তরকারিতে ঝাল কমানোর উপায়- হাতে মুখে ঝাল লাগলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনি কি তরকারিতে ঝাল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আমি। এই পোষ্টের মধ্যে তরকারিতে ঝাল কমানোর উপায় এবং মাংসের ঝাল কমানোর উপায় ও মরিচের ঝাল কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে ঝাল কমানোর যাবতীয় উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তরকারিতে ঝাল কমানোর উপায়
এছাড়াও আপনি পোষ্টের মধ্যে পাবেন ঝাল লাগলে করণীয় এবং মরিচের ঝাল হাতে লাগলে করণীয় ও লঙ্কা বেটে হাত জ্বালা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

তরকারি রান্না করার ক্ষেত্রে ঝাল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনার তরকারিতে যদি ঝাল একেবারেই না থাকে সেক্ষেত্রে তরকারির স্বাদ হবে না আবার যদি তা পরক্ষণে ঝাল বেশি হয়ে যায় তাহলে খাবারের মান একেবারেই বাজে হয়ে যাবে। ঝাল এমন একটি জিনিস যা কম দেয়ার কারণে তরকারি খাওয়া গেলেও অতিরিক্ত হয়ে গেলে কোনভাবে সে তরকারি খাওয়া যায় না।


ঝাল সব সময় স্বাভাবিক রাখায় একটি তরকারি সুস্বাদু হওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

তরকারিতে ঝাল কমানোর উপায়

অনেকে আছে যারা তরকারিতে ঝাল বেশি খায়। আবার অনেকজন আছে ঝাল একেবারে খেতে পারে না। এক্ষেত্রে তরকারিতে অনেক সময় ঝাল বেশি হয়ে যায় তখন তাদের খাওয়ার জন্য অনেক অসুবিধায় পড়ে যেতে হয়। চলুন এবার আপনি কিভাবে আপনার তরকারি ঝাল কমাবেন সে সম্পর্কে জানি-
  • তরকারিতে যখন মাত্রাতিরিক্ত ঝাল হয়ে যাবে তখন সেখানে আপনি কিছু সিদ্ধ আরো দিয়ে দেন এতে করে আলো আপনার তরকারি থেকে ঝাল চুষে নিবে।
  • বাসায় যদি লেবু থাকে সেক্ষেত্রে কয়েকটি লেবু কেটে সামান্য পরিমাণ তরকারিতে দিয়ে দিন এতে করে তরকারির ঘ্রাণ সুন্দর হবে এবং ঝালের পরিমাণও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
  • ঝাল কমাতে দুধ ও অনেক বেশি কার্যকারী উপাদান। তরকারিতে আপনি দুধ দিলেও তরকারি ঝাল কমে যায়।
  • সামান্য পরিমাণ চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। চিনি তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে।
  • টক দইও তরকারি থেকে ঝাল কমাতে পারে এজন্য আপনার ঘরে যদি টক দই থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সামান্য পরিমাণ টক দই তরকারিতে দিয়ে দিবেন।
  • বাদাম পেস্ট করে দেয়ার মাধ্যমেও তরকারি থেকে ঝাল কমানো যায়। যেকোনো বাদাম অর্থাৎ পেস্তা বাদাম চিনা বাদাম কাজুবাদাম এরমধ্যে যেকোনো একটি বাদাম বেটে আপনি তরকারিতে দিয়ে দিবেন।
  • মাখন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং তরকারিতে ব্যবহার করলেও তরকারির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি হয়। মাখনের কার্যকরী ক্ষমতায় এতটুকুই নয় তরকারিতে ঝাল বেশি হলে মাখন সেই ঝাল কমাতেও সাহায্য করে।
  • আপেল সিডার ভিনেগার বা যেকোনো টক ফলের রস ব্যবহার করলেও তরকারি থেকে ঝাল কমে যায়। শুধু ঝাল নয় তরকারিতে যদি কোন মসলার ঘ্রাণ বেশি হয় সেটিও কমাতে পারে আপেল সিদার ভিনেগার এবং যেকোন টক ফলের রস।
  • পেঁয়াজ কুচি করে দেয়ার মাধ্যমে এবং গাজর ও মটরশুটি তরকারিতে যোগ করলেও তরকারির ঝাল কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
  • কাঁচা পেঁপে টুকরো টুকরো করে দেয়ার মাধ্যমেও আপনি তরকারিতে ঝাল কমাতে পারবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে পেঁপে সিদ্ধ করে দিবেন।
  • আপনার হাতের কাছে যদি কর্নফ্লাওয়ার থাকে সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণ ফ্লোয়ার পানিতে গুলে তরকারিতে দিয়ে দেন এরপর কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করবেন দেখবেন আপনার ঝাল খুব দ্রুত তরকারি থেকে দূর হয়ে গেছে।
  • তরকারিতে সামান্য পরিমাণ সয়াসস মেশানোর মাধ্যমেও আপনারা তরকারি থেকে ঝাল কমাতে পারবেন।
এখন থেকে তরকারিতে ঝাল বেশি হয়ে গেলে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এই উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করলেই আপনার তরকারি থেকে ঝাল নিমিষেই দূর হয়ে যাবে এবং তরকারির সাদও স্বাভাবিক থাকবে।

