অবহেলিত ফল গুণাগুনে ভরপুর করমচা - করমচা খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি করমচা খাওয়ার উপকারিতা কি কি সেগুলো জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে করমচা ফল খাওয়ার নিয়ম - করমচা ফল কিভাবে খায় এবং করমচা খাওয়ার উপকারিতা - করমচা english name কি সেই সম্পর্কে আলোচনা কর। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে করমচা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
করমচা খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা - করমচার স্বাদ কেমন এবং করমচা থেকে চেরি - করমচার আচার রেসিপি ও করমচা চাষ পদ্ধতি - করমচার পুষ্টিগুণ এবং করমচা খাওয়ার অপকারিতা কি কি সেগুলো সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

করমচা বর্ষাকালে হয়। করমচা একটি ত্বক জাতীয় ও মুখরোচক ফল। একটা সময় গ্রামবাংলায় প্রচুর পরিমাণে করমচার চাষ হতো। বন জঙ্গল সাফ করা এবং মানুষ জমি পরিষ্কার করে নিজের বাড়ি বানানোর জন্য অনেকটাই গরম গ্রাম থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে শহরেও বিভিন্ন ছাদে এবং বেলকনিতে করমচার চাষ দেখা যায়।


এই ফল বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু মানুষের এই ফল খাওয়ার প্রতি চাহিদা অনেক কম। এই ফলের মধ্যে এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী।

করমচা ফল খাওয়ার নিয়ম - করমচা ফল কিভাবে খায়

করমচা একটি টক জাতীয় ফল যা আপনি এমনিতেই খেতে পারবেন। এভাবে খাওয়ার ফলে মুখে রুচি ফিরে আসে। করমচার আচার বেশ বিখ্যাত। করমচা আচার করে আপনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। বিশেষ করে খিচুড়ির সাথে করমচার আচারের কোন তুলনায় হয় না। এক অতুলনীয় স্বাদ দেয়।

করমচা ফল সিদ্ধ করে ভর্তা করার মাধ্যমেও আপনি খেতে পারবেন। এভাবে ভর্তা করে খেলে দেখবেন খুব সহজেই আপনি দুই তিন প্লেট ভাত খেয়ে নিবেন। করমচা পাকা কাঁচা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। করমচা বিট লবণ লেবুর রস একসাথে করে শরবত করে খাওয়ার মাধ্যমেও শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে রিফ্রেশ ভাব আসে।

আপনি শাকসবজির রান্নার সাথে করমচা দিয়েও রান্না করে খেতে পারবেন। করমচার মোরব্বা খেতে অনেক সুস্বাদু এজন্য আপনি চাইলে করমচা দিয়ে পারবেন।উপরে বলা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটি উপায়ে আপনি করমচা খেতে পারেন। করমচা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

করমচা থেকে এমন এমন উপকৃত পাওয়া যায় যা আপনার কল্পনার বাইরে এজন্য চেষ্টা করবেন এইসব নিয়মে করমচা খাবার তাহলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা - করমচার স্বাদ কেমন

গর্ভাবস্থায় শরীরে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয় যার কারণে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। করমচার মধ্যে এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জন্য অনেক জরুরী।
  • করমচায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এজন্য গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং অনেক রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
  • করমচায়ের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তা খাবারের রুচি বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর খাবারের প্রতি অরুচি আসে এজন্য গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার অভ্যাস হলে খাবারের রুচি বৃদ্ধি হয় যা একজন গর্ভবতী মহিলার অনেক বেশি জরুরী।
  • চোখের যেসব সমস্যা হয় যেমন ঝাপসা দেখা দূরের কোন কিছু ঠিক ভাবে দেখতে না পাওয়া এসব সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যায় এবং বাচ্চার দৃষ্টিশক্তিও অনেক বৃদ্ধি হয়।
  • তেঁতুল খাওয়ার পরিবর্তে করমচা খাওয়া উচিত কারণ তেতুল শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু করমচা শরীরের জন্য উপকারী।
  • করমচা গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত সরবাহ ঠিক রাখতে পারে যার কারণে শরীরে রক্তের মাত্রা পর্যাপ্ত থাকে এবং বাচ্চা হওয়ার সময় কোন রকম রক্তের সমস্যা হয় না।
  • শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ক্ষতিকারকতা থেকে রক্ষা রাখে যার কারণে শরীর অসুস্থ হয় না এবং বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া গর্ভবতী মহিলার শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
  • করমচা খাওয়ার ফলে দাঁত শক্ত হয় এবং মাড়ির সমস্যা থাকলে সেটাও ভালো হয়ে যায়।
  • গর্ভাবস্থায় অনেকের শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকে যার কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। করমচা শরীরের এই জ্বর জ্বর ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।
এইসব উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিটি নারীকেই করমচা খাওয়ানো উচিত তাহলে সে অনেক বেশি সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চাও এতে করে উপকৃত হতে পারবে।


