চোখের অঞ্জনি কেন হয় এবং চোখের অঞ্জনি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি চোখের অঞ্জনি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে চোখের অঞ্জনি দূর করার উপায় এবং চোখের অঞ্জনি কতদিন থাকে ও চোখের অঞ্জনি হোমিও ঔষধ এর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে অঞ্জলি সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন চোখের অঞ্জনি পাকানোর উপায় এবং চোখে অঞ্জনি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার,চোখের অঞ্জনি কেন হয়,চোখের অঞ্জনি ড্রপ এর নাম। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
চোখের অঞ্জনি আমাদের সব কম বেশি সবারই হয়ে থাকে। চোখের অঞ্জনি হওয়ার ফলে চোখে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয় যেমন পানি পরা, চোখ ব্যথা হওয়া,চোখ ফুলে যাওয়া আরো অনেক। এই সময়টাই চোখে কোন কিছু দেখার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পরতে হয়। অঞ্জনি মূলত চোখের পাতায় লাল ছোট দানার মত হয়ে থাকে।
অঞ্জনি হলে বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পরতে হয় যেমন কালো চশমা পরা, বাহিরে না যাওয়া,ঠিকমতো তাকাতে না পারা।
চোখের অঞ্জনি কেন হয়
চোখে অঞ্জনি হওয়ার পিছনে মূলত কিছু কারণ থাকে সেই কারণগুলো থেকে বেঁচে থাকলে চোখে অঞ্জনি কোনভাবেই হবে না এবং অঞ্জনি হওয়ার যে কষ্ট গুলা হয় সে কষ্টগুলো থেকেও বেঁচে থাকা যাবে।
- চোখে নোংরা জমা অথবা চোখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করার কারণে অঞ্জনি হয়।
- মৃত কোষ,ময়লা এবং তেল থাকে সেই গ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয় তখন তার ভিতরে আস্তে আস্তে ব্যাকটেরিয়া জমা হতে থাকে। সেসব ব্যাকটেরিয়া আস্তে আস্তে অঞ্জনিতে নিতে রূপ নেয়।
- দীর্ঘ সময় ধরে চোখে ধুলাবালি জমে থাকতে দেওয়ার কারণেও অঞ্জনি হয়।
- অঞ্জনি যখন বের হয় তখন তা ছোট আকারে থাকে যখন ঠিকমতো সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা না করা হয় তখন আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করতে থাকে।
- দূষিত বাতাস চোখে লাগার ফলেও চোখ ফুলে যেতে পারে এবং অঞ্জনী হতে পারে।
- অঞ্জনি হওয়ার পরে সেই জায়গা বারবার ঘষাঘষি করলে অথবা হাত দিয়ে জোরে চাপ দেয়ার কারণে অঞ্জনি বেড়ে যায়।
- গোসলের সময় চোখে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষারযুক্ত সাবান প্রবেশ করার কারণেও অঞ্জনি হয়ে থাকে এবং অঞ্জনী হলে এইসব সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- দূষিত এবং আয়রন যুক্ত পানি দিয়ে বারবার চোখ ধুয়ার কারণেও অঞ্জনির সংক্রমণ হতে পারে।
এসব কারণেই মূলত অঞ্জনি হয়ে থাকে। অঞ্জনী হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় ঠিকমতো চোখের যত্ন না নেওয়া এবং চোখকে পরিষ্কার না রাখা।
অঞ্জনির লক্ষণ
অঞ্জনি হলে কিছু লক্ষণ চোখের মধ্যে প্রকাশ পায় সেসস লক্ষ্মণ দেখলেই বুঝতে হবে চোখে অঞ্জনি বের হয়েছে।
- চোখের পাতায় লাল হয়ে।
- ছোট গোল হয়ে ওঠা।
- চোখ ফুলে যাওয়া।
- ভীষণ পরিমাণে চোখ যন্ত্রণা করা।
- অনবরত চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকা।
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
- চোখের পলক ফেলার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ব্যথা হওয়া।
- চোখ ফুলে থাকার কারণে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়া।
- পুরা চোখ এবং ফুলে থাকার কারণে গরম হয়ে থাকা।
- অধিকাংশ সময় চোখ চুলকাতে থাকে।
চোখের অঞ্জনি কতদিন থাকে
