যেকোনো তরকারি ডাল এবং মাংসে অতিরিক্ত লবণ কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয় কি জানতে চাচ্ছেন তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য আমি এই পোষ্টের মধ্যে তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয় এবং মাংসের তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয় ও বিরানিতে লবণ বেশি হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ডালে লবণ কমানোর উপায়,গরুর মাংসে লবণ বেশি হলে কি করনীয় এবং লবণ বেশি হলে করণীয়,খিচুড়িতে লবন বেশি হলে করণীয় ও লবণ বেশি খেলে কি হয়, কোন তরকারিতে লবণ লাগে না সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

লবণ তরকারি রান্না করার ক্ষেত্রে এমন একটি উপাদান যা ছাড়া তরকারি কখনোই পরিপূর্ণ হবে না। পরিমাণ মতো লবণ তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি করে অপরদিকে আপনি যখন পরিমাপের তুলনায় লবণ বেশি দিয়ে দিবে তখন তরকারি স্বাদ একেবারে নষ্ট করে দিবে। এতটাই স্বাদ নষ্ট করে যে তা খাওয়ার যোগ্য থাকে না।

তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয়

অনেক সময় নিজের অনিচ্ছাকৃত তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে যায়। তরকারিতে লবণ বেশি হওয়ার কারণে সকলের সামনে বিভিন্ন রকম কথার সম্মুখীন হতে হয়। এখন থেকে তরকারিতে লবণ বেশি হলে আর দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। চলুন এবার আমরা কিছু উপায় জানি যে উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনার তরকারিতে লবণ বেশি হলেও আপনি লবণ কমিয়ে নিতে পারবেন-

  • আমাদের বাসায় সকলেরই চিনি থাকে যখন তরকারিতে লবণ বেশি হবে তখন আপনি চিনি এবং ভিনেগার এই দুইটা একসাথে মিক্স করে তরকারিতে দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার তরকারির লবণ বেশি হওয়ার পরিমাণ সামঞ্জস্য হয়ে যাবে।
  • পেঁয়াজ তরকারি লবণ কমাতে অনেক সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি পেঁয়াজ কুচি করেও কেটে দিতে পারেন অথবা পিঁয়াজ ভেজেও বেরেস্তা করার মাধ্যমে দিতে পারেন। দুই পদ্ধতির যেকোনো এক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে আপনার তরকারি থেকে লবণ কমে যাবে।
  • আলু লবণ চুষে নিতে সক্ষম এজন্য তরকারিতে লবণ বেশি হলে কয়েকটা আলো গোল গোল করে কেটে দিবেন। অবশ্যই সিদ্ধ আলু হতে হবে। দেখবেন আপনার তরকারি থেকে লবণ চুষে নিছে। শুধু লবণই নয় যদি আপনার তরকারিতে ঝোল বেশি হয় তাহলে আপনি এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন।
  • টকদই যেমন ভাবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে তেমনি ভাবে খাবারের লবণ বেশি হলে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতেও টক দই অনেক কার্যকা। তরকারিতে যখন লবণ বেশি হবে আপনি এক থেকে দুই চামচ টক দই তরকারিতে মিশিয়ে দেবেন দেখবেন নিমিষেই আপনার তরকারি থেকে লবণের ভাব দূর হয়ে গেছে।
  • আপনি যদি সবজির তরকারি রান্না করেন আর সেখানে যদি লবণ বিষয় সেক্ষেত্রে আপনি কিছু পরিমাণ সবজি ছোট ছোট করে কেটে সেখানে দিয়ে দিবেন তাহলে তরকারির পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে লবণের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
  • পানির পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিলেও তরকারিতে লবণের পরিমাণ কমে যায় অর্থাৎ যখন আপনার তরকারিতে লবণ বেশি হবে তখন আপনি কিছু পানি সে তরকারির সাথে মিশিয়ে দিন ঝোল বেশি হওয়ার কারণে লবণের পরিমাপ সামঞ্জস্য হয়ে যাবে।
  • আপনার বাসায় যদি টক দই না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দুধ দিতে পারেন। দুধও তরকারি থেকে লবণ কমাতে সাহায্য করে।
  • যদি আপনার বাসায় ক্রিম থাকে সেক্ষেত্রে কিছু ক্রিম তরকারিতে মিক্স করে দেবেন এতে করে তরকারি ক্রিম ভাব হবে এবং তরকারি থেকে অতিরক্ত লবণ দূর হয়ে লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
  • আরেকটা সহজ পদ্ধতি হচ্ছে সিদ্ধ ময়দা অথবা কাঁচা ময়দার বল তৈরি করে তরকারিতে ছেড়ে দেবেন এতে করে সে আটা তরকারি থেকে লবণ চুষে নিবে।
  • লেবুর রস তরকারি থেকে লবণাক্ত ভাব কমাতে পারে তাই আপনার তরকারিতে লবণ বেশি হলে কয়েক টুকরো লেবু চিপে রস তরকারিতে দিয়ে দেন।
  • টমেটো কুচি কুচি করে দেয়ার মাধ্যমেও তরকারি থেকে লবণ কমানো যায়। তরকারিতে টমেটো দেয়ার কারণে তরকারি স্বাদ বৃদ্ধি হবে এবং অতিরিক্ত লবণও কমে যাবে।
আপনার তরকারিতে লবণ বেশি হলে আপনি এই উপায় গুলো অনুসরণ করবেন দেখবেন আপনার তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ কমে গিয়ে তার স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু হবে।

