যেসব কারণে হেচঁকি বা হিক্কা হয়- হেচঁকি বন্ধ করার ১৬ টি উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি হেচঁকি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে পোস্টে আপনার জন্য আমি এই পোষ্টের মধ্যে হেঁচকি বন্ধ করার উপায় - হেঁচকি উঠলে করণীয় এবং হেঁচকি কেন হয় - নবজাতকের হেঁচকি কেন হয় এসব সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে হেঁচকি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
হেচঁকি বন্ধ করার উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় - নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় এবং হেঁচকি কমানোর উপায় - হেঁচকি উঠলে কি করতে হয় ও হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া - হেঁচকি বন্ধ করার ঔষধ এর নাম কি কি সেসব সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

আমাদের কম-বেশি সবারই প্রতিদিন হেঁকছি উঠে। এটি একটি বিরক্তকর পরিস্থিতি। কখনো কখনো হেঁচকি উঠে তৎক্ষণাৎ চলে যায় আবার অনেক সময় দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়। হেঁচকি হয়ে থাকে অসাবধানতা থেকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা। হেঁচকের সমস্যায় যিনি ভুগেন সেই জানে পরিস্থিতিতে কতটা বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক।


আমরা হেঁকছি থামানোর জন্য অনেকে অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। কোনটাতে কাজ হয় আবার কোন তাই কাজ হয় না।

হেঁচকি কেন হয় - নবজাতকের হেঁচকি কেন হয়

হেচকি হওয়ার পিছনে কিছু কারণ থাকে সেই কারণগুলো এড়িয়ে চললেই আমরা হেঁচকি থেকে বেঁচে থাকতে পারবো।
  • তাড়াহুড়ো করে যেকোন খাবার খাওয়ার ফলে হেঁচকি শুরু হওয়া সম্ভাবনা থাকে এজন্য কখনোই তাড়াহুড়া করে খাবার খাবেন না। তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং হজমশক্তিও জন্য অনেক বেশি ভয়ংকর।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় হেঁকছির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • ঝাঁঝালো যেসব পানীয় রয়েছে সেগুলো খাওয়া কারণে হেঁচকি ওঠে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে যে কোন নেশা করার কারণে অথবা মদ পান করার কারণেও হেঁচকের সমস্যা তৈরি হয়।
  • ফুসফুসের এক ধরনের চামড়া সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণেও হেঁচকে উঠে।
  • চেতনানাশক, পার্কিনসন্স,কেমোথেরাপি এরকম রোগের ওষুধ নেওয়ার কারণেও হেঁচকি তৈরি হয়।
  • কিডনি ফেল করলে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে অনেকের হেঁচকি তৈরি হয়।
  • হাসার সময় অথবা কাশি দেওয়ার সময় কোন কিছু পান করলে অথবা খাওয়ার ফলেও হেঁচকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পরিমাণের তুলনায় যেকোনো ধরনের খাবার বেশি খাওয়ার ফলেও পেটের সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি হেঁচকি ওঠার সম্ভাবনাও থাকে।
  • খাবার খাওয়ার সময় অন্য কিছু চিন্তা করলে অথবা মনোযোগ অন্যদিকে রেখে আনমনে খাবার খাইলেও হেঁচকে ওঠে।
  • দীর্ঘ সময় ধরে পানি পান না করার পরে একটা সময়ে একসাথে অনেক পানি পান করার ফলেও হেঁচকি ওঠে।
  • জোরে জোরে হাসা,হুট করে ভয় পেয়ে যাওয়া,আবেগের মাত্রা তীব্র হওয়ার কারণে ও উত্তেজনা বৃদ্ধি হওয়ার কারণেও অনেক সময় হেঁচকি ওঠে।
  • চুইংগাম বা এজাতীয় কিছু খাওয়ার কারণে পেটের মধ্যে বাতাস প্রবেশ করে। এই বাতাস প্রবেশ করার কারণেও হেঁচকে উঠে থাকে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মসলাদার ও ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও হেঁচকি হয়।
  • অনেকের ক্ষেত্রে জন্মগত কারণেও বারবার হেঁচকি ওঠার সমস্যা হয়।
  • যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই হেঁচকি উঠার সমস্যা হয়ে থাকে।
  • আলসার অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যদি থাকে এই সমস্যাগুলো থেকেও হেঁচকে উঠে।
অধিকাংশ সময় দেখা যায় নবজাতক শিশুর হেঁচকি উঠতেই থাকে যার কারণে শিশুর সমস্যা হয়। শিশুর পেটে অতিরিক্ত বায়ু অথবা গ্যাস থাকার কারণে মূলত হেঁচকি উঠে থাকে। দুধ পান করানোর পরে শিশুদের ঢেকুর না তোলানোর কারনেও হেচঁকি উঠে। শিশুদেরকে কখনো একসাথে অতিরিক্ত পরিমাণে ফিডার দিয়ে অথবা স্তন থেকে দুধ পান করাবেন না।

