চুলকানি দূর করার সহজ ১৮ টি উপায় - চুলকানি দূর করার ক্রিম

প্রিয় পাঠক আপনি কি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে চুলকানি দূর করার সহজ উপায় - চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং চুলকানি দূর করার ক্রিম - রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে চুলকানির দূর করা যাবতীয় উপায় সমূহ জানতে পারবেন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন চুলকানি কেন হয় - শরীরে চুলকানি কেন হয় এবং শরীরে চুলকানি হলে করনীয় - হাতে চুলকানি হলে করণীয় কি কি সেসব সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

চুলকানি এমন একটি বিষয় যা চুলকাতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক সময় ভদ্র সমাজে চুলকাতে গিয়ে লজ্জাতে পড়তে হয়। চুলকানির বিভিন্ন ধরন রয়েছে এবং চুলকানি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরমকালে দেখা যায় চুলকানির উপদ্রব বেড়ে যায়। চুলকানি মূলত এক ধরনের ফাঙ্গাস বা ছত্রাক।


চুলকানি দূর করার জন্য পাগলা মলম সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়।

চুলকানি প্রতিরোধের উপায় - চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে চললে আপনার চুলকানি খুব সহজে দূর হয়ে যাবে এবং এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলেও চুলকানি দূর হয় যে উপাদান গুলো আমাদের ঘরেই থাকে।
  • চুলকানি দূর করার জন্য কাঁচা হলুদ অন্যতম। আপনি হলুদ ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলকানি দূর করে ফেলতে পারবেন।
  • চুলকানির স্থানে নিম পাতা ব্যবহার করলে খুব সহজেই চুলকানি দূর হয়ে যায় এবং চুলকানি কোন দিন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • মশ্চারাইজার ক্রিম শরীরে ঠিকমতো ব্যবহার করা অনেক সময় শরীরের প্রতিটা অঙ্গে মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার না করার কারণে শুষ্ক হয়ে যায় যার কারণে সেখানে চুলকানি শুরু হতে থাকে এজন্য অবশ্যই আপনাকে শরীরে মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • চুলকানি হলে সরিষার তেল অথবা অলিভ অয়েল আপনি ব্যবহার করবেন। এসব তেল ব্যবহার করলে ত্বক আদ্র থাকে এবং চুলকানি হয় না।
  • ওটস গুড়ো করে সেগুলো গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলেও চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আপেল সিডার ভিনেগার ও পানি একসাথে মিক্স করে তুলার সাহায্যে চুলকানির স্থানগুলোতে ব্যবহার করুন এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেও আপনি চুলকানির হাত থেকে রেহাই পাবেন।
  • এক ধরনের চুলকানি রয়েছে যেগুলো শরীরে লাল লাল হয়ে থাকে এসব চুলকানির জন্য আপনি অ্যালোভেরা জেল অথবা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।
  • নারিকেল তেল ব্যবহার করার কারণে ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বক আর্দ্র থাকে যার কারণে গরমকালে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
  • বেকিং সোডা পেস্ট করে চুলকানির স্থানে ব্যবহার করলেও চুলকানি কমে যায়।
  • টি ট্রি অয়েল এবং নারিকেল তেল একসাথে মিক্স করে চুলকানির উপরে প্রয়োগ করবেন দেখবেন আপনার চুলকানি খুব তাড়াতাড়ি চলে গেছে।
  • গোসলের পানিতে স্যাভলন অথবা ডিটল লিকুইড দিয়ে গোসল করবেন তাহলে আপনার শরীর থেকে জীবাণু দূর হয়ে যাবে।
  • সব সময় পরিষ্কার কাপড়-চোপড় করবেন এবং শরীর পরিষ্কার রাখবেন অপরিষ্কার থাকার কারণে ও চুলকানি হয়।
  • যখন চুলকানি হবে তখন ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। আপনি এই ধরনের সাবান ব্যবহার করার কারণে আপনার চুলকানি আরো বেড়ে যাবে।
  • চুলকানি হলে টাইট জামা পড়া থেকে বিরত থাকবেন এবং জেলা জামা পড়বেন যাতে করে শরীরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে এবং শরীর না ঘামে।
  • চুলকানি দূর করতে আপনি ডালটা ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ডালডা ঘি এক ধরনের মশ্চারাইজার।ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন।
  • শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণেও চুলকানি হয়।
  • গাঁদা ফুল ডেকোরেশন করার জন্য ব্যবহার হয় কিন্তু অনেকে জানে না গাঁদা ফুলের সাহায্যেও চুলকানি দূর করা যায়। গাঁদা ফুল বেটে চুলকানির স্থানে ব্যবহার করলেও চুলকানি কমে।
  • চন্দন গুড়ো এবং পানি বা গোলাপ জল একসাথে মিক্স করে চুলকানির উপরে ব্যবহার করলেও চুলকানি কমে এবং দূর হয়।
  • লেবুর রসের ভিটামিন সি থাকে তাই লেবুর রস চুলকানির স্থানে দিয়ে রাখলেও চুলকানি দূর হয়।
চুলকানি দূর করার জন্য অথবা আপনি চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য এইসব উপায়গুলো গ্রহন করবেন তাহলে আপনার চুলকানি শরীর থেকে একেবারে নাই হয়ে যাবে। অবশ্যই আপনি যদি এই উপায়গুলো গ্রহন করার সাথে সাথে অপরিষ্কার থাকেন তাহলে কোন ভাবেই চুলকানি ভালো হবে না।

সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার তাহলে আপনার শরীর থেকে চুলকানি একেবারে যাবে।

