কিসের গন্ধে ইঁদুর পালায়- ইঁদুর তাড়ানোর উপায়- ইঁদুর মারার বিষের নাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি ইঁদুর তাড়ানোর উপায় জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে ইঁদুর তাড়ানোর উপায় এবং কিসের গন্ধে ইঁদুর পালায় ও ইদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইঁদুর তাড়ানোর উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ইঁদুর মারার বিষ খেলে কি মানুষ মারা যায় এবং ইঁদুর মারার বিষের নাম,ইঁদুর ধরার ফাঁদ ও ইঁদুর মারার মেশিন সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক

ভূমিকা

ইদুর সাধারণত রাতের বেলায় বাসা বাড়িতে উপদ্রব বেশি করে। অনেক সময় দেখা যায় দিনের বেলাতেও ইঁদুরের উপদ্রব আমাদেরকে বিরক্ত করে। ইদুর ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং সুন্দর সুন্দর জামা কাপড় নষ্ট করে। ইদুরের আরেকটি বদঅভ্যাস হচ্ছে ইঁদুর খাবারে মুখ দেয় ইঁদুর খাবারে মুখ দেয়ার কারণে


সেই খাবার কখনোই খাওয়ার যোগ্য থাকে না। ইঁদুর শুধু বাসা বাড়ির ক্ষতি করে এমন নয় ইদুর ফসল ক্ষেতেরও অনেক বেশি ক্ষতি করে।

