়া বিষ ব্যথা সবকিছু দূর হয়ে যাবে।
কেন্দু গাছের ঔষধি গুনাগুন একবছর পর্যন্ত থাকে এজন্য আপনি সেই ডাল নিয়ে এসে বা ছাল নিয়ে এসে বাসায় রেখে দিতে পারেন।
সামুদ্রিক কাঁকড়া
সামুদ্রিক আঁকড়া খাওয়ার পরে মানুষের চাহিদা বেশি কারণ সামুদ্রিক কাকরা সাইজে বড় হয় এবং খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। যারা কক্সবাজারে ঘুরতে যাই তারাই কেবল সামুদ্রিক অরিজিনাল কাঁকড়া খেতে পায়। এছাড়াও বিভিন্ন পেজ রয়েছে যারা সামুদ্রিক কাঁকড়া বিক্রি করে। সামুদ্রিক কাঁকড়া ওজনের দিক দিয়ে চার থেকে পাঁচটিতে এক কেজি সমপরিমাণ হয়ে যায়।
সামগ্রী কাঁকড়াতে ওমেগা ৩ থাকে। ওমেগা ৩ মানুষের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। হৃদরোগ এবং স্টোকের ঝুকি কমাতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এই ওমেগা ৩। সামুদ্রিক কাঁকড়াতেই শুধু ওমেগা ৩ পাওয়া যায়। জেলেরা সমুদ্র থেকে কাঁকড়া ধরে তা বাংলাদেশে বিক্রি করে। বাংলাদেশের বিক্রি করা ছাড়াও তারা বিদেশে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক কাঁকড়া রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করে যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক কাঁকড়ার চাহিদা অনেক বেশি। সামুদ্রিক কাঁকড়াকে কোন রকমের ফরমালিন বা কিছু খাওয়ানো হয় না।
তারা সমুদ্রের খাবার খেয়েই বড় হয় যার কারণে কাঁকড়ার শরীরে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। সুন্দরবন অঞ্চলেও সামুদ্রিক কাঁকড়া পাওয়া যায়। আপনি কোথাও ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রের কাঁকড়া খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খেতে হবে কারণ ২০২১ সালের ২৪শে ডিসেম্বর সমুদ্রের কাঁকড়া খেয়ে পশ্চিমবঙ্গের একজন তরুণী মারা যায়
এজন্য আপনি কাঁকড়া খাওয়ার আগে ভালোভাবে জিনিসটা দেখে নেবেন যাতে করে তা আপনার জীবনকে রক্ষা করে।
গর্ভাবস্থায় কাঁকড়া খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার পরিমাণ মতো খেতে হবে। কেউ যদি গর্ভাবস্থায় কাঁকড়া খেতে চায় তাহলে তার জন্য প্রতি সপ্তাহে একটির বেশি কাঁকড়া খাওয়া উচিত হবে না। কাঁকড়াতে প্রোটিন ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড,ভিটামিন,খনিজ পদার্থ,ক্যালোরি,ফ্যাট থাকে যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য উপকারী তবে যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হবে তখন এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেসব মহিলার এলার্জি রয়েছে তারা গর্ভবস্থায় কখনোই কাঁকড়া খাবেন না এতে করে এলার্জি বেড়ে যাওয়া সম্ভব না অনেক বেশি থাকে। কোন গর্ভবতী মহিলার যুগে অতিরিক্ত কাঁকড়া খেতে মন চায় তাহলে সে সর্বোচ্চ একটি খাবেন এর বেশি কখনোই খাবে না। কাঁকড়া রান্না করে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কাঁকড়া ঠিকমতো সিদ্ধ হয়।
যদি কাঁকড়া রান্না করার সময় ঠিকমতো সিদ্ধ না হয় তাহলে সে কাঁকড়ায় প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকবে যার শরীরে প্রবেশ করার পরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিবে। যখন অতিরিক্ত কাঁকড়া খাওয়া হবে তখন একজন গর্ভবতী মহিলার জরায়ু সংকুচিত হয়ে সেখানে রক্তপাত হবে যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য এটা মোটেও ভালো নয়।
অধিকাংশ ডাক্তাররা বলেছেন গর্ভাবস্থায় কাঁকড়া না খাওয়াই উত্তম। অন্য যেসব খাবারগুলো রয়েছে আপনি সেসব খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয় গর্ভাবস্থায় কাকাকে এড়িয়ে চলবেন। যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁকড়া খেতে মন চায় তাহলে সামান্য পরিমাণ খাবেন তাহলে আপনি হয়তো উপকৃত হতে পারবেন এবং ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
যখন আপনি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁকড়া খাবেন তখন তা আপনার শরীরের জন্য এবং আপনার পেটে থাকা বাচ্চার জন্য কোন ভাবে উপকার হবে না। অতিরিক্ত কাঁকড়া খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মা এবং শিশু দুজনেই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
দেশি কাঁকড়া
