বেবি কেয়ার ১ বেবি কেয়ার ২ খাওয়ার নিয়ম এবং দাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি বেবি কেয়ার ১ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বেবি কেয়ার ১ খাওয়ানোর নিয়ম এবং বেবি কেয়ার মিল্ক সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বেবি কেয়ার মিল সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
বেবি কেয়ার ২ খাওয়ার নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বেবি কেয়ার ১ দাম এবং বেবি কেয়ার ২ খাওয়ার নিয়ম ও বেবি কেয়ার ২ দাম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

একটি শিশু জন্মের পরে তার জন্য প্রধান খাবার হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সমস্যার কারণে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না। সেক্ষেত্রে ডাক্তার প্যাকেটের দুধ খাওয়াতে বলে। প্যাকেটের অনেকগুলো দুধ রয়েছে সে দুধগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বেবি কেয়ার। একটি বাচ্চা শরীরে মায়ের দুধের ঘাটতি পূরণ করতে বাচ্চাকে এই দুধ খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।


এই দুধ বাচ্চার শরীরের পুষ্টির দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হয়।

বেবি কেয়ার ১ খাওয়ানোর নিয়ম

বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। যদি নিয়মের থেকে বেশি খাওয়ানো হয় তাহলে তা বাচ্চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং বাচ্চা শরীরকে উপকৃত করতে অবশ্যই যে নিয়মে বলা হয় সে নিয়মে খাওয়াতে হবে। ০ বছর বয়স থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য বেবি কেয়ার ১ তৈরি করা হয়েছে।

যেসব বাচ্চারা জন্মের পর থেকে মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে না সেসব বাচ্চার জন্য সে সময় থেকে বাচ্চার বয়স যখন ৬ মাস পর্যন্ত হবে তখন তাদেরকে বেবি কেয়ার ১ খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে আপনি যেই ফিডারে খাওয়াবেন তা প্রথমে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। এরপরে সেখানে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে।

পানি নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কুসুম গরম পানি নিতে হবে কারণ ঠান্ডা পানিতে দুধ একেবারে ঠিকমতো মিশে না এবং অতিরিক্ত গরম হলে বাচ্চা খেতে পারবেনা এজন্য সবসময় কুসুম পানি নিলে বাচ্চা আরামে খেতে পারবে। দুধ এবং পানি একসাথে করার পরে ভালোভাবে মিক্স করবেন যাতে পানির মধ্যে দুধ অবশিষ্ট না থাকে এবং তা ভালোভাবে পানির সাথে মিশে যায়।
  • বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় কোনভাবে তাড়াহুড়া করা যাবে না। বাচ্চাকে তার সুবিধামতো খেতে দিতে হবে।
  • বাচ্চার বয়স যখন প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহ চলবে তখন তাদেরকে ৯০ মিলি পানির সাথে তিন চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ১ মিশিয়ে পান করাতে হবে।
  • যেসময় বাচ্চার বয়স তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহ চলবে তখন তাদেরকে ১২০ মিলি পানিতে চার চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ১ মিশিয়ে পান করাবেন।
  • বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে তার খাবারের চাহিদা বাড়তে থাকে এজন্য বাচ্চার বয়স যখন দুই মাস হবে তখন তাদেরকে ১৫০ মিলি পানিতে ৫ চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ১ মিশিয়ে পান করাতে হবে।
  • বাচ্চার বয়স যখন তৃতীয় এবং চতুর্থ মাস চলবে তখন তাদেরকে ১৮০ মিলি পানিতে ছয় চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ১ মিশিয়ে পান করাবেন।
  • বাচ্চার বয়স যখন আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ পাঁচ মাস চলবে তখন তাদেরকে ২১০ মিনিট পানিতে 7 চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ১ মিশিয়ে পান করাতে হবে।
পাঁচ মাস শেষ হলে ছয় মাস পরে যায় আর এই দুধ শূন্য থেকে ছয় মাস বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত বাচ্চাদেরকে পান করানো যায়। বাচ্চাকে এ দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন। ডাক্তার যেই নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে বলবে সেই নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াবেন কারণ একেক বাচ্চা শরীরের পরিস্থিতি একেকরকম থাকে।

যার কারণে ডাক্তার বাচ্চা শরীরের উপর বিবেচনা করে দুধ এবং পানির পরিমাপ অনেক সময় বলে দেয় এজন্য আপনি ডাক্তারকে দেখালে আপনার বাচ্চার জন্য ভালো হবে।

বেবি কেয়ার ১ দাম

দুধ কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনি আগে দুধের শরীরে লেখা মেয়াদ যাচাই করে নিবেন। মেয়াদ যদি ঠিকভাবে না থাকে তাহলে সে দুধ বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে না এবং চেষ্টা করবেন মেয়াদ যাতে সম্পন্ন একটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে সেই মোতাবেক কেনার।
  • ৪০০ গ্রাম বেবি কেয়ার ১ দুধের দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে হয়।
আপনি কেনার আগে আরেকবার ভালো করে দাম যাচাই-বাছাই করে নেবেন কারণ অনেকে আছে যারা মানুষকে প্রতারিত করে দাম বেশি নাই এজন্য আপনি কেনার সময় অবশ্যই সাবধান থাকবেন।

