মেয়েদের রক্ত শূন্যতার লক্ষণ এবং রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি রক্ত শূন্যতার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টে আপনার জন্য আমি এ পোষ্টের মধ্যে রক্তশূন্যতার লক্ষণ এবং রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও শরীরের রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় সেসব নিয়ে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে রক্তশূন্যতা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন রক্তশূন্যতার খাবার, মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ,রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
মানবদেহে রক্তের পরিমাণ অত্যন্ত জরুরী। যদি আপনার শরীরে রক্ত কম হয় অথবা রক্তে দূষিত কিছু হয়ে থাকে তাহলে তা আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। রক্তশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বলতা সহ আরো বিভিন্ন রকমের রোগ হয়ে থাকে যে রোগ গুলো আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করতে পারে।
আরো পড়ুন :: ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
শূন্যতা বলতে এমন একটি রোগকে বোঝায় যার রক্তে রোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়।
রক্ত শূন্যতার লক্ষণ
মানুষের শরীরে যখন রক্ত কমে যায় তখন বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সেই সময় কিছু লক্ষণ আমাদের সামনে ভেসে আসে। সেসব লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে আমাদের বুঝতে হবে শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে গেছে। চলুন এবার সেই লক্ষণ গুলো জানি
- শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। মানুষের চেহারায় যে স্বাভাবিক রং থাকে সেই রং বদলে গিয়ে একটি ভিন্ন ফ্যাসকা টাইপের রং হয়।
- দুর্বলতা চেপে ধরে। কোন কাজ করার ক্ষেত্রে বা কোন কিছু করার ক্ষেত্রে শরীরে শক্তি পাওয়া যায় না অথবা কোন কাজ করার ক্ষেত্রে মনে বসে না।
- ক্লান্তি ভাব বেশি হয়। কোন কাজ কিছু সময় করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। স্বাভাবিকের তুলনায় কাজ করার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়।
- মাথা ঘুরার পরিমান বেড়ে যায়। কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ মাথার মধ্যে চক্কর দিয়ে উঠবে এবং এমন ভাব হবে যেন সবকিছু উলট পালট হয়ে যাচ্ছে।
- চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এবং চোখে ঝাপসা দেখা শুরু হয়। শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে চোখে ঠিকমতো দেখা যায় না।
- ঘনঘন মুখে এবং ঠোঁটে ঘা হবে। ঠোঁটে ও ঠোঁটের ভিতরে,জিহ্বায় বিভিন্ন অংশে ঘন ঘন ঘা হবে। এটাও একটি রক্তশূন্যতার লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি।
- মানুষের শরীরে একটি তাপ থাকে যখন আপনার হাত-পা অধিকাংশ সময় ঠান্ডা থাকবে সেটাও রক্ত শূন্যতার আভাস দিবে।
- বিষণ্ণতা,অবসাদ আপনার পিছু ছাড়বে না। রক্তশূন্যতা হলে মানুষের বিষন্নতা অবসাদ এগুলো বেশি হয় এতে করে মানুষ জীবনে অনেক পিছিয়ে পরে যায়।
- স্বাভাবিকের তুলনায় যদি আপনার মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ে এটাকেও আপনি রক্তশূন্যতার যেসব কারণ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ধরতে পারেন শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে অক্সিজেনের সমস্যা হয়।
- ঠিকমতো অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না যার ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়।
আপনি যদি আপনার শরীরের মধ্যে এসব লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেছে। তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তার যেসব পদ্ধতি বলে সে পদ্ধতিতে শরীরের রক্ত বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
রক্তশূন্যতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলোর অনুসরণ করলে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার রক্তের যে শূন্যতা রয়েছে সেই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং আপনি আগের মতই সুস্থ হয়ে যাবেন। চলুন এবার সেই উপায় গুলো জানি
- খাবারের তালিকায় সবুজ শাকসবজি,কচু শাক মাছ মাংস এগুলো রাখতে হবে। আপনি যখন এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেতে শুরু করবেন তখন আপনার রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে।
- যাদের রক্তশূন্যতা সমস্যা রয়েছে তারা চা কফি এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- ইপসম এটি হচ্ছে একধরনের লবণ। আধা বালতি থেকে এক বালতি পানিতে দুই থেকে তিন চামচ এই লবণ দিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত ডুবিয়ে রাখবেন তাহলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
- প্রতিদিন মধু এবং কালোজিরা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মধু এবং কালোজিরা মৃত্যু বাদের সকল রোগের ওষুধ হিসেবে ধরা হয়।
