কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়- কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম, কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ কি কি সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম,কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় এবং দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার কোনগুলো সেগুলো সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক যাতে আমরা জানতে পারি কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়।

ভূমিকা

আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় শারীরিক অনেক সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। এটি এমন একটি সমস্যা যা আস্তে আস্তে পেটের বড় কোন ক্ষতি করে দেয়। এ সমস্যা মূলত হয়ে থাকে কোন কিছু খাওয়ার মাধ্যমে অথবা হজম শক্তি দুর্বলতার কারণে।

কোষ্ঠকাঠিন্য - কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পিছনে কিছু কারণ থাকে সে কারণ গুলো যখন আমাদের পেটে প্রবেশ হয় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দেখা দেয়। কষ্ঠকাঠিন্য বলতে বোঝায় এমন সমস্যা যা মলত্যাগ সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে কষ্ট হতে থাকে এবং মলত্যাগ করার সময় ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি জ্বালাপোড়া অনুভব হয়।


কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পিছনে মূল কারণ থেকে দুইটি হজম শক্তি ঠিক ভাবে না হওয়া এবং পেটের চাহিদা অনুযায়ী খাবার না খাওয়া। যখন ফাস্টফুড অথবা মসলাযুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে থাকে তখন পেটের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। একটি মানুষের জন্য দিনে পানি খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে।

যখন সে সেই পরিমাণের তুলনায় কম পানি পান করে তখন শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। সেটার পাশাপাশি পেটেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। আঁশযুক্ত খাবার আমাদের পেটের জন্য অনেক উপকারী। যখন আপনি আসযুক্ত খাবার কম এবং সুষম খাবার কম খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে শর্করা ও আমিষ যুক্ত খাবার

অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে থাকবেন তখন আপনার কষ্ট সমস্যা দেখা দিবে। এসব ছাড়াও বিভিন্ন রোগের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয় যেমন ডাইবেটিক মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বা টিউমার টাইফয়েড কাঁপুনি জনিত রোগ পেট ব্যথা সময় বিছানায় শুয়ে থাকার কারণে অথবা কিডনির সমস্যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তাক্ত সাপের সমস্যা রয়েছে অথবা আলসার রয়েছে এবং আইরন ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ সেবনের অভ্যাস রয়েছে তাদের সমস্যা অনেক বেশি হয়। একবার হলে আপনি কখনোই তা ভালো না হওয়া পর্যন্ত পেট নিয়ে আরাম পাবেন না। ঠিক মতো বাথরুম না হওয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাধতে শুরু করে

এবং শরীরের যেসব কোষগুলো রয়েছে সেগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ারও কিছু লক্ষণ রয়েছে যখন সে লক্ষণগুলো আপনি অনুভব করবেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়েছে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার যেসব উপায়গুলো রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করে এই সমস্যা ভালো করতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যেসব লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা হচ্ছে দিনের মধ্যে স্বাভাবিক মানুষ যে তুলনায় মলত্যাগ করে সেই তুলনায় অনেকটাই মলত্যাগের সংখ্যা কমে যায়। মলত্যাগের সময় স্বাভাবিকভাবে মলত্যাগ হয় না এবং কষ্ট অনুভব হয়। মলত্যাগ করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। যে সময় বাথরুম করা হয় তখন অনেক চাপ দেওয়ার পরে তা সম্পূর্ণ হয়।

দীর্ঘ সময় বাথরুমে অতিবাহিত করার পরেও মলত্যাগের শান্তি অনুভব না হওয়া। পেট অধিকাংশ সময় ফুলে থাকা। তলপেটে ব্যথা অনুভব হওয়া। সাপোজিটার কিংবা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করার সাহায্যে মলত্যাগ করা। মল অনেক শক্ত হওয়া। যখন মল থেকে সময় আপনার এ সমস্যাগুলো দেখা যাবে