চুলকানি দূর করার ক্রিম - রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

চুলকানি দূর করার যেমন উপায় রয়েছে তেমনিভাবে কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে চুলকানি দূর হয়ে যায়।
  • ক্লোরহেক্সিডিন ক্রিম
  • হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম
  • বেটামেথ্যাসোন ক্রিম
  • অ্যালোভেরা ক্রিম
  • স্যালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম
  • ক্যালামাইন ক্রিম
  • বেনজিল পারঅক্সাইড ক্রিম
  • Fungiderm cream
  • সানজিদার এইচসি
  • Licerin Cream,Fungin cream
  • ডার্মাসল এন
  • ভেট সি এল
  • পেভিসন
  • ইজক্স
  • Togent Cream
  • Ezex Cream,Lulifin
  • Lorix
  • Clotrimazole
  • তেরাভিফিন ক্রিম
  • লিসারিন ক্রিম
আপনি এই ক্রিমগুলোর মধ্যে যে কোন একটি ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। এসব প্রত্যেকটি ক্রিমি বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকরী। যেকোন ফার্মেসির দোকান থেকে আপনি এই ক্রিমগুলো পেয়ে যাবেন। ক্রিম ব্যবহার করার সময় ক্রিমের প্যাকেটে যেসব বিধি-নিষেধ বলা হয়েছে সেই মোতাবেক ব্যবহার করবেন তাহলেই ভালো ফলাফল পাবেন।

চুলকানি কেন হয় - শরীরে চুলকানি কেন হয়

মানুষের শরীরে চুলকানি এমনিতে হয় না চুলকানি হওয়ার পিছনে কিছু কারণ থাকে সে কারণগুলো আমাদের জানা জরুরি যাতে করে আমরা সেগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারি এবং আমাদের শরীরেও যেন চুলকানি না হয়। অপরিষ্কার থাকার কারণে চুলকানি বেশি হয়ে থাকে। কোন পশু পাখির ২০ অথবা বিষাক্ত কোন কিছু শরীলে থাকার কারণেও চুলকানি হয়।

অনেক সময় শরীরের তাপ প্রদাহ অতিরিক্ত হওয়ার কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। বিষাক্ত পানি অথবা দূষিত পানি পান করার কারণে শরীরে বিভিন্ন রকমের ছত্রাক বা ফাঙ্গাস তৈরি হয়। পোকামাকড় কামড়ানোর কারণেও অনেক সময় দেখা যায় চুলকানোর মতো শরীরে কিছু একটা বের হয় পরে তা আস্তে আস্তে চুলকানিতে রূপ নাই।


অনেক সময় ধরে ঘামা জামাকাপড় পড়ে থাকার কারণেও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে। শরীর অতিরিক্ত ঘামার কারণে গরম কালে বেশি চুলকানি হয়। দূষিত বা আয়রনযুক্ত পানি দিয়ে গোসল করার কারণে শরীরে বিভিন্ন রকমের চুলকানি তৈরি হতে থাকে। শরীরে পেশাব লাগার কারণেও চুলকানি হয়ে থাকে।

সব সময় চেষ্টা করবেন এইসব কারণগুলো এড়িয়ে চলার তাহলে আপনার কখনো চুলকানি হবে না।

শরীরে চুলকানি হলে করনীয় - হাতে চুলকানি হলে করণীয়

যখন আপনার শরীরের চুলকানি হবে তখন আপনার জন্য করণীয় হবে কোনভাবে সে গুলোকে অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকাবেন না বরং সেগুলোকে সেভাবে রাখবেন এবং যে উপায়গুলো রয়েছে সেই উপায়গুলো মোতাবেক চুলকানি দূর করার চেষ্টা করবেন। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার কারণে চুলকানি বেড়ে যায় যেমন হাঁসের ডিম বেগুন গরুর গোস্ত এগুলো খাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।

চুলকানি দূর করার যেসব উপায় রয়েছে যেমন নিম পাতা হলুদ এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে। মশ্চারাইজার ক্রিম ঠিকমতো ব্যবহার করা। আপেল সিডার ভিনেগার এবং পানি একসাথে মিক্স করে তুলার মাধ্যমে চুলকানির স্থানে ব্যবহার করবেন। নারিকেল তেল অলিভ অয়েল সরিষার তেল এগুলো ব্যবহার করলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।

পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করা। গোসলের পানিতে স্যাভ্লন অথবা ডিটল লিকুইড ব্যবহার করবেন।ওডস গুড়ো করে গোসলের পানিতে ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। শরীরের যে অঙ্গে চুলকানি হবে সে অঙ্গ সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। পরিষ্কার জামাকাপড় পড়বেন।

এসব উপায়ও যদি আপনার চুলকানি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে কিছু ক্রিম রয়েছে সে ক্রিম গুলো ব্যবহার করলেও আপনার চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। যখন আপনার চুলকানি হবে তখন তা যখন অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানোর কারণে চুলকানি আরো বেড়ে যাবে এজন্য কখনো চুলকাবেন না।

শেষ কথা

চুলকানি কম বেশি আমাদের সবার শরীরে হয়ে থাকে। চুলকানি হলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই যেসব উপাগুলো রয়েছে সেসব উপায়ে চুলকানি দূর করার চেষ্টা করতে হবে তারপরও যদি আপনার চুলকানি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সেই মোতাবেক চিকিৎসা নেবেন তাহলে আপনার চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও তাদের শরীরের ফাজলামি চুলকানি দূর করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url