এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়- আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় এবং আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায় ও এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন এলোভেরা চুলে দিলে কি হয় ও খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
এলোভেরা একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। এটা রূপচর্চা করতে এবং বিভিন্ন রকমের রোগ দূর করতে সক্ষম। এলোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ যা আপনাকে বিভিন্ন রকমের সাহায্য করে থাকবে। এলোভেরাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। ত্বক চুল এবং শরীরের বিভিন্ন রোগের জন্য এলোভেরা এক ভরসার প্রতীক।
আদিকাল থেকে এলোভেরা প্রাকৃতিক উপকারী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে।
এলোভেরা চুলে দিলে কি হয়
এলোভেরা চুলের জন্য অনেক উপকারি। মাথায় যাদের দীর্ঘকাল ধরে খুশকি বা অ্যা চুল শুষ্ক ভাব রয়েছে তারা এলোভেরা ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি তাদের মাথা থেকে খুশকি দূর হয়ে চুল উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং মাথার যত শুষ্ক চামড়া রয়েছে সে চামড়াগুলো আবার নতুনভাবে জীবিত হবে। এলোভেরাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল নামক উপাদান থাকে
যা চুল পড়া এবং খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকারী। এলোভেরা এবং আমলকির রস একসাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে মধু নারিকেল তেল এবং এলোভেরা একসাথে মিক্স করে চুলে ব্যবহার করবেন। এরপর কিছু সময় রেখে দেয়ার পরে ধুয়ে ফেলবেন তাহলে আপনার চুল আর আগ্রহ হয়ে যাবে।
খুশকি দূর করতে এবং এলোভেরা একসাথে মিক্স করে মাথার ত্বকে 10 মিনিট দিয়ে রাখবেন। এরপরে শ্যাম্পু করার মাধ্যমে ধুয়ে ফেলবেন তাহলে মাথা থেকে খুব তাড়াতাড়ি খুশকি দূর হয়ে যাবে। লেবু এলোভেরা এবং আমলার রস এই তিনটি উপাদান একসাথে করে তুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
ডিমের কুসুম এলোভেরা এবং অলিভ অয়েল তেল একসাথে করে চুলে ব্যবহার করলে চুল তাড়াতাড়ি বড় হয়। চুলের ঝলমলে চকচকে ভাব বাড়াতে আপনি শ্যাম্পু করার পরে মাথার চুলে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল অনেকটা ঝকঝকে দেখাবে। চুলের যত্নের জন্য নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হয়।
নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল এবং এলোভেরা একসাথে মিক্স করে চুলে ব্যবহার করলে এটা হেয়ার অয়েল এর মত কাজ করবে। যাদের মাথা থেকে চুল পড়ে গিয়ে টাক হয়ে গেছে তারা নিয়মিত চুলে এলোভেরা ব্যবহার করলে সেসব স্থানে নতুন চুল গজাতে শুরু করে। এজন্য যাদের মাথায় খুশকি বা চুল পড়া বা চুল শুষ্ক সমস্যা রয়েছে তারা এলোভেরা ব্যবহার করবেন।
তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন এবং আপনার চুল আগের তুলনায় অনেক বেশি ঝকঝকে চকচকে ও সুন্দর দেখাবে। চলে এলোভেরা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা জরুরি তা হচ্ছে যাদের ঠান্ডা অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা কোনোভাবেই এলোভেরা মাথায় ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা এলার্জির জন্য এলোভেরা অনেক বেশি ক্ষতিকর।
আপনি মাথায় এলোভেরা দেয়ার সাথে সাথেই আপনার ঠান্ডা এলার্জি সমস্যা শুরু হয়ে যাবে এজন্য যারা ঠান্ডা এলার্জির রোগী রয়েছেন তারা এলোভেরাকে এড়িয়ে চলবেন।
খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়
অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এলোভেরা খালি পেটে খেলেও শরীরের জন্য তা উপকারী। আপনি শুধু এলোভেরা খেতে পারবেন অথবা এলোভেরা শরবত করেও খালি পেতে খেতে পারবেন। যারা হজমের সমস্যায় ভুগেন কোন খাবার খেলে ঠিক মত পেতে হজম হয় না তারা নিয়মিত খালি পেটে এলোভেরা খেলে বা এলোভেরা সরবত খাইলে হজমশক্তি উন্নত হয়।
বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগেন তারা সকালে খালি পেটে এলোভেরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে মলত্যাগ স্বাভাবিক হয়। এলোভেরার যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে যার কারণে সকালে খালি পেটে এলোভেরা খেলে শরীরে পানি শূন্যতা দূর হয় এবং শরীর হাইড্রেট হয় এবং শরীরে যেসব ক্ষতিকর তক্সিন রয়েছে সেগুলো বের করে দেয়।
যার কারণে অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকা যায়। খালি পেটে এলোভেরা খেলে শরীরে কোন পুষ্টির অভাব থাকলে তা পূরণ করতে পারে কারণ এলোভেরাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফলিক এসিড ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন ই এছাড়া আরো বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। শরীরে ক্ষত থাকলে সকালে খালি পেটে এলোভেরা খেলে সে ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি সকালে খালি পেটে এলোভেরা বা এলোভেরার জুস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এলোভেরা জুস খাওয়ায় সবচেয়ে ভালো হবে কারণ অনেকে আছে যারা শুধু এলোভেরা খেতে পারে না এলোভেরা জুস হলে তা খাওয়া সহজ হয়। যদি আপনি শুধু এলোভেরা জুস খেতে না পারেন তাহলে এলোভেরা জুসের সাথে মধু মিক্স করে
দেবেন তাহলে আপনার জন্য খাওয়া যাবে এবং উপকারিতাও আরো বেশি পাবেন।
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
রূপচর্চার জন্য এলোভেরা একটি ভরসার প্রতীক। চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং চেহারা থেকে শুষ্ক ভাব দূর করতে এলোভেরার বিকল্প কিছু নেই। মেছতা দূর করতে এলোভেরা অনেক বেশি কার্যকরী। যাদের মুখে মেছতা হয় তারা সেসব স্থানে এলোভেরা ব্যবহার করলে মেছতা দূর হয়ে যাবে। এলোভেরা বা এলোভেরা জেল এবং মধু একসাথে মিক্স করে
আঙ্গুলের সাহায্যে মেছতার স্থানে ভালোভাবে ঘষামাজা করবেন এরপর কিছু সময় এলোভেরা এবং মধুর মিশ্রণ মেছতার উপরে লাগিয়ে রাখবেন। তারপর কুসুম গরম পানির সাহায্যে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে মেছতা যেতে শুরু করবে। এভাবে মেছতা তোলার সময় এলোভেরা এবং মধুর মিশ্রণ মুখে দিয়ে কখনো রোদে যাবেন না।
রোদে যাওয়ার কারণে আপনার চেহারা পুড়ে যাওয়া বা কালো হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এক ধরনের মেছতা রয়েছে যা খসখসে হয়ে থাকে। এই খসখসে মেছতার উপরে এলোভেরা ব্যবহার করলে ত্বক নরম হয়ে যায় এবং মেছতার কারণে অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এলোভেরা ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক আদ্র হতে শুরু করে।
মেছতা দূর করার জন্য আপনি এলোভেরা এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করবেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। মেছতা এমন একটি জিনিস যা কখনো একদিনে বা খুব অল্প সময়ের মধ্যে চলে যায় না। মেছতা দূর করার জন্য আপনাকে কয়েক মাস ধরে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি আপনার চেহারা থেকে মেছতা দূর করতে পারবেন।
অন্যথায় যে যায় বলুক দুই-একদিনের ব্যবহার করলে মেছতা দূর হয় না।
এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
কোন কিছু ত্বকে ব্যবহার করলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। যদি নিয়মের বিপরীতে বা অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় তাহলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে। এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী কিন্তু যখন আপনি তা অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করবেন বা নিয়মের বিপরীতে গিয়ে ব্যবহার করবেন তখন তা আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে।
এলোভেরা মুখে ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিবেন যাতে করে চেহারা থেকে যত রকমের ময়লা রয়েছে সে ময়লা গুলো দূর হয়ে যায়। এলোভেরা মধু এবং কাঁচা হলুদ একসাথে করে চেহারায় ব্যবহার করলে চেহারা থেকে কালো দাগ দূর হয় এবং যাদের চেহারায় বসে ছাপ পড়ে গেছে সে বয়সের ছাপ দূর করতেও সাহায্য করে এই এলোভেরা।