তখনই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে তা যত দূরত্ব সম্ভব ভালো করা উচিত অন্যথায় এখান থেকে বড় কোন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি অনুসরণ করলে চিকিৎসা করা ব্যতীত আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে যাবে এবং সে উপায়গুলো অতি সহজ। সামান্য গুরুত্ব সহকারে উপায় গুলো পালন করলেই দেখবেন আপনি এই রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। যখন আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পায় তখন আমাদের শরীর অনেক পানি শূন্য হয় যার কারণে মলত্যাগের সময় সে প্রভাব পড়ে এবং সেখান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। একজন সুস্থ মানুষের জন্য উচিত প্রতিদিন দুই লিটার করে পানি পান করা।
  • কলমি শাক হচ্ছে ফাইবার ও আশযুক্ত খাদ্য। আঁশযুক্ত খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করা পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। এ জন্য যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কলমি শাক খাবেন। যারা ডায়েট করে কলমি শাক তাদের জন্য অনেক উপকারী।
  • কলা শুধু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয় বরং কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দ্রুত দূর করতে পারে এবং কলাতে আরো রয়েছে পটাশিয়াম যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। এজন্য আপনার উচিত হবে প্রতিদিন তিন বেলায় একটি বা দুইটি করে কলা খাওয়া তাহলে দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গেছে।
  • যারা অধিকাংশ সময় মানসিক সমস্যায় ভুগেন তারা নিজের মানসিক চাপ কমাতে থাকবেন। যখন মানসিক চাপের পরিমাণ বেশি হয় সেই সময়ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয় এজন্য আপনার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলার।
  • এমন খাবার খাবেন যেগুলো আঁশযুক্ত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যেমন সবুজ শাকসবজি ফলমূল লাল আটা এবং লাল চালের ভাত।
  • ডাল আমাদের অনেক পছন্দের একটি খাবার। ডালেও যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে এজন্য আপনি যদি খাবারে প্রতিবেলায় ডাল খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব দ্রুত ভালো হবে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে সবজি খাবেন। সবজিতে থাকা সকল রকমের ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং সবজি খুব সহজে আমাদের পেটে হজম হয়।
  • যেসব ফল খোশাসহ খাওয়া যায় যেমন আপেল আলু টমেটো পেয়ারা এগুলো খোসা সহ হয় খাবেন। প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন তারপর খোসা সহ চিবিয়ে খেয়ে নেবেন তাহলে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার শরীরে প্রবেশ করাতে পারবেন এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হবে।
  • নিয়মিত ডাবের পানি পান করবেন। ডাবের পানিতে অসংখ্য পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ডাবের পানিতে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে।
  • খাবারের তালিকায় ফাইবার বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই একদিনে বাড়াবেন না। প্রতিদিন অল্প অল্প করে বাড়ানোর চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন আপনার শরীরের সাথে সহজে মিশে যাবে অন্যথায় একেবারে অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়ার কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুষি অত্যন্ত কার্যকরী একটি সমাধান। আপনি নিয়মিত একটি পান করলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে গেছে। দিনের মধ্যে অন্তত দুইবার করে এটি পান করবেন।
  • প্রতিদিন কিছু শরীর চর্চা করা জরুরী। যখন শরীর চর্চা করা হয় তখন শরীরের প্রতিটি অঙ্গে চাপ পড়ে যার কারণে শরীরে যেই পানি রয়েছে তা প্রত্যেকটি অঙ্গে যাওয়ার কারণে শরীর সুস্থ থাকে। যদি ব্যায়াম করা সম্ভব না হয় তাহলে কিছু সময় প্রতিদিন হাটাহাটি করবেন এতে করেও আপনি ব্যায়াম করার মত ফায়দা পাবেন।
  • যখন পায়খানা করার বেগ আসবে তখন কোন রকমেই চেপে রাখবেন না। যত দ্রুত সম্ভব আপনি তা সেরে নেবেন। অতিরিক্ত সময় তার চেপে থাকার কারণে আস্তে আস্তে শরীরে রোগের বাসা বাঁধে।
  • অনেক রকমের ওষুধ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যখন আপনি দেখবেন কোন ওষুধ খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হচ্ছে তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
  • খাবারের পরে যদি টক দই খাওয়া হয় তাহলে ঠিকমতো খাবার হজম হয় এবং পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকেও নিরাপদ থাকা যায়।
  • রুটিন অনুযায়ী খাবার খেতে হবে অর্থাৎ নিয়মিত একই সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রতিদিন বিভিন্ন সময় খাবার খাওয়ার কারণে পেটে ঠিকমতো খাবার হজম হয় না যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়। যখন আপনি প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে থাকবেন তখন তা পেটের সাথে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারবে।
  • বাথরুমে যাওয়ার পরে যদি মলত্যাগ না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে চাপাচাপি করবেন না বরং সেখান থেকে উঠে এসে পরবর্তীতে আবার যে সময় বাথরুমের বেগ আসবে তখন যাবেন।
  • চা কফি এই জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
  • খাবার রান্না করার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত মসলা বা তেল ব্যবহার করবেন না। যতটুকু সম্ভব হয় মসলা কম দিয়ে খাবার রান্না করার চেষ্টা করতে হবে।
  • ভাজাপোড়া জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে যেমন পুরি সিঙ্গারা সমচা পরোটা এগুলো সব সময় এড়িয়ে চলবেন।
  • প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে সকালে সকালে ডিম খাওয়ার ফলে বেশি উপকৃত হওয়া যায়।

