১৮ ২২ ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনা চেনার সহজ উপায় - বিদেশি সোনা চেনার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি খাঁটি সোনা চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে খাঁটি সোনা চেনার উপায় এবং বিদেশি সোনা চেনার উপায় ও সোনা চেনার যাবতীয় উপায় সম্পর্কে বলবো। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন আশা করে আপনি সোনা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন কত ক্যারেট সোনা ভালো, দুবাই স্বর্ণ চেনার উপায়, হলমার্ক সোনা চেনার উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যায়।
ভূমিকা
সোনা অনেক দামি জিনিস এবং সোনা মেয়েদের সাজসজ্জা একটি প্রয়োজনীয় অংশ। বাংলাদেশ সোনার খনি না থাকায় বিদেশ থেকে সোনা আমদানি করতে হয় এক্ষেত্রে অনেকে সোনা কেনার সময় প্রতারিত হন। সোনা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন দাম অনুযায়ী সেই ধরন গুলা চেনা যায়।
সোনা কোনটা খাঁটি এবং কিভাবে চেনা যায় কি সম্পর্কে জানা জরুরী। খাঁটি সোনা সম্পর্কে নিচে সবকিছু তুলে ধরা হলো আপনি নিচে পড়তে থাকুন।
খাঁটি সোনা চেনার উপায়
সোনা কিনতে গিয়ে প্রতারিত হতে হয় কারণ সোনাতে এমন কিছু উপাদান মিশিয়ে দেয়া হয় যে জন্য আমরা বুঝতে পারি না যে সোনা খাঁটি নাকি ভেজাল। তাই আপনার জন্য খাঁটি সোনা সম্পর্কে জানা জরুরী।
- গহনা বানাতে গিয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে কখনো গহনা তৈরি হয় না কারণ ২৪ ক্যারেট সোনা অনেক নরম হয়ে থাকে গহনা বানানোর ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট সোনার ব্যবহার হয় তাছাড়া সম্ভব না।
- বাজারে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং এসিড রয়েছে আপনি সেগুলোর মাধ্যমে খাঁটি সোনা যাচাই করতে পারবেন। আপনি খাঁটি সোনা এবং রাসায়নিক পদার্থ একসাথে মিশালে যদি সেটা খাঁটি সোনা হয় সে ক্ষেত্রে সোনার রং পরিবর্তন হবে না। যদি সেটা ভেজাল সোনা হয় সে ক্ষেত্রে রং পরিবর্তন হয়ে যাবে।
- লোহার সাহায্যেও খাঁটি সোনা পরীক্ষা করতে পারবেন এক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে আপনি সোনাকে চুম্বকের সাথে আটকা দিবেন। যদি চুম্বক সেটা আটকে নেই তাহলে বুঝবেন সোনাতে লোহা জাতীয় কিছু মেশানো রয়েছে এবং সেটা দুই নাম্বার সোনা বলে বিবেচিত হবে।
- একটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সোনা খাঁটি নাকি ভেজাল সেটি বুঝতে পারবেন উপায়টি হচ্ছে সাদা চিনামাটির প্লেটে আপনি সোনা দিয়ে জোরে দাগ দিবেন যদি সেই প্লেটে কালো দাগ হয় তাহলে বুঝবেন যে সোনায় ভেজাল মেশানো রয়েছে আর যদি সোনালী দাগ হয় সেক্ষেত্রে বুঝবেন সোনা একদম খাঁটি।