ইঁদুর তাড়ানোর উপায়

ইঁদুর অনেক সমস্যার কারণ। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কিছু উপায় রয়েছে। আপনি সেই উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনার বাসা বাড়ি থেকে এবং জমি থেকে ইদুর খুব সহজে তাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। ইদুর যেসব ক্ষতির কারণ হয় সেসব ক্ষতি থেকেও নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন
  • ঘরের কোনায় কোনায় পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে রেখে দিবেন অথবা সম্পূর্ণ পেয়াজ রেখে দিলেও হবে। ইদুর পেঁয়াজের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না। এজন্য পেঁয়াজ রাখবেন তাহলে ইঁদুর খুব সহজে ঘর থেকে পালিয়ে যাবে।
  • মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে রাখার মাধ্যমেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। মরিচের গুড়ো ঝাল হওয়ার কারণে ইদুর সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়।
  • গোলমরিচের গুঁড়ো অথবা শুধু গোলমরিচ যেসব জায়গায় ইঁদুর যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো জায়গায় রেখে দেবেন। গোলমরিচের গন্ধে ইঁদুরের ফুসফুস সংকুচিত হয়ে যায় যার ফলে মারা যায় অথবা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
  • লবঙ্গ রাখলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। লবঙ্গ ঘ্রাণ রয়েছে সে ঘ্রানে ইদুর পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
  • ফিটকিরির গন্ধ ইদুর সহ্য করতে পারে না এজন্য আপনি ফিটকিরি রেখে দিয়ে অথবা ফিটকিরি গুড়ো করে সেগুলো ছিটিয়ে রাখার মাধ্যমে ইদুর তাড়াতে পারবেন।
  • ন্যাপথলিন অথবা কর্পুল যেকোনো একটি ব্যবহার করলে ইদুর পালিয়ে যায়। ঘরে যেসব আসবাবপত্রে ঈদুল আকার সম্ভাবনা থাকে সেই জায়গাতে ন্যাপথলিন অথবা কর্পূর রেখে দেবেন দেখবেন ইদুর আপনার ঘরে আর আসবে না।
  • ময়দা ঘি এবং তামাক পাতা একসাথে করে গুলি তৈরি করবেন অর্থাৎ এগুলো একসাথে খামিরা করে গোল গোল করে যেসব জায়গায় ইঁদুর লাগার সম্ভাবনা থাকে সেসব জায়গায় রেখে দেবেন দেখবেন আপনার ঘর থেকে চিরতরে ইঁদুর পালিয়ে গিয়েছে। তামাকে যে গন্ধ রয়েছে এগুলো ইদুরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
  • শুকনো গোবর ইঁদুরের জন্য বিষের মত। কোন ইঁদুর যদি ভুলেও শুকনো গোবর খেয়ে ফেলে তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত এজন্য আপনি শুকনো গোবর ব্যবহার করার মাধ্যমে ইদুর তাড়াতে পারবেন।
  • মাথার চুলের সাহায্যেও ইদুর তাড়ানো যায়। মানুষের চুল একবার ইদুরের মুখে গেলে ইঁদুরের মৃত্যু নিশ্চিত এজন্য রাতের বেলায় আপনি ঘরের মেঝেতে চুল ছিটিয়ে রাখতে পারেন এতে করে ইঁদুরের পায়ে বাঁধলে অথবা মুখে গেলে ইঁদুর মারা যাওয়া সম্ভব না থাকে।
  • যেসব পুরুষ ইদুর রয়েছে সেগুলো কলা দেখলে ভয় পায় এজন্য আপনি কলাও রাখতে পারেন কলার কারণে তারা ঘর থেকে ভয়ে পালিয়ে যাবে।
  • পুদিনা পাতা অথবা পুদিনা পাতার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও দূর করা যায়। ঘরের আনাচে-কানাচে পুদিনা পাতা রেখে দেবেন অথবা কোন কিছুতে পুদিনা পাতার তেল মিশিয়ে রেখে দেবেন এতে করে ইঁদুর পালিয়ে যাবে।
  • এক ইঁদুর অন্য ইঁদুর কে ভয় পায় খেলনা ইদুর যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো এনে ঘরে রেখে দেবেন তাহলে অন্য ইঁদুর সেটা দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে।
  • পেঁয়াজের দুর্গন্ধ যেমন ইঁদুরে সহ্য হয় না তেমনভাবে রসুনের দুর্গন্ধ ইদুরের সহ্য হয় না। কয়েকটি রসুন পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এরপর সেই পানি ইদুর যাওয়া আসা করে এমন জায়গায় ছিটিয়ে দিবেন তাহলে ইঁদুরের উৎপাত অনেকটাই কমে যাবে।
  • বেকিং সোডার যে দুর্গন্ধ রয়েছে সেটিও ইঁদুরের পছন্দ নয় এজন্য আপনি ঘরের বিভিন্ন কোনায় বা আসবাবপত্রের উপরে সামান্য পরিমাণ করে বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখবেন তাহলে ইদুর সেসব জায়গায় আক্রমণ করতে পারবে না।
  • পেপারমেন্ট কাগজ গোল করে তেলে ডুবিয়ে বল বানিয়ে ইদুর যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করে বা যেখানে ঈদুল আকার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে রেখে দেন দেখবেন ইদুর চলে যাবে কারণ ইদুর পেপারমেন্টের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
  • ফিনাইল বরি ইঁদুর তাড়াতে অনেক কার্যকর। এই বরির তীব্র বাজে দুর্গন্ধ রয়েছে যেগুলো ইঁদুর সহ্য করতে পারেনা। একটি সুতোতে বড়িগুলো নিয়ে ঝুলিয়ে রাখবেন দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার বাসা বাড়ি থেকে ইদুর চলে গেছে।
  • ওষুধ কিংবা বিষ ব্যবহার করার মাধ্যমেও ইদুরকে তাড়ানো যায়বিষ মানুষ সাধারণত ইদুর তাড়াতে বিষ বেশি ব্যবহার করে।
  • অনেক রকমের ফাঁদ তৈরি করার মাধ্যমেও ইদুর তাড়ানো যায়। ইদুর খুব সহজে ফাঁদে পা দিয়ে দেয় এবং তার মৃত্যু হয়।
আপনি এসব উপায়ে আপনার বাসা বাড়ি অথবা জমি থেকে ইদুর তাড়াতে পারবেন। এই উপায় গুলোর মধ্যে যে কোন একটি উপায় অবলম্বন করলেই ভালো ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়।

কিসের গন্ধে ইঁদুর পালায়

এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলোর গন্ধ ইদুর একেবারে সহ্য করতে পারে না। সেগুলোর গন্ধ ইঁদুরের নাক পর্যন্ত পৌঁছার সাথে সাথে ইঁদুর সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইদুর সেগুলোর গন্ধে মারাও যায়। পেঁয়াজ এবং রসুন এই দুইতির গন্ধ এবং রস ইদুর সহ্য করতে পারে না। এগুলো তাদের কাছে বিষের মত মনে হয়।

কর্পূর এবং ন্যাপথলিন এই দুইটি ব্যবহার করেও ইদুর তাড়ানো সম্ভব কারণ এরা ন্যাপথলিন এবং কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। গোলমরিচকে ইঁদুরের জন্য জম বলা হয়। গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুরের ফুসফুসকে সংকুচিত করে দেয় যার কারণে ইঁদুরের মৃত্যু নিশ্চিত বলে ধারণা করা হয়।লবঙ্গ এবং বেকিং সোডা এ দুইটির গন্ধ ইঁদুরের বেশ অপছন্দ।


