কোন ফর্মুলা দুধ ভালো- ফর্মুলা দুধ বানানোর নিয়ম- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোন ফর্মুলা দুধ ভালো সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে কোন ফর্মুলা দুধ ভালো এবং ফর্মুলা দুধ কতক্ষণ ভালো থাকে ও ফর্মুলা দুধ বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ফর্মুলা দুধের উপকারিতা,বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ কোনটা ভালো এবং বেস্ট ফর্মুলা মিল্ক ফর বেবি ০ ৬ মাস ইন বাংলাদেশ ও বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধের নাম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

জন্মের পরে একটি শিশুর প্রধান খাদ্য হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই দুধ বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ হয় না বা বাচ্চাদের যতটুকু প্রয়োজন তারা পায় না। সেক্ষেত্রে ডাক্তার তাদেরকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই দুধ বাচ্চাদের জীবনধারণ করতে সাহায্য করে এবং তার দুধের অভাব দূর করে।


অনেক রকমের ফর্মুলা দুধ রয়েছে এ পোস্টে আমরা জানবো বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো এবং কোন কোম্পানির দুধ ভালো ও ফর্মুলা মিল্ক এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।

কোন ফর্মুলা দুধ ভালো

অনেক রকমের ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়। সব দুধ সব বাচ্চার জন্য কখনোই উপকারী হয় না। বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সবচেয়ে যেই ভালো দুধ রয়েছে সেটি খাওয়ানো উচিত। ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে আপনাকে দুইটি বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। একটি হচ্ছে যাতে সেই দুধ দ্বারা বাচ্চার পেট ভর্তি হয় আরেকটি হচ্ছে যাতে করে এই দুধের মাধ্যমে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হয়।

বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই তার বয়স এবং ওজনের উপরে নির্ভর করে তাকে খাওয়াতে হবে। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি বাচ্চার পেটে কোন রকমের সমস্যা আছে নাকি এবং সেই দুধ খাওয়ার কারণে বুক জ্বালাপোড়া অথবা বমি করে কিনা। বাচ্চার কোন রকমের এলার্জির সমস্যা রয়েছে নাকি সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। অন্যথায় আপনি ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কারণে তাদের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Similac pro - Advance এটি একটি লিকুইড জাতীয় দুধ। বাচ্চা জন্মের পরে যখন মায়ের দুধ পায় না তখন তাদেরকে কিছুদিন যাবত এই দুধ খাওয়ানো হয়। এই দুধ পাউডার হিসেবেও পাওয়া যায়। সাধারণত মেডিকেলে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে এই লিকুইড অবস্থায় খাওয়ানো হয় এবং যখন মেডিকেল থেকে বাসায় নিয়ে চলে আসা হয় তখন তাদেরকে পাউডার জাতীয় রয়েছে সেই দুধ খাওয়ানো হয়।

Enfamil এই দুধটি অনেক ভালো। ডাক্তাররা অধিকাংশ সময় এই দুধের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই দুধ বাচ্চার শরীর এবং মস্তিষ্ক উন্নতির জন্য অনেক বেশি হেল্প করে। আপনার বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর চিন্তা করলে এ দুধ খাওয়ানো তার জন্য অনেক উপকারী হবে। অন্য দুধের তুলনায় এই দুধের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।

Lactogen এই দুধ বাংলাদেশে অনেক বেশি প্রচলিত বাংলাদেশের শিশুদের অধিকাংশ সময় এই দুটি খাওয়ানো হয় এতে অনেক উন্নত মানের একটি দুধ বয়সের অনুপাতে ই দুধের ব্যবহার বিধি পরিবর্তন হয়, ইদুত বাচ্চার ব্রেন বৃদ্ধি করা পাশাপাশি বাচ্চার ওজনও বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি কার্যকর

NAN PRO আপনি চাইলে আপনার বাচ্চাকে এই দুধ খাওয়াতে পারেন। অনেক ডাক্তার বাচ্চাদের এই দুধের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