- আপনি আপনার দাঁতের মাধ্যমেও খাঁটি সোনা পরীক্ষা করতে পারবেন উপায় হচ্ছে সোনাকে আপনি হালকা করে কামড় দেবেন যদি সোনার উপরে কামড়ের দাগ বসে তাহলে সেটি খাটি সোনা বলে ধারণা করা হবে আর যদি কোন রকমের দাগ না বসে বা দাগের পরিমাণ গভীর হয় সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়।
- আপনার শরীরের ঘাম দিয়েও খাঁটি সোনা পরীক্ষা করতে পারবেন আপনার শরীরের কিছু পরিমাণ ঘাম সোনায় লাগিয়ে দেন যদি সেখান থেকে ঘামের গন্ধ বের হয় তাহলে সে কি ভেজাল সোনা বলে আখ্যায়িত হবে। খাঁটি সোনা থেকে সব সময় সোনার ঘ্রাণ যেটা রয়েছে সেটি বের হবে।
- বাসায় যদি ভিনেগার থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সোনার উপরে থেকে কয়েক ফোটা ছিটিয়ে দিবেন। সব সময় মনে রাখবেন খাঁটি সোনা থেকে কখনো রং উঠবে না ভিনেগার ছিটানের পরে যদি সেখান থেকে রং উঠে আসে তাহলে সেটি ভেজাল সোনা ধরা হবে।
- আপনি একটি গভীর পাত্রে দুই গ্লাস পানি নিবেন এবং সেখানে আপনার সোনার অলংকার ছেড়ে দেবেন। যদি সেখান থেকে সোনা উপরে ভেসে আসে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সোনার মধ্যে ভেজাল বা খাত মেশানো রয়েছে এটা কোনভাবেই খাটি সোনা হতে পারে না।
খাঁটি সোনা চেনার পদ্ধতি যেগুলো বলা হলো আপনি এগুলোর মাধ্যমে আপনার খাঁটি সোনা যাচাই-বাছাই করতে পারবে এবং আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।
বিদেশি সোনা চেনার উপায়
আমরা অনেকে বিদেশ থেকে বাসায় আসার সময় নিজের পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য সোনার গহনা কিনে নিয়ে আসি। এক্ষেত্রে আমরা অনেকে সন্দেহে পড়ে যায় যে সোনা কি আসল নাকি নকল। আপনার এই দ্বিধা দ্বন্দ্ব দূর করার জন্যই এই পোস্টটি এখন আপনাকে বিদেশি সোনা কিভাবে চিনবেন সে সম্পর্কে বলা হবে
- বিদেশি সোনা খাটি কি না বুঝার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যে বিষয় লক্ষ্য করতে হবে তা হচ্ছে হলমার্ক দেখে নিতে হবে।
- সোনা সাধারণত কয়েক রকমের হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ১৮ ক্যারেট ২২ ক্যারেট ২৪ ক্যারেটে। আপনি যখন খাঁটি সোনা কিনতে যাবেন তখন সেই সোনার উপরে হলমার্ক ছিল দেওয়া থাকবে এতে করে আপনাকে বুঝতে হবে এটি খাঁটি সোনা।
- আপনি যদি বিদেশ থেকে সোনা নিয়ে আসেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদেশে চেক করে নিবেন যে এটা কি খাঁটি সোনা নাকি ভেজাল।
- আপনি বিদেশী সোনা খাঁটি কি না এজন্য উপরে বলা সোনা চেনার উপায় যেসব রয়েছে সেসব পদ্ধতিতেও পরীক্ষা করতে পারেন।
- আপনি চুম্বক দিয়ে, কামড় দিয়ে, পানির সাহায্যও খাঁটি সোনা পরীক্ষা করতে পারবেন।
আরো পড়ুন :: রেশম পোকার উপকারিতা,রেশম চাষের গুরুত্ব
বিদেশ থেকে সোনা আনার সময় অবশ্যই যতটুকু পরিমাণ সোনা আনা বৈধ ততটুকুই আনার চেষ্টা করবেন।
কত ক্যারেট সোনা ভালো