করমটা একটি টক জাতীয় ফল। করমচা কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই টক। তরকারিতে করমচা দিয়ে রান্না করলে তরকারিতেও একটি টক ভাব আসে যা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয় যদি আপনাকে বাজারে করমচা কেনার ক্ষেত্রে বলে যে এই করমচা মিষ্টি তাহলে অবশ্যই আপনাকে বুঝতে হবে করমচার মধ্যে ফরমালিন মেশানো রয়েছে যা খাওয়া একেবারে উচিত নয়। ফরমালিন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

করমচা খাওয়ার উপকারিতা - করমচা English Name

করমচায়ের মধ্যে বহু গুনাগুন লোকায়িত রয়েছে। প্রতিটি গুণই আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
  • যাদের দাঁতে পোকা লাগার সমস্যা রয়েছে বা মাড়ি ব্যথা করে তারা কাঁচা করমচা খাওয়ার ফলে এই সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যায়।
  • পেটে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য করমচা অনেক কার্যকরী।
  • যাদের খাবারের রুচি একেবারে কম তারা নিয়মিত করমচা খাওয়ার অভ্যাস করলে খাবারের রুচি অনেক বেশি বৃদ্ধি হয়।
  • যারা ওজন কমানোর জন্য অনেক রকমের ফল বা ডায়েট করে থাকেন তারা করমচা খেতে পারেন। করমচা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত করমচা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টরের মাত্রা কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে করমচা ভূমিকা অনেক।
  • করমচায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা আমাদের স্নায়ুর উন্নতি করতে সাহায্য করে অর্থাৎ করমচা শুধু শারীরিকভাবেই উপকারে নয় বরং মানসিকভাবে অনেক উপকারী।
  • শরীরের মধ্যে অনেক সময় অনেক রকমের প্রদাহ তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কর। করমচা শরীরে প্রদাহ কমাতে এবং নতুন নতুন প্রদাহ তৈরি হতেও বাধা প্রদান করে।
  • ব্যথার আঘাত দূর করতে এবং ক্ষত তাড়াতাড়ি ভালো করতে করমচা সাহায্য করে।
  • করমচায় ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকে যা শারীরিক ক্লান্তি ভাব দূর করতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
  • জ্বর ডায়রিয়া এবং আমশয় রোগীদের জন্য করমচা অনেক উপকারী।
  • লিভার এবং কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতেও করমচার কার্যকারী।
  • কিছু ক্ষেত্রে যাদের পেটে কৃমির সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যাও ভালো করে দিতে পারে করমচা।
  • করমচাতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা চোখের সমস্যা দূর করতে এবং দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • অনেক সময় আমাদের শরীরের ভিতরে আভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে থাকে। করমচা এই রক্তপাতের সমস্যাকে সমাধান করতে পারে।
আপনি যদি এসব উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে যে সময় করমচা উঠে তখন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়ম অনুযায়ী করমচা খাওয়া। তাহলে আপনি অনেক রকমের রোগ থেকে নিরাপদ থাকবেন এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।করমচা এশিয়া আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া এই তিন মহাদেশে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সাধারণত করমচা বর্ষাকালে হয়ে থাকে। করমচা আকারে ছোট একটি ফল এবং ত্বক জাতীয় ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Bengal Currant বা Chris's thorn. করমচা কাঁচা পাকা উভয় অবস্থাতে খাওয়া যায়।

করমচা থেকে চেরি - করমচার আচার রেসিপি

করমচাকে এক বিশেষ পদ্ধতিতে চেরি বানানো যায়। বাজারে চেরি কিনতে গেলে অনেক দাম লাগে। আপনি যদি বাসায় চেরি বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে যে সব ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা হচ্ছে প্রথমে করম যাকে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিবেন। এরপরে করমচার মাথায় যে বোটা রয়েছে তা ছিড়ে ফেলবেন এভাবে প্রত্যেকটি করমচা থেকে বোঁটাগুলো ছিড়ে ফেলবেন।

বোটা ছিড়া হয়ে গেলে আবার সেগুলোকে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এরপর করমচা হালকা ভাবে বটির সাহায্যে অথবা চাকুর সাহায্যে চিড়ে নিবেন। এরপর একটি কড়ায়ে যেই পরিমাণ করমচা দিবেন সেই অনুপাতে চিনি দিবেন এবং এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিবেন। তারপর কিছু সময় ধরে নাড়তে থাকবেন।

আপনি চিনের সেরা করার ক্ষেত্রে আপনাকে আঠালো চিনির সেরা করতে হবে। যখন চিনি গুলো আঠালো হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে সেসব করমচা গুলো দিয়ে দিবেন। করমচা দিয়ে কিছু সময় নাড়াচাড়া করার পরে সেখানে লাল ফুট কালার দিয়ে দিবেন। ফুড কালার দেওয়ার পরে কয়েক সেকেন্ড নাড়াচাড়া করবেন তারপর ঢাকনা দিয়ে এক থেকে দেড় মিনিটের জন্য ঢেকে দিবেন।

