হাতের নখ মরে যায় কেন- নষ্ট নখ ভালো করার উপায়- পায়ের মরা নখ ভালো করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনাকে নষ্ট নখ ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে নষ্ট নখ ভালো করার উপায় - পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায় এবং নখ নষ্ট হলে করণীয় - হাতের নখ মরে যায় কেন এসব সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে নক সুন্দর করা এবং নখ ভালো রাখার যাবতীয় উপায় এবং পদ্ধতি জেনে যাবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন নখ কাটার নিয়ম - নখ কাটার সুন্নত এবং নখ সাদা করার উপায় - নখ দ্রুত বড় করার ঘরোয়া উপায় ও পায়ের নখ সুন্দর করার উপায় - হাতের নখ সুন্দর করার উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
আমাদের হাত প্রতিটি সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকে। আঙুল দিয়ে কাজ করার ফলে তার কিছুটা প্রভাব ত্বকের উপরে পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক সময় নখে ময়লা জমে যায় বা ভেঙ্গে যায়। বিশেষ করে যারা নখ বড় করতে চান তাদের নকে অনেক পরিমাণে ময়লা জমে এবং নখ ভেঙে যায় যার কারণে নখের সৌন্দর্য আস্তে আস্তে নষ্ট হতে থাকে।
আরো পড়ুন :: গোলাপ জলের উপকারিতা ও অপকারিতা
নখকে সুন্দর এবং পরিপাটি রাখতে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে তাহলেই নখ সুন্দর থাকবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে।
নখ কাটার নিয়ম - নখ কাটার সুন্নত
নখ কাটার ক্ষেত্রে অনেকে নখ কাটলে ট্যারা বেকা হয়ে যায় বা নখের আগা খড়খড়ে হয়ে থাকে যার কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে খামচি লাগার ফলে দাগ লেগে যায়।
- নখ কাটার ক্ষেত্রে কখনোই এমন ভাবে কাটবেন না যাতে করে নখের নিচের চামড়া বের হয়ে আসে। এভাবে কাটলে অনেক সময় রক্ত বের হয়ে যায় এবং হাতের আঙ্গুলও অনেক সময় ধরে ব্যথা হয়ে থাকে।
- নখ কাটার আগে আপনার উচিত হবে কিছু সময় কুসুম গরম পানিতে হাত এবং পা ভিজিয়ে রাখা এতে করে খুব সহজে নখ কাটা যায়।
- ব্লেড দিয়ে নখ কাটার ফলে অনেক সময় আঙ্গুল কেটে যাওয়া সম্ভব না থাকে এবং সুন্দর আকারে কাটাও না হতে পারে এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন নেইল কাটার দিয়ে নখ কাটার তাহলে সুন্দর আকার হবে।
- এরপরে নখ কাটা হয়ে গেলে নেইল শেফার দিয়ে ভালোমতো আগা ঘষে নিবেন এতে করে খড়খড়ে ভাব দূর হয়ে মসৃণ হয়ে যাবে।
- নখ অতিরিক্ত কখনোই বড় করবেন না। অতিরিক্ত বড় হওয়ার আগেই নখ কেটে ফেলবেন।
- বাচ্চাদের নখ খুব দ্রুত বড় হয় এজন্য চেষ্টা করবেন সপ্তাহে একবার করে তাদের নখ কেটে দেওয়ার। তাছাড়া নখে ময়লা থাকার কারণে সেই হাত মুখে দিলে তা সেখান থেকে ময়লা পেটে গিয়ে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
- বাচ্চাদের নখ কাটার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করে কাটা উচিত কারণ তাদের চামড়া একেবারে পাতলা হয় এবং নখও পাতলা হয়। অসতর্কতা বসত আঙ্গুল কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বিভিন্ন ডিজাইন করে নখ কাটা থেকে বিরত থাকবেন। ডিজাইন করে নখ কাথার ফলে দেখতে অসুন্দর দেখায়।
- দাঁত দিয়ে নখ কাটা এটা একটি অধিকাংশ মানুষের বদ অভ্যাস। এই অভ্যাস থেকে বেরোনোর চেষ্টা করুন। দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে পেটে মারাত্মক রকমের সমস্যা হওয়া সম্ভব না থাকে।
