বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন- বসন্ত নিয়ে কবিতা- বসন্তের রোমান্টিক স্ট্যাটাস

প্রিয় পাঠক আপনি কি বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন, বসন্তের কবিতা এবং বসন্তের ক্যাপশন ও বসন্তের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বসন্ত সম্পর্কে সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন
এছাড়া আপনি এই পোস্টের মধ্যে ভাবেন বসন্তে রোমান্টিক স্ট্যাটাস এবং ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত ও বসন্তের ফুল কি কি সেগুলো সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বসন্ত প্রকৃতিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে আসে। বাংলা মাস অনুযায়ী ফাল্গুন মাসকে বসন্তকাল হিসেবে ধরা হয়। এই সময় চারিদিকে কোকিলের ডাক গাছে গাছে নতুন পাতা বিভিন্ন রকমের নতুন ফুল ও উৎসবে পরিবেশ আনন্দিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই সময় কৃষ্ণচূড়া ফুল পরিবেশে সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে তোলে।


বসন্তকালে বসন্ত উৎসব এবং ভালোবাসা দিবসের মাধ্যমে দিনটি অনেক আয়োজন সহকারে বাংলাদেশে পালন হয়।

বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন

বসন্ত নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন লিখা হয়েছে। বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে সর্বপ্রথম ক্যাপশন এর প্রয়োজন হয়। আপনি কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার জন্য অবশ্যই সুন্দর ক্যাপশন অত্যন্ত জরুরী। সুন্দর ক্যাপশন ছবির সৌন্দর্যকে সুন্দর করার পাশাপাশি বসন্তের শুভেচ্ছা কেউ আরো বেশি বাড়িয়ে তোলে।
  • এই বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ যেন প্রকৃতির এই অমায়িক রূপ শুধু এই বসন্তেই দেখা দেয়। বসন্তের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
  • বসন্তের এই রঙিন বাতাসের রঙিন ছোঁয়ায় তোমার রেশমী চুলের তাল মাতাল হাওয়ায় যেন আমাকে পাগল করে দিল
  • বসন্তের রঙে রাঙানো প্রকৃতি যেন আজ হেসে খেলে বলে, আমায় ছেড়ে কোথায় যাস তোরা চলে।
  • বসন্ত আমাকে আর এই বাড়িতে থাকতে দিবে না, আমাকে অবশ্যই বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আবার বাতাসে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে ।
  • আমি বসন্তের লক্ষণগুলি দেখতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। আকাশ অনেক নীল, গাছগুলি অনেক উদীয়মান এবং সূর্য খুব উজ্জ্বল ছিল
  • লোকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করে যে,শীতকালে আমি কী করি যখন বেসবল থাকে না। আমি বলি আমি জানালার দিকে তাকিয়ে বসন্তের জন্য অপেক্ষা করি।
  • আমি বসন্তের লক্ষণগুলি দেখতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। আকাশ অনেক নীল, গাছগুলি অনেক উদীয়মান এবং সূর্য খুব উজ্জ্বল ছিল।
  • বন্ধুরা, বসন্ত এসে গেছে; পৃথিবী খুশিতে সূর্যের আলিঙ্গন গ্রহণ করেছে এবং আমরা শীঘ্রই তাদের প্রেমের ফলাফলগুলি দেখতে পাব।
  • সূর্য-ঘড়ি সাত সকালে, ফাগুন রাঙ্গা শাড়ি পড়ে দিন গোনে আজ কার?বাসন্তিরা সবুজ টিপে, লাল সাদা আর হলুদ পাড়ে হাত ধরেছে তার।
  • আজ এই বসন্ত দিনে বাসন্তী রঙ ছুয়েছে মনে; মনে পরে তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে চুপি চুপি নিঃশব্দে সঙ্গোপন।
  • আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী; চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি।
  • ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি,ভরি দিল বকুলের গন্ধে।
  • আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে। তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা, বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে।
  • হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।
  • গলায় মালা হাতে বালা পায়ে গাঁদার মল মাথায় টিকলী কানের দুলে দুলবে গাঁদার ফুল। খোঁপার চুল বাঁধবো সখা কৃষ্ণচূড়ার লালে আজকের এই বসন্তের দিনে।
  • ফুলের রানী,রূপের রানী কোথায় তুমি যাও তোমার সাথে সঙ্গী করে?আমায় নিয়ে যাও। কি সুন্দর হাসি তোমার। মায়াবীতে ভরা। তোমায় পেলে সত্যি আমি হব দিশেহারা। শুভ বসন্ত।
  • শীতের শেষের দিকে এবং বসন্তের প্রথম দিকে ফুলগুলি, তাদের আকারের তুলনায় খুব ভালোভাবে আমাদের হৃদয়ে স্থান দখল করে নেয়।
  • বসন্ত আমাকে আর এই বাড়িতে থাকতে দিবে না,আমাকে অবশ্যই বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আবার বাতাসে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।
  • বসন্ত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিটি সমাপ্তি একটি নতুন শুরু।
  • বসন্তের হওয়া সবে অরণ্যে মাতার । নত্যে উঠে পাতায় পাতায় । এই নৃত্যে সুন্দরকে আর্ঘ্যে দেয় তকার ‘ধন্য তুমি’ বলে বার বার।

বসন্তের কবিতা

বসন্তের পরিবেশ কবিতা লেখার মত অসংখ্য কবি বসন্ত নিয়ে অসংখ্য কবিতা রচিত করেছেন। বসন্ত মনে প্রেম নিয়ে আসে বসন্ত মনে প্রেম জাগায় বসন্ত কবিতাকে নতুন ভাবে লিখতে সাহায্য করে। বসন্তের দিনে কবিতা ছাড়া একেবারে চলে না। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অথবা নিজের প্রিয়জন যদি সাহিত্য পছন্দ করে তাহলে তাকে শোনাতেও কবিতার প্রয়োজন হয়।