মাংসের তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয়

কোন স্পেশাল দিনে অথবা বাসায় মাঝে মধ্যে মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে যদি লবণ হয়ে যায় তাহলে সবারই মন খারাপের কারণ হয়। মাংসে লবণ বেশি হলে কিছু উপায় রয়েছে সে উপায়গুলো লক্ষ্য করে কাজ করলেই মাংস থেকে লবণ কমে যাবে। প্রথম যে উপায় তা হচ্ছে মাংসের তরকারিতে লবণ বেশি হলে কিছু পরিমাণ মাংস সেখানে ছোট ছোট করে কেটে দিবেন

তাহলে মাংসগুলো লবণ চুষে নিয়ে লবণের মাত্রা স্বাভাবিক করে তুলবে। যদি আপনার কাছে অতিরিক্ত মাংস না থাকে তাহলে আপনি আলুর টুকরো অথবা টমেটো টুকরো দিতে পারেন তাহলেও আপনার তরকারি লবণ সামঞ্জস্য পরিমাণ হয়ে যাবে। আলু দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সিদ্ধ আলু দিবেন তাছাড়া আপনার সেই আলো পরবর্তীতে সিদ্ধ হবে না।

পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তরকারিতে দিলে যে কোন তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি বেরেস্তা মাংসের তরকারিতে দেন তাহলে আপনার তরকারির স্বাদ আরো বৃদ্ধি হবে এবং পাশাপাশি বেরেস্তা মাংসের তরকারি থেকে লবণ কমাতেও পারে। বাসায় যদি টক দই থাকে তাহলে টক দই মাংসে দিয়ে দেবেন

অথবা টক দই না থাকলে সেক্ষেত্রে গরুর দুধ বা প্যাকেটের দুধও তরকারিতে দিলে মাংশের তরকারির লবণের পরিমাণ কমে যায়। ময়দার বল করে মাংসের তরকারিতে ছেড়ে দেয়ার মাধ্যমেও আপনি তরকারি থেকে লবণ কমিয়ে নিতে পারবেন। ভিনেগার এবং চিনি একসাথে মিক্স করে মাংসের তরকারিতে দিলেও তরকারি থেকে লবণের পরিমাপ কমে যায়।

আপনি এ কয়েকটি উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করলে আপনার মাংসের তরকারি থেকে লবণ কমিয়ে ফেলতে পারবেন এবং তরকারি স্বাদ কেউ স্বাভাবিক লবণের মতো রাখতে পারবেন।

বিরিয়ানিতে লবণ বেশি হলে করণীয়

কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে অথবা খুব কম সময় বাসায় বিরিয়ানি রান্না হয়। বিরিয়ানি রান্নার ক্ষেত্রে যদি বিরিয়ানিতে লবণ বেশি হয়ে যায় তাহলে বিরিয়ানি কোনভাবে খাওয়ার যোগ্য থাকে না। বিরিয়ানি সকলের অনেক পছন্দের খাবার এই খাবারে যদি এমন অঘটন ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সকলের সামনে লজ্জিত হতে হবে।

চলুন এবার আমরা জানি কিভাবে বিরানি থেকে লবণ কমানো যায়। কিছু পরিমাণ চিনি বিরিয়ানিতে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলেই দেখবেন সেখান থেকে লবণাক্ত ভাব কমে গেছে। চিনি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণ দিবেন না তাহলে তা মিষ্টি হয়ে যাবে। বাসায় যদি ভিনেগার থাকে সেক্ষেত্রে ভিনেগার এবং চিনি একসাথে করেও আপনি বিরিয়ানি তে দিতে পারেন