নখটা ক্ষেত্রে এসব নিয়মগুলো অবলম্বন করে নখ কাটার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার নখ কাটা অনেক সুন্দর হবে এবং দেখতেও অনেক বেশি সুন্দর লাগবে।
নখ কাটারও কিছু সুন্নত তরিকা রয়েছে বৃহস্পতিবার এবং সোমবারে এই দুই দিনের মধ্যে নখ কাটা সুন্নত। নখ কাটার ক্ষেত্রে সুন্নত তরিকা হচ্ছে প্রথমে ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলের নখ কাটবে। এরপরে তার পাশের আঙ্গুল অর্থাৎ যেটাকে মিডিল ফিঙ্গার বলা হয় সেটার নখ কাটবে। তারপরে আংটি পরা হয় অর্থাৎ মিডিল ফিঙ্গার এবং কুনই আঙ্গুলের মাঝের আঙ্গুলের নখ কাটবে।
তারপর সবার শেষে অর্থাৎ কুনই আঙ্গুলের নখ কাটবে। এটা হচ্ছে ডান হাতের নখ কাটার নিয়ম। বাম হাতের নখ কাটার ক্ষেত্রে প্রথমে কোন আঙ্গুলের নখ কাটবে। এরপরে যে আঙ্গুলে আংটি পরা হয় সেই আঙ্গুলের নখ কাটবে। এরপর যেটাকে মিডিল ফিঙ্গার বলা হয় অর্থাৎ শাহাদাত আঙ্গুলে এবং আংটি পরা আঙ্গুলের মাঝের আঙ্গুলের নখ কাটবে।
এরপরে শাহাদাত আঙ্গুলের নখ কাটবে। তারপর বাম আঙ্গুলের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবে এরপরে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবে। হাতের নখ কাটার ক্ষেত্রে এটাই হচ্ছে সুন্নত তরিকা।পায়ের নখ ক্ষেত্রে সুন্নত তরিকা হচ্ছে ডান পায়ের কুনই আঙ্গুল অর্থাৎ সবচেয়ে ছোট যে আঙ্গুল সেই আঙ্গুল থেকে শুরু করে শেষ করবে বাম পায়ের কুনই আঙুলের নখ কাটার মাধ্যমে।
আপনি এই পদ্ধতিতে নখ কাটলেই সুন্নত তরিকার নখ কাটা হয়ে যাবে।
নখ নষ্ট হলে করণীয় - হাতের নখ মরে যায় কেন
অনেক সময় দেখা যায় ফাঙ্গাসের কারণে অথবা বিভিন্ন কারণে নক নষ্ট হয়ে যায় এবং মারাও যায়। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হবে নখ নষ্ট হলে প্রথমে সেটিকে সুন্দর করে কেটে নিবেন।
- নখ নষ্ট হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে ঠিকমত নখের যত্ন না নেওয়া এবং অপুষ্টিতে ভোগা। নখকে মজবুত রাখতে এবং নখ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করতে ভিটামিন এ,বি,সি,আয়রন,ফলিক অ্যাসিড, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- অকারণে নখ বেশি খোঁটাখুটি করা যাবে না এতে করে নখ ভেঙে যাওয়ার বা অসুন্দর হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- ভারী কোন কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভারী কাজ করার ফলে নখের উপরে প্রভাব পড়ে নখ নষ্ট হতে পারে।
- নখ অতিরিক্ত পরিমাণে বড় করা যাবে না আবার ছোট করা যাবে না। সব সময় মাঝারি আকারে রাখার চেষ্টা করবেন।
- নখ বড় হলে দ্রুত নখ কেটে ফেলাই ভালো। নখে কখনো ময়লা জমতে দিবেন না।
- কোন কাজ করার পরে সাথে সাথে নখ পরিষ্কার করে নিবেন তাহলে নখ ভালো থাকে।
- থালা-বাসন ধোয়া বা বিভিন্ন কাজ করার সময় সম্ভব হলে হাতে গ্লাভস পড়ে নিবেন তাহলে নখ ভালো থাকবে।
- নখে বিভিন্ন রকমের ময়শ্চেরাইজার ক্রিম,অলিভ অয়েল এগুলো ব্যবহার করবেন। এগুলো নখকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখে।
- নখে কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ বা ব্যথা দিবেন না এতে করে নখ ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- অতিরিক্ত সময় ধরে হাত ভিজিয়ে রাখবেন না। পানি ব্যবহার করে কোন কাজ করলে খুব দ্রুত হাত শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- নখে নেইল পালিশ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কম দামি বা অস্বাস্থ্যকর নেলপালিশ ব্যবহার করবেন না এবং অতিরিক্ত নেলপালিশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। নেলপালিশ নখের জন্য ক্ষতিকর।