অতিরিক্ত দুধ পান করানোর কারণেও শিশুদের হেঁচকি ওঠে এবং সব সময় চেষ্টা করবেন দুধ পান করানোর পরে ঢেকুর উঠানোর এতে করে শিশুদের পেটে ভালোভাবে দুধ হজম হয় এবং হেঁচকে সমস্যা হয় না।

হেঁচকি বন্ধ করার উপায় - হেঁচকি উঠলে করণীয়

হেঁচকি উঠলে এমন কিছু উপায় রয়েছে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করলে খুব সহজেই হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।
  • হেঁচকি উঠতে থাকলে আপনি এক টুকরো লেবু আপনার মুখের মধ্যে রেখে চুষতে থাকুন দেখবেন খুব সহজেই আপনার হেঁকছি বন্ধ হয়ে যাবে।
  • হেঁকছি ওঠার সময় দীর্ঘ একটি শ্বাস নিবেন এবং সেই শ্বাস ভিতরে অনেক সময় ধরে আটকে রাখবেন এরপরে নাক বন্ধ করবেন ও মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়বেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়।
  • এক টুকরো বরফ মুখের মধ্যে নিয়ে বরফ গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর সেই পানি গিলে নিলেও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়।
  • কিছু সময় ধরে নাক চেপে রেখে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার ফলেও হেঁচকির উঠা নামা বন্ধ হয়।
  • কিছু পরিমাণে ঠান্ডা পানি পান করেও দেখতে পারেন এই পদ্ধতিও কার্যকর।
  • গরম দুধ পান করা অথবা গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলেও হেঁচকি সমস্যা উঠার সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
  • কোন কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে তার মধ্যে মাথা ও মুখ ঢুকিয়ে সেখানে শ্বাস নিবেন এবং একাধারে শ্বাস ছাড়তে থাকবেন। এভাবে বেশ কয়েকবার করার ফলেও হেঁচকি সমস্যার সমাধান হয়।
  • কিছু পরিমাণ চিনি জিহ্বার উপর নিয়ে অপেক্ষা করবেন এরপর কিছু সময় পরে গিলে ফেলবেন। এই পদ্ধতিও আপনি অবলম্বন করতে পারেন।
  • কিছু সময় ধরে জিব্বা বাহিরের দিকে টেনে ধরে রাখুন। এই পদ্ধতি হাস্যকর মনে হলেও কার্যকারী।
  • সামান্য পরিমাণ পিনাট বাটার খাওয়ার ফলেও হেঁচকি থেমে যায়।
  • দুই কানে আঙ্গুল এমনভাবে গুঁজে রাখবেন যেন বাহিরের কোন আওয়াজে আপনি শুনতে না পান। এই পদ্ধতিও হেঁচকি বন্ধ করার জন্য কার্যকর।
  • নিজেকে কোন ভাবে ভয় পাইয়ে দিন। ভয় পাওয়ার কারণে নার্ভ চমকে ওঠে এবং দ্রুত কাজ করা শুরু করে যার ফলে হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে যায়।
  • দুই হাটু বুক পর্যন্ত টেনে সামনের দিকে ঝুঁকে কিছু সময় পর্যন্ত এভাবে বসে থাকুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ঠান্ডা পানি খুব তাড়াতাড়ি হেঁচকি বন্ধ করে।
  • লেবুর রস এবং আদা কুচি একসাথে মিক্স করে খাওয়ার ফলেও অল্প সময়ে হেঁকছি বন্ধ হয়ে যায়।
  • হালকা গরম পানি ও মধু একসাথে মিক্স করে তা জিহ্বার নিচে কিছু সময় রাখুন। এরপরে গিলে ফেলুন এভাবে করলেও হেঁচকি চলে যায়।
আপনি এসব উপায় অবলম্বন করলে খুব সহজে আপনার হেচকি দূর করে ফেলতে পারবেন। হেচকি উঠলে আপনার করণীয় হচ্ছে কখনোই তাড়াহুড়া না করে যেসব উপায় বলা হলো সেগুলো অবলম্বন করুন। দেখবেন আপনার হেঁচকে অতি দ্রুত চলে গেছে এবং এই বিরক্তকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।


