মৃত্যু বাদে সকল রোগের সমাধান মধু - মধু খাওয়ার উপকারিতা

আপনি কি মধু খাওয়ার উপকারিতা এবং মধু দিয়ে রূপচর্চা ও মধুর কাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।আমরা এখানে মধু খাওয়ার উপকারিতা এবং আপনার মনের মধু সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর এবং সে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।আপনি ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন আশা করি সব উত্তর পেয়ে যাবেন।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এখানে পাবেন মধু খাওয়ার নিয়ম,মধু খাওয়ার অপকারিতা এবং মধু দিয়ে রূপচর্চা,সেক্স মধুর উপকারিতা,ইসলামের মধু খাওয়ার নিয়ম এবং কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম।তাই চলুন আমরা কথা না বাড়িয়ে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ভূমিকা

মধু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বড় একটি নিয়ামত। মধুর গুনাগুন এবং খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে এজন্য বলা হয়েছে মধু সকল রোগের ওষুধ হিসেবে কার্যকরী।এছাড়াও মধুতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে এবং আপনার চেহারাকে সুন্দর রাখতে সহায়ক হবে।

মধু মৌমাছিরা ফুল থেকে সংগ্রহ করে এবং মধু মিষ্টি ও তরল জাতীয় পদার্থ।অনেক রকমের উপকারী উপাদান রয়েছে যেমন গ্লুকোজ ভিটামিন এসিড এরকম যেসব উপাদান আমাদের শরীরকে একটিভ রাখতে সহায়তা করে।


শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব প্রয়োজন সে সব এ মধু আমাদের শরীরকে দিয়ে থাকে।মধুর উপকারিতা অসীম।মধু আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি প্রাকৃতিক ওষুধ।এ জন্য আমাদের মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে খাঁটি মধু খুঁজে বের করে খাওয়া উচিত যাতে করে মধুর যে নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে যেগুলো শরীরকে উপকৃত করে সেসব আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।

মধু খাওয়ার নিয়ম - মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময়

কোন ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী চলা জরুরী। তাছাড়া ভালো ফলাফল কোনোভাবেই আশা করা যায় না।এক্ষেত্রেও মধু খাওয়ার ফলে যেসব উপকার হয় সেসব পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী রয়েছে সেই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনে মধুর উপকারিতা গুলো প্রকাশ্য দেখতে পাবেন।মধু যে সত্যি কার্যকারী সে সম্পর্কে দৃশ্যমান সাক্ষী হতে পারবেন।নিচে মধু খাওয়ার নিয়মাবলী তুলে ধরা হলো।
  • সকালবেলা খালি পেটে প্রাকৃতিক যেসব খাবার রয়েছে সেসব সবকিছুই উপকারী।এসবের মধ্যে মধুও একটি।তাই প্রতিদিন সকালবেলা এক থেকে দুই চামচ মধু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।এটা আপনার শরীরকে অনেক বেশি পুষ্টি দান করবে।
  • আমাদের বর্তমানে একটি সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না।আমাদের না চাওয়া সত্ত্বেও আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়ে যায়।শরীরের ওজন কমাতেও মধু অত্যন্ত কার্যকারী।এক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ মধু দিয়ে সেখানে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দেবে এবং সেটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে চায়ের মত ভাবে পান করবে তাহলে আপনার ওজন কমাতে এটা কার্যকারী উপায় হবে।
  • আমরা সকালে নাস্তার ক্ষেত্রে পাউরুটির সাথে জেলি বা অন্যান্য এ জাতীয় কিছু খেয়ে থাকি।আজ থেকে এ ধরনের জেলি বা যাবতীয় যা আছে এসব কে পরিহার করুন এবং সেগুলোর পরিবর্তে মধু খাওয়া শুরু করুন।এগুলো আপনার শরীরকে এনার্জি দিবে না বরং মধু আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এনার্জি দিবে তাই নাস্তা তে মধু রাখার চেষ্টা করুন।
  • সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে কালোজিরা এবং মধু খাওয়া কারণ এই দুটাই হচ্ছে বিভিন্ন রোগের সেফা।তাই আপনি এই দুইটা একসাথে খাইলে আপনার শরীরে অনেক ভালো উপকারে আসবে।
প্রশ্ন করে থাকেন মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি?মধু খাওয়ার সেরকম নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। আপনি যখন ইচ্ছা তখনই মধু খেতে পারবেন তবে দুইটা সময় মধু খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী হিসেবে ধরা হয়।১ সকালে খালি পেটে মধু খাওয়া এবং ২ আপনি যে সময় ক্লান্ত অনুভব করবেন তখন। মধু খাওয়ার  ফলে  আপনার শরীর চাঙ্গা হতে সাহায্য করবে।