চলুন এবার আমরা কিছু সুন্দর সুন্দর কবিতা জানি -

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহিরভূবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে –
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যকুল বসুন্ধরা সাজে রে।
মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,
এই সৌরভবিহবল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।
ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহবান কারে।

এলো বনান্তে পাগল বসন্ত
কাজী নজরুল ইসলাম

এলো বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে,চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।
কিশলয়ে-পর্ণে অশান্ত ওড়ে তা’র অঞ্চল প্রাস্ত।
পলাশ-কলিতে তা’র ফুল-ধনু লঘু-ভার,
ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।
এলো মেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে।
অকারণ মন মাঝে বিরহের বেণু বাজে।
জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।

বসন্তের দান
মাহাবুব আলম

তুমি ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি!
কলতানের অলংকারে গগন হতে
আনলে সখি দৃপ্ত হাতে,
ফাগুনেরই বাণী ।
তুমি ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি!
আমায় জাগালে মরু হতে
নরম ছোয়ায়, হৃদ ঈশারায়,
মোহন বাঁশীর অগোচরে
জাগিয়ে তোমার হৃদ পুঞ্জে,
মধুর কানাকানি ।
তুমি ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি!
তুমি কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ি কুঞ্জে;
কোকিল তোমার পুঞ্জ সাথি,
ফুল কুমারীর সাঁজে সাঁজে
সাজাও প্রেমের মাল্যখানি ।
তুমি ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি!
আমায় সাজাও, রাঙ্গাও আমায়
দাও ভরে দাও শৃন্য হিয়ায়
ধরিএীকে আবার সাজাই
দিয়ে প্রেমের বানী –
তুমি ফাগুন হাওয়ার মিষ্টি ধ্বনি!

একা
বীথি চট্টোপাধ্যায়

আমার চোখে বসন্ত দারুণ চৈত্রমাস
চতুর্দিকে শিমূল-পলাশ কৃষ্ণচূড়ার ত্রাস।
ঝড় উঠেছে নিখুঁত কালো বৃষ্টি ভেজা রাত
আঁচল দিয়ে দুঃখ ঢাকি কোথায় তোমার হাত?
তব্ধ যদি ভালোবাসা প্রেমের-কম্পন
ফিরিয়ে দাও কিশোরীকাল প্রথম চুম্বন।
ভালোবাসার আগুন ঝড়ে চাইনি কোনো দাম
অশ্রুবিহীন চক্ষু হল প্রেমের পরিণাম।
এই সময়েই ভিন্ন হলে এমন চৈত্রমাস
ভালোবাসার ফুটছে কলি, ফাল্গুন বাতাস!
এই যে চোখ এই যে প্রেম, এই যে হা-হুতাশ
এই বসন্তে দেবো কাকে প্রেমের আস্বাস?
আমার চোখে বসন্ত দারুণ চৈত্রমাস
ভালোবাসা বাসার পরে, ভাঙলে বিশ্বাস!

বসন্তের আগমনী
হেমন্ত সৎপতি

নয়নে বসন্ত হৃদয়ে বসন্ত
বসন্ত এসেছে মনে,
রঙের ধারায় ভরেছে ভুবন
বাতাস বইছে গানে।
অশোক পলাশ শিমুল রাঙে যে
কুসুম ফুটেছে বনে,
বধুয়া আমার শরম পেয়েছে
লুকায়ে ঘরের কোণে।
শিহর জেগেছে মনের ভিতরে
ফাগুয়া আগুন সনে,
প্রেমের স্ফুরণ ঘটছে গভীরে
কোনো না বারণ মানে।
গুঞ্জে অলিরা পুঞ্জে পুঞ্জে
ছুটছে মধু সে পানে,
ফুলের পসরা কুঞ্জে কুঞ্জে
কোকিল ভরায় তানে।
বধুয়া আমার নাইরে সে লাজে
আর যে ঘরের কোণে,
রঙের ভুবনে সুরের ভুবনে
হাসছে খেলছে সনে।
মধুর বসন্ত প্রেমের বসন্ত
বসন্ত ধরেছে মনে,
বইছে বসন্ত ভাসছে বসন্ত
কবিতা ও গল্প গানে।

আমার শহরঃ বসন্তের প্রেম 
প্রদীপ বালা

বসন্ত তবে এসেই গেল, বুঝলে ভায়া!
একটা কুকুর শুকছে আমার পায়ের ধুলো
চমকে উঠে পেছনে দেখি, কি বেহায়া!
আমার হাতে আধখানা রোল, ঝুলছে নুলো
ছ’টা পঁচিশ, পেটে তখন ছুঁচোর সেকি লাফ
বসন্ত যদি এসেই থাকে তোর বাপের কি
ছুটছে সবাই বাস ধরবে ট্রেন ধরবে
উল্টোডাঙ্গার মোড়ে শুধু আমি একাকী…
কী আর হবে বসন্ত এলে, ভিক্টোরিয়া
ময়দান আর পার্কে শুধু ভীড় বাড়বে
শীতে দেখিয়ে খেত সবাই, এখন মুখ লুকোবে
ছাতার তলায়। আমারও সময়, বাস ছাড়বে।
ছিল না কি বসন্ত আমারও, একটা দুটো…
ছাতার তলায় ঘন হয়ে বসে পৃথিবীতে মুখ
উত্তাপে আর উত্তাপে তোর বুকে
ঘাম আর ঘ্রাণের ভেতর খুঁজিনি প্রেমের সুখ ?
তবুও তো প্রেম এলো না, তার বদলে
একতাল মাংস এল উঠে, চিকেন কষা
কপাৎ করে গিলে ফেলে দেখি তোকে
কোমরে বেশ মেদ জমেছে,বাসের সীটে বসা।
ধুস শালা! বাস ছুটে যায় ধুলোর বেগে
হাজার হাজার ধুলো তখন প্রেমের খেলা
খেলতে থাকে, হাতে হাত রেখে সবাই
পার হয়ে যায় রাস্তা ঘাট এই বেলা
আমিই শুধু দাঁড়িয়ে থাকি, ভীড়ের ভেতর
ছুটোছুটি যন্ত্র মানব,বসন্ত এসে গেছে
সময় এসে লাথ মারে পেছনে, “ভাগ শালা
সময় নেই প্রেম মারাতে গেছে!”
হটাত করেই বাসটা এসে গেল
আমারও তখন ঘরে ফেরার তাড়া
বাসের ধোঁয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গেল
তোমার আমার চোখের ইশারা
সে ইশারার একটুখানি রেশ বুকের ভেতর
সযত্নে রাখি, হটাত হটাত ঠোকর মেরে ফেরে
বাসে উঠে বসন্তকে পেছনে ফেলে দেখি
আধখানা প্রেম ঝুলে আছে উল্টো ডাঙ্গার মোড়ে!