Prima এ দুধও অনেক ভালো। বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর চিন্তা ভাবনা করলে আপনার চিন্তায় এই দুধ রাখতে পারেন। এ দুধের স্তর ভাগ রয়েছে। বয়সের সাথে সাথে তা পরিবর্তন হয়। প্রতিটি ফর্মুলা দুধ বয়সের সাথে সাথে ব্যবহার বিধি পরিবর্তন হয়।

Biomil বায়োমিল দুধ বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো। অনেক শিশুকে ডাক্তার এই দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। বয়সের সাথে সাথে এই দুধ খাওয়ানোর পরিমাপ এবং ব্যবহারবিধি পরিবর্তন হয়।

এসব প্রতিটি দুধ ভালো। আপনার বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন কারণ প্রতিটি বাচ্চার টেস্ট ভিন্ন রকম। প্রতিটি বাচ্চায় যে এক রকমের দুধ খাবে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এজন্য আপনার বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।

ডাক্তার আপনার বাচ্চার জন্য যে দুধ পরামর্শ দিবেন সে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে।

ফর্মুলা দুধ কতক্ষণ ভালো থাকে

ফর্মুলা দুধ কৌতাজাত অবস্থায় সেখান থেকে খোলার পরে ২১ দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।  কোনটি ২৫ দিন পর্যন্ত খাওয়ানো যায়। এ সময় সীমা হচ্ছে দুধ পাউডার থাকা অবস্থায়। যখন পাউডার দুধ খেয়ে আপনি লিকুইড হিসেবে তৈরি করবেন অর্থাৎ পানির সাথে মিশিয়ে সেটাকে বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য প্রস্তুত করবেন তখন এর সময়সীমা সম্পন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে।

বাচ্চাকে আপনি যেই ফিডারে দুধ খাওয়াবেন তা সব সময় ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সব সময় গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন তাহলে সেখানে আর কোনো রকমের জীবাণু থাকবে না। যখন দুধ পানির সাথে মিশাবেন তখন তা ভালোভাবে মেশাবেন যাতে দুধের কোন অংশ অসম্পূর্ণ না থাকে এবং তা পরিপূর্ণভাবে পানির সাথে মিশে যায়।

কখনো নিজের মন মত দুধ পানির সাথে মিশাবেন না। যতটুকু পরিমাণ রয়েছে ততটুকুই মেশাবেন তাহলে আপনার বাচ্চা উপকৃত হতে পারবে অন্যথায় তা বাচ্চার পেটে সহ্য হবে না। পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছ এবং নিরাপদ পানি ব্যবহার করবেন আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


দুধ বানানোর পূর্বে অবশ্যই আপনি আগে আপনার নিজের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন যাতে সেখানে কোন রকমের জীবাণু বা ময়লা না থাকে কারণ আপনার হাতে ময়লা থাকা অবস্থায় আপনি দুধ প্রস্তুত করতে থাকলে সেই মহলে আর দুধের ভিতরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুধ বানানোর ক্ষেত্রে কখনোই আপনি আগে কৌটা ফিডারে দুধ দিবেন না।

আগে সব সময় পানি দিবেন পরিমাণ মতো। এরপর সেখানে গুড়া দুধ দিবেন। আপনার শিশুকে ফর্মুলা দুধ পানিতে লিকুইড হিসেবে প্রস্তুত করার পরে ২ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াই দিতে হবে। কখনোই দুই ঘন্টার বেশি সেই দুধ বাহিরে রাখবেন না। শিশু যদি প্রথমে অল্প পরিমাণ খায় এরপর বাকিটুকু এক ঘন্টার মধ্যে খাওয়ায় দিতে হবে।

এক ঘন্টার পরে সেই দুধ বাচ্চাকে খাওয়ানো কোনোভাবেই উচিত হবে না। ফর্মুলা দুধ বানানোর পরে আপনি যদি দুই ঘণ্টার মধ্যে আপনার শিশুকে তা না খাওয়ান তাহলে আপনি সেটা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত ফ্রিজের সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং এ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা শিশুকে খাওয়ায় দিতে হবে এরপরে কখনো খাওয়ায় দেয়া যাবে না।