আপনি এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা চিকিৎসা ছাড়াই ভালো করে নিতে পারবেন এবং এতে করে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে ও আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলেও আপনি খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো করতে পারবেন। আমাদের অজান্তে আমাদের ঘরে এমন কিছু সামগ্রী থাকে যেগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসে। তেমনি ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতেও আমাদের ঘরে বেশ কিছু প্রসাধনী রয়েছে। চলুন এবার আমরা সেই জিনিসগুলোর নাম জানি
  • আমাদের সকলের বাসাতে লেবু থাকে। লেবু আমরা ভাতের সাথে খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই জানিনা যে সকাল বেলা খালি পেটে লেবু লবণ এবং আদা একসাথে মিক্স করে খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়। লেবু পানি লবণ এবং আদা প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় পান করবেন।
  • কোরআন শরীফে বলা হয়েছে মৃত্যু বাদের সকল রোগের ওষুধ হচ্ছে মধু। এ মধু আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ ভালো করে। দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন চামচ মধু খাইলে খুব সহজে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সহ পেটের যাবতীয় সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কলমি শাক অথবা পালং শাক খাবেন এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এগুলো খুব সহজে পেতে হজম হয়।
  • ক্যাস্টর অয়েল যা শুধু আমরা ত্বক অথবা তুলে যত্ন ব্যবহার করে থাকি এছাড়াও আপনি যদি সকালে খালি পেটে দুই চামচ পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল খান তাহলে আপনার পেটের সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।
  • বাসায় খাবারের তালিকায় প্রতিদিন দুই থেকে তিন রকমের সবজি রাখার চেষ্টা করবেন। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে এক রকমের সবজি রাখবেন।
  • বাসায় নিয়মিত কলা রাখার চেষ্টা করবেন সকাল বিকাল এবং রাত্রে একটি করে কলা খাওয়ার কারণে শরীর সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা ভালো হয়।
  • সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খাবেন সবুজ শাকসবজিতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে।
  • বাসায় রান্না করার ক্ষেত্রে তরকারিতে সবসময় মসলা কম ব্যবহার করবেন।
  • অন্য চাউল খাওয়ার পরিবর্তে লাল চাউল খাওয়া শুরু করবেন এবং রুটি বানানোর ক্ষেত্রে সাদা ময়দার বিপরীতে লালময়দা ব্যবহার করবেন।
  • যেসব ফল বা সবজি খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাওয়া সম্ভব সেগুলো খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাবেন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন কমপক্ষে দিনের মধ্যে দুই লিটার পানি পান করা আবশ্যক।
  • নিজেকে সবসময় ভালো রাখবেন এবং হাসিখুশি থাকবেন অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকবেন।