আমরা সকলেই জানি চোখে অঞ্জনি হয়ে থাকে কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষ এইটা জানিনা যে আসলে অঞ্জনি কতদিন থাকে বা সুস্থ হতে কত দিন সময় লাগে। অঞ্জনে হওয়ার পরে সাধারণত ৮ থেকে ১০ দিন তা স্থায়ী হয়। এই সময়ের মধ্যে চোখের ঠিকমত যত্ন নেওয়া জরুরি তাহলে অঞ্জনি এর আগেই খুব সহজে ভালো হয়ে যায়।
আপনি যদি এই ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চোখের ঠিক ভাবে যত্ন না নেন, ঘষাঘষি করেন বা অঞ্জলি চাপাচাপি করেন তাহলে অঞ্জনি আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সুস্থ হতেও দীর্ঘ একটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
চোখের অঞ্জনি দূর করার উপায়
অঞ্জনি হলে খুব বেশি একটা ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই আপনি খুব সহজেই অঞ্জনি ভালো করে ফেলতে পারবেন। চলুন এবার আমরা সেসব উপায় গুলো জেনে নেই
- কুসুম গরম পানিতে একটি কাপড় ভিজিয়ে তা চোখের উপরে ভাপ দেয়ার ফলে খুব দ্রুত অঞ্জনি ভালো হয়ে যায়। গরম সেঁক ব্যাকটেরিয়াকে আস্তে আস্তে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং তাদের সংক্রমণ কমিয়ে দেয়।
- অঞ্জনি তৈরি করে এমন ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে পেয়ারা পাতা খুব সহজে ধ্বংস করে দিতে পারে। পেয়ারা পাতা ব্লিন্ড করে অথবা পেয়ারা পাতা হালকা গরম করে তার চোখের উপরে দিয়ে রাখার ফলে অঞ্জনে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
- অঞ্জলি হলে চোখে কোনভাবেই ময়লা জমতে দেয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পর পরে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
- গরম সেক দেয়ার পাশাপাশি কুসুম গরম পানি দিয়ে দিনের মধ্যে কয়েকবার চোখকে ধুতে হবে।
- অঞ্জনির স্থানে ক্যাস্টর তেল লাগালেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই তেলও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে কার্যকরী।
- গরম টি ব্যাগ একটি কাপড়ের সাথে পেঁচিয়ে চোখে ভাব দেয়ার ফলেও খুব দ্রুত অঞ্জনি দূর হয়ে যায়। চায়ের পাতিতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস প্রতিরোধ করতে ক্ষমতাশীল।
- চোখে অঞ্জনা হলে কোন রকমের ফেসওয়াশ,সাবান,শ্যাম্পু চোখে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
- চোখে অতিরিক্ত বাতাস লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাতাস লাগানোর ফলে চোখ দিয়ে পানি পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
- ধনীয়া আমাদের বাসায় সবারই কম বেশি থাকে। কিছু পরিমাণ ধনিয়া নিয়ে তা পানিতে গরম করার পরে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুলে এবং গরম ভাব দিলে খুব তাড়াতাড়ি লালচে ভাব এবং ব্যথা কমে যায়।
- এলোভেরা আমাদের জন্য খুব উপকারী। চোখে অঞ্জনি হলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে যার ফলে চোখ ফোলা, চোখ জ্বলা ভাব কমিয়ে চোখ দ্রুত ভালো করে তুলে।
- আলু গোল গোল করে অঞ্জনিরর স্থানে দিয়ে রাখার ফলে ব্যথা এবং চোখ ফোলা ভালো হয়ে যায়। আলুর রস একটি উপকারী উপাদান। এভাবে আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।
- পার্সলি এটি এক ধরনের সুগন্ধি মসলা। এই উপাদান দিয়ে পানি গরম করার পরে সেই পানি চোখে ব্যবহার করা এবং পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে চোখে বারবার ব্যবহার করার ফলে চোখ দ্রুত ভালো হয়ে ওঠে।
- মহিলাদের চোখে অঞ্জনি হলে ওই সময় মেকআপ করা থেকে বিরত থাকবেন। মেকআপ ব্রাশ ব্যবহার করার ফলে চোখের ভিতরে পুনরায় ব্যাকটেরিয়া চলে যেতে পারে যার ফলে অঞ্জলি আরো বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। ওই সময় চোখে লেন্স ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকবেন।