এলোভেরা জেল এবং শসার রস ও টক দই একসাথে মিক্স করে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে চেহারার উপরে ব্যবহার করবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দেয়ার পরে ধুয়ে ফেলবেন। এলোভেরা এবং গোলাপজল একসাথে মিক্স করে তোকে হাতে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে ব্রণ দূর হয় এবং হাতে যদি কালচে ভাব থাকে তাহলে সে কালকে ভাব দূর হয়।
নিয়মিত ত্বকে এলোভেরা ব্যবহার করলে চেহারা থেকে তৈলাক্ত ভাব বা জমে থাকা ময়লা দূর হয়। এলোভেরা এবং লেবুর রস একসাথে করে ব্যবহার করলে চেহারা থেকে রোদে পুরা ছাপ দূর হয়। এলোভেরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এলোভেরা এবং টি-ট্রিওয়েল একসাথে মিক্স করেও আপনি চেহারায় ব্যবহার করতে পারেন।
এভাবে ব্যবহার করলে চেহারা নানারকমের সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়। এলোভেরা এবং মধু একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করলে চেহারা নানা রকমের সমস্যা দূর হয় যেমন চেহারা থেকে কালচে ভাব ব্রণ বয়সের ছাপ এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। সব সময় চেষ্টা করবেন এলোভেরা ব্যবহার করার পরে যখন চেহারা ধুবেন তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে ধোয়ার
তাহলে আপনার ত্বকের জন্য আরো বেশি উপকারী হবে। আপনি এসব পদ্ধতিতে চেহারায় এলোভেরা ব্যবহার করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করে থেমে গেলে আপনি কোনভাবে ফলাফল পাবেন না। কমপক্ষে একমাস নিয়মিত ব্যবহার করলে বা সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনার জন্য ভালো ফলাফল অপেক্ষা করছে
এবং আপনার চেহারা আগের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায়
আসল পণ্যের মতো উপকারিতা নকল পণ্য পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা নকল পন্যকে আসল বলে চালিয়ে দেয়। আপনি এলোভেরা জেল কেনার সময় যদি আসলটি কিনতে না পারেন তাহলে আপনি এলোভেরা জেল দিয়ে উপকৃত হওয়া তো দূরের কথা বরং আপনি এই এলোভেরা জেল দিয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এলোভেরা জেল একটি সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার কারণে এটি ত্বকের ব্যবহার করলে কোন রকমের জ্বালাপোড়া বা সাইড ইফেক্ট করে না এজন্য আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করার সময় যদি ত্বকে জ্বালাপোড়া করে বা ত্বক লালচে হয়ে যায় বা ফুলে যাও অথবা এরকম জাতীয় কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনার বুঝতে হবে একটি আসল এলোভেরা জেল নয়।
অনেকের মতে আসল এলোভেরা জেল কোরিয়াতে তৈরি হয় যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের রপ্তানি করা হয়। এলোভেরার প্যাকেটে যে স্ক্যানার কোড থাকে চেষ্টা করবেন সে কোডটি স্ক্যান করার যদি তা কুরিয়ার হয়ে থাকে তাহলে সেখানে made in korea দেখাবে আর যদি তা কোরিয়ান না হয় তাহলে অন্য কিছু দেখাবে।
এতে করে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন এলোভেরা জেল আসল নাকি নকল। অরজিনাল প্যাকেটে একটি সিল মারা থাকে যদি আপনি সেই সিল দেখতে পান তাহলে বুঝবেন একটি অরজিনাল এলোভেরা জেল। এলোভেরা জেল কোনটি ১০০% পিওর হয় না। সর্বোচ্চ ৯৮ থেকে ৯৯ পার্সেন্ট পিওর হয়। এর বেশি কখনোই হবে না।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি এলোভেরা জেল নিজে বাসায় বানিয়ে নিলে এতে করে কোন রকমের কেমিক্যাল দেওয়া হবে না এবং বিশ্বস্ততার সাথে আপনি বাসায় ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনি ভুলেও দুই নাম্বার এলোভেরা জেল কিনে নেন তাহলে আপনার চেহারা অনেক রকমের ক্ষতি হতে পারে যেমন ফুলে যাওয়া লালচে হয়ে যাওয়া
কারণ দুই নাম্বার নকল এলোভেরা জেলে অনেক রকমের কেমিক্যাল যুক্ত করা থাকে যা ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভয়ংকর ও ক্ষতিকর।
শেষ কথা
এলোভেরা আমাদের জন্য অনেক উপকারী তাই চেষ্টা করবেন এলোভেরার গাছ বাসায় চাষ করার এতে করে আপনি একেবারে পিওর অথেন্টিক রিয়েল এলোভেরা ব্যবহার করতে পারবেন এবং এটা খাইলেও অনেক বেশি উপকৃত হওয়া যায়।
আমার এ পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও এলোভেরা সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url