সব সময় যেসব কারণে হেঁচকি উঠে থাকে সেসব কারণগুলো থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন।

বাচ্চাদের হেঁচকি বন্ধ করার উপায় - নবজাতকের হেঁচকি বন্ধ করার উপায়

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অধিকাংশ সময়ে তাদের হেঁচকি উঠতে থাকে. বাচ্চাদের হেঁচকি দূর করারও কিছু উপায় রয়েছে। সেই উপায় গুলো অনুসরণ করলে তাদের এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ছোট বাচ্চাদের হেচকি দূর করা সবচেয়ে সেরা ও উত্তম উপায় হচ্ছে শিশুকে ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করবেন।

ছোট বাচ্চা যদি কোন কিছু খাওয়ার পরে ঢেকুর তুলতে শুরু করে তাহলে তার খাওয়া সেই সময় বন্ধ রেখে তাকে ঢেকুর তুলতে দিন। এভাবে ঢেকুর তোলার ফলে তার পেটে জমা বায়ু বের হয়ে যায় এবং শিশু গ্যাসের সমস্যা ও হেঁচকি সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকে। বাচ্চাদের হেঁচকি উঠতে থাকলে তাদের পিঠে আলতো ভাবে ঘষাঘষি করুন।

অনেক জোরে ঘষবেন না অথবা মারবেন না। কোমল ভাবে কিছু সময় ধরে তাদের পিঠে ঘষাঘষি করলেই হেঁচকি চলে যায়। ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর পরে কোন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সোজা বা খাড়া করে বসিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় শিশুকে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না তাহলে তাদের হেঁচকির সমস্যা বন্ধ হয়ে যাবে।

হেঁচকি উঠতে থাকলে শিশুদের সাথে খেলা করুন অথবা হাসাহাসি করুন বা এমন কোন কাজ করবেন যার কারণে তাদের মনোযোগ অন্যদিকে সরে যায়। মনোযোগ অন্যদিকে করার কারণেও তাদের হেচকি কমে যায়। শিশুর বয়স যদি ৫ থেকে ৬ মাস হয় আর এরকম শিশু যদি হেচকি উঠে তাহলে তাদেরকে হালকা পরিমাণে চিনি খাওয়াতে পারেন।