তারপর কড়াই থেকে সেসব নামাই একটা বাটিতে একদিনের জন্য ঢেকে রাখবেন। একদিন পরে ছাকুনির সাহায্যে চিনির সেরা থেকে করমচা গুলো ছেঁকে নিবেন তাহলে এই করমচা থেকে চেরি তৈরি হয়ে যাবে। এটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু।

করমচায়ের আচারও অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং এই আচার খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু ও লোভনীয়। বিশেষ করে আপনি ভাতের সাথে অথবা খিচুড়ির সাথে এই আচার দিয়ে খাইলে আপনি অনেক পরিমানে খাবার খেতে পারবেন। চলুন এবার আমরা সেই আচার রেসিপি জেনে নেই আপনি যদি করমচার আচার বাসায় তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে

করমচা পাঁচফোড়নের গুঁড়ো,চিনি,সরিষা বাটা,হলুদ এবং মরিচের গুঁড়ো,সরিষার তেল,সামান্য পরিমাণ আদা এবং রসুন বাটা,কয়েকটি রসুন এবং শুকনো মরিচ ও পাঁচফোড়ন। প্রথমে আপনাকে করমচাগুলোকে অর্ধেক করে সেখান থেকে বিচি বের করে নিতে হবে এরপর ভালোভাবে পানির সাহায্যে ধুয়ে নিবেন।

তারপর একটি কড়ায়ে সরিষার তেল দিবেন তেল যখন গরম হবে তখন সেখানে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিবেন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পরে রসুন দিবেন রসুন কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া পড়ে আদা এবং রসুন বাটা রয়েছে সেগুলো দিবেন। এসব কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করবেন তারপর সেখানে শুকনো মরিচ দিবেন শুকনো মরিচ দেয়ার পরে সেই করমচাগুলো দিয়ে দিবেন।


কিছুক্ষণ গরম যা নাড়াচাড়া করার পরে ঢেকে দেবেন। দুই থেকে তিন মিনিট ঢেকে রাখার পরে আবার নেড়ে দেবেন। যখন তা সিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যাবে তখন সেখানে চিনি দিয়ে দিবেন চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে তারপর ঢেকে দেবেন। এভাবে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখার পরে দেখবেন আঠা ভাব তৈরি হয়ে গেছে

তখন সেখানে পাঁচফোড়ন গুলো দিয়ে দিবেন এবং কিছু কোন চুলায় রেখে নামিয়ে নিলে আপনার করমচার আচার তৈরি হয়ে যাবে। উপরে যেই পদ্ধতি বলা হলো আপনি সেই পদ্ধতিতে আচার অথবা চেরি তৈরি করলে তা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে।

করমচা খাওয়ার অপকারিতা - করমচার পুষ্টিগুণ

করমচা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। করমচার মৌসুমে করমচা খাওয়া জরুরি দরকার তবে করমচা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া না হয়ে যায়। আপনার যখন অতিরিক্ত পরিমাণে গরম চা খেতে শুরু করবেন তখন তা আপনার শরীরের জন্য এবং পেটের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে।

অনেক রকমের সমস্যা দেখে আনবে যেমন হজম শক্তি সমস্যা ডায়রিয়া পেট খারাপ পেটব্যথা কোষ্ঠকাঠিন্য এরকম যাবতীয় সমস্যা দেখা দিবে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই এবং যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। শুধু করমচা নয় বরং চেরি বা আচার খাওয়ার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

অতিরিক্ত পরিমাণে করমচার আচার খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকম সমস্যা শরীরের দেখা দিবে এজন্য অবশ্যই সীমিত পরিসরে নিয়ম অনুযায়ী খাবেন তাহলে আপনি যেগুলো উপকারিতা হয়েছে সেগুলো পাবেন।

করমচার মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ লুকায়িত রয়েছে ১০০ গ্রাম করমচার মধ্যে রয়েছে
  • প্রোটিন -০.৫ গ্রাম
  • শক করা - ১৪ গ্রাম
  • ভিটামিন এ - ৪০ আইইউ
  • ভিটামিন সি- ৩৪ মিলিগ্রাম
  • নিয়াসিন - ০.২ মিলিগ্রাম
  • আইরন - ১.৩ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম
  • কপার- ০.২ মিলিগ্রাম
  • রিবোফ্লাভিন- ০.১ মিলিগ্রাম।
করমচা ছোট ফল হতে পারে কিন্তু পুষ্টিগুণ উপকারিতায় ভরপুর।

শেষ কথা

করমচা যেহেতু বছরের একটি সময় পাওয়া যায় এজন্য উচিত হবে ওই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে করমচা খাবার এতে করে আপনি মৌসুমী যে রোগগুলো রয়েছে সে রোগগুলো থেকে নিরাপদ থাকবেন আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও করমচা খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url