স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা আয় করার উপায়- ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা আয় করার উপায় এবং টিউশনি অথবা পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমে ইনকাম ও ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
স্টুডেন্ট অবস্থায় টাকা আয় করার উপায়
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন আর্টিকেল লিখে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম,ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম,কানেক্টর হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম,গবেষণা করার মাধ্যমে ইনকাম ও ড্রপ শিপিং বিজনেসের মাধ্যমে ইনকাম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

ছাত্র অবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হচ্ছে তা হলো টাকার সমস্যা। অধিকাংশে দেখা যায় টাকার জন্য ছাত্র অবস্থায় অনেক কিছুই করতে পারে না অথবা পড়ালেখার ক্ষেত্রেও টাকা প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। ছাত্র অবস্থায় যদি কিছু পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে।


এজন্য এই পোষ্টের মধ্যে ছাত্র অবস্থায় কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

টিউশনি অথবা পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমে ইনকাম

ছাত্র অবস্থায় ইনকামের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে টিউশনি করা অথবা কোন রেস্টুরেন্ট বা কোন দোকানে পার্ট টাইম জব করা। আপনি যদি দুইটা টিউশনি করান তাহলে আপনার মাসে পাঁচ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে আপনি ১ টা টিউশনি থেকেই ৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা ২ টা করলে ১০ হাজার টাকা ইনকাম হয়ে যাবে।

আপনি যদি কোথাও পাট টইম জব করেন সেক্ষেত্রেও আপনার মাসে খুব সহজে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ইনকাম হয়ে যাবে। একটা ছাত্রের মাসে ৫ হাজার টাকা ইনকাম করলে সে খুব সহজেই মাস পার করে দিতে পারবে। শুরুর দিকে টিউশনি পেতে আপনার একটু কষ্ট হতে পারে। এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন এমন লোকদের টার্গেট করা যাদের হাতে টিউশনি থাকে।

তাহলে আপনি খুব সহজেই টিউশনি পাবেন। টিউশনি এবং পার্ট টাইম জব করার ক্ষেত্রে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী যে কখনো টিউশনিকে নিজের ভবিষ্যৎ প্ল্যান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। আপনি চাইলে টিউশনি থেকে মাসে ৪০ বা ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন যেমন ১০ বা ১২ জনকে পড়ালে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

কিন্তু ভবিষ্যতে এখান থেকে বড় কিছু করা কষ্টকর। তাই টিউশনি অথবা পার্ট টাইম জব করার ক্ষেত্রে সেই পরিমাণই ইনকাম করবেন যতটুকু আপনার প্রয়োজন। বাকি সময়টুকু আপনি আপনার ভিন্ন কোন কাজে যেমন নিজের স্কিল উন্নতি করতে অথবা পড়াশোনার জন্য ব্যয় করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম করা। ফ্রান্সিংয়ের অনেকগুলা সেক্টর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং,ভিডিও এডিটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইনার,এসইও মার্কেটিং,মেটা মার্কেটিং,ফেসবুক এড রানিং, এছাড়াও আরো অনেক আছে। আপনি এগুলোর মাধ্যমেও খুব সহজেই ছাত্র অবস্থায় টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


এসবের জন্য আপনার শুরুতে প্রয়োজন পরবে নিজের কিছু স্কিলের তাহলে আপনি এগুলোর যেকোনো একটি স্কিলের মাধ্যমে এখান থেকে আপনার মাসে চলার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নিজের সময়কে বিক্রি করার মাধ্যমে অন্যের থেকে টাকা ইনকাম করা।

কানেক্টর হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম

একজন কানেক্টর এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন মানুষকে কানেক্ট করানো। আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে না। খুব সহজেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু আপনার প্রয়োজন হবে নিজের চোখ কানকে খোলা রাখা। কারো কোন ভাষা শিখা বা কোন একটি কোর্স করার প্রয়োজন হলে।

সেক্ষেত্রে আপনি এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করলেন যারা সেই বিষয়ে কোর্স করায় অথবা সেই বিষয়গুলো শেখায়। তখন আপনি গিয়ে খোঁজ খবর নেয়ার মাধ্যমে এমন কিছু মানুষদের খোঁজ করলেন যাদের এই কোর্সগুলো প্রয়োজন। তখন আপনি সেই প্রতিষ্ঠান বা সেই মানুষের সাথে উভয়ের কানেক্ট করে দিলেন ।

সেখান থেকে সে প্রতিষ্ঠান বা সে ব্যক্তির যে পরিমাণ টাকা নিবে সেখান থেকে আপনি কয়েক শতাংশ টাকা নিজের জন্য নিয়ে নিবেন। এই পদ্ধতি আপনার জন্য খুব সহজ হবে। শুধু আপনার প্রয়োজন পড়বে এমন কিছু মানুষকে খোঁজা যারা কোন একটি বিষয়ে জন্য খোঁজ করছে এবং আপনার সেই বিষয়ের কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজন হবে।

অথবা এমন কোন পেইজকে মেসেজ করবেন যাদের মার্কেটিং এর প্রয়োজন বা আপনি নিজে থেকে মেসেজ করে জিজ্ঞেস করলেন আপনার কি মার্কেটিং এর প্রয়োজন? তখন সে যদি বলে হ্যাঁ। তখন আপনি এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা এমন কোন ব্যক্তিকে খোঁজ করলেন যে সে মার্কেটিং করে দেয় মাঝখান থেকে আপনি দুজনের মধ্যে কানেক্ট করে দিলেন এবং সেখান থেকে আপনি কিছু পার্সেন্টেজ নিলেন।