যদি দুধ বানানোর পরে বাচ্চাকে অল্প খাওয়ানো হয় তারপর রেখে দেন তাহলে তা এক ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। কখনোই খাওয়ানো দুধ 24 ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে যে দুধে বাচ্চা কোন রকমের মুখ লাগায় নাই।

ফর্মুলা দুধ বানানোর নিয়ম

ফর্মুলা বানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুসারে বানাতে হবে। যখন আপনি নিয়ম অনুসারে বানাবেন তখন তা আপনার বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর হবে। অন্যথায় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে পেটে সহ্য হবে না। যেই ফিডারে আপনি আপনার বাচ্চার জন্য ফর্মুলা দুধ বানাবেন তা প্রথমে গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন।

এরপর কিছুখন শুকানোর জন্য রেখে দেবেন। তারপরে সেখানে কুসুম গরম পানি নেবেন পানি নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার এই দিকটা লক্ষ্য রাখা অবশ্যই যে পানি যেন কুসুম গরম হয় অর্থাৎ অতিরিক্ত গরমও যেন না হয় আবার অতিরিক্ত ঠান্ডাও যেন না হয় অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে বাচ্চার সেই দুধ খেতে পারবে না এবং ঠান্ডা হওয়ার কারণে দুধ সেখানে ভালোভাবে মিক্স হবে না

যার ফলে বাচ্চা সেই দুধ খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া আমোশয়ের মত পেটে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাচ্চার বয়স অনুযায়ী যেই পরিমাণ দুধ দিতে বলা হয় সেই পরিমাণ দুধে পানির সাথে মিক্স করবেন। কখনো অতিরিক্ত দুধ পানির সাথে মিক্স করবেন না। চামচ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্যাকেটের সাথে যে চামচ দেয়া হয়

সেই চামচ ব্যবহার করবেন। যদি প্যাকেটের সাথে সেই চামচ না থাকে তাহলে চা চামচ ব্যবহার করবেন। দুধ এবং পানি একসাথে করে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন তাহলে এটা বাচ্চার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ফর্মুলা দুধের উপকারিতা

ফর্মুলা দুধ বাচ্চাকে ওই সময় খাওয়ানো হয় যখন সে তার মায়ের বুকের দুধ পায় না। যতক্ষণ কোন বাচ্চা তার মায়ের বুকের দুধ খাবে তাকে কোনভাবে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো উচিত হবে না। ফর্মুলা দুধ বাচ্চাকে ওই সময় খাওয়াতে হয় যখন বিকল্প কোন পথ না থাকে। ফর্মুলা বাচ্চাদের জন্য এমন ভাবে বানানো হয় যা তাদের মাতৃ দুধের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

ফর্মুলা দুধে আয়রন থাকে যা বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে নিয়ম করে ফর্মুলা দুধ খাওয়ান তাহলে উপকৃত হতে পারবে। অন্যথায় তারা তাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন কারণ একেক বাচ্চা শরীরের চাহিদা একেক রকম থাকে।


যদি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে মন মত খাওয়ান সেক্ষেত্রে তো আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ কোনটা ভালো

বাংলাদেশে অনেক ব্র্যান্ডের ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়। প্রতিটি ফর্মুলা যদি অনেক ভালো তবে খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। চলুন এবার আমরা ভালো ভালো কিছু ফর্মুলা দুধের নাম জানি
  • NAN Pro
  • Enfamil
  • Biomil
  • Lagtogen
  • Similac Advance
  • Nutrical Aptamil
  • Prima
  • Nido Plus
  • Pediasure
  • Ensure Nutrition
  • Cow & Amp
  • Baby Care Milk
  • Eldobaby
এসব প্রতিটি দুধ ভালো। আপনার বাচ্চার শরীরের উপর নির্ভর করে ডাক্তার যে দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিবে সেটা খাওয়াবেন। এতে করে বাচ্চা শরীরের জন্য উপকারী হবে এবং বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হবে।এসব প্রতিটি দুধ বয়সের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাবারের পরিমাণও বাড়তে থাকবে