- অঞ্জনিকে কখনো ফাটানোর চেষ্টা করবেন না অথবা শুই বা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করবেন না।
- বরিক পাউডার দিয়ে চোখের যে স্থানে অঞ্জনী হয়েছে সে জায়গায় ভাপ দিলেও খুব দ্রুত ব্যথা এবং ফোলা ভাবও কমে যায়।
- অঞ্জনি হলে ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত কালো চশমা বা যে কোন চশমা ব্যবহার করার চেষ্টা করা এতে করে চোখে দূষিত বাতাস লাগা থেকে নিরাপদ থাকবে।
আপনি এসব উপায় অনুসরণ করলে খুব দ্রুত এবং খুব সহজে চোখ থেকে অঞ্জনি ভালো করে ফেলতে পারবেন। আপনার অতিরিক্ত কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না। এইসব উপায় গ্রহণ করার পরও যদি আপনার চোখ ভালো না হয় বা অতিরিক্ত লাল হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং সেই মোতাবেক চলুন তাহলে অঞ্জনে থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
চোখের অঞ্জনি পাকানোর উপায়
অঞ্জলি তাড়াতাড়ি পাকার ফলে জীবাণু খুব দ্রুত বের হয়ে যায় এবং অঞ্জনি চিরতরে ভালো হয়ে যায়। অঞ্জনী পাকানোর জন্য গরম সেক এবং পেয়ারার পাতা সবচেয়ে কার্যকারী মাধ্যম। এই দুইটা পন্থা অবলম্বন করলে খুব সহজে আপনার অঞ্জনি পাকিয়ে ফেলতে পারবেন এবং ভেতরের ময়লা বের করে ফেলা যাবে।
এছাড়াও কিছু হোমিও ওষুধ রয়েছে সেই ওষুধ খাওয়ার ফলে অঞ্জনি খুব দ্রুত পেকে যায় এবং ভেতরের যত ময়লা রয়েছে সেই ময়লা গুলো বের করে দিয়ে ব্যাকটেরিয়া থেকে একেবারে নিরাপদ হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় অঞ্জনি হলে তাড়াহুড়ো না করে অঞ্জনীকে ধীরেস্থে পাকতে দেওয়া। এতে করে তার ভিতর থেকে সম্পূর্ণ জীবাণু বের হয়ে যাবে এবং চিরতরে অঞ্জনি ভালো হয়ে যাবে।
চোখের অঞ্জনি হোমিও ঔষধ
কিছু হোমিও ওষুধ রয়েছে সেই ওষুধগুলো ব্যবহার করার এবং খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত অঞ্জনি ভালো হয়ে যায় এবং অঞ্জনীকে ভিতর থেকে পাকিয়ে ফেলা যায়
- এলু।
- এমন-কার্ব।
- এপিস।
- অরম।
- ব্রায়ো।
- ক্যাহিঙ্কা।
- কার্ব-সাল।
- কষ্টিকাম।
- চেলিডোনিয়াম।
- কলচি।
- কোনিয়াম।
- কুপ্রম।
- ইল্যাপ্স।
- ফেরাম।
- ফেরাম-ফস।
- গ্রাফাইট।
- হিপার-সাল্ফ।
- জুগ-রেজি।
- কেলি-ফস।
- লাইকোপডিয়াম।
- ম্যাগ-অষ্টি।
- মিনিয়ে।
- মার্ক।
- নেট্রামিউর।
- ফস এসি।
- ফস।
- সোরিন।
- পালস।
- রাস।
- সেনেগা।
- সিপি।
- সাইলি।
- ষ্ট্যানা।
- ষ্ট্যাফি।
- সালফ।
- থুজা।
- ভেলেরা।
অঞ্জনি যখন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কঠিন হবে তখন এই ওষুধগুলো খাবেন
- ক্যাল্ক
- কোনিয়াম
- সিপি
- সাইলি
- স্ট্যাফিসেগ্রিয়া
- থুজা
- ব্যারাইটা কার্ব
- কলচি
বাম চোখে এলার্জির জন্য এইসব ওষুধ খেতে পারেন
- ইল্যাপ্স
- হাইড্রা
- হাই-পেরি
- ষ্ট্যাফি।
অঞ্জনি যদি ডান চোখে হয় তাহলে এই ওষুধগুলো খাবেন
- এমন কার্ব
- কুপ্রাম মেট
- ফেরম ফস
- নেট্রামিউর।
চক্ষু কোণের ভিতরে অঞ্জনি হলে এইসব ওষুধ খাবেন
- ব্যারাইটা কার্ব
- নেট্রামিউর
- ষ্ট্যানাম।
চোখের উপরের পাতায় অঞ্জনি হলে এসব ওষুধ খাবেন
- এমন কার্ব
- বেলেডোনা
- ফেরাম ফস
- মার্কসল
- পালসেটিলা।
অঞ্জনি যদি চোখের নিচ পাতায় হয় তাহলে এইসব ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন
- কলচিকাম
- কুপ্রাম
- ইল্যাপ্স
- ফেরাম ফস
- গ্যাফাইট
- হাইপেরিকাম
- কেলিফস
- ফসফরাস
- পালস
- রাসটক্স।
একবার ভালো হওয়ার পর যদি অঞ্জনে আবার হয় তাহলে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করবেন
- এলুমিনা
- কার্ব-সাল
- কোনিয়াম
- গ্রাফাইট
- সোরিনাম
- সাইলিসিয়া
এই ওষুধগুলোর মধ্যে আপনার চোখের যে অংশে অঞ্জনে হয়েছে সে অনুপাতে যেকোন একটি ওষুধ খেয়ে নিবেন তাহলে অঞ্জনি ভালো হয়ে যাবে।ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
চোখের অঞ্জনি ড্রপ