তুমি ফালগুন
সাইফুল

ফাগুন যে এসেছে ধরায়
বসন্তের আহবানে
ফুল কলিরা দুলছে দেখ
হাওয়ায় নেচে গেয়ে ।
ফাগুন যে এসেছে ধরায়
শীত গেল তাই চলে
কোকিল পাখি ডাকছে দেখ
কুহু কুহু বলে ।
ফাগুন যে এসেছে ধরায়
হলুদ গাধার ভীরে
রমণী রা আজ সাজছে দেখ
ফুল মালঞ্চ দিয়ে ।

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অচির বসন্ত হায় এল, গেল চলে–
এবার কিছু কি, কবি করেছ সঞ্চয়।
ভরেছ কি কল্পনার কনক-অঞ্চলে
চঞ্চলপবনক্লিষ্ট শ্যাম কিশলয়,
ক্লান্ত করবীর গুচ্ছ। তপ্ত রৌদ্র হতে
নিয়েছ কি গলাইয়া যৌবনের সুরা–
ঢেলেছ কি উচ্ছলিত তব ছন্দঃস্রোতে,
রেখেছ কি করি তারে অনন্তমধুরা।
এ বসন্তে প্রিয়া তব পূর্ণিমানিশীথে
নবমল্লিকার মালা জড়াইয়া কেশে
তোমার আকাঙক্ষাদীপ্ত অতৃপ্ত আঁখিতে
যে দৃষ্টি হানিয়াছিল একটি নিমেষে
সে কি রাখ নাই গেঁথে অক্ষয় সংগীতে।
সে কি গেছে পুষ্পচ্যুত সৌরভের দেশে।

বসন্তের আসরে ঝড়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বসন্তের আসরে ঝড়
যখন ছুটে আসে
মুকুলগুলি না পায় ডর,
কচি পাতারা হাসে।
কেবল জানে জীর্ণ পাতা
ঝড়ের পরিচয়
ঝড় তো তারি মুক্তিদাতা,
তারি বা কিসে ভয়।

বসন্ত-অবসান
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কখন বসন্ত গেল , এবার হল না গান!
কখন বকুল-মূল ছেয়েছিল ঝরা ফুল ,
কখন যে ফুল-ফোটা হয়ে গেল অবসান !
কখন বসন্ত গেল , এবার হল না গান !
এবার বসন্তে কি রে যুথীগুলি জাগে নি রে !
অলিকুল গুঞ্জরিয়া করে নি কি মধুপান !
এবার কি সমীরণ জাগয় নি ফুলবন ,
সাড়া দিয়ে গেল না তো , চলে গেল ম্রিয়মাণ !
কখন বসন্ত গেল , এবার হল না গান!
যতগুলি পাখি ছিল গেয়ে বুঝি চলে গেল ,
সমীরণে মিলে গেল বনের বিলাপতান ।
ভেঙেছে ফুলের মেলা , চলে গেছে হাসি – খেলা ,
এতক্ষণে সন্ধ্যাবেলা জাগিয়া চাহিল প্রাণ ।
কখন বসন্ত গেল , এবার হল না গান !
বসন্তের শেষ রাতে এসেছি রে শূন্য হাতে ,
এবার গাঁথি নি মালা , কী তোমারে করি দান !
কাঁদিছে নীরব বাঁশি , অধরে মিলায় হাসি ,
তোমার নয়নে ভাসে ছলছল অভিমান ।
এবার বসন্ত গেল , হল না , হল না গান !

বসন্ত বন্দনা 
নির্মলেন্দু গুণ

হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে
বনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখি
তবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক ।
এলিয়ে পড়েছে হাওয়া, ত্বকে কী চঞ্চল শিহরণ,
মন যেন দুপুরের ঘূর্ণি-পাওয়া পাতা, ভালোবেসে
অনন্ত সঙ্গীত স্রোতে পাক খেয়ে মৃত্তিকার বুকে
নিমজ্জিত হতে চায় । হায় কী আনন্দ জাগানিয়া ।
এমন আগ্রাসী ঋতু থেকে যতোই ফেরাই চোখ,
যতোই এড়াতে চাই তাকে দেখি সে অনতিক্রম্য ।
বসন্ত কবির মতো রচে তার রম্য কাব্য খানি
নবীন পল্ববে, ফুলে ফুলে । বুঝি আমাকেও শেষে
গিলেছে এ খল-নারী আপাদমস্তক ভালোবেসে ।
আমি তাই লঘুচালে বন্দিলাম স্বরুপ তাহার,
সহজ অক্ষরবৃত্তে বাঙলার বসন্ত বাহার ।

বসন্তের আগমনী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কুয়াশাভরা মেঘ গেছে কেটে
শীতের প্রকোপ নাই,
তরু শাখে হেরি নব কিশলয়
বিহগেরা গাহে তাই।
আম্রকাননে শুনি ক্ষণে ক্ষণে
কোকিলের কুহুতান,
আজি বসন্তে বসন্তের দূত
গাহে আগমনী গান।
আম্রের শাখে নব মঞ্জুরী
মুকুল ধরেছে কত,
কমল কাননে ধায় অলিগণে
গুঞ্জরিয়া অবিরত।
বসন্ত প্রভাতে অজয়ের ঘাটে
সুশীতল নদীজলে,
ভাটিয়ালি গেয়ে দাঁড় টানে মাঝি
ঘাট ভরে কোলাহলে।
যেদিকে তাই নব কিশলয়
পুলক জাগিছে মনে,
বসন্ত এসেছে কুসুম ফুটেছে
পলাশের বনে বনে।

