পা ফাটা দূর করার কার্যকারী ১৯ টি উপায় - পা ফাটা দূর করার ক্রিম
প্রিয় পাঠক আপনি কি পা ফাটা দূর করার উপায় সমূহ জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে পা ফাটা দূর করার উপায় - শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় এবং পা কেন ফাটে - সারাবছর পা ফাটা নিয়ে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে পা ফাটা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন হাত পা ফাটা দূর করার উপায় - গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় এবং পা ফাটা দূর করার ক্রিম - পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ ও পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় - পা ফাটার মলম যেসব রয়েছে সেসবের নাম সম্পর্কে তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
শীতকাল আসার সাথে সাথেই পায়ের গোড়ালি ফাটা শুরু হয়। পায়ের গোড়ায় ফাটার কারণে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে হয়। পায়ের উপরে মানুষের অনেক সৌন্দর্য নির্ভর করে। পায়ের গোড়ালি অথবা আঙ্গুল ফাটা থাকার কারণে পায়ে সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। অনেক সময় পা ফাটা থেকে বিভিন্ন ধরনের বড় আকারের রোগ ও ধারণ করে।
পা কেন ফাটে - সারাবছর পা ফাটা
ঠিকমত পায়ের যত্ন না নেওয়ার কারণে পা ফাটতে শুরু হয়। অনেকে আছে যাদের সারা বছরই পা ফাটার সমস্যা থাকে। আবার এক ধরনের মানুষ আছে যাদের শীত আসার সাথে সাথেই পা ফাটে শুরু করে। শীতকাল আসার সাথে সাথে আবহাওয়া শুষ্ক হতে থাকে এজন্য আমাদের শরীরের কোষ গুলো শুষ্ক হয়ে যায় যার কারণে মূলত ফাটার সমস্যা শুরু হয়।
পা ফাটার পিছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে খালি পায়ে দীর্ঘ সময় মাটিতে থাকলে অথবা খালি পায়ে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলেও পা ফাটে। কোন কাজ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অথবা পায়ের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে ভর দিয়ে থাকা। ক্ষেত খামার বিলে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণেও পা ফাটে।
আরো পড়ুন :: ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার উপায় এবং কেন হয়
বেশি সময় ধরে পা পানিতে চুবিয়ে রাখার কারণে অথবা কাঁদার মধ্যে কাজ করার মাধ্যমেও পা ফাটার শুরু হয়। শরীরে যখন পানি শূন্যতা দেখা দেয় সেই সময়ে পা ফাটতে থাকে। যাদের বিভিন্ন রকমের রোগ রয়েছে যেমন এক্সিম,সোরিয়াসিস এসব রোগের কারণেও পা ফাটে। শরীরে ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর অভাবেও পা ফাটতে থাকে।
শক্ত জুতা অথবা শক্ত স্যান্ডেল পরিধান করে চলাফেরা করার কারণেও পা ফাটে। পা অতিরিক্ত সময় ধরে ঘামানো অথবা তাকে এমন অবস্থায় রাখা যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ঘামতে থাকে এবং ঘাম পায়ে শুকিয়ে যায় এটাও একটি পা ফাটার কারণ। এক ধরনের মানুষ আছে যাদের পা সারা বছরই থাকতে থাকে এর পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে পা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা এবং পায়ের যত্ন নেওয়ার প্রতি অবহেলা করা।
এছাড়াও শরীরে যদি ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রনের অভাব থাকে তাহলেও পা ফাটতে থাকে এজন্য পা ফাটা রোধ করার জন্য আপনার উচিৎ হবে যেসব কারণে পা ফাটে সেগুলো কারণ থেকে এড়িয়ে চলা এবং ঠিকমতো পায়ের যত্ন নেওয়া।
পা ফাটা দূর করার উপায় - শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়
পা ফাটা দূর করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে সেই উপায় মোতাবেক কাজ করলে পা ফাটা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
- পা ফাটা দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হচ্ছে ভ্যাসলিন এবং লেবু। কিছু পরিমাণে ভ্যসলিন এবং লেবুর কয়েক ফোটা রস একসাথে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে দিয়ে রাখলে পায়ের ফাটা দূর হয়ে যায়।
