বায়োমিল ১, ২,৩ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি বায়োমিল ১,২,৩,খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম,বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং বায়োমিল ১ দাম কত ও বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম কি সেইসব সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বায়োমিল সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
বায়োমিল খাওয়ানোর এবং বানানোর নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বায়োমিল ২ খাওয়ার নিয়ম,বায়োমিল ২ দাম কত ও বায়োমিল ২ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি সেগুলো সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

জন্মের পরে বিভিন্ন কারণে ছোট বাচ্চাকে মায়ের দুধ ব্যতীত গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে বায়োমিল একটি নির্ভরযোগ্য ও ভরসার আস্থা হিসেবে ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশে এই বায়োমিল অনেক বেশি জনপ্রিয় এজন্য এই পোস্টের মধ্যে বায়োমিল সম্পর্কে এবং,বায়োমিল ৩


 খাওয়ার নিয়ম,বায়োমিল ৩ দাম কত ও বায়োমিল কোম্পানি সম্পর্কে আলোচনা করব।

বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম

বায়োমিল ১ মূলত সেসব বাচ্চাদের গর্ভপাতের পর পর খাওয়ানো হয় যেসব বাচ্চা তার মা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পাই না। বায়োমিল একটি পাউডার জাতীয় দুধ।
  • শূন্য থেকে বাচ্চার বয়স ৬ মাস পর্যন্ত বায়োমিল ১ খাওয়ানো যায়। যে সকল বাচ্চার বয়স এক থেকে দুই সপ্তাহ তাদেরকে দিনের মধ্যে ছয় বার এই দুধ কুসুম গরম পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ মিশিয়ে পান করাতে হয়। এক থেকে দুই সপ্তাহ বাচ্চার জন্য এর বেশি কখনই দুধ দিবে না তাহলে বাচ্চার জন্য সমস্যা হতে পারে।
  • যখন বাচ্চার বয়স আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ তিন থেকে চার সপ্তাহ তখন তাদেরকে দিনের মধ্যে ছয় বারের স্থানে পাঁচবার করে খাওয়াতে হবে এবং তিন চামচের স্থানে চার চামচ ব্যবহার করতে হয়।
  • দুই মাস বয়সের বাচ্চার জন্য প্রতিদিন বায়োমিল ১ পাঁচ বার করে খাওয়ানো যাবে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির সাথে পাঁচ চামচ করে গুঁড়ো দুধ মিশাতে হবে।
  • বাচ্চার বয়স যখন তিন মাস হবে তখনও তাদেরকে প্রতিদিন পাঁচবার করে খাওয়াতে হবে। এর বেশি খাওয়ানো যাবে না। তবে তিন মাস বয়সের বাচ্চার জন্য ছয় চামচ করে বায়োমিল ১ পানির সাথে মিক্স করতে হবে।
  • যেসময় বাচ্চার বয়স আরেকটু বেশি হবে যেমন তিন চার থেকে পাঁচ মাস বা পাঁচ মাস থেকে একটু বেশি সেই সময় তাদেরকে দিনে পাঁচবার খাওয়াবে কিন্তু ছয় চামচের পরিবর্তে তখন সাত চামচ গুঁড়ো দুধ পানির সাথে মিশাবে।
যখন ৬ মাস হয়ে যাবে তখন থেকে আর বায়োমিল ১ খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি এই নিয়ম অনুসারে তাদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়াতে পারবেন। বাচ্চাদেরকে যখন ফিডারে দুধ খেতে দিবেন তখন পানি অবশ্যই কুসুম গরম রাখবেন অথবা দুধ গুলানো যাবে এই পরিমাণ পানি গরম করবেন

অতিরিক্ত পানি গরম করার কারণে বাচ্চা খেতে পারবে না এবং দুধের পুষ্টিগুণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যাবে।বাচ্চাদেরকে গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়াতে হবে কারন এটি একটি গুঁড়ো দুধ অসতর্কতা বসত খাওয়ানোর কারণে বাচ্চার বিভিন্ন রকমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যতটুকু নিয়মে বলা হয় বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ততটুকুই খাওয়াবেন।

এর বেশি কখনোই গুঁড়ো দুধ পানির সাথে ব্যবহার করবেন না। এই দুধ খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন এতে করে বাচ্চার জন্যই ভালো হবে।

বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ছোট বাচ্চাদের বায়োমিল ১ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতার সাথে খাওয়াতে হবে কারণ তারা একেবারেই নবজাতক শিশু যার ফলে যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ানো হবে বা অসতর্কতার সাথে খাওয়ানো হবে তখন তাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনি যদি পরিমাণের তুলনায় বেশি তাদের খাওয়ান তাহলে মৃত্যু হতে পারে।
বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম-বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-বায়োমিল ১ দাম কত-বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম
২০১৯ সালে খুলনায় দুইটি জমজ শিশু বায়োমিল দুধ পান করার কারণে মৃত্যু হয়েছিল। কোন খাবার বা বায়োমিল দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তখনই দেখা দিবে যখন আপনি নিয়ম মত খাওয়াবেন না বা পরিমাপের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়াবেন এজন্য অবশ্যই আপনার উচিত হবে বাচ্চাদেরকে যে কোন কিছু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়ানোর


তাহলে তাদের কোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যদি আপনি দেখেন তাদের পেটে ঠিক ভাবে হজম হচ্ছে না বা পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন তারপর ডাক্তার যেভাবে খাওয়ানোর কথা বলবে সেভাবে খাওয়াবেন তাহলে আর কোনরকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

বায়োমিল ১ দাম কত

বায়োমিল ১ চার রকম প্যাকেটে বিক্রি হয়
  • ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ২২৫ টাকা।
  • ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ১ পাউডার দুধের দাম ৪৫০ টাকা।
  • হাফ কেজি অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম বায়োমিল ১ গুঁড়ো দুধের দাম ৮২০ টাকা।
  • আপনি যদি এক কেজি বায়োমিল ১ নিতে চান তাহলে দাম হবে ১৬৪০ থেকে ১৬৫০ টাকা।
মার্কেটে বায়োমিল ১ এর দাম সারা বছর এমনই থাকে তারপরও আপনি দোকানে কিনতে গেলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে মেয়াদ এবং দাম দেখে কেনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন দুধ নিয়ে আসা হয় যার মেয়াদ খুব বেশিদিন থাকে না যার কারণে বাচ্চাদেরকে ঠিকভাবে খাওয়ানো যায় না এবং মনের মধ্যে কেমন একটা খুঁতখুত কাজ করে

এজন্য অবশ্যই আপনি দুধ কেনার আগে মেয়াদ ঠিকভাবে দেখে নিবেন তাহলে আপনার আর টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং আপনার বাচ্চার জীবনও নিরাপদ থাকবে।

বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম

বায়োমিল ১ শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য খাওয়ানো হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ভাবে এই দুধ বানাতে হয়। এক বা দুই সপ্তাহে বাচ্চাদেরকে আপনি যদি এই দুধ খাওয়াতে চান তাহলে কুসুম গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে তাদেরকে খাওয়াবেন।

যখন বাচ্চার বয়স তিন বা চার সপ্তাহ হবে তখন আরেক চামচ বেশি দিতে হবে অর্থাৎ চার চামচ পরিমাণ দিবেন। বাচ্চার বয়স দুই মাস হলে তখন কুসুম গরম পানির সাথে পাঁচ চামচ বায়োমিল ১ মিশিয়ে খাওয়াবেন। বাচ্চার বয়স যেসময় তিন মাস হবে তখন তাদের জন্য ফিডার তৈরি করলে ছয় চামচ পরিমাণ বায়োমিল এক পানির সাথে মেশাবেন।

বাচ্চার বয়স চার থেকে পাচ মাস হলে সেসময় পরিমাণ আরেকটু বেশি হবে তখন তাদেরকে সাত চামচ পরিমাণ বায়োমিল ১ কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন। এভাবে আপনি ছয় মাস পর্যন্ত তাদেরকে খাওয়াতে পারবেন। দুধ বানানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সতর্ক থাকতে হবে যেন যে নিয়ম বলা হলো এর বেশি না হয়।

এর বেশি হলে বাচ্চার পেটে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পানি নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন পানি নিবেন যাতে করে বাচ্চা খেতে পারে এবং জিব্বা পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা না থাকে। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা কখনোই নিবেন না। অতিরিক্ত গরম নিলে বাচ্চা খেতে পারবেনা এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিলে বাচ্চা অসুস্থ হবে তাই সব সময় মাঝারি গরম অর্থাৎ কুসুম গরম পানি নিবেন তাহলে বাচ্চা আরামে খেতে পারবে।