  • প্রতিদিন বাসার ভিতরে কিছু শরীর চর্চা করবেন। যদি বাহিরে বের হওয়া সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে বাহিরে অন্যথায় বাসার ভিতরেই শরীরচর্চা করতে হবে।
  • বাসায় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় রুটিনের মধ্যে খাবার খাবেন অনিয়ম করে অথবা অরুচি করে খাবার খাবেন না।
  • প্রতিদিন একটি করে ডিম এবং একটি করে শসা চিবিয়ে খাবেন এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হবে।
  • বাসায় তরকারি রান্না করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আঁশযুক্ত যেসব তরকারি রয়েছে সেগুলো রান্না করতে বলবেন শর্করা এবং আমিষ জাতীয় খাবার বাসায় কম কম নিয়ে আসবেন।
  • বাসায় বানিয়ে কখনোই চা কফি খাবেন না এবং বাহিরেও চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • বাথরুমে বসার ক্ষেত্রে নিজের সুবিধামতো বসবেন এবং এমনভাবে বসবেন না যাতে মজা অতিরিক্ত নিচু হয়ে থাকে এতে করে আপনি আরামে পায়খানা করতে পারবেন না।
  • প্রতিদিন সম্ভব হলে একটি করে আপেল বা একটি করে কমলা খাবেন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং ফাইবার থাকে।
  • প্রতিদিন জিরা লং এলাচ এগুলো দিয়ে পানি গরম করে পান করবেন এভাবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা রাত্রে ঘুমানোর আগে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়।
আপনি এইসব ঘরোয়া উপায় মেনে চললে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার কষ্টের কষ্টকাঠিন্যর সমস্যা থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং আপনি আপনার জীবন স্বাভাবিক ভাবে পার করতে পারবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সিরাপ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার যেমন উপায় রয়েছে তেমনিভাবে কিছু সিরাপ রয়েছে যেগুলো পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে যায়। এই সিরাপ গুলোকে তখনই পান করা উচিত যখন যেসব উপায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় সে উপায় গুলো কাজে না দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সাথে সাথেই সিরাপ পান করা উচিত নয়। চলুন এবার আমরা সেই সব সিরাপের নাম জানি-
  • Lactihep Syrup এই সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার পাশাপাশি বদহজম পেট ফোলা এ সমস্যাগুলো দূর করে। এই সিরাপটি সান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির দ্বারা প্রস্তুত করা হয়।
  • Lactulose syrup
  • Dulcoflex syrup
  • Avolac Syrup
  • Dlac Syrup
  • Dulax Syrup
  • Milk Of Magnesia
  • Creamffin Plus Syrup
  • Adovas Syrup
  • Carmina syrup
  • Ezylax syrup
  • Serelose Syrup
এই প্রত্যেকটি সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সক্ষম। এই সিরাপ গুলো খাওয়ার আগে আপনি অবশ্যই নিয়ম অনুসারে খাবেন এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে ডক্টরের সাথে পরামর্শ করে নিবেন এতে করে আপনি বেশি উপকৃত হতে পারবেন। কখনোই নিয়মিত অতিরিক্ত খাবেন না তাহলে আপনার পেটে সমস্যা হতে পারে।