মাংসের ঝাল কমানোর উপায়

অনেকে আছে যারা মাংসে ঝাল বেশি খায় আবার অনেকে আছে যারা মাংস একেবারে ঝাল বেশি খেতে পারে না। এক্ষেত্রে যদি মাংসের ঝাল বেশি হয়ে যায় তাহলে তাদের মাংস খাওয়া একেবারেই বাদ হয়ে যাবে। চলুন এবার আমরা জানি মাংছে ঝাল বেশি হলে কিভাবে সে ঝাল কমানো যাবে
  • আপনি যদি মাংসের তরকারিতে ঝোল বেশি রাখতে চান তাহলে ঝাল বেশি হলে ঝোলের পরিমাণ আরেকটু বেশি দেন দেখবেন ঝালের পরিমাণ কমে যাবে।
  • আলু সিদ্ধ করে দেয়ার মাধ্যমেও মাংসের তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ কম যাবে।
  • বাদাম পেস্ট করে দেয়ার মাধ্যমে আপনার সবচেয়ে বেশি উপকারী হতে পারবেন। যেকোনো বাদাম পেস্ট করে দিলে খুব সহজেই তা মাংসের তরকারি থেকে ঝাল কমিয়ে নিতে পারবে।
  • টক দই অথবা দুধ ব্যবহার করলেও মাংসের তরকারি থেকে ঝাল কমে যায় এবং তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি হয়।
  • সামান্য পরিমাণ চিনি দেয়ার মাধ্যমেও মাংসের তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ ব্যালেন্স করতে পারবেন।
  • লেবুর রস ব্যবহার করলে তরকারির ঘ্রাণ বৃদ্ধি হবে এবং তরকারির ঝালও অনেকটা কমে যাবে।
  • সয়া সস অথবা আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করার মাধ্যমেও মানুষের তরকারি থেকে ঝাল কমানো যায়।

এখন থেকে আপনার মাংসের তরকারিতে ঝাল বেশি হলে এই উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ করবেন তাহলে আপনি আপনার মাংসের তরকারি থেকে ঝাল কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

মরিচের ঝাল কমানোর উপায়

অনেক সময় অনিচ্ছায় তরকারিতে ঝালের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর তরকারিতে ঝাল বেশি হয়ে গেলে সে তরকারিও খাওয়া যায় না। সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দেয়ার মাধ্যমে তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ কমানো যায়। আলু সিদ্ধ করেও আপনি তরকারি থেকে ঝাল কমাতে পারবেন।

দুধ অথবা টক দই ব্যবহার করলেও ঝাল কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। বাদাম বাটা অথবা বাদাম সামান্য পরিমাণ টেস্ট করেও তরকারিতে দিলে তরকারি থেকে ঝাল কমে যায়। মাখন জাতীয় কোন কিছু তরকারিতে ব্যবহার করলে তরকারি স্বাদ বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি পাশাপাশি তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়।

আপেল সিডার ভিনেগার অথবা সয়াসস বা যেকোনো টক ফলের রস ব্যবহার করলেও তরকারি থেকে ঝালের পরিমাণ কমে। আপনি চাইলে সেখানে মটরশুটি গাজর টমেটো এগুলো যুক্ত করেও ঝালের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন। যদি সবজির তরকারি হয় সেক্ষেত্রে সেখানে সবজির পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিবেন।