যখন শিশুদের হেঁচকি উঠবে তখন তাদেরকে নরম খাবার খেতে দেন। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার কারনে যদি শিশুর হেঁচকি উড়তে থাকে তাহলে তাকে আর কিছু পরিমাণে দুধ খাওয়ান এতে করে হেঁকছি কমে যাবে। কয়েক ফোটা লেবুর রস খাওয়ানোর ফলেও ছোট বাচ্চাদের হেঁচকে ভালো হয়ে যায়। দুই কানে আঙ্গুল দিয়ে কিছু সময় ধরে ঝাকাবেন এ পদ্ধতিও কার্যকারি।

শিশুকে কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াবেন না। যখন কান্না করতে শুরু করবে তখন তাকে জোর করে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকেন। আপনি এসব পদ্ধতিতেই বাচ্চার হেঁচকি বন্ধ করতে পারবেন। বাচ্চাদেরকে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত এবং সময়মতো খাওয়াতে হবে যখন কান্না করবে তখনই শুধু খাওয়ানো একটি সম্পূর্ণ ভুল।

এর ফলে তাড়াহুড়ো খাওয়া করে খায় যার কারণে হেঁচকি হওয়া সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায়। যদি সময় করে নিয়মিত ক্ষুধা লাগার আগে খাওয়ানো হয় সেক্ষেত্রে তারা আরামে খায় এবং হেচঁকি হওয়ার সমস্যা থেকেও বেঁচে থাকে এবং খাবার পেটে ভালোভাবে হজম হয়।

হেঁচকি কমানোর উপায় - হেঁচকি উঠলে কি করতে হয়

যখন হেঁচকি ওঠে তখন তা আমাদের জন্য একটি বিরক্তকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনার হিচকি অনেকটা কমে যাবে এবং আপনি বিরক্ত কর পরিস্থিতি থেকে একেবারে আরাম পাবেন। হেঁচকি উঠলে ঠান্ডা পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ঠান্ডা পানি হেঁচকি কমাতে অনেকটাই কার্যকারী। ঘনঘন ঢেকুর তুলতে থাকবেন।

ঢেকুর তোলার কারণেও পেটের ভিতর থেকে বাতাস বের হয়ে যায় এবং হেঁচকি কমে যায়। লেবুর রস বা টক জাতীয় কোন ফল মুখে নিয়ে কিছু সময় ধরে রেখে দিবেন। এরপরে চুষে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। জিহ্বার উপরে চিনি নিয়ে বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার ফলেও হেঁকছি কমে যায়। যখন হেঁকছি উঠতে শুরু করবে তখন মনকে একদিক থেকে আরেক দিকে ঘুরিয়ে দিন।


মাথা এবং হেঁটো একসাথে করে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। জোরে উপরের দিকে শ্বাস নেয়ার পরে আস্তে আস্তে শ্বাস ফেলবেন। নিজেকে ভয় পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন ভয় পাওয়ার কারণে নার্ভ দ্রুত কাজ করা শুরু করবে এবং হেঁচকি কমে যাবে। গরম দুধ অথবা কুসুম গরম পানি ও মধু এক সাথে করে খেতে পারেন। জিব্বা বাহিরে কিছু সময় ধরে টেনে রাখবেন এবং মুখ নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন।

গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পিনাক বাটার খাওয়ার কারণে হেঁচকি কমে যায়। কিছু সময় কানে দুই আঙুল দিয়ে চেপে ধরে রেখে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়বেন। গোল মরিচের ঘ্রাণ নিবেন অথবা গোল মরিচ পানিতে মিশিয়ে খাবেন। আদা চিবিয়ে খাবেন অথবা আদা পানিও খেতে পারেন।

যদি হেঁচকি উঠার মাত্রা কম হয় তাহলে তা উঠতে দিন একটা সময় আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি অতিরিক্ত মাত্রা হতে থাকে তাহলে এসব উপায়গুলো গ্রহন করুন। হেঁকছি ওঠার সাথে সাথে এসব পন্থা অবলম্বন করার কোন দরকার নেই। কিছু সময় আগে অপেক্ষা করবেন তারপরে যদি না কমে সেক্ষেত্রে এসব উপায় অবলম্বন করবেন।

