গোলাপ জলের উপকারিতা ও অপকারিতা- ত্বকে গোলাপজল ব্যবহারের নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি গোলাপ জলের উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোস্টের মধ্যে গোলাপ জলের উপকারিতা-গোলাপ জলের দাম কত ও গোলাপ জলের ব্যবহার বিধি - কোন গোলাপ জল ভালো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে গোলাপ জল সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
গোলাপ জলের উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন৷ গোলাপ জলের অপকারিতা - গোলাপ জল ব্যবহারের নিয়ম এবং ব্রণ দূর করতে গোলাপ জলের ব্যবহার - রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার ও গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - চুলে গোলাপ জলের ব্যবহার করে কিভাবে সেই সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়া পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

গোলাপ জল আমাদের অনেক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন রকমের ডিশ রান্না করার ক্ষেত্রে,কোন ব্যক্তি মারা গেলে সেই বাসায় ছিটাই আরো বিভিন্ন রকম প্রয়োজনে ব্যবহার হয়। গোলাপ জল যে কারণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে রূপচর্চা করার জন্য। রূপচর্চার করার ক্ষেত্রে গোলাপ জলের ভূমিকা অপরিসীম।


গোলাপ জল গোলাপ ফুলের পাপড়ি পাপড়ি নির্যাস যা জলীয় বাষ্পর মাধ্যমে বের হয়ে গোলাপ জল তৈরি করা হয়।

গোলাপ জলের উপকারিতা-গোলাপ জলের দাম কত

গোলাপ জলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। গোলাপ জল যেহেতু গোলাপ ফুলের নির্যাস থেকে হয়ে থাকে তাই তা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। চলুন এবার আমরা গোলাপ জলের উপকারিতা গুলো জানি
  • চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে এবং চোখ ফোলা কমাতে নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল এবং চোখের ফোলা ভাব কমে যায়।
  • বিরানি রান্না করার ক্ষেত্রে গোলাপ জল ব্যবহার করলে ভাল রকমের সুগন্ধি পাওয়া যায়।
  • গোলাপ জলে পাত্রে করে ঘরে রাখার ফলে পুরা ঘর সুবাসিত হয়ে থাকে।
  • ত্বককে উজ্জ্বল করতে গোলাপ জল বেশ কার্যকরী। গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে চেহারায় লাবণ্য ভাব আসে এবং ত্বকের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
  • যাদের চেহারায় অতিরিক্ত দাগ রয়েছে গোলাপ জল ব্যবহার করলে সেই দাগগুলো কমতে থাকে এবং ত্বক মসৃণ হয়।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গোলাপজল শত্রু অর্থাৎ যাদের চেহারায় তৈলাক্ত ভাব বেশি তারা গোলাপ জল ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব চেহারা থেকে দূর হয়ে যায় এবং ত্বক সুন্দর থাকে।
  • যাদের চেহারায় অনেক ব্রণ রয়েছে বা ব্রণ বের হয় তারা গোলাপ জল মুখে মাসাজ করার ফলে ব্রণ বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং যেসব ব্রণ রয়েছে তা আস্তে আস্তে কমে যায়।
  • চেহারা থেকে বলি রেখা দূর করতে এবং বয়সের ছাপ কমাতে গোলাপ জল সাহায্য করে।
  • গোলাপ জল ত্বকে এবং শরীরে ব্যবহার করলে বিভিন্ন রকমের চুলকানি,লালচে ভাব এবং ফাঙ্গাস থেকে নিরাপদ থাকা যায় ও শরীরে বয়ে চলা তাপ প্রদাহ স্বাভাবিক রাখে।
  • গোলাপ জল ব্যবহার করলে চেহারায় প্রাকৃতিক যে সৌন্দর্য রয়েছে সেই সৌন্দর্যের আবির্ভাব ঘটে যার কারণে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর ও লাবণ্যময় লাগে।
  • ত্বককে আর্দ্র ও কোমল করতে আপনি নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বক আদ্র থাকে এবং কোমল হয়।
  • চেহারা থেকে মেকআপ রিমুভ করার জন্য অনেক রকমের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেগুলো আমাদের চেহারার জন্য অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। আপনি সেই মেডিসিন গুলোর পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করেও মেকআপ রিমুভ করতে পারবেন এতে করে আপনার ত্বক ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকবে এবং উপকৃত হবে।
  • গোলাপ জল ত্বকে হাইট্রেড করে। হাইড্রেট ত্বকের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারে।
  • গোলাপ জলকে আপনি টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। টোনার যেমন ভাবে মুখের ময়লা অতিরিক্ত তেল মৃতকোষ দূর করে তেমনভাবে গোলাপ জল চেহারা থেকে অতিরিক্ত তেল ময়লা-মৃত কোষ দূর করে দিতে সক্ষম হয়।
  • মেকআপকে ঠিক রাখার জন্য সেটিং স্প্রে ব্যবহার করা হয়। আপনি সেটিং স্প্রেরের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাবেন।
  • শীত এবং গরম উভয় কালে আমরা শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি। ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে গ্লিসারিন এবং গোলাপজল একসাথে করে শরীরে ব্যবহার করলে মশ্চারাইজের তুলনায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  • কোথাও কেটে গেলে সেই জায়গা গোলাপ জল ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া কমে এবং তাড়াতাড়ি ক্ষত শুকায়।
  • চুলের রুক্ষতা দূর করতেও আপনি শ্যাম্পু এবং গোলাপ জল একসাথে ব্যবহার করতে পারেন।
  • গোলাপ জলের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান থাকে। এই উপাদান ত্বকের কোষকে শক্তিশালী করে এবং মৃত কোষকে জীবিত করতে সক্ষম হয়।
  • যখন অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পড়ে তখন তাকে ফুসকুড়ি উঠতে শুরু করে এবং রোদে পোড়া ভাব ত্বক থেকে দূর করতে নিয়মিত গোলাপজল ত্বকে স্প্রে করুন।
এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন খাটি যেসব গোলাপ জল রয়েছে সেসব গোলাপ জল ব্যবহার করার অন্য মশ্চারাইজার ক্রিম বা অন্য মেডিসিন ব্যবহার করার পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করা অনেক উত্তম এতে করে ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকে এবং উপকৃত হওয়া যায়।