বসন্ত আসুক মনুষ্যত্বে

ফাগুনের আগুনে নয় পেট্রোল বোমায়
ঝলসে গেছে শিমুল, পলাশ, কৃঞ্চচূড়ার শরীর
লাশের গন্ধে ভারি হয়ে আছে বাসন্তি বাতাস-
অভিমানী প্রেয়সি সাজবেনা এই ফাল্গুনে
ফুটবেনা তার খোঁপায় কোন ফুল।
বৈরী বাতাসে বসন্তের মন ভালো নেই – এবার বসন্ত আসবেনা প্রকৃতিতে।
প্রকৃতিতে নয়-
এবার বসন্ত আসুক রাজপথে
এবার বসন্ত আসুক রাজনীতিতে
এবার বসন্ত আসুক নেতৃত্বে
এবার বসন্ত আসুক বার্ণ ইউনিটে
এবার বসন্ত আসুক মনুষ্যত্বে।

তুমি বসন্ত

বসন্ত দেখতে আজ আর
গাছে গাছে দেখবোনা উঁকি মেরে
কুহু শুনতে হবে না আমায়
আর কান পেতে থাকতে।
অনুজ্ঞা না করতেই
আহব করলে তুমি
পুরো বসন্ত আজ তোমাতে।
অভিপ্রায় আর কোথায় লুকাবো সেতু?
হৃদয় আজ ঊর্ধেবহন
লহরে ঊর্মিতে খেলা করে।
তবুও ওজর আর নেই আজ
চলো, যাবে বাইরে?
কলকণ্ঠ শ্রবণবিবর
অবধি মাতিয়ে তোলে।
ওজর নেই আজ
কল্য শব্দটি লুকিয়ে নিলাম
আজকের সমাচারে!
চলো, যাবে বাইরে?
মেঠো পথে হাঁটতে
মন আজ মননে ব্যাকুল
একটি বসন্ত যে আমার নামে।
চলো, যাবে বাইরে?
পৃথ্বী আজ মুলাকাত আঙ্গুলে
দেখতে চাইছে সরণিতে।
বসন্ত আজ অংশহীন হতো
দ্বিরেফ আমার দ্বন্দ্ব হতো
তোমার অনুপস্থিতিতে!
প্রণয়ী,
চলো, যাবো বাইরে
একটি কলিকা দিব
তোমার কানে পরিয়ে।
চলো, যাই বাইরে
চলো, যাবে বাইরে?
নীড়ে এসে তবু আরব হবে
তুমিই বসন্ত, বসন্ত তোমাতে

সবুজ কুঁড়ি

নিতুই রূপে বধূ বেশে
এলো যে বসন্ত
নাতিশীতোঞ্চ পবণ করুণ হৃদকে
করে দেয় শান্ত।
অপরূপ সাজে দিব্যি জগৎ
রূপান্তর উদ্যান,
পাখির কূজনে মার্মে ভজন
বর্ধিত হয় জোরজান।
বিচিত্র ফুলের মুগ্ধ সুবাস
দেহাত শোভিত শ্যামল,
জুঁই চামেলীর নিপুণ ঘ্রাণে
ঘরে মৌ বোলতার দল।
কনকলতায় ভূধর গিরি
পাদপ ভরা সবুজ কুঁড়ি
পুষ্প শোভায় সাজে
ফুলের সুবাস অনিল ছোঁয়ায়
মন সারে না কাজে।
গভীর রাতেও ঘুম আসেনা চোখে,
কেন জানি আমার মনটা শুধু,
বসন্তের নতুন প্রকৃতির ছবি আঁকে,
গানের সুরে পাখিরা যেমন,
পেয়েছে নতুন স্বর।
প্রিয় বসন্ত তোমাকে নিয়েই বাঁধতে চাই,
আমার জীবনের স্বপ্নের ঘর।

বসন্তে
কুসুমকুমারী দাশ

উত্সব গান, মধুময় তান
আকাশ ধরণী-তলে
কুঞ্জে কুঞ্জে বিহগ কণ্ঠে
লতায় পাতায় ফুলে
হৃদয়ে সবার দিয়েছে রে দোল
নাচিয়া উঠিছে প্রাণ,
(এ যে) নূতন দেশের মোহন ঝঙ্কার
নূতন দেশের গান
এ বসন্ত কার, দিতেছে বাহার
চেতনার ঢেউ খুলি
কেবা আপনার, কেবা পর আর
ব্যবধান গেছে খুলি
আজ সে এসেছে দেবদূত হয়ে
জাগাতে সহস্র প্রাণ,
কে আসিবি আয়, ওই শোনা যায়
আনন্দময়ের গান
কে বাঁচিবি আয়, বাতাসে বাতাসে
পরশে চেতনা জাগে ;
কে বাঁচিবি আয়, হৃদয়ে হৃদয়ে,
আজি নব অনুরাগে

অন্যবসন্ত

আজ বসন্ত কী বসন্ত?
তোমার প্রতীক্ষায় ভারাক্রান্ত।
আজকের এক প্রহর যেন এক কাল অনন্ত।
তোমায় আলিঙ্গন করতে ব্যর্থ বাহুডোর আজকে খুব ক্লান্ত।
তোমাকে একটু দেখার জন্য দু চোখে অশ্রু অবিশ্রান্ত।
অস্তগামী সূর্য রাঙিয়ে দিয়েছে পশ্চিম দিগন্ত।
তোমাকে খোঁজার জন্যই মন হয়তো দূরন্ত।
প্রার্থনা মোর একটাই বসন্তের এই আগমনে সেই দুটি প্রাণ হোক না পুনর্জীবন্ত।