- আরেকটা বিশেষ উপায় আছে সেটা হচ্ছে এক কাপ মধুকে কুসুম গরম পানিতে দিয়ে সেই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে এতে করে পায়ের ফাটা দূর করার জন্য অনেক কাজে আসে।
- গ্লিসারিন এবং গোলাপজল। আপনি কয়েক ফোটা গোলাপ জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে পায়ের ফাটা স্থানে দিয়ে রাখলে ফাটা স্থান দূর হয়ে যায়।
- দোকানে যে মোমবাতি পাওয়া যায় সেই মোমবাতি এবং সেটাতে সরিষার তেল মাখিয়ে পায়ের ফাটা স্থানে লাগিয়ে রাখলে তা খুব তাড়াতাড়ি ফল দেয়।
- চাইলে পেঁয়াজের রস দিয়ে রাখতে পারেন এটাও পা ফাটা দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী উপায়।
- গোড়ালির ফাটা দূর করতে কলা বেশ কার্যকারী। কলা পায়ের গোড়ালিতে মেখে কিছু সময় পরে ধুয়ে ফেলবেন এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে গোড়ালি ফাটা ভালো হয়ে যায়।
- মধু এবং নারিকেল তেল একসাথে করেও পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে ব্যবহার করার পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
- দিনের মধ্যে তিন থেকে চারবার এলোভেরা জেল অথবা গাছ থেকে এলোভেরা কেটে টা পায় ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা দূর হয় এবং পা সুন্দর থাকে। আপনি চাইলে অ্যালোভেরার সাথে মধু মিক্স করতেও পারেন।
- নিয়মিত মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করলেও পা ফাটা দূর হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে মশ্চারাইজার ক্রিম মেখে নিবেন তাহলে পা অনেক সময় ধরে আর্দ্র থাকবে।
- শুধু নারিকেল তেল পায়ে ব্যবহার করলেও পায়ের আদ্রতা বজায় থাকে এবং মৃত কোষ জীবিত করে ও পা ফাটা দূর হয়।
- গোলাপজল পা ফাটা দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী এজন্য গ্লিসারিন এর সাথে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারবেন।
- দুধের সর,মধু এবং কাঁচা হলুদ একসাথে বেটেও পায়ের ফাটাই ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা ভালো হয়ে যায়।
- লবণ ও কুসুম গরম পানি এবং শ্যাম্পু একসাথে করে পানির মধ্যে কিছু সময় পা ডুবে রাখবেন এভাবে রাখার ফলেও পায়ের ফাটা ভাব আস্তে আস্তে দূর হতে থাকে।
- তিলের তেল পা ফাটা ভালো করতে দারুন কার্যকরী। আপনি পায়ের গোড়ালিতে তিলের তেল দিয়ে মালিশ করার ফলে পা ফাটা দূর হয়।
- কোন সময় পায়ের গোড়ালিতে ময়লা লেগে গেলে তা হাতের হাত পরিষ্কার করে নিবেন। কোন সময় গোড়ালিকে ময়লা এবং অবহেলায় রাখবেন না।
- অলিভ অয়েল তেল যেমন পুরো শরীরের জন্য উপকারি তেমনিভাবে পায়ের ফাটার দূর করার জন্য কার্যকরী। আপনি পায়ের গোড়ালিতে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল দিয়ে মাসাজ করলে পায়ের গোড়ালি ফাটা ভালো হয়ে যায়।
- আপেল সিজদার ভিনেগার এর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। আপেল সিদার ভিনেগার এবং পানি একসাথে মিক্স করে সেটার মধ্যে পা চুবিয়ে রাখার মাধ্যমেও আপনি পায়ের ফাটা দূর করতে পারবেন।
- চালের গুড়া মধু এবং আপেল সিডার ভিনেগার একসাথে করে পায়ের গোড়ালিতে মাসাজ করলেও পা ফাটা দূর হয়। এর সাথে সম্ভব হলে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিবেন তাহলে আরো ভালো ফলাফল পাবেন।
- নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এমন ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেগুলোতে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন বি৩ থাকে।
আপনি এসব উপায় মেনে চললে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা একেবারে দূর হয়ে পা সুন্দর হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন এসব উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি উপায় নিয়মিত ব্যবহার করার এবং এসবের পাশাপাশি ঠিকভাবে পায়ের যত্ন নেওয়ার।
হাত পা ফাটা দূর করার উপায় - গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়