বিশেষ করে পেঁপে দিলে সবচেয়ে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পেঁয়াজ কুচি করে দিয়ে অথবা কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলে তরকারি দিয়ে কিছুক্ষণ লাড়াচাড়া করলেও তরকারি থেকে ঝাল ভাব কমে যায়। এসব উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনি তরকারি থেকে মরিচের ঝাল নিমিষেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন। ঝাল নিয়ে আপনাকে আর কোনো রকমের দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

ঝাল লাগলে করণীয়

কিছু খাবার খাওয়ার পরে আমাদের ঝাল লেগে যায়। অনেকে আছে যারা ঝাল কোন ভাবে সহ্য করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর। চলুন এবার আমরা জানি ঝাল লাগলে ঝাল কমানোর সহজ উপায়-
  • কোন কিছু খাবার পরে যদি আপনার ঝাল লাগে তাহলে আপনি টক দই খেতে পারেন কারণ টক দই খুব দ্রুত ঝাল কমিয়ে ফেলতে পারে। এছাড়াও টক দইয়ের আরেকটি বিশেষ গুণ রয়েছে তা হচ্ছে খাবারকে খুব সহজে হজম করে দিতে পারে অর্থাৎ আপনি টক দই খাওয়ার কারণে দুইটি উপকারিতা পাবেন।
  • ঝাল লাগার কারণে শুধু ভাত অথবা রুটি চিবিয়ে খেলেও ঝালের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। বিশেষ করে স্যুপ খাওয়ার পরে ঝাল লাগলে এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
  • সামান্য পরিমাণ চিনি নিয়ে কিছুক্ষণ চুষতে থাকলে দেখবেন আপনার মুখ থেকে ঝাল ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • মুখ থেকে ঝাল ভাব দূর করতে মধু অনেক বেশি কার্যকর। মধু সামান্য পরিমাণ নিয়ে চুষতে থাকলেই ঝাল মুখ থেকে কেটে যাবে।
  • দুধ জাতীয় যেকোন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ঝালের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অর্থাৎ শুধু দুধ বা দুধ দিয়ে পায়েস যেকোন কিছু খেলেই ঝালের পরিমাণ কমে যায়।
  • লেবু এবং টমেটোতে এসিড থাকে যা খেলে খুব দ্রুত ঝাল দূর হয় এজন্য আপনার ঝাল লাগলে এক টুকরো লেবু অথবা এক টুকরো টমেটো নিয়ে চুষতে থাকবেন তাহলে আপনার ঝাল কমে যাবে।
  • কমলা আনারসও ঝাল দূর করতে বেশ কার্যকরী কারণ লেবুতে যে এসিড থাকে কমলা এবং আনারসেও সেই এসিড থাকে।
  • হাফ লিটার বা ১ লিটার পরিমাণ পানি পান করলেও ঝাল কমে যায়।
  • যদি আপনার অনেক বেশি ঝাল লাগে এবং আপনি দ্রুত সেই ঝাল দূর করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি পিনাট বাটারও খেতে পারেন। পিনাদ বাটার মুখের ঝাল দ্রুত সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে।
  • মিষ্টি জাতীয় যেকোনো কিছু খেতে পারেন অর্থাৎ মিষ্টি সন্দেশ চমচম বা চকলেট এগুলো মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই ঝাল কমে যাবে।
এসব উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ করলে আপনার মুখ থেকে ঝাল লাগা দূর হয়ে যাবে। ঝাল লাগলে কখনোই এমন কিছু খাবেন না যেগুলো আপনার ঝাল লাগার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যেসব উপায়গুলো বলা হলো সেগুলোর মধ্যে একটি উপায়ে অনুসরণ করলে আপনার ঝাল লাগা কমে যাবে।