গোলাপ জলের দাম প্রায় জায়গায় এবং অধিকাংশ কোম্পানির কম বেশি একই রকম। ১০০ গ্রাম গোলাপ জলের বোতলের দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়। কোন কোন কোম্পানির মাঝে মধ্যে অফারের কারণে ১২০ টাকাতেও পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে কিছু পেজ আছে সেগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের অফার দিয়ে থাকে যার কারণে কখনো দাম ১০০ থাকে বা ১২০ হয়।

দারাজে গোলাপ জল কিনতে গেলে ৫০ গ্রামের দাম ৭৫ টাকা নিয়ে থাকে।

গোলাপ জলের ব্যবহার বিধি - কোন গোলাপ জল ভালো

গোলাপ জল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি রয়েছে সেই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে ব্যবহার করলে বেশি উপকৃত হওয়া যায়।
  • সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে এবং রাতে ঘুমানোর আগে গোলাপ জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক ভালো থাকে।
  • চুলের জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করলে হেয়ার প্যাকের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন। শুধু গোলাপ জল চুলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • ফেসপ্যাকের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করবেন। গোলাপ জল এবং কুসুম গরম পানি একসাথে মিশিয়ে ত্বকে এবং মুখে স্প্রে করার মাধ্যমেও ব্যবহার করতে পারবেন।
  • মেকআপ করার আগেও আপনি টোনারের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করা উত্তম হবে।
  • সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততা শেষ করে রাতে ঘুমানোর পূর্বে গোলাপ জল ব্যবহার করলে সারা রাত তা ত্বকের উপরে থাকে যার কারণে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়।
  • তুলোতে গোলাপজল নিয়ে আপনি ত্বকে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মালিশ করার মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায়।
  • দিনে দুইবারের বেশি কখনোই গোলাপ জল ব্যবহার করবেন না। সর্বোচ্চ হলে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।
  • শুধু গোলাপজল ত্বকের উপর বা হাতে নিয়ে মুখ এবং শরীরে মাসাজ করা যায়।
  • গোলাপজল এবং বেকিং সোডা একসাথে ব্যবহার করলে চেহারা থেকে ব্রণ দূর হয় এবং ত্বকের ব্যাকটেরিয়াও কমে যায়।
  • চেহারা থেকে দাগ দূর করতে গোলাপ জল ও ভিনেগার একসাথে করে চেহারায় মাসাজ করবেন।
  • গোলাপ জল ও লেবুর রস একসাথে করে ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকার কারণে ব্রণ দূর করার জন্য অনেক কার্যকারী একটি উপায় হয়।
  • গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল একসাথে করেও আপনি ত্বকে এবং শরীরে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • মেকআপ করার পরে সেটিংস স্প্রেরের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করলেও সেটিং স্প্রের কাজ হয়।
আপনি এসব পদ্ধতি অনুযায়ী গোলাপ জল ব্যবহার করলে বেশি ফলাফল পাবেন এবং উপকৃত অনেক বেশি হবেন। গোলাপ জল কয়েক রকমের হয়। যেটা সম্পূর্ণ গোলাপী গোলাপ জল তা ২-৩ দিনের বেশি কখনোই ভালো থাকে না এজন্য কখনো এই ধরনের গোলাপ জল কিনবেন না। এই গোলাপ জল কিনলে আপনি বেশি দিন ব্যবহার করতে পারবেন না খুব তাড়াতাড়ি তা নষ্ট হয়ে যাবে।