বায়োমিল ২ খাওয়ার নিয়ম

৬ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের বাচ্চার জন্য বায়োমিল ২ তৈরি করা হয়েছে। এই বয়সের বাচ্চারা যখন মায়ের বুকের দুধ না পায় তখন তাদেরকে বিকল্প হিসেবে এই দুধ খাওয়ানো হয়। বায়োমিল ২ এর প্যাকেট খোলার পর থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন এরপর প্যাকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এরপর খাওয়ানো কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
বায়োমিল ২ খাওয়ার নিয়ম-বায়োমিল ২ দাম কত-বায়োমিল ২ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বাচ্চার বয়স যখন ৬ মাস হয় তখন তাকে কুসুম গরম পানির সাথে ৮ চামচ পরিমাণ বায়োমিল ২ মিশিয়ে পান করাবেন। চামচ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই দুধের প্যাকেটে যেই চামচ থাকে সেই চামচ ব্যবহার করবেন। বাহির থেকে কোন চামচ ব্যবহার করলে পরিমাণ সঠিক হবেনা। এরপর আস্তে আস্তে বাচ্চার বয়স অনুযায়ী চামচের পরিমাণ বাড়তে হবে।


প্রতি এক মাস পরে এক চামচ করে বৃদ্ধি হবে অর্থাৎ বাচ্চার বয়স যখন সাত মাস হবে তখন তাকে নয় চামচ বায়োমিল ২ মিশায়ে পান করাবেন। এভাবে ক্রমাগতভাবে প্রত্যেক মাসে এক চামচ বৃদ্ধি করবেন তাহলে তাদের শরীরের জন্য উপকার হবে এবং তাদের যেই পরিমাণ দুধের অভাব রয়েছে সেই পরিমাণ দুধের অভাব কেটে যাবে।

বায়োমিল ২ দাম কত

যেকোনো সুপার শপে অথবা ফার্মেসির দোকানে আপনি বায়োমিল ২ পাবেন। বায়োমিল ১ এবং বায়োমিল ২ এর দাম প্রায় কাছাকাছি শুধু কিছু টাকা কম বেশি।
  • ৪০০ গ্রাম বায়োমিল ২ এর দাম ৫৮০ টাকা।
  • ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ২ এর দাম ৪৭০ টাকা।
  • ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ২ এর দাম ২২৫ টাকা।
  • ১০০০ গ্রাম অর্থাৎ ১ কেজি বায়োমিল ২ এর দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশে সচরাচর এক কেজির বায়োমিল ২ পাওয়া যায় না। ১৮০, ৩৫০, ৪০০ গ্রাম এই তিন প্যাকেটের বায়োমিল ২ সব সময়ই পাওয়া যায়। ফার্মেসি অথবা যেকোন দোকান থেকে কেনার আগে অবশ্যই আপনি ভালোভাবে প্যাকেটের গায়ে লেখা মেয়াদ এবং দাম দেখে নিবেন। মেয়াদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে কেনা উচিত তাছাড়া আপনার বাচ্চার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বায়োমিল ২ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যেকোন খাবারের অথবা দুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তখনি দেখা দেয় যখন তা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাওয়ানো হয় এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়ানো উচিত। প্যাকেট খোলার চার সপ্তাহ পরে কখনোই সেই দুধ বাচ্চাকে খাওয়াবেন না। চার সপ্তাহ পরে সেটি আর খাওয়ার যোগ্য হিসেবে থাকে না।

আপনি সতর্কতার সহিত খাওয়ালে কখনোই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় একটি গ্রামে ১০ মাসের জমজ শিশু বায়োমিল ২ খাওয়ানোর ফলে মারা গেছিল এজন্য অবশ্যই আপনার শিশুকে বায়োমিল খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাওয়াবেন এবং কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াবেন না।

যেই নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুপাতে খাওয়াবেন তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

বায়োমিল ৩ খাওয়ার নিয়ম

এক বছর থেকে দুই বছর বাচ্চার জন্য বায়োমিল ৩ তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চার বয়স যখন শূন্য থেকে ছয় মাস থাকে সেসময় তার জন্য বায়োমিল ১ এবং ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত বায়োমিল ২ এবং ১২ মাস অর্থাৎ ১ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত শিশুদেরকে বায়োমিল ৩ খাওয়ানো হয়। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে তার খাবারের চাহিদাও অনেকটা বেড়ে যায়