এতে করেও বিরিয়ানি থেকে লবণের পরিমাণ কমে যাবে। বিরিয়ানিতে বেরেস্তা অবশ্যই প্রয়োজন। বেরেস্তা বিরিয়ানির স্বাদ বৃদ্ধি করে। যদি আপনার বিরিয়ানিতে লবণ বেশি হয় সেক্ষেত্রে আপনি বেরেস্তার পরিমাণ একটু বেশি দেবেন এতে করে আপনার বিরানি অতিরিক্ত লবনের পরিমাণ কমে যাবে।

কয়েক টুকরো সিদ্ধ আলো বিরিয়ানিতে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখবেন এতে করে সে আলুগুলো বিরিয়ানি থেকে অতিরিক্ত লবণ চুষে নিবে। সামান্য পরিমাণ লেবুর রস বিরিয়ানিতে দিলেও লবণাক্ত ভাব কিছুতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। কিছু পরিমাণ টক দই অথবা দুধ বিরিয়ানিতে মিক্স করে দিলেও অতিরিক্ত লবনের পরিমাণ কমে যায়।


বিরিয়ানিতে লবণ বেশি হলে আপনি এই উপায়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ করলে আপনার বিরিয়ানি থেকে লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং খেতেও সুস্বাদু হবে এবং আপনার সম্মানও বেঁচে যাবে।

ডালে লবণ কমানোর উপায়

বাসায় মাঝে মধ্যে ডাউল রান্না করা হয়। ডাল অনেকের পছন্দের একটি তরকারি। ভাতের সাথে ডাল খাওয়ার কারণে শরীরে অনেক রকমের উপকারিতা পাওয়া যায়। ডালে যদি অতিরিক্ত লবণ হয়ে যায় তাহলে সেই ডাল আর খাওয়ার মত থাকে না। ডালে যখন আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ হবে তখন আপনি কিছু পরিমাণ ঘি ডালে মিক্স করে দিবেন

এতে করে ডাল আরো বেশি সুস্বাদু হবে এবং লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পেঁয়াজ কুচি করে দেয়ার মাধ্যমে অথবা বেরেস্তা করে দেয়ার মাধ্যমেও ডাল থেকে লবণের পরিমাণ কমানো যায়। ডালে আলো দেওয়ার কারনে ডালের ঘনত্ব বেশি হয় এবং খেতেও সুস্বাদু লাগে লবণ বেশি হওয়ার কারণে আপনি সিদ্ধ আলু ডাউলে দিতে পারেন তাহলে ডাউলের লবণের পরিমাণ কমে যাবে।

সিদ্ধ টমেটো ডাউলে দেয়ার কারণে ডালের স্বাদ বৃদ্ধি হয় এবং অতিরিক্ত লবণের পরিমাণও কমে যাবে। ডালে লবণ বেশি হলে আপনি এর উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনার ডাল থেকে অতিরিক্ত লবনের পরিমাণ কমে যাবে।

লবণ বেশি হলে করনীয়

অনেক সময় নিজের অনিচ্ছায় তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি তরকারিতে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন এতে করে লবনের পরিমাণ কমে যাবে। যদি সেটা সবজির তরকারি হয় তাহলে সেখানে আরো কিছু পরিমাণ সবজি যুক্ত করে দেবেন। সবজি দেয়া ক্ষেত্রে অবশ্যই সিদ্ধ সবজি দেয়ার চেষ্টা করবেন।

আলু সিদ্ধ করে দিলে সবচেয়ে বেশি তা কার্যকারী হয় কারণ আলুতে খুব তাড়াতাড়ি লবণ চুষে নিতে পারে। ভিনেগার এবং চিনি একসাথে করেও তরকারিতে দিলে তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ কমে যায়। পেঁয়াজ কুচি করে অথবা পেয়াজ বেরেস্তা করে দেয়ার মাধ্যমেও তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ কমে,তবে টক দই অথবা দুধ তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন


এই পদ্ধতিও আপনার তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে। ময়দার বল তরকারিতে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই সে ময়দা গুলো তরকারি থেকে অতিরিক্ত লবণ চুষে নিতে সক্ষম হয়। এ পদ্ধতি গুলো আপনি অনুসরণ করলে আপনার তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ কমিয়ে নিতে পারবেন।