নিয়ম অনুযায়ী খাইলে খুব দ্রুত আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুষি অত্যন্ত কার্যকারী। শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় না বদ হজম পেট ফোলা এরকম পেটে যাবতীয় সমস্যার ইসুবগুলের ভুষি বেশ কার্যকর। এটা এমন একটি জিনিস যা আঁশযুক্ত হওয়ার কারণে পেটে খুব সহজে হজম হয় এবং পেটের ভিতর থেকে যাবতীয় সমস্যা দূর করে দেয় দিন।

রাত মিলিয়ে দুইবার ইসুবগুলের ভুসি খাইলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী সময় হচ্ছে যে কোন দুইবার খাবারের পরে খাওয়া। কখনোই তা খালি পেটে খাবেন না। খাবার খাওয়ার পরে অর্থাৎ সকালে নাস্তা করার পরে অথবা দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে এবং রাতে খাবার খাওয়ার পরে এটি খাবেন।

তাহলে আপনি বেশি উপকৃত হতে পারবেন। ২৫০ মিলি বা ৩০০ মিলি পানিতে দুই থেকে তিন চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশাবেন। পানি নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হবে কুসুম গরম পানি নিলে। এরপর চামচ দিয়ে গুলিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেবেন। একটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখা জরুরী তা হচ্ছে দিনে দুইবার ইসুবগুলের ভুসি পান করার সাথে পানি পান করার কোন সম্পর্ক নেই।

সম্পূর্ণ আলাদাভাবে দুই লিটার পানি পান করতে হবে অর্থাৎ এসব গুলোর ভুসি পান করার পরিমাণ আলাদা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা দুইটি বিষয়কে কখনো একসাথে মেশানো যাবে না। এ পদ্ধতিতে আপনি কিছুদিন ইসবগুলের ভুষি খাইলে দেখবেন ভালো ফলাফল পাবেন এবং আপনার পেটের যাবতীয় সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও অনেক দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

এরপর আপনি বাথরুম করার সময় অনেক আরাম অনুভব করবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পিছনে কিছু বিশেষ কারণ থাকে। যখন সে কারণগুলা অবলম্বন করা হয় তখনই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা শুরু হতে থাকে এবং তা আস্তে আস্তে আমাদের বিভিন্ন রকমের কষ্টের সম্মুখীন করে। ঠিকমতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করার কারণে। খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা ব্যবহার করলে এবং ফাস্ট ফুডের খাবার অতিরিক্ত খাবার ফলে।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে শতকরা এবং আমিষযুক্ত খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে। নিয়মিত শরীর চর্চা না করার কারণে। দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে বা বসে থাকলে। অতিরিক্ত মানসিক চিন্তা হলে। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় চা কফি পান করলে। আয়রন ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ যে ওষুধগুলো রয়েছে সেগুলো সেবন করলে।

কিডনি রোগ জনিত সমস্যায় থাকলে। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ। টাইফয়েড। পেট ব্যথা। বাথরুমে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে। ঠিকভাবে ঘুম না হলে। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে। ঠিক সময় খাবার না খেলে। এসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। সব সময় চেষ্টা করবেন এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখার তাহলে আপনার কখনোই কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ হবে না।


বিশেষ করে প্রতিদিন আপনার উচিত হবে একটি মানুষের যে পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত সেই পরিমাণ পানি পান করা তাহলে দেখবেন আপনার শরীর সতেজ থাকবে এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে না ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হবে না।

দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

আপনি যদি খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আপনি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে দেখবেন অতি অল্প সময়ে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা চিরতরে চলে গেছে। এজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। খাবারের ক্ষেত্রে মসলা একেবারে কম ব্যবহার করতে হবে।

বাইরের খাবার কখনোই খাওয়া যাবে না। আঁশযুক্ত যেসব সবজিগুলো রয়েছে সেগুলো প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। খাবারের তালিকায় প্রতিদিন সবজি রাখতে হবে। পালং শাক এবং লাল কলমি শাক খেতে হবে। মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলতে হবে এবং সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে কলা খেতে হবে।

বিশেষ করে ইসবগুলের ভুষি প্রতিদিন দুইবার করে খাবেন। এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেগুলো ফাইবার সমৃদ্ধ তাহলে খুব তাড়াতাড়ি হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। ভাত এবং রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে লাল চাল এবং লাল একটা ব্যবহার করতে হবে। এই আটটায় ফাইবার বেশি থাকে।

লেবু পানি আদা এগুলো একসাথে করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাবেন। সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যেসব ফল খোসা ছাড়ানো ছাড়া খাওয়া যায় সে ফলগুলো খোসা সহ খাবেন। প্রতিদিন খাবারে ডাল রাখার চেষ্টা করবেন। ডাল নিয়মিত খাওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।

প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাটাহাটি করবেন অথবা ব্যায়াম করবেন। যখন পায়খানা করার চাপ আসবে তখন হাতের হাত পায়খানা করে নিতে হবে। কোনভাবেই তৈরি করা যাবেনা। যেসব ঔষধ গুলা শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে এইসব ওষুধগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।কোন রকমে নেশা করা যাবে না।