এজন্য যেখানে লবঙ্গ ও বেকিং সোডা দুর্গন্ধ পাওয়া যায় ইদুর সেখানে কোন ভাবে যায় না। মরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করার মাধ্যমে ইদুর তাড়ানো যায়। মরিচের যে ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে তা ইদুর সহ্য করতে পারে না। পেপারমেট কাগজেরও একটি দুর্গন্ধ রয়েছে জাতীয় ইঁদুরের সহ্য করার ক্ষমতার বাহিরে। ফিনাইল বরির গন্ধ অনেক বাজে।

ইদুর এ গন্ধ কোন ভাবেই সহ্য করতে পারে না। শুধু ইঁদুর নয় কোন পোকামাকড়ও এটির গন্ধ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না। এটা ব্যবহার করেও খুব সহজে ইঁদুর তাড়ানো সম্ভব। ফিটকিরি আমাদের অনেক কাজে ব্যবহার হয়। ইদুর তাড়াতেও আপনি ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারবেন। ফিটকিরির গন্ধ ইঁদুরের জন্য ক্ষতিকর যার কারণে ইঁদুর পালিয়ে যাই।

এসব প্রতিটি জিনিসের গন্ধই ইঁদুর সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোন একটি জিনিস ব্যবহার করে সেটার দুর্গন্ধের মাধ্যমে আপনার বাসা বাড়ি থেকে ইদুর করতে পারবেন। এসব প্রতিটি জিনিসই আমাদের হাতের নাগালে রয়েছে যার জন্য আপনার ইদুর তাড়ানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

ইঁদুর মারার বিষ খেলে কি মানুষ মারা যায়

মানুষ আত্মহত্যার জন্য অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে। সেসব পদ্ধতির মধ্যে একটি হচ্ছে বিষপানের মাধ্যমে মারা যাওয়া।  অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হাতের নাগালে অন্য কোন বিষ না পাওয়ার কারণে মানুষ ইদুর মারা বিষ খেয়ে বসে। অনেকের মনে এই প্রশ্ন কাজ করে ইঁদুর মারার বিষ খেলে কি মানুষ মারা যাবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ইদুর মারার বিষ খাওয়ার কারণে মানুষ মারা যাওয়া সম্ভব না একেবারেই কম। এই বিষ শরীরে প্রবেশ করার কারণে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। যদি বিষ অনেক বিষাক্ত হয় যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার বাহিরে তাহলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে অন্যথায় আশা করা যায় মানুষ মারা যাবে না।

যদি ইদুর মারার বিশেষ সঙ্গে অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট মিশানো হয় তাহলে অনেক বিষাক্ত আকার ধারণ করবে যা মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম। ২০১৮ সালের ২৯ শে জুলাই নিলফামারীতে ইদুর মারার বিষ খেয়ে একটি দম্পতি আত্মহত্যা করেছিল। এমন খুব কম সংখ্যক ঘটনা আমাদের আশেপাশে শোনা যায় যে ইদুর মারার বিষ খাওয়ার কারণে সে মারা গিয়েছে।

ইদুর মারার বিষ খাওয়ার কারণে যতটুকু অসুস্থ হওয়া সম্ভব থাকে ঠিক ততটুকুই না মরার সম্ভাবনা থাকে। ইদুর মারার বিষ খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি কিন্তু মারা যাওয়া সম্ভাবনা একেবারে কম। ২০২১ সালের অনুশে সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ছোট বাচ্চা ইঁদুরের বিষ কে চকলেট ভেবে খেয়ে নিয়েছিল যার ফলশ্রুতিতে তার মৃত্যু ঘটে।

এজন্য আপনি বাসায় ইঁদুরের বিষ রাখলে অবশ্যই ছোট বাচ্চাদের নাগালের বাহিরে রাখবেন। কখনোই যেন ইঁদুরের বিষ ছোট বাচ্চাদের চোখে না পড়ে। অন্যথায় আপনার পরিবারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট

ইদুর মারার জন্য এক জাতীয় ট্যাবলেট পাওয়া যায় যেটার নাম অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট গ্যাস ট্যাবলেট নামে পরিচিত। এই ট্যাবলেট ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে ইঁদুরসহ যাবতীয় পোকামাকড় বাসা বাড়ি এবং জমি ও পুকুর থেকে তাড়ানো সম্ভব। এই ট্যাবলেট অনেক বেশি কার্যকারী।

খুব দ্রুত কাজ করতে এই ট্যাবলেটের কোন তুলনা নেই। এই ট্যাবলেট যতটুকু উপকারি ঠিক ততটুকুই ক্ষতিক। এই ট্যাবলেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এই ট্যাবলেটের গ্যাস অনেক বেশি ক্ষতিকর যা মানুষের শরীরের মধ্যে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ট্যাবলেটে যে গ্যাস রয়েছে তা মূলত এক ধরনের বিষ।