যেকোনো তরকারির উপরে আপনি এইসব উপায়গুলো প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনার তরকারি থেকে লবণ নিমিষেই দেখবেন দূর হয়ে যাবে।

খিচুড়িতে লবণ বেশি হলে করণীয়

বৃষ্টির দিনে অথবা শুক্রবার সকালে বাসায় সাধারণত খিচুড়ি রান্না হয়ে থাকে। খিচুড়ি অনেক সুস্বাদু খাবার যখন সেখানে লবণের পরিমাণ বেশি হয়ে যাবে তখন তা মোটেও সুস্বাদু থাকবে না। খিচুড়িতে লবনের পরিমাণ বেশি হলে আপনি সামান্য পরিমাণ চিনি মিক্স করে দিতে পারেন এতে করে লবনের পরিমাণ কম দেখাবে।

ভিনেগার এবং চিনি এই দুইটা উপাদান একসাথে মিক্স করেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন এতেও ভালো ফলাফল পাবেন। খিচুড়ি যদি সবজি খিচুড়ি হয় তাহলে আপনি কিছু পরিমাণ সবজি সিদ্ধ করে অথবা আলু সিদ্ধ করেও সেখানে দিতে পারেন এতে করে সেই সবজিগুলো তোর খিচুড়ি থেকে অতিরিক্ত লবণ চুষে নেবে।

পেঁয়াজ বেরেস্তা করে দেয়ার মাধ্যমেও আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যদি তা পাতলা খিচুড়ি হয় সেক্ষেত্রে আপনি সেখানে পানির পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিবেন এতে করে লবণ সামঞ্জস্য হয়ে যাবে। লেবুর রস ব্যবহার করার মাধ্যমেও আপনি আপনার তরকারি খিচুড়ি থেকে লবণের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পারবেন।

টক দই অথবা দুধ ব্যবহার করার কারণেও মাধ্যমেও খিচুড়ি থেকে অতিরিক্ত লবনের পরিমাণ কমে যাবে। এখন থেকে আপনার খিচুড়িতে যদি লবণের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার খিচুড়ি থেকে অতিরিক্ত লবণ কমিয়ে তা স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং আপনার খিচুড়ি ও খেতে সুস্বাদু হবে।

কোন তরকারিতে লবন লাগে না

মাঝে মধ্যে দেখা যায় কেউ এসে একটি ধাঁধা জিজ্ঞেস করে সে ধাঁধাঁটি হচ্ছে কোন তরকারি রান্না করার ক্ষেত্রে সেখানে লবণের প্রয়োজন হয় না? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা থাকে না কারণ লবণ ছাড়া তরকারি কোনভাবেই সম্ভব নয়। লবণ তরকারির উপাদান গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ লবণ তরকারির সাদকে নিয়ন্ত্রণে রাখে

এবং খাওয়ার জন্য উপযোগী করে তোলে। এখন যদি আপনাকে বলা হয় কোন তরকারিতে লবণ ব্যবহার করা হয় না সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ভ্যাপাচেকার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন। এর উত্তর খুবই সহজ ইলিশ কয়েক ধরনের রয়েছে লোনা পানিতে হয় লোনা পানিতে ইলিশ হওয়ার কারণে তা আগে থেকেই লবণাক্ত থাকে রান্না করার ক্ষেত্রে পুনরায় লবণ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।


পুনরায় লবণ ব্যবহার করার কারণে সেখানে লবনের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যায়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন এখন থেকে যদি আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে যে কোন তরকারিতে লবণ ব্যবহার করা লাগে না তাহলে আপনি উত্তর দিবেন লোনা ইলিশ রান্না করার ক্ষেত্রে লবণের প্রয়োজন পড়ে না কারণ সেখানে আগে থেকে লবনের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে।

শেষ কথা

লবণ তরকারির স্বাদকে সবসময় বৃদ্ধি করে অনেক ক্ষেত্রে মনের ভুলে তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে যায় এখন থেকে তরকারিতে লবণ বেশি হলে কোনভাবে চিন্তিত হবেন না। যে উপায়গুলো উপরে বলা হলো সেগুলো অনুসরণ করবেন দেখবেন আপনার তরকারি থেকে লবণের পরিমাণ কমে গেছে এবং তরকারির স্বাদ অক্ষত রয়েছে

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারা তাদের তরকারিতে লবণ বেশি হলে কি কি কাজ করণীয় সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url