- নখের মাথায় নারিকেলের তেল ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
নখ ভাঙ্গা এবং নখ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করার জন্য এই সব উপায় গুলো মেনে চলা জরুরী তাহলে আপনার নখ সুন্দর থাকবে। চেষ্টা করবেন সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার এতে করে আপনার নখ ভাঙ্গা সমস্যা এবং নখ নষ্ট হওয়ার সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় হাত বা পায়ের আঙ্গুল মারা যেতে শুরু করে। হাত বা পায়ের নখ মারা যাওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জনিত সমস্যার কারণে। যখন দীর্ঘ সময় ধরে হাত বা পায়ের আঙ্গুলের কোনায় ছত্রাক বা ফাঙ্গাস বাসা বেঁধে থাকে তখন তা আস্তে আস্তে মারা যেতে শুরু করে।
আরো পড়ুন :: চোখের অঞ্জনি কেন হয় এবং চোখের অঞ্জনি দূর করার উপায়
নখে কোন কাজ করার সময় আঘাত লেগে সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও তা আস্তে আস্তে মারা যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে ডিটারজেন্ট অথবা সাবান আঙ্গুলে ব্যবহার করার ফলেও নখ মারা যেতে শুরু করে। থালাবাসন ধোয়ার ক্ষেত্রে সব সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন নখ ভেঙে বা ক্ষয় হয়ে না যায়। নখ ভেঙে বা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে তা আস্তে আস্তে মারা যেতে শুরু করে।
নখকে সুস্থ রাখতে সব সময় নখের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কোনভাবে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জনিত সমস্যা তৈরি হতে দেয়া যাবে না আর তৈরি হলেও দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে ভালো করে ফেলতে হবে। সব সময় নককে ময়লা আবর্জনা থেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। আয়রন বেশি আছে এমন পানি খাওয়ার ফলেও নখ কালো হয়ে যায় এবং নখ মারা যায়।
নষ্ট নখ ভালো করার উপায় - পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
নখ নষ্ট হয়ে গেলে বা ভেঙ্গে গেলে এমন কিছু উপায় আছে যেগুলো ব্যবহার করলে নতুন ভাবে গজাতে শুরু করে এবং আগের ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার ভালো হয়ে যায়।
- বেকিং সোডা এবং পানি একসাথে মিক্স করে তা আঙুলে দিয়ে রাখবেন। এরপরে কিছু সময় পরে ধুয়ে ফেলবেন এভাবে ব্যবহার করলে নখ পরিষ্কার হয় এবং নখ থেকে ফাঙ্গাস ও ছত্রাক জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- রসুন আ্যন্টি ফাঙ্গাস হিসেবে বেশ পরিচিত। রসুন এবং পানি একসাথে গরম করার পরে কিছু সময় রেখে দিবেন। এরপরে যখন তা কুসুম গরমের মত হবে তখন সেই পানি যেসব নখে ফাঙ্গাস রয়েছে সেগুলোতে ব্যবহার করবেন এতে করে ছত্রাক এবং ফাঙ্গাস মুক্ত হতে থাকে।
- পেঁয়াজ গোল গোল করে তা আঙুলে ঘষাঘষি করুন। এভাবে কিছু সময় ঘষাঘষি করলেই আস্তে আস্তে সেখান থেকে ফাঙ্গাস দূর হয়ে যাবে অথবা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
- কুসুম গরম পানিতে আপেল সিদার ভিনেগার দিয়ে সেখানে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ফাঙ্গাস জনিত আঙ্গুলগুলো ডুবিয়ে রাখবেন এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলেই নষ্ট নখ ভালো হতে শুরু করবে।
- নিয়মিত নখে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল ব্যবহার করে মাসাজ করবেন।