এসব উপায় গুলো মানলেই আপনি আপনার হেচঁকি খুব সহজে কমিয়ে ফেলতে পারবেন এবং এই বিরক্তকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রেহাই দিতে পারবেন।

হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া - হেঁচকি বন্ধ করার ঔষধ

হেঁচকি দূর করার জন্য হাদীসে বর্ণিত কোন নির্দিষ্ট দোয়া নেই। মানুষ যেসব দোয়া পাঠ করে সেগুলো সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। হেঁচকে উঠলে যেসব উপায় উপরে বলা হয়েছে সেই সব উপায় অবলম্বন করলে খুব সহজে হেঁকছি কমে যাবে। এমনকি একেবারে হেঁচকি নাই হয়ে যাবে। যদি আপনাকে এখন থেকে কেউ হেঁচকে দূর করার দোয়া বলে

তাহলে আপনি সিওর হবেন যে সে আপনাকে সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন একটি দোয়ার কথা বলছে যার কোন প্রমাণ হাদিসে নেই। এজন্য মানুষের বর্ণিত দোয়া থেকে বিরত থেকে যেসব উপায় গুলো বলা হলো সেইসব উপায় গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার হেঁচকে দূর হয়ে যাবে। উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করার পরও যদি হেঁটে না কমে সেক্ষেত্রে আপনি আ্যান্টাসিড চুষে খেতে পারেন।

এন্টাসিড খাওয়ার কারণে হেচঁকি কমে যায়। এটি গ্যাসের সমস্যা ও পেটের বায়ুর সমস্যা দূর করতে কার্যকরী আর হেঁচকে মূলত পেটে বায়ু জমা জন্য হয়ে থাকে। এসবের পরেও যদি আপনার হেঁচকি না কমে তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হেঁচকি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় রোগের বার্তা বাহক হিসেবে কাজ করে।


কিডনির সমস্যার জন্য অনেক সময় হেঁচকে অনেক পরিমাণে হয়ে থাকে এজন্য আপনার হেঁচকে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন এবং ডাক্তারের মত অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

হেঁচকি সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন বারবার হেঁচকি লাগে কেন?

উত্তর

অনেক দ্রুত খাবার খাওয়ার কারণে বারবার হেচকি ওঠা সমস্যা হয়ে থাকে। চেষ্টা করবেন সবসময় আসতে ধীরে খাবার খাওয়ার।

২ প্রশ্ন নবজাতকের অতিরিক্ত হেচকি কি ক্ষতিকর?

উত্তর

নবজাতকের স্বাভাবিকের মাত্রায় অতিরিক্ত হেচকি উঠলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। অতিরিক্ত হেচকি নবজাতক হোক বা বয়স্ক মানুষের হোক সবার জন্য ক্ষতিকর।

৩ প্রশ্ন একটানা হেঁচকি কেন আসে?

উত্তর

অধিক পরিমাণে নেশা করার কারণে বা চেতনাশক ওষুধ খাওয়া অথবা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এবং তা দ্রুত খাওয়ার কারণে একটানা হেচকি আসে।

৪ প্রশ্ন একজন ব্যক্তি কি 68 বছর ধরে হেঁচকি তোলে?

উত্তর

চার্লস অসবোর্ন নামের এক ব্যক্তি ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে টানা ৬৮ বছর হেঁচকি তুলেছে এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই দীর্ঘ সময় ধরে হেঁচকি ওঠার মাইলফলক।

শেষ কথা

হিচকি ওঠা কোন বড় সমস্যা নয় এটা সবারই হয়ে থাকে এবং নিত্যদিন এই সমস্যার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়। এই সমস্যা হলে যেসব উপায় বলা হলো সেসব উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনার হেচকি ভালো হয়ে যাবে।

আমার এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের হেঁচকি উঠার সমস্যার সমাধান পেয়ে যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url