আপনি এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে দেখবেন খুব সহজে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ভালো হয়ে গেছে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে আপনি একেবারে স্বাভাবিক সুস্থ হয়ে উঠবেন। এছাড়া উপরে আরো অনেক উপায় বলা হয়েছে সেগুলো মেনে চললেও আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যায়াম করার ভূমিকা অপরিসীম। এমন কিছু ব্যায়াম পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও ভালো হতে সাহায্য করবে। সোজাসুজি ভাবে শুয়ে হাটুকে হাতের মাধ্যমে টেনে ধরে থাকবেন এবং আরেক পায়ে কে সোজাসুজি রাখবেন এভাবে কিছু সময় থাকবেন

এবং আস্তে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়বেন এবং নিঃশ্বাস নিবেন। এভাবে একটি পা ১০ সেকেন্ডের মত ধরে রাখবেন এরপরে সে পা ছেড়ে দিয়ে যে পা সোজাসুজি ছিল সেই পা ১০ সেকেন্ডের জন্য ধরে রাখবেন। এভাবে আপনি প্রতিদিন পাঁচবার করে করবেন। এরপর দুই হাত দিয়ে দুই হাটুকে টেনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধরে থাকবেন।

এই ব্যায়াম হয়ে গেলে তারপরে সোজাসুজি শুয়ে থাকা অবস্থাতে দুই হাতকে মাথার দিকে উপরে ছেড়ে দিবেন। এরপরে তাকে সোজা করে খাড়া দাড় করিয়ে দুই পাশে আস্তে আস্তে রোল করবেন একবার ডানদিকে মাজা ঘুরাবেন আরেকবার বাম দিকে কোমর ঘুরাবেন। এভাবে 6 থেকে সাত বার করবেন। আরেকটি ব্যায়াম হচ্ছে হেটুর উপরে ভর দিয়ে


এবং সামনে দুই হাতের উপরে ভর দিয়ে এমন ভাবে থাকবেন যাতে মেরুদন্ড এবং মাথা সমান থাকে এর পরে তা কিছু সময় থাকার পরে মাথা একটু নিচে নামাবেন তারপরে আবার উপরে তুলবেন এভাবে কিছুক্ষণ করবেন। আরেকটা ব্যায়াম হচ্ছে সিজদা দেয়ার মত করে মাথা সামনে রাখবেন এবং দুই হাত সামনের দিকে সোজাসুজি করে রেখে কিছু সময় এভাবে উঠাবসা করবেন।

আপনি এই তিন ধরনের ব্যায়াম করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। যদি আপনার পক্ষে ব্যায়াম করার মত সময় না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন 10 থেকে 15 মিনিট হাঁটাচলা করবেন। লাফালাফি করার মাধ্যমেও ভালো ফলাফল পেতে পারেন। একজন মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করা উচিত তাই আপনি যদি ব্যায়াম করেন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়

যখন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগবেন তখন আপনার ভেতরে কিছু সমস্যা দেখা দেবে এবং সেগুলো অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে থাকবে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হচ্ছে সব সময় আপনার শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকবে। কোন কাজ করার মাধ্যমে আপনি শান্তি পাবেন না। একটু সময় কাজ করলে দেখবেন আপনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন।

সব সময় আপনার ভিতরে অবসাদ জড়িয়ে থাকবে। এই ক্লান্তি দূর করার জন্য আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন কোন ভাবে আপনার ঘুম হবে না। অনিদ্রা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যাবে চোখের নিচে আস্তে আস্তে কালো দাগ পড়তে শুরু হবে। কোন পড়ালেখা করার সময় বা কোন কাজ করার সময় মনোযোগ দিতে পারবেন না।

মনোযোগ আস্তে আস্তে সব কিছু থেকে উঠে যেতে থাকবে এবং আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে মনোযোগ দিতে চাইলেও মনোযোগ সেখানে দেওয়া সম্ভব না। শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে একটা সময় গিয়ে খাবারের রুচিও অনেকটা হারিয়ে যায়। মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয় আপনি স্বাভাবিক অবস্থাতে থাকলেও দেখা যাবে মাথা ঘুরতে শুরু হয়েছে অথবা আপনার সামনে সবকিছু ঘুরছে।