ফাগুনের বাউল

শিরীষ ডালে মন্দ দোলন চুলবুলে বুলবুল,
উছলে উঠে মনের বনে নানান বনফুল।
শুকনো পাতার পাঞ্জরে আজ ঘূর্ণি দুরন্ত,
পত্রবাহক হয়ে এল মধুর বসন্ত।
গুঞ্জরিত মহুল-পিয়াল করিতকর্মা অলি,
অবোধ্য সব কথায় বলা প্রেমের পত্রাবলি।
ঢেউ খেলে যায় বিরলকথন দিনের পরিশ্রম,
ঝড় তোলে যায় শিলালিপির গুজরিপঞ্চম।
শিশমহলের প্রাচীর বেয়ে বাড়ছে তৃণলতা
রুক্ষ দিনেও খুঁজি অভূতপূর্ব শ্যামলতা।
বাউল হৃদয় সুরের জালে বন্দী, অদূরদর্শী
শুকশারী তমাল হিজল মনের পাড়াপড়শি।

মধু উৎসব

মাদল বাজে ময়ূর নাচে কদম গাছের তলে
ছুটছে সবাই বান এসেছে দঙ্গলে মঙ্গলে।
কুহু’‘কুহু’ ডাকছে কোকিল পরান জীয়ন্ত
শিমুল শাখায় পলাশ বনে লাগল বসন্ত।
আজ ঘুম ভুলেছি রাত জেগেছি ঝুমুর নাচের ছন্দে
আজ হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে বকুল বনের গন্ধে।
আজ হাত বাড়িয়ে ধরতে যে চাই নীল আকাশের শশী
কদমতলায় কার নামেতে বাজে সরল বাঁশি।
পরাগ দিয়ে সাজাই মনের কল্পনাতে ছবি
ভাঙ খেয়েছি তাইতো বলি আমিও প্রেমের কবি।
লিখব তবু ইচ্ছেমত মনটা যা চায় তা
দখিন হাওয়ায় জানিয়ে দিব প্রেমের বারতা।

বসন্তের ক্যাপশন

এমন সুন্দর সুন্দর কিছু ক্যাপশন রয়েছে যেগুলো ছবিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। বিশেষ করে আপনি যখন বসন্তের দিন কোন ছবি পোস্ট করতে যাবেন অথবা কাউকে শুভেচ্ছা জানাবেন সেক্ষেত্রে সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন আপনার অনেক কাজে দিবে। চলুন এবার আমরা কিছু সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন জেনে নেই-
  • মার্চের তৃণভূমিতে, যেখানে কুঁড়িগুলো উন্মোচিত হয়, বসন্ত অবর্ণনীয় প্রেমের গল্প ফিসফিস করে বলে। মৃদু বাতাসে পাপড়িগুলো খোলে, প্রকৃতির সিম্ফনি, খুশি করার জন্য একটি নাচ। বসন্তের আলিঙ্গনে, স্বপ্ন উড়ে যায়, এত উজ্জ্বল রঙে আঁকা একটি ক্যানভাস।
  • এপ্রিলের ভোরে ফুল ফোটে, বসন্তের আলিঙ্গন, একটি প্রেমের পুনর্জন্ম। মৃদু সূর্যালোকের মধ্যে একটি ফুলের ব্যালে, প্রকৃতির সৃষ্টি, একটি খাঁটি আনন্দ। পাপড়িগুলো সকালের সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়, বসন্তের বাগানে, প্রেম তার জায়গা খুঁজে পায়।
  • যেদিন প্রভু আশা সৃষ্টি করেছিলেন সম্ভবত সেদিনই তিনি বসন্ত তৈরি করেছিলেন।
  • বসন্তে ফোটা প্রথম ফুল গুলি আমার হৃদয়ে সুর তোলে।
  • আমার অচেনা এই নগরীতে তোমার বসন্তের ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু অপেক্ষা শুধু এই তুমিটার।
  • বসন্তের মত তোমার ভালোবাসার হওয়া গায়ে লাগতে এক অনুভূতি জন্ম হলো
  • দেখো বসন্তের বাতাস বইছে আজি এসো বসন্তের রঙে সাজি, আজ ঘুরে ফিরে চাইছে না যে আমার এ মনের মাঝি।
  • হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র সংগীতে যত আছে হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস সুরে হয়তো কুসুম কলি ঘিরে আকাশে মেলিয়া আখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক।
  • আয়রে বসন্ত তাের ও কিরণ মাখা পাখা তুলি নিয়ে আয় তাের কোকিল পাখিরগানের পাতা গানের ফুলে।
  • আমি তোমাকে চাই যেমন ফুলের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন, যেমন শীতের মাটিতে বসন্তের প্রয়োজন - আমার শুকনো আত্মাকে প্রশমিত করার জন্য।
  • বসন্ত হ'ল যখন সমস্ত কিছু জীবন্ত।
  • আমার সাথে বনে এসো। যেখানে বসন্ত অগ্রসর হচ্ছে, যেমন করে, তা যাই হোক না কেন, একক বা বিশেষ নয়, কিন্তু চিরকালের উপহারগুলির মধ্যে একটি, এবং অবশ্যই দৃশ্যমান।
  • আমি সবসময় বসন্তের শুরুর দিকে একটি বড় পেইন্টিং করার পরিকল্পনা করেছিলাম, যখন প্রথম পাতাগুলি গাছের নীচে থাকে এবং তারা একটি দুর্দান্ত উপায়ে মহাকাশে ভাসতে পারে বলে মনে হয়। কিন্তু বসন্তের আগমন করা সম্ভব নয়। একটি ছবি।
  • পূর্বাভাস সত্ত্বেও, বসন্তের মতো বাঁচুন।
  • ফুল ফুটলো রাশি রাশি,উদাস মনটা বেজাই খুশি,বসন্তের আগমনে, ফুল ফুটেছে সব বাগানে,তাই কোকিল গান করে,মনের টানে। তোমাকে জানাই বসন্তের শুভেচ্ছা।
  • আজ হোক রং ফ্যাকাসে তোমার আমার আকাশে চাঁদের হাঁসি যতই হোক না ক্লান্ত বৃষ্টি আসুক বা নাইবা আসুক ঝড় উঠুক বা নাইবা উঠুক ফুল ফুটুক বা নাইবা ফুটুক। আজ বসন্ত। বসন্ত এসে গেছে।
  • বসন্ত আমাকে আর এই বাড়িতে থাকতে দিবে না, আমাকে অবশ্যই বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আবার বাতাসে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।
  • বসন্ত হলো প্রকৃতির উদ্যোগে সৃষ্ট সুন্দর এক পরিবেশ।
  • আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায় আহা আজি এ বসন্তে।
  • ভালোবাসা হতে হবে বসন্তের ফুলের মতো সুন্দর এবং সকালের সূর্যের মতো উজ্জ্বল।