অনেকে আছে যাদের পা ফাটার পাশাপাশি হাতও ফাটে। আপনি হাত অথবা পা ফাকা দূর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই হাত-পায়ের যত্ন ভালোভাবে নিতে হবে। কখনোই হাত পাকে নোংরা অথবা অবহেলায় রাখা যাবে না। হাত-পায়ে নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করবেন। এছাড়াও যেসব পেট্রোলিয়াম জেলি রয়েছে যেমন ভেসলিন মেরিল এগুলো ব্যবহার করলেও হাত পা ফাটা দূর হয়।
পাকা কলা পেস্ট করে হাতে এবং পায়ে ব্যবহার করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। দুধের সর,কাঁচা হলুদ,মধু একসাথে মিক্স করেও আপনি হাত-পা ফাটা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। লবণ এবং কুসুম পানি একসাথে করে সেখানে হাত অথবা পা চুবিয়ে দিয়ে রাখবেন। এভাবে কিছু সময় প্রতিদিন ডুবিয়ে রাখলে হাত পায়ের জীবাণু দূর হয় এবং হাত পা ফাটা ভালো হয়।
পেঁয়াজের রস হাত পা ফাটা দূর করার জন্য বেশ কার্যকারি। অলিভ অয়েল,ভেজিটেবিল অয়েল তিলের তেল এগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। আপেল সিদার ভিনেগার,চালের গুঁড়ো মধু একসাথে মিক্স করে হাতে এবং পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। শুধু গোলাপজল অথবা শুধু নারিকেল তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে উপকৃত হওয়া যায়।
অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর তেমনিভাবে হাত-পায়ের ফাটা দূর করতে এলোভেরার উপকারিতা অপরিসীম। সব সময় চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার। পানি আমাদের শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ত্বক যখন শুষ্ক হয়ে যায় তখনই ত্বক হাত পা ফাটা শুরু করে। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা বেশি হয় এজন্য শীতকালেও আপনার উচিত হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া।
অজু অথবা গোসল করার পরে ভালোভাবে শুকনা কাপড় অথবা তোয়ালে দিয়ে ফাটা স্থান মুছে নিবেন। বেশি সময় ধরে সেখানে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না। স্যান্ডেল ছাড়া অথবা কাদা মাটিতে কম সময় থাকবেন। অতিরক্ত পরিমাণে কাদা মাটি ব্যবহার করার কারণে হাত-পা ফাটতে শুরু হয়। জুতা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত শক্ত জুতা পরিহার করে চলবেন।
অতিরিক্ত পরিমাণে শক্ত জুতা পড়লে পা ফাটে। হাতের উপরে কোন কাজ করার সময় অতিরিক্ত চাপ দিবেন না। হাত যতখানি চাপ সহ্য করতে পারবে ততখানি চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার কারণে হাত ফাটতে শুরু হয়। আপনি এসব উপায় অনুসরণ করলেই আপনার হাত-পায়ের ফাটা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে এবং আপনি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
সব সময় চেষ্টা করবেন হাত-পাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্নে রাখার এবং সব সময় ময়শ্চারাইজার ক্রিম দ্বারা আদ্র রাখার এতে করে আপনার হাত-পা উভয় ভালো রাখবে। শুধু হাত-পায়ের ক্ষেত্রে নয় পুরা শরীরের জন্য এ উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুন্দর থাকবে।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম - পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ
পা ফাটা দূর করার যেসব উপায় রয়েছে আপনি এগুলো উপায়ের পাশাপাশি চাইলে ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমেও হাত পায়ের ফাটা দূর করতে পারবেন। বেশ ভালো ভালো কিছু কিরিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিচে সেই ক্রিমগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো
- পতজ্ঞলি ক্র্যাক ক্রিম। এটা পায়ের জন্য অনেক উপকারী। এটা ব্যবহারের তিনদের মধ্যে পা ফাটা দূর হয়ে যায়। এটার দাম ৬০ টাকা বা একটু কম বেশি।