আরেক ধরনের আছে তা হচ্ছে বর্ণহীন গোলাপ জল। এই ধরনের গোলাপজল দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে যেমন তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত। আপনি এই গোলাপ জল ব্যবহার অনেকদিন যাবত পারবেন। বাজারে যেসব গোলাপ জল পাওয়া যায় সেগুলো বর্ণহীন গোলাপ জল হয়। গোলাপ জল কিনার ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন সব সময় ভালো কোম্পানির গোলাপ জল কেনার।

যেকোন কোম্পানির বা কম দামে গোলাপ জল কেনার ফলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন না।

গোলাপ জলের অপকারিতা - গোলাপ জল ব্যবহারের নিয়ম

গোলাপ জল ত্বকে ব্যবহার করার ফলে কিছু অপকারিতা সম্মুখীন হতে হয়। এসব অপকারিতা গুলো সবার জন্য নয়।
  • গোলাপ জলের সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করার কারণে ত্বকে ক্ষতি হতে পারে।
  • মাত্রাতিক ভিনেগার এবং গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে উপকারের তুলনায় অপকারের সম্ভাবনায় বেশি থাকে।
  • গোলাপ জল একটি সুগন্ধি যুক্ত পানি৷ অনেকে আছে যাদের ত্বক সুগন্ধিযুক্ত পানি সহ্য করতে পারে না যার ফলে অ্যালার্জি হতে পারে। তারা গোলাপ জল এড়িয়ে চলবেন।
  • যেকোন খাবার বা বিরানিতে অতিরিক্ত গোলাপ জল ব্যবহার করার কারণে খাবার তিতো হয়ে যেতে পারে।
  • যাদের শরীরে চর্মরোগ রয়েছে তারা গোলাপ জল ব্যবহার করলে চর্মরোগ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • দিনে কখনো দুইবারের বেশি গোলাপ জল ব্যবহার করবেন না। এর বেশি ব্যবহার করলে ত্বকে চুলকানি হবে অথবা লালচে ভাব হয়ে যাবে।
  • গোলাপ জল খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে বা বমি বমি ভাবের হওয়ার সম্ভাবনাও হয়।
  • গোলাপ জল ব্যবহার করার আগে শরীরের ছোট একটি অংশে আগে পরীক্ষা করুন যে গোলাপ জলের পার্শ্ব প্রতিক্রি আছে কিনা। তাছাড়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে।
  • যখন চেহারায় গোলাপ জল ব্যবহার করবেন তখন সাবধানতার সহিত ব্যবহার করা করবেন। সেটা যেন কোন ভাবে চোখে না যায়। চোখে যাওয়ার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে।
  • গোলাপ জল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত ত্বকে ব্যবহার করবেন না। আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করবেন তখন তা ত্বকের সহ্য করতে না পারার কারণে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
গোলাপ জল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সেরকম কোন নিয়ম নাই। কিছু পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করেই ব্যবহার করতে পারবেন। গোলাপ জল আপনি ফেসপ্যাক করে ব্যবহার করতে পারবেন। চুলের জন্য হেয়ার প্যাক এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। শুধু গোলাপ জল ত্বকের উপরে মালিশ করার মাধ্যমে অথবা টিস্যু বা তুলোর উপর নিয়ে চেহারা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশেও মালিশ করতে পারবেন।