তাই নিয়ম করে এই দুই সময় মত হওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে আপনি অধিক তরে উপকৃত হতে পারবেন।

মধু খাওয়ার উপকারিতা - রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধুতে অনেক রকমের উপকার রয়েছে।আপনি মধু খাইলে কি কি উপকার হয় সেসব সম্পর্কে জানলে নিয়মিত মধু খাওয়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবেন।এজন্য আপনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার জন্য আমি নিচে মধু খাওয়ার ফলে আপনি কেমন উপকৃত হতে পারবেন তা বর্ণনা করবো।আপনি সেগুলো পড়ুন আশা করা যায় আপনি ধারণা করতে পারবেন যে মধু খাওয়ার ফলে কি কি উপকার হয়।
                                                                জ্বর সর্দি থেকে রক্ষা
শীতকাল এবং গরমকাল উভয় সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে রোগ দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে জ্বর এবং সর্দি।মধু জ্বর এবং সর্দি থেকে রক্ষা করার জন্য ভীষণ উপকারী।আপনার জ্বর এবং সর্দি হলে আপনি এক চামচ করে মধু পান করুন আপনার জ্বর সর্দি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
                                                          হৃদরোগের সমস্যা হতে মুক্তি
বর্তমানে আমাদের হৃদরোগের সমস্যা বেশি দেখা যায়।নিয়মিত মধু পান করার ফলে হৃদরোগের সমস্যা হতে নিরাপদ থাকা যায়।
                                                         রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আমাদের রোগ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া আপনি নিয়মিত মধু পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
                                                                   দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়
আপনি আপনার আশেপাশেই তাকালে দেখতে পাবেন যে অনেকে চোখে সমস্যায় ভুগছেন এবং সেজন্য চশমা ব্যবহার করছে।আপনি নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হবে।
                                                                   স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়
আমাদের জীবন চলার পথে অনেক রকমের চিন্তাভাবনা থাকে যেগুলোর কারণে আমাদের স্মরণ শক্তি দিন দিন কমতে থাকে মধু খাওয়ার ফলে স্মরণ শক্তি দিন দিন বাড়তে থাকে।
                                                                    বার্ধক্য দেরিতে আসে
আমরা কেউই চায়না যে সহজে বুড়ো হবো মধু আপনার শরীরকে টাইট রাখতে সাহায্য করবে এজন্য নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে আপনার বার্ধক্য আসতে দেরি হবে কারণ আপনার শরীর সতেজ এবং টাইট থাকবে।
                                                                      হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
ক্ষুধা হজম শক্তি এবং রুচি কে বাড়িয়ে দেয়।আমাদের ইদানিংকালে বড় সমস্যা হচ্ছে খাবারে রুচি পাওয়া যায় না।আপনি নিয়মিত মধু খাওয়ার পর ফলে আপনার মুখে খাবারের রুচি আসবে এবং খাবার খাওয়ার পরে যে হজম শক্তি দরকার সে হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে আর খাবার খাওয়ার জন্য দরকার হয় ক্ষুধা লাগ া আপনি মধু খাইলে আপনার ক্ষুধা লাগবে।
                                                                       মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
মুখের দুর্গন্ধ খুব বাজে জিনিস।আপনি ভদ্র সমাজে মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে গেলে আপনার সম্মান নষ্ট হবে। নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
                                                                           গর্ভবতী মহিলা
গর্ভবতী মহিলাকে নিয়মিত মধু খাওয়ান।গর্ভবতী অবস্থায় একটি মহিলা শরীলে অনেক রকমের ভিটামিন এর প্রয়োজন পড়ে।নিয়মিত মধু খাওয়ালে তার শরীরের অনেক ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে এবং পেটে থাকা বাচ্চার শরীর ভালো হবে।
                                                                             ব্যথা দূর করে
আপনার শরীরে যত রকমের ব্যথা আছে যেমন বাত ব্যথা মাথাব্যথা হাত পা ব্যথা এ জাতীয় যত রকমের ব্যাথা আছে সেগুলো দূর করতে মধু কার্যকরী ওষুধ।
                                                                       শরীরের দুর্বলতা দূর করে
মধু আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর করে দেয় এজন্য আপনি সব কাজ করতে আরাম পাবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