- চিনি এবং লেবুর রস একসাথে করে আঙুলে ব্যবহার করলেও মরা কোষ আস্তে আস্তে জীবিত হতে শুরু করে।
- সব সময় নখের আশেপাশে মশ্চারাইজার ক্রিম দ্বারা মসৃণ করে রাখবেন। কখনো খসখসে বা শুষ্ক অবস্থায় রাখবেন না।
- টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করলেও ফাঙ্গাস এবং ছত্রাক সমস্যা দূর হয়ে নষ্ট নখ আস্তে আস্তে ভালো হয়।
- নখ কখনো ভেজা রাখবেন না এবং নখে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা জমতে দিবেন না সবসময় নখকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো রাখবেন।
- রসুন এবং সরিষার তেল একসাথে গরম করেও আপনি আঙুলে ব্যবহার করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে ব্যথাও ভালো হয়। সাথে সাথে ফাঙ্গাসও দূর হয়ে নষ্ট ভালো হতে শুরু করে।
- কখনো কোনো খোঁচা বা সুই দিয়ে নক গুতাগোতি করবেন না। এভাবে গুতাগুতি করার কারণে রক্ত বের হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে এবং ব্যথা হয়ে যায়।
- কোন পাত্রে কিছু পরিমাণ মাউথ ওয়াশ নিয়ে সেখানে ফাঙ্গাস যুক্ত নখ কিছু সময় ভিজিয়ে রাখবেন। এরপরে সেখান থেকে বের করে ধুয়ে ফেলবেন। মাউথ ওয়াশ ফাঙ্গাস দূর করতে পারে।
- লেবু কিউব করে কেটে আঙুলে ঘষাঘষি করলেও আঙ্গুল পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ফাঙ্গাস দূর হয় এবং নষ্ট আঙুল ভালো হয়।
আপনি এসব উপায় অনুসরণ করলেই আপনার নষ্ট নখ খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে এবং আগের মত সুন্দর্য ফিরে আসবে।
আপনি যদি পায়ে নতুন নখ গজাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পায়ে রসুনের কোয়া,অলিভ অয়েল, মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও কখনো কোন রকমের বড় আঘাত নকে লাগানো যাবে না। সব সময় নখের যত্ন নিতে হবে। নখে কোনভাবেই ময়লা জমতে দেয়া যাবে না এবং নখ ভেঙে যাওয়া বা আঘাত লাগা থেকে সাবধানে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত পরিমাণে ভেজা রাখা যাবে না। সব সময় শুকনো রাখতে হবে। আপনি এসব উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার পায়ে নতুন নখ গজাতে শুরু করবে।
নখ সাদা করার উপায় - নখ দ্রুত বড় করার ঘরোয়া উপায়
নখ যত বেশি সাদা থাকবে তত বেশি দেখতে সুন্দর লাগবে। অনেক সময় আমাদের নখ হলুদ বা ভিন্ন কালারের হয়ে যায় এজন্য নখের সৌন্দর্য হারিয়ে যায় এবং দেখতে কুৎসিত লাগে।
- বেসন এবং পানি একসাথে পেস্ট বানিয়ে নখে কিছুক্ষণ দিয়ে রাখলে নখ পরিষ্কার হয়ে যায় এবং সাদা হয়।
- বেকিং সোডা এবং পানি একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নখের ব্যবহার করলে নখের ফাঙ্গাস দূর হওয়ার পাশাপাশি নখের ময়লা দূর হয়ে নখ সাদা হয়।
- হালকা গরম পানি এবং শ্যাম্পু একসাথে মিক্স করে সেখানে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন এরপরে টুথব্রাশের সাহায্যে নখ পরিষ্কার করবেন তাহলে আপনার নখ সাদা হতে শুরু করবে।
- কমলালেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ একসাথে করে আঙুলে ব্যবহার করে কোন কিছুর মাধ্যমে ঘষাঘষি করবেন তাহলে আপনার নখের হলদে ভাব দূর হয়ে নখ সাদা হয়ে যাবে। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে যা নখ পরিষ্কার করতে ভীষণ কার্যকারী।
- নেলপালিশ ব্যবহার করা থেকে একেবারে বিরত থাকবেন। নেলপালিশ আস্তে আস্তে নখের সাদা ভাব কেড়ে নেয়।
- দাঁত মাজার করার পেস্ট এবং ব্রাশ দিয়ে নখ নিয়মিত ঘষামাজা করবেন। এভাবে কয়েকদিন ঘষামাজা করলে নখ ধকঝকে ফর্সা হয়ে যাবে।