বসন্তের শুভেচ্ছা - বসন্তের শুভেচ্ছা ছন্দ

বসন্ত যেহেতু সবার মনে আনন্দ নিয়ে আসে সেহেতু সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর প্রয়োজন হয়। শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সুন্দরভাবে শুভেচ্ছা জানানো উচিত আর আপনার শুভেচ্ছা তখনই সুন্দর হবে তখন আপনি সুন্দরভাবে শব্দ চয়ন করে তাকে মেসেজের মাধ্যমে অথবা মুখে বলে শুভেচ্ছা জানাবেন। চলুন এবার আমরা কিছু সুন্দর সুন্দর শুভেচ্ছা বার্তা জানি-

  • বসন্ত আসবে এবং সুখও আসবে। অপেক্ষা কর, জীবন অনেক সুন্দর হবে।
  • কত বসন্ত আসে কত বসন্ত যায় কত কোকিল পথ হারিয়ে কণ্ঠ থেমে যায় অবলীলায় শুধু আমি কোথাও যেতে পারলাম না তোমাকে ছেড়ে কোথাও না।
  • একটি কবিতা একটি পলাশ একটি কোকিল তুমি আর আমি সব মিলিয়ে আজ বসন্ত।
  • বসন্ত মাস ভালোবাসায় ভরপুর তুমি আর আমি ঘুরবো সারা দুপুর বসন্তের ফুল গুঁজে দেবো তোমার খোঁপায় ভালোবাসার এটাই তো সেরা সময়।
  • দেখো বসন্তের বাতাস বইছে আজি এসো বসন্তের রঙে সাজি, আজ ঘুরে ফিরে চাইছে না যে আমার এই মনের মাঝি।
  • হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র সংগীতে যত আছে,হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস সুরে,হয়তো কুসুম কলি ঘিরে আকাশে মেলিয়া আখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক।
  • বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর গ্রীস্মের আগমনে রোদেলা দুপুরম বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুল এই দুপুরে তোমাকে দেখতে মন হল ব্যাকুল।
  • আবার ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত, দখিনা বাতাস মনকে করছে আনমনা, নতুন রূপে সেজেছে প্রকৃতি, হয়েছে প্রাণবন্ত, আবার এসেছে বসন্ত।
  • ফুটন্ত ফুল মনের জাগায় আশা বসন্তের আগমন প্রাণে আনে ভালোবাসা।
  • বসন্ত যদি কেবল পলাশ খুঁজে, খুঁজুক না! তুমি শুধু খুঁজবে আমায়।
  • ধরণী আজ উঠিছে সাজি মনের দক্ষিণ দার খুলে দেবো আজি মাতাল হবো সুখে আজকে অনন্ত সার্থক হবে ফাগুন, সার্থক বসন্ত।
  • আজ পহেলা ফাগুনে তোমার ঠোটের আগুন পুড়ুক আমার ঠোঁটে। বাসন্তীয় শুভেচ্ছা।
  • ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ আমার আপনহারা প্রাণ; আমার বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ।
  • ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ আমার আপনহারা প্রাণ; আমার বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ।
  • আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে। তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা, বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে।
  • দেখো বসন্তের বাতাস বইছে আজি এসো বসন্তের রঙে সাজি, আজ ঘুরে ফিরে চাইছে না যে আমার এ মনের মাঝি।
  • প্রেম পিরিতি নহে বন্ধু এই যেন প্রকৃতির সাথে ভালো বাসা। বসন্ত সাজিয়েছে বাসর কুকিল তোমারি আগমনের আসায়।
  • কোকিলের সাথে সুর মিলিয়ে গাচ্ছে গান। বসন্ত তুমি আমার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ভালোবাসা ভালোলাগা সতেজ প্রাণ।
  • এই বসন্ত তোমার হোক চির মধুর তোমার বসন্ত ভালো কাটুক এই আশায় তোমাকে জানাই বসন্তের শুভেচ্ছা।
  • ফাগুনের প্রথম সকালে মেঘের কাছে পাঠালাম চিঠি সে চিঠি হারিয়ে যাবে কিনা আছলের আচমকা বাতাসে তবুও প্রতি ফাগুনে পাথাবো চিঠি আকাশের খোলা খামে সবাইকে ফাল্গুনের অনেক শুভেচ্ছা।