মধু দিয়ে রূপচর্চা - মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

আমরা নিজেদের রূপকে সুন্দর করতে এবং সুন্দর রাখতে অনেক টাকা এবং সময় ব্যয় করে থাকে পরবর্তীতে দেখা যায় সুন্দরের পরিবর্তে অসুন্দর হয়ে যায়। তখন আমাদের জন্য এটা খুব খারাপ হয়।মধু খাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেক ঠিক এভাবেই মধু দিয়ে রূপচর্চা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বও অনেক।
  • মধু ত্বকের বরণ দূর করতে ভীষণ উপকারে এক্ষেত্রে ব্যবহার করার পদ্ধতি হচ্ছে মধু এবং এলোভেরা কে একসাথে মিশিয়ে সেটা মার্কস হিসেবে মুখে লাগিয়ে রাখুন।এভাবে 15-20 মিনিট থাকার পরে সেটা ধুয়ে ফেলুন আপনি যা ফলাফল বুঝতে পারবেন।
  • মধু চেহারার গ্লো বাড়াতে সাহায্য করে।গ্লো বাড়ানোর জন্য যেভাবে ব্যবহার করবে তা হচ্ছে মধু এবং কফি একসাথে মিশিয়ে তা মুখের উপরে মাখিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার চেহারা গ্লো করছে।আপনি এ পদ্ধতি আপনার শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গই গ্লো করবে।
  • গোসলের আগে হালকা করে মুখে এবং শরীরে মধু ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের ত্বক নরম হবে।
  • মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এক্ষেত্রে ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে মধু এবং লেবুর রস একসাথে করে তা মুখের দিয়ে রাখুন অথবা মুখে যেসব দাগ আছে সেসব স্থানে দিয়ে রাখুন।এভাবে 15 থেকে 20 মিনিট দিয়ে রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন।কয়েকদিন ব্যবহার করার পরে দেখতে পাবেন আপনার মুখের দাগ দূর হয়ে গেছে।
  • দুই চামচ মধু কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল এবং টক দই একসাথে মিশিয়ে আপনার চুলা ব্যবহার করুন এতে করে আপনার চুলে যে রুক্ষ খুশকো ভাব আছে তা দূর হয়ে চুল সিল্কি হয়ে যাবে।

মধু খাওয়ার অপকারিতা - খালি পেটে মধু খাওয়ার অপকারিতা

সত্যি বলতে গেলে মধু খাওয়ার সেরকম কোন অপকারিতা নেই। এই হাতে গোনা কিছু পরিমাণ অপকারিতা আছে।মধু বরাবরই শরীরের জন্য উপকার।কিছু ক্ষেত্রে আছে সে ক্ষেত্রে অপকার।
  • অনেকের অনেক রকম এলার্জি থাকে।কারো ঠান্ডা,এলার্জি কারো ধোলাই এলার্জি,এরকম বিভিন্ন রকমের এলার্জি,যদি কারো মধুতে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে সে মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকবে তাছাড়া তার জন্য এটা ক্ষতির কারণ হবে।
  • অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না আপনি মধু খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকবেন যাতে অতিরিক্ত না খেয়ে ফেলেন অতিরিক্ত মধু আপনার পেটে কে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে এবং আপনার পেট খারাপ হবে।
  • যাদের ডাইবেটিসের সমস্যা আছে তারা মধুকে এড়িয়ে চলবেন।এটা আপনাদের জন্য ক্ষতিকর।মধু খাওয়া থেকে আপনারা সবসময় বিরত থাকবেন।
  • আমরা জন্মের সাথে সাথে অনেক বাচ্চার মুখে মধু দেই এটা কোনভাবেই করা যাবে না এটা তার জন্য ক্ষতিকর হবে বাচ্চাদের মধু খাওয়ানোর জন্য সর্বনিম্ন বয়স হচ্ছে এক বছর এক আগে বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সেক্স মধুর উপকারিতা