গোলাপজল এবং কুসুম পানি একসাথে করে স্প্রে করার মাধ্যমেও ত্বকের উপরে ব্যবহার করা যায়। সকালে এবং রাতে ব্যবহার করলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হয় রাতে ঘুমানোর আগে গোলাপ জল ব্যবহার করা এতে করে ত্বকের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যার কারণে বেশি উপকৃত হওয়া যায়।

ব্রণ দূর করতে গোলাপ জলের ব্যবহার - রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার

চেহারা থেকে ব্রণের দাগ দূর করতে এবং ব্রণ কমাতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারি। গোলাপজল চেহারা থেকে ব্রণ চিরতরে দূর করে ফেলতে পারে।

আপেল সিদার ভিনেগার এবং গোলাপজল একসাথে মিক্স করে মুখের উপরে দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করবেন। মুখের উপর দেয়ার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত না শুকিয়ে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

বেকিং সোডা এবং গোলাপ জল একসাথে করে প্রথমে একটি ফেসপ্যাক বানাবেন। এরপরে ফেসওয়াশ বা কোন কিছুর মাধ্যমে মুখকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। তারপর সেই ফেসপ্যাকটি মুখের উপরে ব্যবহার করবেন। মুখের ওপরে দেয়ার পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন।

মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করার ফলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি ব্রণ দূর হয়ে যায়।

লেবুর রস এবং গোলাপ জল একসাথে করে ফেসপ্যাক বানিয়ে চেহারায় ব্যবহার করুন। এরপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপরে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ কমে যায়।


প্রথমে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন এরপর শুধু গোলাপজল স্প্রে করে ভালোভাবে চেহারার উপরে মাসাজ করবেন। এভাবে দিনে এক থেকে দুই বার করলেও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।গোলাপ জল এবং মশ্চারাইজার ক্রিম একসাথে করে ত্বকে ব্যবহার করলেও ব্রণ আস্তে আস্তে দূর হতে থাকে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ট্যাবলেট এর গুড়ো এবং গোলাপ জল একসাথে মিক্স করে চেহারার উপরে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। এরপরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দেন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গ্লিসারিন এবং গোলাপজল একসাথে করে চেহারায় ব্যবহার করলে চেহারা আর্দ্র থাকে এবং ব্রণের দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্রণও দূর হয়।

বেসন এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন। এরপরের চেহারার উপর দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। ধুয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন যেন তা চেহারার উপরে একেবারে শুকিয়ে যায়। একেবারে শুকানোর আগে ধুবেন না। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন।

চন্দন কাঠের গুড়ো এবং গোলাপজল একসাথে করে আপনি ফেসওয়াশ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে ব্যবহার করলে চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও দূর হয়।

শশা, মধু এবং গোলাপজল একসাথে করে ব্লেন্ড করে নিবেন। তারপরে চেহারার উপরে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন অথবা শসা কিউব করে কেটে নেওয়ার পরে সেখানে গোলাপ জল এবং মধু মিশিয়ে চেহারার উপরে ঘষাঘষি করলেও ব্রণের দাগ দূর হওয়ার সাথে সাথে ব্রণ দূর হয়।

এলোভেরা জেল অথবা এলোভেরা ও গোলাপ জল একসাথে করে প্রথমে পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এরপরে চেহারার উপরে ব্যবহার করবেন। চেহারায় দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করবেন।

এসব পদ্ধতিতে গোলাপ জল ব্যবহার করলে আপনার চেহারা থেকে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ একেবারে দূর হয়ে যাবে এবং চেহারায় আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আনবে।

রূপচর্চার করার জন্য গোলাপ জল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য। গোলাপ জল চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চেহারায় ন্যাচারাল ভাব নিয়ে আসে এবং চেহারা লাবণ্য বৃদ্ধি করে তোলে। শুধু চেহারা সুন্দর করে গোলাপ জল খ্যান্ত হয় না বরং চেহারা থেকে মৃত কোষ,তৈলাক্ত ভাব এবং ময়লা দূর করে দেয়।

গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে ত্বক আদ্র থাকে এবং ত্বক হতে শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায় যার ফলে ত্বক কোমল হয়। যাদের মুখে ব্রণ আছে তাদের জন্য গোলাপ জল অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মেকআপ করার আগে টোনার হিসেবেও আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারবেন এবং মেকআপ করার পরেও সেটিং স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

