সোনালী ব্যাংকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়- সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম

 প্রিয় পাঠক আপনি কি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টে আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং সোনালী ব্যাংকের যাবতীয় সেবা সমূহ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন এতে করে আপনি সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন।`    সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

এছাড়া আপনি পোষ্টের মধ্যে পাবেন সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম,সোনালী ব্যাংক ডিপিএস,সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম,সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

সোনালী ব্যাংক একটি সরকারি ব্যাংক এবং এটি বিশ্বস্ততার দিক দিয়ে উপরে রয়েছে। আমরা যেসব ব্যাংকের মাধ্যম লেনদেন করে থাকি সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক সরকারি হওয়ায় এখান থেকে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায় এবং নিজের টাকা নিরাপদ থাকার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আশা করা যায়।


আপনি যদি ব্যাংকে টাকা রাখার কথা চিন্তা করেন সে ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকে নিশ্চিন্তে থাকা রাখতে পারেন। ব্যাংকে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে তাছাড়া আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন না। নিচে ধারাবাহিকভাবে সোনালী ব্যাংক সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হলো।

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে যান সেই ব্যাংকেই আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেসব নিয়মগুলো আপনি অনুসরণ না করলে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন না। বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন রকমের নিয়ম থেকে থাকে।
আপনি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার প্রথমে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট করবেন। সোনালী ব্যাংকে আপনি দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন।
  1. সেভিংস একাউন্ট।
  2. কারেন্ট একাউন্ট।
যেকোনো একটা ঠিক করে নিবেন এছাড়া আপনার অ্যাকাউন্ট করতে গেলে আপনি বিভ্রান্ততে পরে যাবেন।
  1. সেভিংস অ্যাকাউন্ট বলা হয় কোন গ্রাহক তার টাকা পয়সা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাখতে পারবে।
  2. কারেন্ট একাউন্ট বলা হয় যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত লেনদেন করা হবে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে টাকা আদান প্রদান করা হবে। এই অ্যাকাউন্ট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী।
  • সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোন একটি প্রয়োজন পরবে।
  • আপনার যদি ব্যবসা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ট্রেড লাইসেন্স অথবা টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পরবে।
  • আপনার সাথে একজন নমিনি লাগবে। নমিনি বলা হয় যার নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা হবে তার অবর্তমানে যে ব্যক্তি সেই একাউন্টের মালিক হবে।
  • নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্র, ডাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট যে কোনো একটি ফটোকপি লাগবে।
  • আপনি যদি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট করতে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে।বাংলাদেশী না হলে আপনি অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন না।
  • আপনি কারেন্ট একাউন্ট খুললে আপনাকে আপনার একাউন্টে ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। যদি সেভিংস একাউন্ট খুলেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ৫০০ টাকা জমা রাখলেই হবে।
  • সেভিংস একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে যার নামে একাউন্ট খুলবেন তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির প্রয়োজন পরবে।
উপরে যে নিয়মগুলা বলা হলো আপনি এই পদ্ধতিতে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্ট দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আপনার অতিরিক্ত কোন কাগজের লাগবে না।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আমরা অনেকে স্টুডেন্ট অবস্থায় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকি এক্ষেত্রে আমাদের একটি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়। স্টুডেন্ট একাউন্ট করলে এখান থেকে আরও সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় কিভাবে এবার সে সম্পর্কে জানুন-
  • যে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলবে তার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের প্রয়োজন পরবে আর যদি তার এনআইডি কার্ড থাকে সেক্ষেত্রে এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পরবে।
  • সে ছাত্র যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে সে প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে যে স্কুলে বা কলেজের পরিচয় পত্র দেয়া হয়েছে সেটার এক কপি ফটোকপির প্রয়োজন পরবে।
  • সে যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে সেখানকার একটি প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির লাগবে এবং সে যাকে নমিনি করবে সেই নমিনির এক কপি ছবি এবং এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পরবে।
  • ২০০ টাকা জমা দেয়ার মাধ্যমেই আপনার স্টুডেন্ট একাউন্ট হয়ে যাবে।
স্টুডেন্ট একাউন্টের অনেক সুবিধা রয়েছে
  • আপনার এই একাউন্ট থেকে আপনার অতিরিক্ত চার্জ কাটা হবে না।
  • স্টুডেন্টদের বয়স যখন ২৩ বছর হয়ে যাবে তখন অ্যাকাউন্টটি সেভিংস একাউন্ট হয়ে যাবে। এতে করে আপনার সেভিংস একাউন্ট খুলতে যে টাকা প্রয়োজন পরতো সেটা আর লাগবে না।
  • আপনি চাইলে এখান থেকে ডেবিট কার্ড নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি বছরে ২০০ টাকা চার্জ দিতে হবে।
  • সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা হচ্ছে আপনি বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।
আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার উচিত হবে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা। অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে একাউন্ট খুলতে হবে তাছাড়া আপনি সেই সুবিধা গুলো পাবেন না।