২০২৩ সালের ৯ই জুন এই ট্যাবলেটের গ্যাসে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় দুটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং তাদের বাবা-মাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যে বাসা বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে তারা কখনোই এই ট্যাবলেট ইঁদুর করার জন্য ব্যবহার করবেন না। ইদুর দূর করার যেসব উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবেন তাহলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।

যেসব কৃষক জমি থেকে ইদুর তাড়ানোর জন্য এই ট্যাবলেট ব্যবহার করেন তারা এই ট্যাবলেট জমিতে ব্যবহার করার পরে একদিন জমির আশেপাশে যাওয়া উচিত নয়। এই ট্যাবলেটের গ্যাস অনেক মারাত্মক হওয়ার কারণে একদিন পর্যন্ত থাকে। কেউ যদি এই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে কিছু লক্ষণ দেখা দিবে।


হৃদপিন্ডের চলাচল বেড়ে যাবে। শ্বাস অনেক দূরত্ব নেয়া হবে। হাত-পা কাপাকাপি শুরু হবে। শরীর তুলনামূলক বেশি ঘামতে শুরু হবে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে। শরীরে খিচুনি তৈরি হবে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাবে ও লিভার অকেজ হয়ে যেতে শুরু করবে। এবার আপনি নিজে কল্পনা করুন কতটা ভয়ানক।

কেউ যদি এই গ্যাসের মাধ্যমে জটিল ভাবে আক্রান্ত হয় তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই ট্যাবলেট ব্যবহার করে ইঁদুর কিংবা পোকামাকড় দূর করা থেকে বিরত থাকুন ও নিজেও নিজের পরিবার ও আশেপাশের মানুষজনকে সুস্থ রাখুন।

ইঁদুর মারার বিষের নাম

কিছু বিষ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমেও ইঁদুরকে মেরে ফেলা যায় অথবা বাসা বাড়ি থেকে দূর করা যায়। কোন খাবারের সাথে সে বিষ খেয়ে মিশিয়ে মিশিয়ে রেখে দিলেই ইঁদুর খুব সহজে সে খাবার খেয়ে নেয় এবং তার মৃত্যু হয়।
  • ইবিচ র‍্যাট কিলার
  • ত্রাস র‍্যাট কিলার
  • d-con kill mick
  • Ratphos Rat Roison
  • Taarget Rat Nill
  • Ratol Zink
  • ব্রমাপয়েন্ট
  • Atrarat
এসব প্রত্যেকটি বিষ ভালো। আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বেশ ব্যবহার করে বাসা বাড়ি এবং জমি থেকে ইদুর করতে পারবেন। বিষ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে নতুবা নিজের ক্ষতি হবে এবং পরিবারের মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে। এই বিষ শুধু রাতে ব্যবহার করবেন।

কখনোই দিনের বেলাতে বিষ ব্যবহার করবেন না। দিনের বেলাতে বিষ ব্যবহার করার কারনে বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে তার ক্ষতি হতে পারে।

ইঁদুর ধরার ফাঁদ - ইঁদুর মারার মেশিন

ফাঁদ বা মেশিনের সাহায্যেও ইদুর ধরা যায়। এই ফাঁদে বা মেশিনে কোন খাবার রেখে দিয়ে তার মুখ খুলে রাখলে ইঁদুর খুব সহজে সেখানে ঢুকে পড়ে। যখন সে খাবার খেতে শুরু করে তখন সেটার মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং ইদুর সেখানে আটকে যায়। ফাঁদ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কৌশলের সাথে ব্যবহার করতে হবে তাছাড়া আপনি ইঁদুরের সাথে কোন ভাবে পেরে উঠবেন না।

ফাঁদ ব্যবহার করে অথবা মেশিনের সাহায্যে ইঁদুর ধরা অনেক বেশি কষ্টকর। অনেক সময় দেখা যায় ইদুর সেখানে মুখ দেয় না যার কারণে ইঁদুর ধরতে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে দারাজে ইদুর মারার মেশিন পাওয়া যায়। আপনি সেখান থেকে অর্ডার করে একটি মেশিন নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।


যদি আপনি মেশিনের সাহায্যে ভালো ফলাফল না পান তাহলে ইদুর মারা যেসব উপায় এবং বিষ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবেন। আশা করি আপনি মেশিনের তুলনায় অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

শেষ কথা

ইদুর আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর এজন্য যত দ্রুত সম্ভব হয় ইদুর মারা যেসব উপায় রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে ইদুরকে দূর করবেন তাহলে আপনি সেই ক্ষতিগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। ইদুর মারার বিষ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সাথে ব্যবহার করবেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও ইঁদুরের অত্যাচার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url