যদি এক লাইনে বলা হয় তাহলে রূপচর্চার জন্য গোলাপ জলের মতো অন্য কোন উপাদান আপাতত নেই। রূপচর্চার ক্ষেত্রে গোলাপ জলের বিকল্প কোন কিছু হতে পারে না। তাই আপনি যদি রূপচর্চা করতে চান এক্ষেত্রে গোলাপ জলই আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।

গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - চুলে গোলাপ জলের ব্যবহার

গোলাপ জল ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাকে গোলাপ জল ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। ফেসপ্যাক বেশ কিছু পদ্ধতিতে করা যায় যেমন এলোভেরা এবং গোলাপজল। চন্দন কাঠ এবং গোলাপজল। লেবুর রস ও গোলাপজল। শশা মধু এবং গোলাপজল। আপেল সিদার ভিনেগার এবং গোলাপজল। বেকিং সোডা ও গোলাপজল। বেসন এবং গোলাপজল। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল।

এসব পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে খুব সহজেই আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হবে এবং আপনি খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে যাবেন। এছাড়াও শুধু গোলাপ জল মুখের উপরে স্প্রে করে মালিশ করার কারণে চেহারা থেকে ময়লা দূর হয়ে চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। আপনি যদি গোলাপ জল দ্বারা ফর্সা হতে চান তাহলে এই সব উপায়গুলো অনুসরণ করবেন।

এতে করে আপনার চেহারার লাবণ্য ভাব আসবে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি ফর্সা হয়ে যাবেন। আরেকটি পদ্ধতি গোলাপের পাপড়ি এবং পানি একসাথে কুসুম গরমের মতো করে কিছুক্ষণ রেখে দিবেন। তারপরে সেই পানি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে মুখের উপরে স্প্রে করবেন। এভাবে দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলেও চেহারায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে।

চুলের শুষ্কতা দূর করতে গোলাপজল কার্যকারী। এর জন্য আপনি কন্ডিশনার অথবা শ্যাম্পুর সাথে গোলাপ জল মিশ করে চুলে ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হওয়ার পাশাপাশি কালো হয় এবং চুলের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে আদ্র ভাব আসে। যার ফলে চুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। চুলে গোলাপ জল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কখনোই শুধু গোলাপ জল ব্যবহার করবেন না।


হয়তো শ্যাম্পু নতুবা কন্ডিশনার বা জেলের সাথে একসাথে করে ব্যবহার করবেন। এলোভেরা বা অ্যালোভেরা জেল এর সাথেও আপনি চুলে গোলাপ জল ব্যবহার করলে উপকৃত হতে পারবেন।

গোলাপ জল সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন গোলাপ জল রাতে মুখে লাগানো কি ভালো?

উত্তর

রাতে গোলাপ জল মুখে দেওয়া সবচেয়ে উত্তম রাতে চেহারায় গোলাপজল দেয়ার কারণে অনেক সময় ধরে চেহারায় থাকে যার কারণে উপকৃত বেশি হওয়া যায় এবং কার্যকারিতা অনেক বেশি হয়।

২ প্রশ্ন প্রতিদিন কতটুকু গোলাপ জল পান করা উচিত?

উত্তর

গোলাপি এবং পানি একসাথে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে তা পান করার জন্য প্রস্তুত হয়। এটা পান করার ফলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক গ্লাস এভাবে পানি পান করবেন। এর বেশি কখনোই পান করবেন না।

৩ প্রশ্ন গোলাপ জল টোনার কি কাজ করে?

উত্তর

গোলাপ জল টোনারেরও কাজ করে। গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে চেহারা থেকে ময়লা মৃতকোষ ও তৈলাক তো ভাব দূর হয়। টোনারেরও একই কাজ যার ফলে বলা হয় গোলাপ জল বিকল্প পন্থা।

৪ প্রশ্ন গোলাপ জলের পর কি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যাবে?

উত্তর গোলাপ জল এবং মশ্চারাইজার ক্রিম একসাথেও ব্যবহার করা যায় অথবা গোলাপ জল ব্যবহার করে মশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকে বেশি পুষ্টি পায় এবং ত্বক অনেক সময় ধরে আর্দ্র থাকে।

শেষ কথা

গোলাপজল আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরী এজন্য চেষ্টা করবেন নিয়ম করে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার গোলাপ জল ব্যবহার করার এতে করে ত্বক সুন্দর এবং আর্দ্র থাকবে। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারা গোলাপ জলের যাবতীয় উপকারিতা জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url