ক্যান্সারের অনেকগুলো ধরন রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে কোলন ক্যান্সার যখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তখন ক্ষুধার চাহিদা অনেকটা কমে যায় এবং এখান থেকে কোলন ক্যান্সার হতে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। আপনার যে খাবারই খাবেন আপনার সেটাতে গ্যাস হবে এমনকি কোন কিছু না খাওয়ার ফলে বুকে জ্বালাপোড়া করতে থাকবে।

এক ধরনের রোগ রয়েছে যেদিন নামে অ্যাপেন্ডিসাইড। এই রোগ হলে কিডনি ব্যাথার সমস্যা হয় বিশেষ করে। এটাকে কিডনিজনিত রোগ হিসেবে ধরা হয়। যখন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগবেন তখন আস্তে আস্তে আপনার অ্যাপেন্ডিসাইড হতে লাগবে এবং অ্যাপেন্ডিসাইড হলে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়।

রক্তচাপের পরিমাণ অনেক তা বেড়ে যাবে এমনকি ডায়াবেটিসের সমস্যার আপনার হতে পারে। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনি চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব এ রোগকে ভালো করার যেসব উপায় বলা হয়েছে সে সব উপায় আপনি অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর ভালো হয়ে যাবে।

এরপরও যদি আপনার ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন এবং ডাক্তার যে মোতাবেক আপনাকে চলাফেরা করতে বলে এবং যে ওষুধগুলো দেয় সেগুলো খাবেন তাহলে আশা করা যায় খুব সহজে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে আপনার স্বাভাবিক মানুষ হয়ে চলাফেরা করতে পারবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। সেই খাবারগুলোতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের পেটের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বিশেষ করে আঁশযুক্ত যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক দ্রুত ভালো হয়।

সবুজ যে সব শাক সবজি রয়েছে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেসব ফল রয়েছে যেগুলো খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাওয়া যায় যেমন আপেল পেয়ার জলপাই এরকম আরো যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো সব সময় খোসা ছাড়ানো ছাড়াই খাবেন। সবচেয়ে জরুরী যে খাবার তা হচ্ছে কলা প্রতিদিন কমপক্ষে ও তিনটি করে কলা খেতে হবে।

তরকারিতে যদি আলো ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আলো কখনো ছিড়বেন না। খোসা সহ আলু রান্না করবেন। পালং শাক কলমি শাক লাল শাক এগুলো বেশি পরিমাণে খাবেন। লেবু চুষে খাওয়ার চেষ্টা করবেন অথবা লেবু পানি করে খাবেন। পাতাকপি গাজর শসা ধনিয়া পাতা কাঁচামরিচ অলিভ অয়েল এগুলো একসাথে করেও আপনি খেতে পারেন।

মুলার শাক কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে। ঘি যদি আপনার পেটে সহ্য হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ঘিও খেতে পারেন। কাজুবাদাম কিসমিস এগুলো সামান্য পরিমাণে করে খাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাবেন চেষ্টা করবেন। গরমকালে দিনে দুই থেকে একবার শরবত খাওয়ার। ইসবগুলের ভুসি খাবেন। আপনি এই খাবারগুলো নিয়মিত


খেতে থাকলে খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ভালো হয়ে যাবে এবং আপনি এই ব্যথা দায়ক রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।

শেষ কথা

আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর শুরুতেই ঠিকমতো চিকিৎসা না করেন অথবা যে উপায়গুলো বলা হলো সেগুলো অবলম্বন করে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না করেন তাহলে তা আস্তে আস্তে বড় রোগে বাসা বাঁধতে শুরু হবে এবং আপনার কষ্ট অনেক বেশি হতে থাকবে এজন্য যেসব উপায় বলা হলো সেগুলো মেনে চললে আপনি দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে গেছে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করবেন তাহলে তারাও তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে,,

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url