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা

আপনি সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুললে অনেক রকমের সুবিধা পাবেন যেগুলো আপনার পরবর্তী সময়ে কাজে দিবে। নিচে সেই সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো
  • আপনি সেভিং অ্যাকাউন্ট খুললে আপনাকে একটি বিনামূল্যে চেক বই দেয়া হবে যদি এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে লেনদেন করতে পারবেন।
  • সেভিংস অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনি সর্বনিম্ন ১০০০ টাকাও জমা রাখতে পারবেন এতে করে আপনার কোন রকমের কোন সমস্যা হবে না।
  • আপনি এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাদে যে কোন দেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে পারবেন। যেটা আপনার জন্য বেশ উপকার হবে।
  • অন্য ব্যাংক থেকে বা অন্য শাখা থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্টে টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। কোন রকমের কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না।
আপনি সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট করলে যে রকমের সুবিধা সুযোগ পাবেন অন্য ব্যাংকে আপনি এরকম সুযোগ সুবিধা পাবেন না। যদি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার।

সোনালী ব্যাংক ডিপিএস

আপনি যখন সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস করতে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার কাছে কয়েকটি ধরণ থাকবে। আপনি ৩,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১২,১৫,২০ এ কয় বছরের জন্য ডিপিএস করতে পারবেন। আপনি যখন যে কোন একটি বছর হিসেবে জিপিএস করবেন তখন আপনার প্রতি মাসে সেই হিসাব করে টাকা জমা দিতে হবে।

আপনি যদি তিন বছরের জন্য ডিপিএস করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে মাসিক ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জমা দিতে হবে। তিন বছর শেষে যেটা আপনার হবে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা এবং এবং আপনাকে সেই টাকার উপরে ভিত্তি করে ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ লাভ দিবে তা হচ্ছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩১ টাকা। তিন বছর শেষে আপনি সব মিলিয়ে পাবেন ১০ লক্ষ ৪৩১ টাকা।

পাঁচ বছরের জন্য ডিপিএস করলে আপনাকে প্রতি মাসে দিতে হবে ১৩২৮০ টাকা জমা দিতে হবে। ৫ বছর শেষে আপনার টাকার পরিমান হবে ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা। আপনি যখন আপনার ডিপিএস ভেঙে ফেলবেন তখন আপনাকে ২ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ টাকা দিবে। পাঁচ বছর পরে যা সব মিলিয়ে হবে ১০ লক্ষ ২১৪ টাকা।

আপনি যদি ১০ বছরের জন্য ডিপিএস করেন সে ক্ষেত্রে আপনার মাসিক টাকা জমা দিতে হবে ৫২৩৫ টাকা জমা দিতে হবে। ১০ বছর পরে আপনার টাকা হবে ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ২০০ টাকা। আপনি এই দশ বছর ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য ব্যাংক থেকে আপনাকে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৪৮ টাকা দিবে। যা সব মিলিয়ে দশ বছর পরে হবে ১০ লক্ষ ৪৩১ টাকা হবে।

এভাবে আপনি যত বছরের জন্য রাখবেন আপনাকে সেই হিসাব করে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে এবং আপনি যত বছরের জন্যই রাখুন আপনার শেষে গিয়ে আপনাকে ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হবে৷ আপনি ডিপিএস করার আগে অবশ্যই ভেবে নিবেন যে আপনি কত বছরের জন্য করবেন এতে করে আপনার সুবিধা হবে।

ডিপিএস করার আগেও আপনাকে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে তাছাড়া আপনি ডিপিএস করতে পারবেন না।

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম

আমরা অনেক সময় আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। আপনি লোন নিতে গেলেও আপনার কিছু নিয়ম মানতে হবে এবং আপনি কিভাবে লোন নিবেন সে সম্পর্কে নিচে বলা হলো লোনের অনেক ধরন থাকে সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি যে লোন দিবেন সেটি হচ্ছে পার্সোনাল লোন। এই লোন আপনার আর্থিক অবস্থার উপরে বিবেচনা করে দেয়া হয়ে থাকে।

আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার ক্ষেত্রে সর্ব নিম্ন ৫০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। আপনি লোন নেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার আর্থিক অবস্থার উপরে বিবেচনা করে লোন দিবে। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন দেয়ার আগে আপনার অবস্থা যাচাই করে নিবে যে আদৌ কি আপনার এই পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে কিনা।

  • সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে বাংলাদেশী সদস্য হতে হবে। বাংলাদেশের সদস্য না হলে আপনি লোন নিতে পারবেন না।
  • আপনি লোন নিলে আপনাকে একটা সময় দিয়ে দিবে যে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতিমাসে এই পরিমাণ টাকা দিতে হবে এবং এ সময়ের মধ্যে এটি শোধ করতে হবে। যেটাকে আমরা কিস্তি বলে থাকি।
  • আপনি ১৮ বছরের নিচে হলে আপনাকে ব্যাংক থেকে লোন দেয়া হবে না। আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ এর উপরে হতে হবে এবং আপনার এন আইডি কার্ড থাকা লাগবে।
  • আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে কখনো লোন দেয়া হয় না।
  • আপনি লোন নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন এনএআইডি কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি জমা দিতে হবে। আপনার নিজের দুই কপি ছবি লাগবে এবং কিছু জামানত রাখা প্রয়োজন পরবে।

আপনি এসব উপায় গ্রহণ করলেই খুব সহজে সোনালী ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই লোন নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে আপনাকে সেই টাকা সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। তারা ১২% এবং ২০% সুদ নিয়ে থাকে তাই। লোন নেয়ার আগে ভাববেন যে আপনি সেটা শোধ করতে পারবেন কিনা।

সোনালী ব্যাংক সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংক একাউন্টে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখতে হয়?

উত্তর

কারেন্ট একাউন্ট এর জন্য ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। সেভিংস একাউন্টের জন্য ৫০০ টাকা আর স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য ২০০ টাকা জমা রাখতে হয়।

২ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংক কি সরকারি ব্যাংক?

উত্তর

সোনালী ব্যাংকে একটা সরকারি ব্যাংক। এটি সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

৩ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংক এর পূর্ব নাম কি?

উত্তর

১৯৭২ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান ব্যাংক,ওয়াবহেলপুর এবং মিয়ার ব্যাংক নিয়ে সোনালী ব্যাংক হয়। আগে শুধু সোনালী ব্যাংক নাম ছিল। এখন সেটি সোনালী ব্যাংক পিএলসি নাম করা হয়েছে।

৪ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংকের স্লোগান কি?

উত্তর

সোনালী ব্যাংকের স্লোগান ২০২০ সাল থেকে চালু হয়। দীপ্ত শপথ মুজিব বর্ষে আমরা যাব সবার শীর্ষে এটি হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের বর্তমান স্লোগান।

৫ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট মিনিমাম ব্যালেন্স কত?

উত্তর

আপনি যদি সোনালী ব্যাংকে আপনার ব্যালেন্স রাখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের ধরন বুঝে সে হিসেবে টাকা রাখতে হবে। আপনি স্টুডেন্ট হলে আপনার জন্য মিনিমাম হচ্ছে ২০০ টাকা। সেভিংস একাউন্ট হলে সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন পরবে ৫০০ টাকা আর আপনার অ্যাকাউন্টটি যদি কারেন্ট হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগবে।

৬ প্রশ্ন সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম ?

উত্তর

আপনি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার এন আইডি কার্ড, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোনো একটি প্রয়োজন পরবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং একজন নমিনির দরকার হবে ও নমিনির ছবি এবং এনআইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন পরবে।

শেষ কথা

সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিত হওয়া এবং সরকার কর্তৃক পরিচালিত হওয়ায় এটার নির্ভরতা বেশি। আপনি যদি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী খুলতে হবে তাছাড়া আপনার একাউন্টে গ্রহণযোগ্য হবে না।

এখন সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় আপনার উচিত হবে একটি একাউন্ট করে রাখা যাতে করে আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন। ডিপিএস করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেবে চিন্তা করে করবেন কারণ এখান থেকে আপনাকে সুদ দেয়া হবে সুদ। সম্পন্ন হারাম একজন মুসলমানের ক্ষেত্রে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও সোনালী ব্যাংকে কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেখান থেকে সেবা নিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url