- খাবারের তালিকায় ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে যেমন কলা কমলা মটরশুঁটির ডিম এই জাতীয় খাবার।
- নিয়মিত হাত-পা ম্যাসাজ করবেন। হাত-পা মাসাজ করার ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়বে।
- এমন পাত্রে রান্না করবেন যে পাত্র আয়রন দিয়ে তৈরি করা। তাহলে আপনার খাবারে আয়রনের পরিমাণ বাড়বে।
- আপেলের জুস খাওয়ার ফলেও রক্তশূন্যতা দূর হয়।আপেল এবং টমেটো একসাথে করে রস করে খাবেন। এই পদ্ধতিও আপনাকে কাজে দিবে।
- পাকা কলা এবং মধু একসাথে করে জুস বানিয়ে অথবা এমনিতে খাওয়ার ফলেও আপনার শরীরের রক্তের পরিমাণ বাড়বে।
- গোসল করার ক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকবেন। চেষ্টা করবেন সবসময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার।
- চিনা বাদাম কাজুবাদাম এগুলো নিয়মিত খাবেন। এই বাদাম গুলোর মধ্যে আয়রন থাকে যেগুলো আপনার শরীরকে ঠিক রাখবে।
- খেজুরের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ থাকে এবং খেজুর আয়রনের ভরপুর। যাদের রক্ত শূন্যতার সমস্যা আছে তারা অবশ্যই নিয়মিত খেজুর খাবেন। খেজুর এবং মধু একসাথে করে খাওয়ার ফলেও আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
- টমেটো চিবিয়ে অথবা জুস করে খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন। টমেটোতে ভিটামিন সি এবং আয়রন থাকে যা আপনার রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে।
- সমুদ্রের যেসব ছোট মাছ পাওয়া যায় সেই মাছগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই মাছগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে এবং রক্ত শরীরে তৈরি করে।
- কবুতরের বাচ্চা,দেশি মুরগির বাচ্চা এগুলো খাবেন। এগুলো খাইলে শরীরে খুব তাড়াতাড়ি রক্ত তৈরি করে এবং রক্তশূন্যতা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
রক্ত শূন্যতার খাবার
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে খুব সহজে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি হবে এবং রক্তশূন্যতা চলে যাবে।চলুন এবার সে খাবার গুলোর নাম জানি
- কলিজাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি থাকে এজন্য যাদের শরীরের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কলিজা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। গরুর কলিজা হোক অথবা খাসির কলিজা।
- দুধে ভিটামিন এবং প্রোটিন থাকে এজন্য আপনার খাবারের তালিকায় রাখা জরুরী।
- আয়রনের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার হচ্ছে মাছ। মাছ বলতে বোঝানো হয়েছে বিল, নদী, সমুদ্রে যেসব ছোট ছোট মাছ পাওয়া যায় সেসব মাছগুলো।
- প্রতিদিন কিছু ফলমূল খাওয়া। আপেল কলা আঙ্গুর বেদনা গাজর।
- মসুরের ডাল অথবা মুগ ডাল যে কোন একটি ডাল নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ডাল খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে।
- দেশি মুরগির ডিম অথবা হাঁসের ডিম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে প্রোটিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করবে। কুসুমের ডিমের মধ্যে আয়রন থাকে। এই তিনটি উপাদান একসাথে করে আপনার রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
- সয়াবিনে আয়রন এবং ভিটামিন থাকে। সয়াবিন খাওয়ার ফলেও শরীরে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর হয়।
- মাছ মাংস ডিম এগুলো খাওয়ার পরে কোনভাবে দুধ খাবেন না। দুধ রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- যেসব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে যেমন লেবু আমলকি টক ফল এগুলো খাবেন।
- প্রতিদিন আপনার খাবারের তালিকায় শাকসবজি যুক্ত করবেন পালং শাক,লাল শাক,সবুজ শাক, বিশেষ করে কচু শাক খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত শরীরে রক্ত তৈরি হয় এজন্য গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদেরকে কচু শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত।
এছাড়াও উপরে যে সব ঘরোয়া পদ্ধতি বলা হয়েছে সেই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলেও আপনার শরীরে তাড়াতাড়ি রক্ত বৃদ্ধি হবে এবং শরীর সুস্থ হয়ে যাবে।
মেয়েদের রক্ত শূন্যতার লক্ষণ
রক্তশূন্যতা পুরুষ মহিলা উভয়েরই হতে পারে।রক্তশূন্যতা সমস্যা মহিলাদের বেশি হয় কারণ তারা পুরুষদের তুলনায় দুর্বল হয়ে থাকে। চলুন এবার কোন মেয়ের মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা গেলে তাকে রক্তশূন্যতা রোগী হিসেবে ধরা হবে সেই লক্ষণ গুলো জানি একজন নারীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পয়েন্ট ১২ থেকে ১৫ থাকা উচিত।
যদি এর কমে হয়ে যায় তাহলে তাকে রক্তশূন্যতার রোগি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। শ্বাসকষ্টের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং বুকে চাপ লাগার মত সমস্যা দেখা দিবে।চোখ মুখ ফ্যাসকা হয়ে যাওয়া,মাথা ঘোরা,বমি ভাব হওয়া এগুলো লক্ষণও রক্তশূন্যতার মধ্যে পরে।যখন বাসার কাজ বা যেকোন কাজ করার ক্ষেত্রে খুব অল্পতেই দুর্বল হয়ে যাবে বা ক্লান্তি বোধ করবে।