বসন্তের রোমান্টিক স্ট্যাটাস

ভালোবাসার মানুষকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে অবশ্যই রোমান্টিক স্ট্যাটাসের প্রয়োজন। অনেকে আছে যারা প্রেম না করেও ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য হলে রোমান্টিক স্ট্যাটাস খোঁজে। রোমান্টিক স্ট্যাটাস সবকিছু আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তোলে।
  • বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর গ্রীস্মের আগমনে রোদেলা দুপুর বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুল এই দুপুরে তোমাকে দেখতে মন হল ব্যাকুল।
  • কত ঋতু চলে গেল এসে গেল বসন্ত তাই তোমায় জানালাম বসন্তের শুভেচ্ছা।
  • সমস্ত মাস ভালোবাসায় ভরপুর,তুমি আর আমি ঘুরবো সারা দুপুর। বসন্তের, ফুল গুঁজে দেবো তোমার খোঁপায় ভালোবাসার এটাই তো সেরা সময়।
  • ফুল ফোটার মধ্য দিয়েই আসে ঋতুরাজ বসন্ত প্রেমের পরশ লেগে যেমন জন্ম নেয় আনন্দ। তাই শীতের প্রকোপ না থাকলে বসন্তের সৌন্দর্য এত মধুর লাগত না।
  • দেখো বসন্তের বাতাস বইছে আজি এসো বসন্তের রঙে সাজি, আজ ঘুরে ফিরে চাইছে না যে আমার এ মনের মাঝি।
  • ফাগুনের বসন্তে তোমায় প্রথম দেখেই মনে হয়েছিল পৃথিবীতে তুমি শুধু আমার।
  • আমার অচেনা এই নগরীতে তোমার বসন্তের ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু অপেক্ষা শুধু এই তুমিটার।
  • আমার খুব ইচ্ছে! একদিন বসন্তের উৎসবে ভালোবাসার আমেজে মাতবো দুজনে।
  • এই অবেলায় তোমারই অপেক্ষা করে বসন্তের কাছে আবদার করেছি, সে যেন তুমি না আসা পর্যন্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করে।
  • এসো বসন্তের রঙ্গে সাজি আজ ঘরে ফিরতে চাইছে না যে mআমার- এ মন মাঝি।
  • ডালে ডালে আমের মুকুলে সু-সজ্জিত ফাগুনও বুঝিয়ে দেয় দুঃখ যেমন-তেমন সুখ জীবনে খুব আয়োজন করেই আসে।
  • বসন্ত আমাকে আর এই বাড়িতে থাকতে দিবে না, আমাকে অবশ্যই বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আবার বাতাসে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।
  • ঋতুরাজ বসন্তের মতোই আমার হৃদয়ের অধিরাজ হয়ে ওঠো তুমি। ‌ হৃদয়ের পরতে পরতে নতুন সজীবতা ছড়িয়ে দিও।
  • বসন্তের কোন এক বিকেলে প্রিয়জনের হাত ধরে আম্র মুকুলের সুবাসে একটা মুহূর্ত কাটাতে চাই। প্রকৃতি ও যেন আমাদের সাথে এই খেলায় মেতে উঠবে।
  • বসন্তের প্রকৃতির মতই তোমার ভালবাসায় মায়ার চাদরে আমাকে জড়িয়ে নাও। শীতের শুষ্কতার ধাক্কায় আমাকে দূরে ঠেলে দিও না।

ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এটি হচ্ছে একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতাতে বসন্তকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। বসন্তকালের নতুন নতুন ফুল গাছে ধরে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আবহাওয়ার কারণে গাছে ফুল নতুন ভাবে গজায় না সেক্ষেত্রেও তিনি বুঝিয়েছেন ফুল উঠুক অথবা না উঠুক আজ বসন্ত।

ফুল ফুটুক না ফুটুক

ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত
শান-বাঁধানো ফুটপাতে
পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত
আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে
তারপর খুলে
মৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে
তারপর তুলে
যে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে
যেন না ফেরে
গায়ে হলুদ দেয়া বিকেলে
একটা দুটো পয়সা পেলে
যে হরবোলা ছেলেটা
কোকিল ডাকতে ডাকতে যেত
তাকে ডেকে নিয়ে গেছে দিনগুলো
লাল কালিতে ছাপা হলদে চিঠির মত
আকাশটাকে মাথায় নিয়ে
এ-গলির এক কালোকুচ্ছিত আইবুড়ো মেয়ে
রেলিঙে বুক চেপে ধরে
এই সব সাত-পাঁচ ভাবছিল
ঠিক সেই সময়
চোখের মাথা খেয়ে গায়ে উড়ে এসে বসল
আ মরণ! পোড়ারমুখ লক্ষ্মীছাড়া প্রজাপতি!
তারপর দাড়ম করে দরজা বন্ধ হবার শব্দ
অন্ধকারে মুখ চাপা দিয়ে
দড়িপাকানো সেই গাছ
তখনও হাসছে।

বসন্তের ফুল

বসন্তকালের পর থেকে কাছে নতুনভাবে পাতার গজায় এবং অনেক রকমের ফুল ফোটে, নতুন ফুল চারিপাশের পরিবেশকে সুন্দর করে তুলে

কৃষ্ণচূড়া
ফুলের জগতে কৃষ্ণচূড়ার মতো এমন উজ্জ্বল রঙের ফুল বেশ দুর্লভই বটে। বর্ষার শেষেও এই গাঢ় লাল- কমলা ফুলের রেশ শেষ হয় না। তবে শীতের হিমেল হাওয়ায় গাছটির পাতাগুলো ঝরে যায়। বসন্তে- গ্রীষ্মে গাছগুলো আবার ভরে ওঠে গাঢ় লালে- কমলায়।

চাঁপা
চাঁপা বা চম্পা ফুলটির নাম এসেছে সংস্কৃত ‘চম্পক’ থেকে। চাঁপা ফুলের গাছ চিরসবুজ। মানে গাছে সারা বছরই পাতা থাকে। পাতাগুলো লম্বাটে। আর ফুলের রঙ সাধারণত সাদা, কিংবা হালকা হলুদ, সোনালিও বলতে পারো। আর এই ফুলের যা সুন্দর গন্ধ! বসন্ত থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত চাঁপা ফুল ফোটার সময়।

বসন্তকালেই সবচেয়ে বেশি ফোটে। তবে এক শীতকাল ছাড়া প্রায় সব সময়েই চাঁপা ফুল ফুটতে দেখা যায়।

কনকচাঁপা
এই ফুলের গাছটি ছোট বৃক্ষ জাতীয় গাছ। ফুলের মঞ্জরি ছোট ছোট, কিন্তু অনেকগুলো একসঙ্গে থাকে। পাতা যখন কচি থাকে, তখন রং থাকে তামাটে। কিন্তু পরিণত বয়সে পাতাগুলো গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে যায়। তবে চাঁপা ফুল গাছের মতো সারা বছর গাছে পাতা থাকে না; শীতের শেষে পাতা ঝরে যায়। আর বসন্তে ফুলটির ঘন হলুদ সোনালি রঙের পাপড়ি আর তামা রঙের কচি পাতায় গাছের ডালপালা ছেয়ে যায়।