যৌন শক্তি বাড়িতে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম।গবেষণায় জানা গেছে নিয়মিত মধু খাইলে ছেলে মেয়ে উভয়ের যৌন শক্ত বৃষ্টি পায়।সপ্তাহ ৩/৪ দিন এক গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে শরবত হিসেবে খাবেন।যারা যৌন ক্ষমতায় কিছুটা অক্ষম তারা নিয়মিত মধু খাইলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম

ইসলাম এমন একটা জীবন ব্যাবস্থা যেখানে সব কিছুর নিয়ম রয়েছ।তাই চলুন ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম জেনে নেয়।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর খাবারের মধ্যে প্রতিদিনের একটি খাবার হচ্ছে মধু।তিনি নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খাইতেন।এজন্যই বলা হয় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।মধু সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা কুরআন ও মধু দিয়ে রোগের চিকিৎসা করবে। (ইবনে মাজাহ, আস-সুনান, ভলিউম 2, পৃ. 1142, হাদিস নং-3452)।

আরেক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে এক সাহাবী নবী (সাঃ) এর কাছে এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা জানালেন, রাসুল (সাঃ) তাকে মধু পান করার পরামর্শ দিলেন এবং তিনি সুস্থ হলেন। (বুখারী, আস-সহীহ, খ. 5, পৃ. 2152, হাদিস: 5360)। মধুর উপকারিতা এবং মধু যে রোগের ওষুধ এ সম্পর্কে হাদিস কোরআন উভয় জায়গাতে বর্ণিত রয়েছে এজন্য মধু নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করা।

কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম - সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা এবং মধু এই দুইটাই অনেক রকমের উপকার রয়েছে।কোরআনে মধু এবং কালোজিরা কে মৃত্যু বাদের সকল রোগের সেফা বলা হয়েছে।তাই কালোজিরা এবং মধু আপনি নিয়মিত খাবেন।কালোজিরা এবং মধু খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে তা আপনি উপরে পড়েছেন। এবার কালোজিরা খাওয়ার এবং মধু খাওয়ার  নিয়ম নিচে বলা হলো।
  • আপনি যদি কালোজিরা চিবিয়ে খাইতে পারেন তাহলে এক চামচ মধুতে কয়েক দানা কালোজিরা নিয়ে একসাথে খাবেন।
  • যদি আপনি কালোজিরা চিবিয়ে খেতে না পারেন তাহলে কালোজিরা গুড়া করে নিয়ে মধু এবং কালোজিরার গুঁড়া একসাথে খাবেন এতে করেও ফলাফল একই পাবেন।চেষ্টা করবেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু এবং কালোজিরা খাবার এতে করে আপনি উপকার বেশি পাবেন।
  • কালোজিরা মধু খাওয়ার এক সঙ্গে অনেক উপকারিতা রয়েছে আপনি এগুলো একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করুন আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
  • আপনার ব্যথা জাতীয় সমস্যা থাকলে জ্বর সর্দি এ জাতীয় অনেক সমস্যার থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।

শেষ কথা

মধু এবং কালোজিরা যেহেতু সম্পূর্ণ আল্লাহতালার পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত এজন্য এখানে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আরো যা যা দরকার সব কিছু রয়েছে। উপরে মধুর উপকারিতা এবং মধু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি সেসব পড়ে থাকেন আমি আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।মধু এবং কালোজিরা এই দুইটা তুলনা কোন কিছুতেই হবে না।

আমার এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধু মহল এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে এবং নিজেদের শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত মধু খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url