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলায় এবং চট্টগ্রামে কক্সবাজার জেলায় মানুষ কাঁকড়া চাষ করে। কাঁকড়া চাষের জন্য লবণাক্ত পানির প্রয়োজন হয়। তারা লবণাক্ত পানি ব্যবস্থা করে পুকুর আকারে সেখানে কাঁকড়া চাষ করে। দেশি কাঁকড়া খেতে সামুদ্রিক কাঁকড়া বা বিদেশি কাকরা সাধের তুলনায় সম্পন্ন ভিন্ন। দেশি কাকড়া আকারের দিক দিয়েও অনেকটা ছোট হয়।
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে কাঁকড়া চাষের চাহিদা অনেক বেশি এবং তারা প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাতে ভূমিকা রাখছে। একজন কাকড়া ব্যবসায়ী জানান তিনি প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রির মাধ্যমে উপার্জন করে। তারা কাকড়ার বাচ্চা ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কিনে প্লাস্টিকের বক্সে রেখে বড় করে
এবং তা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায় পরবর্তীতে তারা তা বাজারে বিক্রি করে এবং বিদেশেও রপ্তানি করে। এক কেজি দেশি কাঁকড়ার দাম সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি হয়ে থাকে। যারা দেশী কাঁকড়া চাষ করে তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে কারণ তারা বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থাকে সচ্ছল রাখতে সাহায্য করছে।
আমাদের উচিত হবে বিদেশি বা সামুদ্রিক কাঁকড়ার চেয়ে বেশি কাঁকড়া বেশি খাওয়া এতে করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থাতে লাভ করবে এবং যারা কাঁকড়া চাষ করে তারা কাঁকড়া চাষের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হবে। এখান থেকে দেশ উন্নত হবে।
কাঁকড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁকড়া একটি সামুদ্রিক প্রাণী এবং চাষ করার মাধ্যমে কাঁকড়া উৎপন্ন করা যায়। বাংলাদেশের তুলনায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কাকরা চাহিদা অনেক বেশি। কাঁকড়ার ভিতরে অসংখ্য পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে যেগুলো একটি মানুষের শরীরের জন্য অনেক জরুরী। কাঁকড়াতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও কাঁকড়াতে ক্যালসিয়াম থাকে যা দাঁত মজবুত করে। কাঁকড়া খাওয়ার কারণে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। কাঁকড়াতে রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁকড়ার মাংস ক্যালরি থাকে যার কারণে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ৩ আউন্স ওজনের কাঁকড়ায় ১৭ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন থাকে।
কাঁকড়া খুব সহজে পেটে হজম হয়ে যায় যার কারণে বদ হজম হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। এসব উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য যদি আপনার রুচিতে কুলায় তাহলে আপনি কাঁকড়া খেতে পারেন। কাঁকড়া খেলে তা আপনার শরীরের জন্যই উপকারী হবে। কাঁকড়াতে তেমন কোন অপকারিতা নেই।
বহির্বিশ্বে কাঁকড়া খাওয়ার চাহিদা বেশি এতে করে বোঝা যায় কাঁকড়াতে তেমন কোন ক্ষতিকর কিছু নেই। যখন আপনি পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত কাঁকড়া খাবেন তখনই তা আপনার শরীরের জন্য এবং পেটের জন্য ক্ষতিকর হবে। আপনার পরিমাণ মতো কাঁকড়া খেলে কখনোই তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে না বরং উপকারিতা গুলো বয়ে নিয়ে আনবে।
সবসময় চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত কাঁকড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকার তাহলে আপনি ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। অতিরিক্ত কাঁকড়া খাওয়ার কারণে খাবারের রুচিও অনেকটা হারিয়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন পরিমাণ মতো কাঁকড়া খেতে। যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা কাকড়া খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকবেন
কারণ এলার্জি অবস্থায় কাঁকড়া খেলে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
শেষ কথা
কাঁকড়া মানুষ শখের বসে খেয়ে থাকে। এটা মানুষের প্রধান খাবার নাই এজন্য এটাকে কখনোই প্রধান খাবার করবেন না। মাঝেমধ্যে খাবেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি কাঁকড়া চাষ করতেও পারেন এতে করে আপনি লাভবান হবেন।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও কাঁকড়া সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url