- আ্যাভান ফুটওয়ার্কস ক্রাকড হিল রিলিফ ক্রিম। এই ক্রিমের সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে এটা আমার পা ফাটা দূর করার সাথে সাথে আপনার পায়ের গোড়ালিকে ২৪ ঘন্টা নরম রাখতে সাহায্য করে কারণ এটাতে বাটারের গুন রয়েছে। আপনি এটা চাইলে সারাবছর ব্যবহার করতে পারবেন।এটার দাম ১৮০ টাকা বা একটু কম বেশি।
- হিলমেট ক্র্যাক হিল রিপোয়ার স্পেশালিষ্ট ক্রিম।এই মলম আপনার পা ফাটা রক্ষা করার জন্য খুব কার্যকারী। দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করলে আপনার পা তো ফাটা থেকে রক্ষা পাবে সাথে আপনার পায়ের গোড়ালি নরমও থাকবে।
- হিমালয় ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম এই ক্রিম পা ফাটা দূর করার জন্য সবচেয়ে পরিচিত। এটা ব্যবহারে আপনার পা নরম থাকে এবং তাড়াতাড়ি পা ফাটা দূর হয়।
- ভাদি হারবালস ফুট ক্রিম। এই ক্রিম হারবাল জাতীয় ক্রিম, এটাতে রয়েছে লবঙ্গ,চন্দন এবং কেকো বাটার। এটা আপনার গোড়ালিকে শুষ্ক হওয়া এবং ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। ৩-৪ দিন ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
- Bioaqua foot care cream এই ক্রিম পা ফাটা দূর করতে এবং পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বেশ আকর্ষণীয়। আপনি এই ক্রিম ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাবেন।
- Avon foot works এই ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার পায়ের গোড়ালি ২৪ ঘন্টা যত্নে থাকবে এবং পায়ের গোড়ালে জন্য অনেক বেশি আরামদায়ক। রাতে শোবার আগে এই ক্রিম ভালোভাবে পায়ে ব্যবহার করবেন।
আপনি এসব ক্রিম ব্যবহার করলেই পা ফাটা দূর করে ফেলতে পারবেন এবং আপনার পা আগের মতো সুন্দর হয়ে মসৃণ হয়ে যাবে। ক্রিম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ক্রিমের গায়ে যে নিয়মবিধি বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় - পা ফাটার মলম
আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে পা ফাটা দূর করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি শীতের শুরু থেকে পায়ের গোড়ালিতে মধু অথবা তেল ব্যবহার করা শুরু করবেন। মধু এবং একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এলোভেরা পায়ের ফাটা দূর করতে এবং পায়ের গোড়ালিকে যত্ন রাখতে বেশ কার্যকর।
যখন থেকে শীত পড়তে শুরু হবে তখন থেকে পায়ে মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করবেন। লবণ পানি মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। গোলাপ জল, গ্লিসারিন, নারিকেল তেল এগুলো ব্যবহার করলেও পা ফাটা দূর হতে থাকে। আপেল সিডার ভিনেগার,চালের গুঁড়া এবং মধু একসাথে মিক্স করে আপনি পায়ের ফাটার উপরে ব্যবহার করতে পারবেন।
তিলের তেল অলিভ অয়েল এগুলো ব্যবহার করলেও পায়ের গোড়ালে সুন্দর থাকে এবং ফাটা ভাব দূর হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাবেন। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন বাদাম কিসমিস। পাকা কলা ব্লেন্ড করে ব্যবহার করলেও পা ফাটা দূর হয়। আপনি এসব ঘরোয়া উপায়ে পায়ের যত্ন নিলে পায়ের পাতা ১০০% দূর হয়ে যাবে এবং আপনার পা একেবারে চকচকে সুন্দর হবে।
আপনি যদি পা ফাটা দূর করার জন্য মলম ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্র কিছু মলম রয়েছে Bioaqua foot care cream,Avon foot works,Ramy pa phata 20ml, খাদি জেসমিন আপনি পায়ের পাতা দূর করার জন্য এসব মলম ব্যবহার করতে পারেন এগুলো প্রত্যেকটি মলম পায়ের ফাটা দূর করার জন্য ভালো।
এছাড়াও উপরে যেসব ক্রিমের নাম বলা হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করলেও আপনি পা ফাটা দূর করতে পারবেন। সেই ক্রিমগুলো অনেক ভালো মানের।
শেষ কথা
পা ফাটা ভালো করার পরে আপনি যদি আবার পাকে অযত্নে রাখেন তাহলে আবার পা ফাটতে শুরু করবে। এজন্য আপনাকে সবসময় পায়ের উপরে যত্নশীল হতে হবে তাহলে আপনার পা ফাটা থেকে মুক্ত থাকবে।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের পা ফাটা দূর করার উপায় গুলো জানতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url