এজন্য যেসব বাচ্চাদেরকে বায়োমিল খাওয়ানো হয় তাদেরকে কুসুম গরম পানির সাথে ১২ থেকে ১৩ চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে পান করাবেন। এভাবে বয়স আকারে তা বাড়তে থাকবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশু যদি অতিরিক্ত দুর্বল না হয় সেক্ষেত্রে এক বছর বা দেড় বছরের পর থেকে আর তাদেরকে প্যাকেটের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না।

যেসব শিশুদেরকে বায়োমিল ৩ খাওয়াবেন সেসব শিশুকে আগে ডাক্তারকে দেখিয়ে তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াবেন। অন্যথায় শিশুর জন্য তা ক্ষতিকর হবে। বায়োমিল ৩ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াবেন না। প্যাকেটের গায়ে যেই পরিমাণ লেখা থাকবে সেই পরিমাণে আপনি তাদেরকে খাওয়াবেন।

বায়োমিল ৩ দাম কত

বায়োমিল ৩ কয়েক ধরনের ওজন অনুযায়ী প্যাকেট হয়। একেকটি ওজনের প্যাকেটের দাম এক এক রকম।
বায়োমিল ৩ খাওয়ার নিয়ম-বায়োমিল ৩ দাম কত
  • ১৮০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম ২৫০ টাকা।
  • ৩৫০ গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম ৪৭০ টাকা।
  • ৪৫০ গ্রাম বায়োমিল ৩এর দাম ৫৮০ টাকা।
  • ১ কেজি অর্থাৎ এক হাজার গ্রাম বায়োমিল ৩ এর দাম ১৪০০ টাকা।
এই চার ধরনের প্যাকেটে বাংলাদেশের যেকোনো সময় পাওয়া যায়। কেনার আগে অবশ্যই আপনি প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ এবং দাম দেখে নিবেন তাছাড়া আপনি প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্যাকেট খোলার পর থেকে চার সপ্তাহ হয়ে গেলে কখনো আর এই দুধ কোন বাচ্চাকে খাওয়াবেন না। চার সপ্তাহ পরে সেই দুধ বাচ্চার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

বায়োমিল কোম্পানি

বায়োমিল একটি প্যাকেট এবং কৌটো জাতীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এই কোম্পানি বেলজিয়ামে অবস্থিত। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে সুনামের সাথে এই কোম্পানির ব্যবসা করে আসছে। এই কোম্পানির প্রতিটি পণ্য অনেক বেশি মানসম্মত। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য যেই দুধ প্রস্তুত করে তা বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী।


এই কোম্পানির শূন্য থেকে তিন বছরের বাচ্চার জন্য দুধ প্রস্তুত করে আসছে এর ফলে দেখা যায় অনেক বাচ্চা দুধের অভাবে মারা না গিয়ে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এই দুধ খাওয়ানোর ফলে তারা অনেকটাই সুস্থ সবল হয়ে জীবন যাপন করে। বাংলাদেশের নরসিংদীতে বায়োমিলের ফ্যাক্টরি রয়েছে। সব পণ্য বেলজিয়াম থেকে আমদানি করে সেখানে প্যাকেটজাত করা হয়।

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিজ্ঞতার সাথে পৃথিবীর ৩৫টি দেশে তারা দুধ সরবরাহ করে।

শেষ কথা

একটি বাচ্চার জীবন অবশ্যই মূল্যবান এজন্য আপনি দুধ কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে দুধ কিনবেন এবং তাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও অবশ্যই অনেক সতর্কতার সাথে খাওয়াবেন যাতে করে এই দুধ খাওয়ানোর ফলে তার কোন রকমের ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও বায়োমিল ১,বায়োমিল ২,বায়োমিল ৩ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • নামহীন
    নামহীন ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এ ৫:৩৩ PM

    কি দিয়ে এই দুধ তৈরী হয়

  • মাসুদ খান। বাগেরহাট
    মাসুদ খান। বাগেরহাট ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ এ ৬:২০ AM

    দুধ তৈরি করার পর কত সময় পর্যন্ত এটি বাচ্চাদের খাওয়ানো যাবে

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url