আপনি সোনা কিনতে গেলে আপনার সামনে অনেক রকমের সোনা বের করে দেয়া হবে। এমন সময় আপনি দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যেতে পারেন যে কোন সোনা ভালো হবে। তাই নিচে কত ক্যারেট সোনা ভালো সে সম্পর্কে বলা হলো
সোনা ছয় ধরনের হয়ে থাকে
- ২৪ ক্যারেট।
- ২২ ক্যারেট।
- ১৮ ক্যারেট।
- ১৪ ক্যারেট।
- ১২ ক্যারেট।
- ১০ ক্যারেট।
২৪ ক্যারেট সোনা
হচ্ছে এমন সোনা যেটিকে ১০০% খাঁটি বলা হয়। এখানে কোন রকমের কোন ভেজাল মেশানো থাকে না। আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ২৪ ক্যারেটের উপরে কোন সোনা হয় না। ২৪ ক্যারেট সোনা যেহেতু ১০০% খাঁটি সে ক্ষেত্রে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম সবচেয়ে বেশি।
আপনাকে এটিও মাথায় রাখতে হবে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে কখনো গহনা বা অলংকার তৈরি করা যায় না কারণ এই সোনা অনেক নরম।
২২ ক্যারেট সোনা
এখানে অল্প কিছু পরিমাণে অন্য ধাতু মেশানো থাকে। সোনার ২৪ টি কোণা হয়ে থাকে। ২২ ক্যারেট সোনার ২২ টা কোনায় খাঁটি সোনা দেয়া থাকে এবং দুইটি কোনায় অন্য ধাতু মেশানো থাকে এজন্য এটাকে ২২ ক্যারেট সোনা বলা হয়। ২২ ক্যারেট সোনাতে ৯১.৬৭% খাঁটি সোনা থাকে বাকি ৮.৩৩ অন্য ধাতু মেশানো থাকে।
২২ ক্যারেট সোনা গহনা এবং অলংকার বানানোর জন্য একদম উপযুক্ত এবং এই সোনা দিয়ে অলংকার এবং গহনা খুব ভালো হয়। ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের তুলনায় ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম একটু কম।
১৮ ক্যারেট সোনা
১৮ ক্যারেট সোনায় ৭৫% খাঁটি সোনা মেশানো থাকে এবং বাকি ২৫% অন্য ধাতু থাকে। এই ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়েও আপনি অলংকার, গহনা বানাতে পারবেন তবে থেকে ২২ ক্যারেটের তুলনায় একটু নিচু মানের হবে। দামের ক্ষেত্রেও ১৮ ক্যারেট সোনার দাম কম। আপনি ১৮ ক্যারেট সোনা কিনতে গিয়ে অবশ্যই দেখে নিবেন যে সোনার গায়ে হলমার্ক লাগানো আছে কিনা অর্থাৎ নাম্বার।
এরকমের নাম্বার থাকে 18K,18Kg যদি এরকম নাম্বার দেখতে পান তাহলে আপনি বুঝবেন একটি খাঁটি স্বর্ণ।
১৪ ক্যারেট স্বর্ণ
১৪ কারের সোনাতে ৫৮% খাঁটি সোনা থাকে এবং বাকি ৪২% অন্য ধাতু থাকে। এই সোনা অন্য সোনার তুলনায় চলার মত। আপনি এই স্বর্ণ দিয়েও অলংকার গহনা বানাতে পারবেন এবং দামের ক্ষেত্রেও এগুলোর দাম কম।
১২ ক্যারেট স্বর্ণ
১২ ক্যারেট সোনায় ৫০% খাঁটি সোনা থাকে এবং ৫০% অন্য ধাতু থাকে অর্থাৎ অর্ধেক খাঁটি এবং বাকি অর্ধেক ধাতু। এই ধরনের সোনা কেনা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
১০ ক্যারেট সোনা