তখন বুঝে নিতে হবে তার শরীরে রক্ত কম আছে।স্বাভাবিকের তুলনায় তাদের ঘুমের চাপ বেশি হবে।চোখের নিচে কালো দাগ পরতে শুরু করবে। মেয়েদের রক্তশূন্যতা বেশি হয় পিরিয়ডের সময়। তাই চেষ্টা করবেন পিরিয়ড হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার। কোন মেয়ের মধ্যে যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরের রক্তের স্বল্পতা রয়েছে।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেই মোতাবেক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হিমোগ্লোবিনের একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে যখন তার চেয়ে কমে যায় তখন সে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। চলুন এবার আমরা জানি হিমোগ্লোবিন কমার কারণে কি কি সমস্যা হয়
হিমোগ্লোবিন কাকে বলে
হিমোগ্লোবিন বলা হয় রক্তের মধ্যে অক্সিজেন এবং বিভিন্ন উপাদান প্রবাহিত হয়ে থাকে। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় বিশেষ ধরনের আয়রন থাকে এবং সেটাকে হিমোগ্লোবিন বলা হয়।হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হল ধমনী থেকে দেহের প্রতিটি স্থানে অক্সিজেন পৌছানো।
হিমোগ্লোবিন কেন কমে
যখন আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন এবং খনিজের অভাব দেখা দিবে তখনই আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাবে। একজন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার কারণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি কমে যায়। এছাড়াও কিছু শারীরিক রোগ রয়েছে যেগুলোর কারণে হিমোগ্লোবিন কমে যায় সে রোগ গুলো হচ্ছে
- ক্যান্সার।
- আয়রনের অভাব।
- লিউকোমিয়া।ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত।
- নিয়মিত রক্ত দান করলে।পেটের ক্যান্সার।
- পেটের আলসার।
- ভিটামিনের অভাব।
- পেশাবের সাথে রক্ত বের হলে।
এসব রোগের জন্যও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যা যা সমস্যা হয়
একটি মানুষের শরীর থেকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট,মাথা ঘোরা,খিটখিটে মেজাজ,অল্প কাজ করার ফলে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া,মনোযোগের অভাব,শরীর দুর্বল, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এবং চুল পরার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কিনা সেজন্য আপনি রক্তে আয়রনের পরীক্ষা এবং পেশাব পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
আরো পড়ুন :: লাউ খাওয়ার উপকারিতা - লাউ শাকের উপকারিতা
ভিটামিন বি ১২ এবং ভিটামিন বি ৯ পরীক্ষাও করতে পারেন। আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে খাবারের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরী। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন ফলমূল গোশত মাছ শাক-সবজি এগুলো বেশি করে খাইলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আবার বেড়ে যাবে।চা,কফি এবং ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রক্তশূন্যতা এবং হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর
১ প্রশ্ন হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ কি?
উত্তর
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীর দুর্বল হওয়া,মেজাজ ক্ষিতমিটে হয়ে যাওয়া,ক্লান্তি ভাব আশা,ঘুমে চাপ বেশি হওয়া,মাথা ব্যথা বেড়ে যাওয়া। এগুলোই হিমোগ্লোবিনে কমে যাওয়ার লক্ষণ।
২ প্রশ্ন রক্ত কমে গেলে কিভাবে বুঝবো?
উত্তর
আপনার শরীরের যদি রক্ত কমে যায় তাহলে আপনার শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা,ক্লান্তি,মাথাব্যথা,বিষণ্ণতা এগুলো বেশি হবে।
৩ প্রশ্ন রক্তে হিমোগ্লোবিন কত থাকা স্বাভাবিক?
উত্তর
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ১৪ থেকে ১৮ হিমোগ্লোবিন থাকা স্বাভাবিক আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ১২ থেকে ১৬ মাত্রা হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা।
৪ প্রশ্ন রক্ত পরীক্ষায় এইচসিটি কি?
উত্তর
এইচসিটি এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শরীরের রক্তে কতটা লোহিত কণিকা দ্বারা গঠিত একটি জানা যায়।
শেষ কথা
একটি মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক থাকার জন্য তার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত থাকা জরুরী। আপনার শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত থাকবেনা তখন আপনি কোন কাজ বা কোন কিছু করেই শান্তি পাবেন না। যখনই আপনার মনে হবে আপনার শরীরের রক্ত কম তখনই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এবং পরীক্ষা করার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
যেসব খাবারগুলো খেতে বলা হয়েছে সে খাবার গুলো খাবেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে গেলে কি কি করা উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে পারে এবং উপকৃত হয়।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url