মরিচের ঝাল হাতে লাগলে করণীয়

রান্না করার জন্য মরিচ কাটলে বা যেকোন কাজে মরিচ কাটার পরে হাত জ্বলতে থাকে। এ হাত ত্বকের বিভিন্ন স্থানে লাগার কারণে ত্বকের সেসব স্থানেও জ্বালাপোড়া শুরু হয়। চলুন এবার আমরা জানি মরিচ কাটার পরে হাতে ঝাল লাগলে কিভাবে সেই ঝাল লাগা ভাব দূর করবেন
  • টক দই অথবা দুধ হাতে লাগালে খুব দ্রুত হাত জ্বলা কমে যাবে। ঠান্ডা দুধ হলে আরো বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। দুধের সর এক্ষেত্রে অনেক ভালো কার্যকরী।
  • ভিনেগার এবং লেবুর রস ও পানি একসাথে মিশিয়ে সেখানে কিছু পরিমাণ বরফের টুকরা ছেড়ে দিয়ে তার মধ্যে হাত চুবিয়ে রাখবেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাত থেকে মরিচের জ্বালাপোড়া ভাব দূর হবে।
  • অলিভ অয়েল ব্যবহার করার মাধ্যমেও হাত থেকে মরিচের জ্বালা দূর করা যায়।
  • হাতে ঝাল লাগলে পানি ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন কারণ পানিতে কখনো ঝালের জলা দূর করতে পারে না।
  • পানির সাথে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা মিশিয়ে তার মধ্যে হাত চুবিয়ে রাখলে অথবা সে পানি হাতে ব্যবহার করলেও জ্বালাপোড়া ভাব তৎক্ষণা দূর হয়।
  • অ্যালোভেরা জেল হাতে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনার হাত ঠান্ডা করে দেবে এবং মরিচের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।
  • ডিস ওয়াশিং শপ হাতে ঘষাঘষি করলেও হাত থেকে মরে যে ঝাল দূর হয়।
এখন থেকে হাতে ঝাল লাগলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন তাহলে আপনাকে আর কষ্ট পেতে হবে না। আপনার হাত থেকে ঝাল লাগা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার প্রশান্তি অনুভব হবে।

লঙ্কা বেটে হাত জ্বালা

লঙ্কা বাটার পরে আপনার হাত যদি জ্বালাপোড়া করতে থাকে তাহলে প্রথমে আপনি যা করবেন তা হচ্ছে অ্যালোভেরা জেল হাতে মেখে নিবেন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখলে আপনার হাত থেকে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি মধু ব্যবহার করার মাধ্যমেও হাত থেকে জ্বালাপোড়া দূর করতে পারেন। টক দই অথবা দুধ হাতে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত হাত থেকে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যায়।

বরফ কিউব করে হাতে ঘষলেও হাত থেকে লংকা বাটার জ্বালা দূর হয়। ভিনেগার পানি এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ পর পরিমাণ হাত চুবিয়ে রাখবেন। যদি আপনি তার মধ্যে বরফের টুকরো দিয়ে দেন তাহলে আপনি আরো ভালো ফলাফল পাবেন। ঠান্ডা দুধ এবং ঠান্ডা পানি একসাথে মিক্স করে সেখানে হাত চুবিয়ে রাখলেও হাত থেকে লঙ্কার ঝাল লাগা খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়।

পানি এবং কিছু বেকিং সোডা একসাথে মিক্স করে সেখানে হাফ চুবিয়ে রাখার মাধ্যমে অথবা সেগুলো হাতে ব্যবহার করলেও হাত থেকে লঙ্কা বাটার জ্বালা দূর হয়। অলিভ অয়েল অথবা মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করলেও খুব দ্রুত হাত থেকে লঙ্কা পাতার জ্বালা দূর করা যায়। এখন থেকে লঙ্কা বাটার পরে হাত জ্বালাপোড়া করলে অবলম্বন করবেন


তাহলে আপনার হাত থেকে লঙ্কা পাতার জ্বালা দূর হবে। সবচেয়ে ভালো হয় লঙ্কা বাটার আগে হাতে গ্লাভস পড়ে নিলে তাহলে আপনার হাতে ঝাল লাগার সম্ভাবনা একেবারে থাকবে না।

শেষ কথা

তরকারিতে মরিচ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সব সময় চেষ্টা করবেন পরিমাণ মতো মরিচ ব্যবহার করা কারণ অতিরিক্ত মরিচ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং পেটের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।অতিরিক্ত মরিচ তরকারি সাদও কমিয়ে দেয়।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তরকারিতে অতিরিক্ত ঝাল হলে এবং হাতে ঝাল লাগলে কিভাবে কমানো যায় সেই উপায় গুলো জানতে পারে এবং উপকৃত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url