- নখে নিয়মিত মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং কোনোভাবেই নখে কোন রকমের ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
- লেবু কিউব করে কেটে নখ ঘষাঘষি করলে নখ পরিষ্কার হয়।
- লেবুর রস এবং বেসন একসাথে করে পেস্ট বানিয়ে নখের উপর লাগিয়ে রাখবেন। এরপরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।
- তুলায় অলিভ অয়েল লাগিয়ে নখে মাসাজ করবেন এভাবে নখে মাসাজ করলে নখ ফর্সা হতে শুরু করে।
- রসুন অথবা পেঁয়াজ অথবা শসা কিউব করে কেটে নখে ঘষাঘষি করলেও নখ থেকে ময়লা দূর হয়ে দূর হয়ে যায় এবং নখ সাদা হয়।
- আপনি যদি নেইল পালিশ ব্যবহার করেন এবং নখকে সাদা রাখতে চান সেক্ষেত্রে নেইল পালিশ করার আগে বেস কোট ব্যবহার করবেন। এটা ব্যবহার করলে নখ ভালো থাকে।
- মধু দিয়েও নখ ঘষাঘষি করলে নখের ফাঙ্গাস দূর হয় এবং নখ সুন্দর হয়।
আপনি এসব উপায় অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনার নখ ধবধবে সাদা করে নিতে পারবেন এবং দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দর লাগবে।
অনেকে আছে যাদের নখ দ্রুত বড় হতে চাই না তারা যদি নখ বড় করতে চান তাহলে আপনারা এসব উপায় অবলম্বন করবেন। উপায় গুলো হচ্ছে রসুন কুয়া কুয়া করে কেটে নখের উপরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট প্রতিদিন মেসেজ করবেন। এভাবে দিনে দুইবার করে মাসাজ করবেন কয়েকদিন ব্যবহার করলে নখ দ্রুত বড় হতে শুরু করবে।
আরো পড়ুন :: লেবুর খোসা খাওয়ার নিয়ম এবং লেবুর খোসার উপকারিতা
টমেটো দিয়ে নখ প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিট মাসাজ করবেন। এভাবে মাসাজ করলে নখ শক্তিশালী হয় এবং দ্রুত বৃদ্ধি হয়। টমেটোতে ভিটামিন সি থাকে যা উপকারি। প্রতিদিন নারিকেল তেল অথবা অভিল অয়েল দিয়ে মাসাজ করলে নখ শক্ত হয় এবং খুব দ্রুত বড় হয়। লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল তেল একসাথে করে কিছুক্ষণ কুসুম গরম পরিমাণ করে নিবেন এরপরে সেখানে নখ ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুবিয়ে রাখবেন।
কমলালেবুর রস আঙুলে মাসাজ করে অথবা কমলালেবুর রসের মধ্যে আঙুল ডুবিয়ে রাখলেও খুব দ্রুত নখ বড় হয়। নিয়মিত মশ্চারাইজার ক্রিম এবং যত্ন নিলে তাড়াতাড়ি বড় হতে শুরু করে।
আপনি এসব উপায় গুলো অবলম্বন করলে খুব দ্রুত নখ বড় করে ফেলতে পারবেন। একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরী নখ বড় করলে অবশ্যই নখে এমনভাবে যত্ন নিতে হবে যাতে কোনভাবে সেখানে ময়লা জমতে না পারে। তাছাড়া নখের সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে এবং নখে বিভিন্ন রকমের ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
পায়ের নখ সুন্দর করার উপায় - হাতের নখ সুন্দর করার উপায়
হাত পায়ের নখ সুন্দর রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে নখের উপরে যত্নশীল হওয়া। আপনি নখের উপরে যত বেশি যত্নশীল হবেন নখ তত বেশি সুন্দর থাকবে। নখের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নখে কখনো কোন ভাবেই ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। সব সময় নখকে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত সময় ধরে নখকে ভিজিয়ে রাখবেন না চেষ্টা করবেন। সবসময় নখ শুষ্ক রাখতে হবে। নখে নিয়মিত নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল এবং মশচারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এইসব ব্যবহার করার ফলে নখ সুস্থ থাকে। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন নখে লেবু অথবা কমলা লেবু দিয়ে ঘষামাজা করতে হবে।