বেস্ট ফর্মুলা মিল্ক ফর বেবি ০ ৬ মাস ইন বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য অনেক রকমের ফর্মুলা দুধ পাওয়া যায়। ফর্মুলা দুধ বাচ্চাদেরকে সেই সময়ে খাওয়ানো হয় যখন দ্বিতীয় কোন উপায় সামনে না থাকে। বাচ্চাদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সবচেয়ে ভালো দুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে তাদের শারীরিক এবং মানসিক গঠনে উন্নতি হবে।
  • prima 1
  • Lagtogen 1
  • Nan pro 1
  • biomil 1
  • cow & gate 1
  • Similac 1
  • Sma 1
  • Aptamil 1
  • Eldobaby 1
  • Pre nan 1
  • Bf 1 infant

এ প্রত্যেকদিন বিভিন্ন ওজনের হয় এবং প্রতিটি দুধের দামও ভিন্ন রকম। আপনার ০ থেকে ৬ মাসের বাচ্চাকে এগুলো দুধের মধ্যে যেকোনো একটি দুধ খাওয়ালে আপনার বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হবে এবং মস্তিষ্ক বৃদ্ধি হবে। এসব দুধ খাওয়ানোর পূর্বে সবচেয়ে ভালো হবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া তাহলে আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য দুধগুলো আরো বেশি উপকার হবে।

বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো

বাংলাদেশের অনেক রকমের দুধ পাওয়া যায়। বাচ্চাকে যেকোনো দুধ খাওয়ানো কোনোভাবেই উচিত নয়। তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য সবসময় সবচেয়ে ভালো দুধ খাওয়ানোর উচিত তাহলে তাদের শরীরের এবং মানসিক বিকাশে উন্নতি হবে। অন্যথায় যেকোনো দুধ খাওয়ানোর কারণে তারা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অনেকটাই সম্ভাবনা থাকে।
  • NAN Pro
  • Enfamil
  • Biomil
  • Lagtogen
  • Similac Advance
  • Nutrical Aptamil
  • Prima
  • Nido Plus
  • Pediasure
  • Ensure Nutrition
  • Cow & Amp
  • Baby Care Milk
  • Eldobaby
এ দুধগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি দুধ আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। আশা করা যায় এই দুধগুলো আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে। এই দুধগুলোর মধ্যে যে কোন একটি দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত কারণ আপনার বাচ্চার শরীরে চাহিদা কেমন এবং তার টেস্ট কেমন সে বিষয়ে উপরে

লক্ষ্য রেখে ডাক্তার যেহেতু দিবে তাই আপনার বাচ্চার জন্য ভালো হবে।

ফর্মুলা মিল্ক এর ক্ষতিকর দিক

একটি শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। যখন মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না তখন তাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো হয়। ফর্মুলা দুধেও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে কারণ এই দুধ প্রস্তুত কারো করা হয় যার কারণে অনেক বাচ্চা শরীলে তা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কারণে শিশু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় না।

যার কারণে সে অনেক রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পেটের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে যেমন ডায়রিয়া গ্যাসটিক পেট ব্যথা এরকম অনেক রকমের সমস্যা শিশুর দেখা দিবে। অনেক ক্ষেত্রে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কারণে শিশু শরীরে এলার্জি হয়। যদি আপনি আপনার শিশু শরীরে ফর্মুলা খাওয়ানোর পরে এলার্জি অনুভব করেন তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

মা এবং সন্তানের মধ্যে আত্মিক বন্ধন অনেকটা কমে যায়। অনেক সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দাঁত এবং শরীরের হার ঠিকমতো মজবুত হয় না এবং দাঁতের আশেপাশের গর্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আপনার বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কারণে এসব সমস্যাগুলো হতে পারে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন


আপনার বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো লাগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়ার।

শেষ কথা

একটি শিশুকে কখনোই শুরুতে ফর্মুলা দুধ খাওয়াবেন না। যখন একেবারে কোন সুযোগ সুবিধা থাকবে না সেই সময় আপনি চেষ্টা করবেন। তাদেরকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর এবং ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে পরামর্শ করে নিবেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সবকিছু তথ্য পাই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url