আর্টিকেল লিখে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমানে সবাই ইনফ্লুয়েঞ্চার হতে চাই যে তার নিজে কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে নিজের পরিচিতি বাড়াবে এবং সেখান থেকে টাকা ইনকাম করবে। আপনার উচিত হবে তাদেরকে টার্গেট করা যেমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চায় কিন্তু তাদের কাছে সেই রকম সময় নেই।

 আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমেও সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন তাদের কথা শুনে সেগুলো রেকর্ড করার মাধ্যমে নিজে আর্টিকেল লিখে দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এমন কিছু ডাক্তারদের টার্গেট করলেন তাদের কাছে গিয়ে বলবেন আপনি তার থেকে শুনে তার নামে একটি ফেসবুক পেজ দাঁড় করাবেন।


সেখানে আপনি নিয়মিত তার হয়ে আর্টিকেল লিখবেন এতে করে সে আরো অধিক পরিমাণে রোগী পাবে এবং সে ফেসবুক পেজ থেকেও ইনকাম করতে পারবে। আপনি তাদেরকে এ বিষয়টা বুঝাতে পারলেই সেখান থেকে আপনি তাদের আর্টিকেল লিখে দেয়ার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি আরেকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন সেটি হচ্ছে-

তাদেরকে বলবেন প্রথম এক মাস বা দুই মাস আপনি তাদেরকে ফ্রিতে কাজ করে দিবেন এরপরে যখন সেখান থেকে সে কিছু রোগী পাবে বা ইনকাম করতে পারবে তখন আপনি তার থেকে আলোচনার মাধ্যমে টাকা নিবেন।

গবেষণা করার মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক রকমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর পাওয়া যায় যেমন টিকটক ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম। আপনার প্রথমে যে কোন একটি বিষয়ের উপরে ভালোভাবে গবেষণা করার মাধ্যমে দক্ষ হতে হবে। এরপরে যেসব ছোট ক্রিয়েটর আছে তাদের কাছে গিয়ে বলতে হবে আমি আপনার পেজ এক মাসের মধ্যে এই পরিমাণ উপরে তুলে দিব এবং আপনার পেজের যাবতীয় সবকিছু দেখাশোনা করব।

এটার জন্য শর্ত হচ্ছে আপনার পূর্বে এরকম কিছু কাজ করার উদাহরণ থাকতে হবে। তখন আপনি তাদেরকে দেখালে খুব সহজে আপনি সেখান থেকে তাদের পেইজে বড় করে দেয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করার মাধ্যমে ইনকাম করা

বর্তমান সময়ে ব্লগিং করেও আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে পূর্বে ব্লগিং সম্পর্কে শিখতে হবে। কিভাবে আর্টিকেল লিখে,কিভাবে ফরমেটিং করে,কিভাবে এসইও করে,কিভাবে নিজের আর্টিকেলকে গুগলের রেংক করানো যায় এরপরে যখন আপনার ব্লগে ট্রাফিক আসতে শুরু করবে তখন আপনি এখান থেকে দুইটা মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

এড রান করার মাধ্যমে অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং বা নিজের কোন পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে। আবার আপনি চাইলে তিন পদ্ধতি অবলম্বন করে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এমন একটি পদ্ধতি যা খুব কম সময়ে ইনকাম করা সম্ভব হয়ে ওঠে।

ড্রপ শিপিং বিজনেসের মাধ্যমে ইনকাম করা

এই বিজনেস আপনি কোন ইনভেস্ট করার ছাড়াই করতে পারবেন। যেমন আপনি আপনার ফেসবুক পেইজে অথবা আপনার প্রোফাইলে কোন কিছু বিক্রি করার জন্য পোস্ট করতে থাকবেন। যখন আপনি সেখান থেকে ক্রেতা পাবেন তারপর আপনি খুঁজবেন কারা ওই জিনিসপাতি বিক্রি করে। তখন আপনি তাদের থেকে কিনে আপনার ক্রেতাকে দিয়ে দিবেন।

 
এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি চার্জ বা ডেলিভারির কষ্ট কোন কিছুই লাগবে না। শুধু ক্রেতা খোঁজার মাধ্যমে আপনি পণ্য সেল করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এই পদ্ধতিতে ক্যামেরা নিয়ে, টি-শার্ট নিয়ে,জুতা নিয়ে,চশমা নিয়ে,ঘড়ি নিয়ে, শাড়ি নিয়ে আরও বিভিন্ন কিছু নিয়ে করতে পারবেন। এতে করে আপনি খুব কম সময়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথা

উপরে যেসব পদ্ধতিগুলো বলা হলো এগুলো শুধু ছাত্র অবস্থায় বা নিজের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন ভবিষ্যতের জন্য এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সব সময় ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলতে থাকা উচিত কোন একটি ব্যবসা দাঁড় করানো যাতে করে আপনি সেটার মাধ্যমে ইনকাম করে সারাজীবন পার করতে পারেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও ইনকাম করার উপায় গুলো জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url