অঞ্জনি হওয়ার পরে কিছু ড্রপ আছে সেগুলো ব্যবহার করলেও অঞ্জনি ভালো হয়ে যায় অথবা ব্যথা দূর হয় এবং ফোলা ভাব কমে যায়।
- Lupibrin 1% Eye
- Lomeflox Eye Drop
- Stye Eye Drops
এই তিনটার মধ্যে যেকোনো একটি ড্রপ ব্যবহার করার ফলে অঞ্জনি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয় এবং ব্যথা ও ফোলা ভাব দূর হয়ে যায়। এছাড়াও কিছু ওষুধ রয়েছে সেগুলো খাওয়ার ফলেও খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
অঞ্জনি ভালো করার ওষুধ
- প্যারাসিটামল
- Erythromycin
- Amoxicillin
- Cephalosporin
- Tetracycline
- Doxycycline
যেকোনো একটি ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।সতর্কতা ড্রপ ব্যবহার করার আগে অথবা ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
চোখে অঞ্জনি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
চোখে অঞ্জনি হওয়ার পিছনে মূল যেসব কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে চোখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করা,চোখে ময়লা জমে থাকা,আয়রনযুক্ত পানি চোখে ব্যবহার করা,চোখে দূষিত বাতাস লাগা,ময়লা কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা এসব কারণে মূলত অঞ্জনি হয়ে থাকে। এর প্রতিকার স্বরূপ আপনি চোখে গরম ভাব দেওয়া।
পেয়ারা পাতার মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া। চোখের পাতায় ক্যাস্টর অয়েল লাগানো। আলু,এলোভেরা এগুলো ব্যবহার করা।মেকআপ না করা ওই অবস্থায় যে সময় চোখে অঞ্জনে থাকে।বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা। এইসব মেনে চললে অঞ্জনে খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। অঞ্জনী কমবেশি সবারই হয়ে থাকে এটা খুব বেশি শক্তিশালী কোন রোগ নয়।
আরো পড়ুন :: ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার উপায় এবং কেন হয়
৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় আর ভালোভাবে যত্ন নিলে তা আরো আগেই ঠিক হয়ে যায়। অঞ্জনি বের হলে সেভাবে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা ব্যথা দূর করার জন্য কিছু ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চোখ লাল এবং ব্যথা হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত তাছাড়া এখান থেকে মারাত্মক কোন ক্ষতি হতে পারে।
চোখের অঞ্জনের সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর
১ প্রশ্ন অঞ্জনি কি?
উত্তর
চোখের পাতায় তেল গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে জীবাণু জড়ো হয়ে লাল ছোট দানার মত অথবা পুটলির মত দেখা দেয় সেটাই অঞ্জনি। অঞ্জনি হরডিওলাম নামেও পরিচিত।
২ প্রশ্ন চোখে গোটা কি?
উত্তর
চোখে গোটা হচ্ছে চোখের পাতায় ছোট ছোট আকারে ফোড়া বা পুটলি হয়ে ফুলে যাওয়া। এই সমস্যা বছরের বিভিন্ন সময় অনেকের হয়ে থাকে।
৩ প্রশ্ন স্টাই সারতে কতদিন লাগে?
উত্তর
স্টাই সারতে ৮ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগে। এই সময় সাধারণত চোখের চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
৪ প্রশ্ন চোখে এলনা কেন হয়?
উত্তর
মৃত কোষ ময়লা এবং তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে সেখানে ময়লা জমা হওয়ার কারণে চোখে এলনা হয়ে থাকে।
শেষ কথা
অঞ্জলি সবার চোখে হয়ে থাকে। অঞ্জনি হলে সেটাকে কোন কিছু দিয়ে গুতাগুতি না করে অথবা চাপ দেয়ার মাধ্যমে পাঠানোর থেকে বিরত থাকবেন তাছাড়া তা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে। যেই সব উপায়ে হয়েছে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করলে খুব সহজে আপনার অঞ্জনি ভালো হয়ে যাব।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url