১০ ক্যারেট সোনা ৪২ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে এবং বাকি ৫৮% ভেজাল সোনা থাকে বা অন্য ধাতু থাকে। এটা কোনভাবে খাঁটি সোনা হতে পারে না। এই সোনা কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। আপনি এই সোনা দিয়ে ভালো অলংকার গহনা বানাতে পারবেন না। আপনার সম্পূর্ণ টাকা নষ্ট হবে এবং দামের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সোনার দাম খুব কম।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন ধরনের স্বর্ণ ভালো। আপনাকে ২৪ ক্যারেটের নাম বলে ভেজাল সোনা দিয়ে দিবে এজন্য খাটি সোনা চেনার যেসব উপায় রয়েছে সেসব সম্পর্কে জানা খুব জরুরী।
দুবাই স্বর্ণ চেনার উপায়
পৃথিবীর মধ্যে আরব দেশগুলোর স্বর্ণকে খাঁটি স্বর্ণ হিসেবে প্রথম সারিতে রাখা হয়। এবার আপনি জানবেন কিভাবে আপনার স্বর্ণটি দুবাই স্বর্ণ কিনা সে সম্পর্কে। দুবাই স্বর্ণ চেনার জন্য আপনার যা যা করণীয় তা নিচে বলা হলো
- খাঁটি স্বর্ণের গায়ে হলমার্ক থাকে। আপনি দুবাইয়ের স্বর্ণ কেনার ক্ষেত্রেও অবশ্যই আপনাকে হলমার্ক দেখে নিতে হবে তাছাড়া আপনি প্রতারিত হবেন। দুবাইয়ের স্বর্ণ চেনার জন্য আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যে জিনিস সেটি হচ্ছে দুবাইয়ের হলমার্ক সম্পর্কে জানা। আপনি দুবাইয়ের হলমার্ক সম্পর্কে জানতে পারলে আপনি দুবাইয়ের খাঁটি সোনা কিনতে পারবেন।
- আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে খাঁটি সোনা। ২২ ক্যারেট সোনা ৯১.৬৭% খাটি সোনা। ১৮ গ্যারেট সোনা ৭৫% খাঁটি। দুবাইয়ের সোনা কেনার ক্ষেত্রেও আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
- দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম বাংলাদেশের স্বর্ণের দামের তুলনায় বেশি এবং আপনি দুবাই থেকে স্বর্ণ আনতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ভ্যাট দিতে হবে। দুবাইয়ের স্বর্ণের প্রতি ভরি দাম ৮৫ হাজার টাকা এবং আনার ক্ষেত্রে আপনার ভ্যাট পরবে। সব মিলিয়ে অনেক টাকা পড়ে যায়।
খাঁটি সোনা চেনার পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি দুবাইয়ের খাঁটি সোনাও খুব সহজে চিনতে পারবেন।
হলমার্ক সোনা চেনার উপায়
হলমার্ক হচ্ছে এমন একটি জিনিস যেটাকে খাঁটি সোনা হিসেবে প্রমাণিত করে। হলমার্ক না থাকলে সেটি কোনোভাবেই খাঁটি সোনা না হতে পারে না। হলমার্ক হল সোনার বিশুদ্ধতা এবং খাঁটি এটার প্রমাণ করে। আপনি কোথাও থেকে সোনা কিনলে আপনার জন্য উচিত এবং আবশ্যক যে আপনি হলমার্ক দেখে সোনা কিনবেন।
আপনি ১৮ ক্যারেটের সময় 18K বা 18kg লেখা থাকবে এটি হচ্ছে ১৮ ক্যারেট সোনার হলমার্ক। ২৪ ক্যারেট সোনায় 24K বা 24Kg লেখা থাকবে। এটা ২৪ ক্যারেট সোনার হলমার্ক। ২২ ক্যারেট সোনা 22K বা 22 kg লিখা থাকবে। এটি ২২ ক্যারেট সোনার হলমার্ক।
সোনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন।
খাঁটি সোনা সম্পর্কিত মানুষের জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের উত্তর
১৮ ক্যারেট সোনা বলতে কি বুঝায়?