কাঁঠাল চাঁপা
এই ফুলের গন্ধটাই কাঁঠালের মতো। আর তাই ফুলটির নামই হয়ে গেছে কাঁঠাল চাঁপা। বিশেষ করে রাতের বেলায় ফুলটি গন্ধ ছড়ায়। আর ফুলটির রঙেরও একটা মজা আছে। ফুলটি প্রথমে থাকে সবুজ। পরে ক্রমেই হলদে রঙের হতে থাকে। আর ফুল যখন হলদে হতে থাকে, তখনই সুগন্ধ বের হয়। কাঁঠাল চাঁপা বর্ষাকালেও ফোটে।

দোলনচাঁপা
দোলনচাঁপা আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি ফুল। গাছের ডালের মাথায় থোকায় থোকায় সাদা রঙের বড় বড় দোলনচাঁপা ফোটে। তবে সব দোলনচাঁপাই সাদা হয় না; কোনো কোনো জাতের দোলনচাঁপা হলদে কি লাল রঙেরও হয়। মোটমাট দোলনচাঁপার প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪০টি।

নয়নতারা
এই ফুলটি দেখতে বেশ অদ্ভূত, পয়সার মতো গোলাকার। আর তাই, গ্রামে এর একটা মজার ডাকনামও আছে- পয়সা ফুল। শুধু ফুলই না, এই গাছের পাতাও ডিমের মতো গোলাকার। আমাদের দেশে কয়েক প্রজাতির নয়নতারা দেখা যায়। কোনোটির রং সাদা, কোনোটির গোলাপি, কোনোটির আবার সাদার উপর গোলাপি, আবার কোনোটির রং হালকা নীল।

নাগেশ্বর
নাগেশ্বর বা নাগকেশর ফুলের রঙ সাদা। আর গোলাকার মুকুলের রঙ সবজে-সাদা। ফুলের পাঁপড়ির রঙ আবার দুধ-সাদা। ফুলটা যে শুধু দেখতেই সুন্দর, তাই না, বেশ সুগন্ধিও বটে। এই ফুল শুধু সুন্দরী আর সুগন্ধি-ই নয়, একইসঙ্গে বেশ কাজেরও বটে। এই ফুল থেকে যেমন সুগন্ধি আতর তৈরি হয়, তেমনি নানা রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়।

পলাশ
এই ফুলের আরো একটা নাম আছে- অরণ্যের অগ্নিশিখা। এই গাছের পাতা কিন্তু সারা বছর থাকে না। শীত আসলেই সব পাতা ঝরে গিয়ে গাছটি একেবারে ন্যাড়া হয়ে যায়। কিন্তু বসন্তকাল আসতে না আসতেই গাছটি গাঢ় লাল রঙের ফুলে ভরে ওঠে। পাতা জন্মানোর আগে, যখন কেবল ফুল ফুটতে শুরু করে, তখন পলাশ গাছ একদম লাল হয়ে যায়।


আর ফুলগাছ হলেও গায়ে-গতরে পলাশ গাছ বেশ বড়োই। তখন মনে হয়, বনে আগুন লেগেছে। তাই পলাশকে বলে অরণ্যের অগ্নিশিখা। পলাশ ফুল দেখতে অনেকটা সীমফুলের মতো। ফুলের কুঁড়ি অনেকটা বাঘের নখের মতো, কিংবা বলতে পারো কাঁকড়ার পায়ের মতো দুই ভাগে বিভক্ত। পলাশও কিন্তু ঔষধি ফুল; মানে এই ফুলও নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বেলী ফুল
বেলী ফুলের গাছ বেশ ছোট; ঝোপের মতো। এ ধরনের গাছকে বলে গুল্ম। কোনো কোনো জাতের বেলী তো লতা জাতীয় গাছই। উজ্জ্বল সবুজ পাতার মাঝে সাদা রঙের থোকায় থোকায় ফুটে থাকা বেলী ফুল দেখতে যে কী সুন্দর, তা আর কী বলবো। বেলী ফুল মূলত ফাল্গুন থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত ফোটে। তবে বর্ষাকালেও এই ফুল ফুটতে দেখা যায়।

মালা গাঁথায় এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার! আর এই ফুলের গন্ধও দারুণ।

নয়নতারা
এই ফুলের নামও অদ্ভুত সুন্দর, আর ফুলগুলো দেখতেও কিছুটা অদ্ভুত রঙের হয়ে থাকে। ফুলের আকার পয়সার মতো গোলাকার হওয়ার কারণে গ্রামের দিকে একে অনেকে পয়সাফুল বলেও চেনে। নয়নতারা ফুল মানেই রঙের বাহার। সাদা, গোলাপি, হালকা নীল ইত্যাদিসহ আরও অনেক রকমের নয়নতারা ফুল দেখা যায়।

কনকচাঁপা
নাম শুনে মনে হতে পারে কনকচাঁপা হয়তো চাঁপা ফুলেরই কোন জাত, কিন্তু আদতে তা নয়। এই ফুলের গাছ আকারে ছোট হয়, আর ছোট ছোট মঞ্জুরির ফুল একসাথে অনেকগুলো করে ফোটে। নতুন পাতার রঙ হয় তামাটে, কিন্তু পরিণত পাতার রঙ একদম সবুজ হয়। শীতকালে কনকচাঁপা ফুলের গাছ একদমই ন্যাড়া হয়ে যায়

আর বসন্ত আসতে না আসতেই কড়া হলুদ রঙয়ের পাপড়ি আর তামাটে রঙের নতুন পাতায় তা একদমই নতুন রূপে দেখা দেয়।

শেষ কথা

বসন্তকাল আমাদের মনকে আরো বেশি প্রফুল্ল এবং পরিবেশকে সুন্দর করতে আসে এজন্য আপনার উচিত বসন্তকালকে সুন্দরভাবে উপভোগ করা এবং বসন্তের যেসব সৌন্দর্য আছে সেগুলোকে নিজের ভিতরে মানুষ হিসেবে সেট করা।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের মধ্যে শেয়ার করুন যাতে করে তারা বসন্তের সুন্দর সুন্দর কবিতা এবং ক্যাপশন স্ট্যাটাস পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url