বেবি কেয়ার ২ খাওয়ার নিয়ম

যেসব বাচ্চার বয়স 6 থেকে 18 মাস এর মধ্যে তাদেরকে এই দুধ খাওয়ানোর জন্য বলা হয়। বেবি কেয়ার ১ যেমন ভিন্ন বয়সের জন্য তেমনভাবে বেবি কেয়ার ২ হচ্ছে ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য। এই সময় বাচ্চারা একটু বড় হয়ে যায় যার কারণে তাদেরকে খাওয়ানোর নিয়ম ভিন্ন হয়। ২১০ মিলি পানিতে সাত চামচ পরিমাণ বেবি কেয়ার ২ মিশিয়ে

বাচ্চাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন থেকে পাঁচ বার পান করাবেন। আপনার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন। দুধ এবং পানি সব সময় ভালোভাবে মিক্স করবেন যেন গুঁড়ো দুধ পানির সাথে একটু অবশিষ্ট না থাকে। যেই ফিডারে খাওয়াবেন সে ফিদার প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন যাতে সেখানে কোন রকমের জীবাণু না থাকে।

এরপর পরিমান মত পানি এবং পরিমাণ মতো দুধ নিয়ে মিক্স করবেন। কখনো অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি অথবা গরম পানি দিয়ে মিক্স করবেন না। সব সময় চেষ্টা করবেন কুসুম গরম পানি নেওয়ার তাহলে বাচ্চা খুব ভালোভাবে খেতে পারবে। চামচ দিয়ে দুধ নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্যাকেটের ভেতরে যে চামচ রয়েছে সে চামচের পরিমাণ অনুযায়ী নিবেন। বাহির থেকে কোন চামচ দিয়ে পরিমাপ করবেন না।

বেবি কেয়ার ২ দাম

অনলাইনে অনেক পেজে অথবা আপনি যে কোন কনফেকশনের দোকানে বা ফার্মেসির দোকানে এ দুধ কিনতে পাবেন।
  • ৪০০ গ্রাম বেবি কেয়ার ২ এর দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে দাম এবং মেয়াদ যাচাই করে নেবেন। অনেকে আছে যারা দাম বেশি নিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে এবং কম মেয়াদের বা মেয়াদ ছাড়া দুধ দেয়। আপনার বাচ্চাকে কখনোই মেয়াদ ছাড়া দুধ খাওয়াবেন না এতে করে বাচ্চার জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বেবি কেয়ার মিল্ক

মায়ের বুকের বিকল্প কোন দুধ হতে পারে না। অনেক সময় দেখা যায় মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাকে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত না বা সে পরিমাণ পর্যাপ্ত দুধ পাওয়া যায় না যার কারণে ডাক্তার ভিন্ন যেসব দুধ রয়েছে সেগুলো খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেয়। ফর্মুলা দুধ অনেক রয়েছে সেসবের মধ্যে একটি হচ্ছে বেবি কেয়ার।


এই দুধ বেশ কয়েক বছর ধরে বাচ্চাদেরকে মায়ের বুকের পরিবর্তে খাওয়ানো হয়ে আসছে। বেবি কেয়ার বাচ্চাদের বয়স ভিন্নতার দিকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়। শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য বেবি কেয়ার ১ এবং ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য বেবি কেয়ার ২ বানানো হয়েছে। মায়ের বুকের দুধ বাচ্চার শরীরে যেরকম পুষ্টিগুণ জোগাতে সাহায্য করে

এই দুধ সেরকম না পারলেও বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং কিছুটা হলেও বাচ্চার শরীরে পুষ্টিগুণ জোগাতে সাহায্য করে। বাচ্চাকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দুধের প্রয়োজন হয় আর এ দুধ বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে এই দুধ খাওয়াতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে প্রথমে ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে পরামর্শ করে নিয়ে

ডাক্তার যে মোতাবেক এবং যে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে বলবে সেভাবেই আপনি খাওয়াবেন তাহলে আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য এই দুধ উপকারী হবে।

শেষ কথা

আপনার বাচ্চাকে বেবি কেয়ার দুধ খাওয়াতে চাইলে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াবেন এবং কখনো নিয়মের বেশি খাওয়াবেন না ও খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তার যেভাবে বলে সেভাবে খাওয়াবেন তাহলে আপনার বাচ্চা বেশি উপকৃত হতে পারবে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কখনোই জোরাজোরি করবেন না। চেষ্টা করবেন তাদেরকে সুবিধামতো খাওয়ানোর।


আমার এই পোস্টে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের বাচ্চাদেরকে বেবি কেয়ার দুধ খাওয়াতে চাইলে সে সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url