প্রতিদিন গোসলের সময় সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে নখকে ঘষামাজা করতে হবে। রসুন পেঁয়াজ কুয়া করে কেটে নখে ঘষাঘষি করতে হবে। নখে যেন কোনভাবেই ফাঙ্গাস বাসা বাঁধতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নখের ফাঙ্গাস হবার ফলে আস্তে আস্তে নখ নষ্ট হয়ে যায়। কোনভাবেই নখে আঘাতের মাধ্যমে ভাঙতে দেওয়া যাবে না।
সব সময় ভারী কোন আঘাত অথবা এমন ভাবে চলাফেরা করতে হবে যাতে না ভাঙ্গে। নখ কাটার ক্ষেত্রেও সতর্কতার সাথে কাটতে হবে যাতে সুন্দর আকারে থাকে তাহলে নখ দেখতে সুন্দর লাগবে। আপনি যদি বড় নখ রাখতে চান সেক্ষেত্রে অনেক রকমের সমস্যায় পড়তে হবে যেমন ময়লা জমা ভেঙ্গে যাওয়া।
এই সমস্যাগুলো থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বড় নখ দেখতে সুন্দর লাগে এজন্য অবশ্যই পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখতে হবে। নখে নেইল পালিশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন নেইল পালিশ ব্যবহার করার কারণে নখ দেখতে সুন্দর লাগে কিন্তু নখের ক্ষতি হয়। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার টুথপেস্ট নখের উপরে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে ঘষামাজা করবেন।
এভাবে করলে নখের ময়লা দূর হয় এবং নখ দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়। চেষ্টা করবেন নিয়মিত মেহেদী ব্যবহার করার মেহেদী ব্যবহার করার ফলে নখ দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আপনি এভাবে নখের যত্ন নিতে পারলেই আপনার নখ এমনিতেই সুন্দর হয়ে যাবে এবং দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় সুন্দর লাগবে।
হাত-পায়ের উভয় নখেরই যত্ন নেওয়ার কারণে নখ সুন্দর হয়। উভয়েরই নখের যত্ন নেওয়ার নিয়ম এবং পদ্ধতি একই।
নখ সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর
১ প্রশ্ন নতুন নখ উঠতে কত দিন লাগে?
উত্তর
যদি কোন আঘাতের কারণে হাতের নখ উঠে যায় ক্ষেত্রে ছয় মাসের মতো সময় লাগে আর যদি পায়ের নখ হয় তাহলে আঠারো মাসের মত সময় লাগবে।
২ প্রশ্ন নখ গজানোর জন্য কোন তেল ভালো?
উত্তর
নখ গজানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অলিভ অয়েল। আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারবেন তবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে খুব দ্রুত নখ গজায়।
৩ প্রশ্ন নখের জন্য কোন টিপস ভালো?
উত্তর
নখে কখনোই কোনোভাবে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মাঝেমধ্যে নখে পরিচর্যা করতে হবে যেমন লেবু কমলা লেবু রসুন এগুলোর মাধ্যমে।
৪ প্রশ্ন নখ ফাটার কারণ কি?
উত্তর কিছু কারণ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বিশেষ কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে নক কামড়ানো,অতিরিক্ত শুষ্ক রাখা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে অপুষ্টিকর রাখা। মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার না করার কারণেও নখ ফেটে যায়।
শেষ কথা
নখ সুন্দর এবং পরিপাটি রাখতে ও নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখতে অবশ্যই নখের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও নখের প্রতি যত্নশীল হয়।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url