১৮ ক্যারেট সোনা হচ্ছে যেটার ৭৫% খাঁটি সোনা এবং ২৫% অন্য ধাতু মেশানো এটিকে ১৮ ক্যারেট সোনা বলা হয়। এটার দাম ২২ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেট সোনার তুলনায় কম।
সোনার ক্যারেট মানে কি?
ক্যারেট মূলত একটি স্বর্ণের বিশুদ্ধতা এবং খাঁটি ভাব বোঝানোর জন্য নাম দেওয়া হয় বা ব্যবহার করা হয়। স্বর্ণের ক্যারেট যত বেশি হবে সোনা ততো খাঁটি বলে বিবেচিত করা হবে। ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে খাঁটি তার নিচে রয়েছে ২২ ক্যারেট সোনা আর ২২ ক্যারেট সোনার নিচে রয়েছে ১৮ ক্যারেট।
KDM সোনা কত ক্যারেট?
KDM সোনাকে ২২ ক্যারেট সোনার মধ্যে ধরা হবে কারণ এর ৯২% সোনা এবং বাকিগুলো অন্য ধাতু দিয়ে গড়া। kDM সোনা অলংকার এবং গহনা বানানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
২৪ ক্যারেট স্বর্ণের শতকরা কত ভাগ?
২৪ ক্যারেট সোনা হচ্ছে ১০০% খাঁটি সোনা এখানে কোন রকমের কোন ধাতু মেশানো থাকে না এবং ২৪ তারিখ সোনাকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ সোনা বলে বলা হয়। এই সোনা তুলনামূলক নরম হয়ে থাকে ও এই সোনা দিয়া অলংকার এবং গহনা করা সম্ভব না কারণ এতে করে আপনার গহনা নরম হয়ে যাবে।
আপনি যদি ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে গহনা বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অন্য ধাতু বা খাদ মেশানোর প্রয়োজন পড়বে তখন সেটি খাঁটি সোনা থাকবে না।
১৮ ক্যারেট স্বর্ণে কত শতাংশ স্বর্ণ থাকে?
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৭৫ শতাংশ স্বর্ণ থাকে এবং 25 শতাংশ অন্য ধাতু মেশানো থাকে। আপনি এই সোনা দিয়ে অলংকার এবং গহনা বানাতে পারবেন। এই স্বর্ণের দাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দামের তুলনায় কম।
২২ ক্যারেট সোনা সমান কত গ্রাম?
২২ ক্যারেট সোনার প্রতিটি ভরি হচ্ছে ১১ পয়েন্ট ৬৪ গ্রাম।
গহনা সোনা কত ক্যারেট হয়?
গহনা করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী এবং ভালো সোনা হচ্ছে ২২ ক্যারেটের সোনা।। ২৪ ক্যারেট সোনা নরম হওয়ায় সেটা দিয়ে ভালো গহনা হবে না। ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে আপনি খুব ভালো গহনা বানাতে পারবেন। আপনি চাইলে ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়েও গহনা বানাতে পারবেন এতে করেও আপনার গহনা ভালো হবে।
সবচেয়ে ভালো হয় ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে গহনা বানালে। আপনাকে অবশ্যই খাঁটি সোনা চেনার পদ্ধতিসম্পর্কে জানতে হবে তাছাড়া আপনাকে ১৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে সেটিকে ১৮ ক্যারেট বলে চালিয়ে দিবে। এতে করে আপনি প্রতারিত হবেন।
শেষ কথা
সোনা অনেক মূল্যবান জিনিস। অবশ্যই বিশ্বস্ত কারো কাছে সোনা কেনার চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনি প্রতারিত না হন। সোনার দাম তুলনামূলক দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশে সোনার দাম এখন বেশি।
আপনি যদি গহনা বানানোর ইচ্ছা করে থাকেন সেক্ষেত্রে ১৮ ক্যারেট সোনা বা ২২ ক্যারেট সোনা আপনার জন্য ভালো হবে। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে এবং প্রতারিত না হয়।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url