মেটা মার্কেটিং-গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম-Amazon থেকে ইনকাম

প্রিয় পাঠক আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। আমি এই পোস্টে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করেঅনলাইনে ইনকামের যাবতীয় পথ আপনাকে বলবো। পোস্টটা পড়তে থাকুন আপনি বেশ কটা উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়এছাড়াও আপনি এখানে পাবেন ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়, ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম, মেটা মার্কেটিং সম্পর্কে। আপনি যেকোন একটার মাধ্যমেই সারাজীবন ইনকাম করতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ জিনিসই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে।অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার সুবিধার্থে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানলে সেটার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রয়োজন যোগ্যতা এবং দক্ষতা।আপনি জব করার চেয়ে অনলাইনে কাজ করে কম সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের জানতে হবে অনলাইনে ইনকাম বিষয়টা আসলে কি। এটা এমন একটা ইনকাম যেটা আপনি ঘরে বসে নেটওয়ার্ক ভিত্তিক করতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকার করার অনেক সুবিধা রয়েছে সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন এবং দক্ষতা সম্পন্ন হোন তাহলে আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়াও আপনি কিছু বিষয়ে দক্ষ হলে অফলাইনে ৩০/৪০ হাজার টাকা বেতন চাকরি করতে পারবেন এবং অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।নিচের পয়েন্টগুলো পড়তে থাকুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করে

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কম সময় দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার যেসব উপায় সমূহ রয়েছে সেসবের মধ্যে একটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা আধুনিক মার্কেটিং যেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায় এবং আপনাকে ক্রেতা বা কোন কোম্পানির কাছে যাওয়ার দরকার হয় না বরং তারা নিজেরাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ৪ টা জিনিসের প্রয়োজন ধৈর্য্য, পরিশ্রম,দক্ষতা,এবং ভালো ডিভাইস।


ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়সমূহ হচ্ছে আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে, সরাসরি কারো কাছে বা কোন আইটিতে কোর্স করার মাধ্যম,অথবা অনলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে শিখতে পারবেন।ডিজিটাল মার্কেটিং আপনি ঠিকমতো শিখলে ৬ মাসের মধ্যে ইনকাম শুরু করতে পারবেন আর আপনি আপনি যদি ২ বছরের মতো ঠিকভাবে সময় দেন তাহলে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

ডিজাটাল মার্কেটিং বিশেষভাবে ৬ ধরণের
  • স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • SEO
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
  • মেটা মার্কেটিং
আপনি এসবের যেকোন একটা বিষয় শিখলে সারাজীবন ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম

আমাদের যত কোম্পনি বা গার্মেন্টস আছে সবাই গ্রাফিক্স ডিজাইন ছাড়া অচল।এবার আমরা আগে জানার চেষ্টা করব গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কি, আসলেই কি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়, গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে মার্কেটিং বিষয়ে একটা মেসেজকে সৃজনশীলতা দিয়ে রং, রেখা,এবং আকৃতির মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা।আপনি আপনার চারিপাশে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন ব্যানার বিলবোর্ড, এরকম যাবতীয় যাকিছু আছে সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ।

এমন কোন জিনিস বা কাপড় নাই যেখানে গ্রাফিক্স বা ডিজাইন লাগে না।আপনি যদি একজন পারফেক্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি ২ ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। (১)আপনি নিজের ঘরে বসে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। বড় বড় কোম্পনি আছে যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে লোগো বানাই নেয়। আপনি যদি একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হোন তাহলে আপনি মানুষের বা কোম্পনির লোগো বানাই দিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

(২) জব করে ইনকাম। আপনি একজন যোগ্য এবং দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলে কোম্পানিতে জব করতে পারবেন অথবা কোন ব্যানারের দোকানে জব করতে পারবেন অথবা আপনি নিজেই একটা ব্যনার,বিলবোর্ডের দোকান চালু করতে পারবেন।আপনি এখান থেকেও মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার উপায় হচ্ছে আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে গবেষণা করে অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখতে পারেন।

আবার কোন আইটিতে ভর্তি হয়েও শিখতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় কোন আইটিতে ভর্তি হয়ে শিখলে। আশা করি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করার উপায় টা বুঝতে পেরেছেন।

Amazon থেকে ইনকাম

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার যেসব উপায় রয়েছে সেসবের মধ্যে একটি হচ্ছে আ্যামাজন থেকে টাকা ইনকাম করা। আ্যামাজন (Amazon) হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তর একটা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান। আপনি এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন। শুধু পণ্য কেনা এটাতেই সীমাবন্ধ না বরং এখান থেকে লাখ লাখ মানুষ ইনকাম করে নিজেদের রুজিরোজগারের ব্যবস্থা করছে। Amazon থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং বেশি ইনকাম করতে পারবেন সেই বিষয়ের উপায় বলবো এখন।

সবচেয়ে সহজ এবং বেশি ইনকাম করার উপায়টার নাম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।এবার আমাদের আগে জানতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি।এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার রেফারে কেউ পণ্য কিনলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায় হচ্ছে আপনার যদি কোন কিছু প্রচার করার ভালো মাধ্যম থাকে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল,ওয়েবসাইট, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তাহলে আপনি আপনার লিংক এখানে শেয়ার করার পরে কেউ আপনার লিংকে ক্লিক করে পণ্য কিনলে আপনার একাউন্টে একটা নিদিষ্ট পরিমাণের কমিশন যুক্ত হয়ে যাবে।

আ্যামাজন মোট ১১ টি দেশে তাদের এফিলিয়েট ব্যবসা শুরু করেছে।এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম একটা এফিলিয়েট একাউন্ট খুলতে হবে এজন্য আপনাকে আ্যামাজনের এফিলিয়েট বিভাগে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।আপনার একাউন্ট ওপেন হয়ে গেলে তারা আপনাকে প্রতিটা পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা লিংক দিবে।আপনি সেই লিংকের মাধ্যমে কাউকে কোন পণ্য কিনাতে পারলেই আপনার ইনকাম হবে।

আপনি যত বেশি লিংক প্রচার করতে পারবেন আপনার তত বেশিই পণ্য বিক্রি হবে এবং আপনার ভালো পরিমাণে একটা ইনকাম আসবে।

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়

ফেসবুক মার্কেটিং হলো এমন একটা যোগাযোগ মাধ্যম যেটার মাধ্যমে আপনি আপনি অনেক মানুষের সামনে আপনার পণ্য সমূহ তুলে ধরতে পারবেন এবং অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং এমন একটি উপায় যেটা থেকে আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ব্যবসা ছোট হোক বা বড় হোক উভয় পর্যায়ের ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে উপকারী এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ২ প্রকার।ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কেটিং।

কোন ধরণের অর্থ ব্যয় না করে যে মার্কেটিং ফেসবুকে করা যায় সেটাকেই ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করে ।অর্থ ব্যয় করে যে মার্কেটিং ফেসবুকে করানো হয় সেটা হচ্ছে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং।ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এবং পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যম আপনি ফ্রি মার্কেটিং এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্য সেল এবং ইনকাম করতে পারবেন কারণ পেইড করার কারণে আপনার পণ্যোর বিজ্ঞাপন বেশি মানুষের সামনে যায়।

 ফেসবুকে মার্কেটিং এর জন্য দরকার আগে একটা কোর্স করা যাতে পথ চলতে সহজ হয়। তারপর একটা পেইজ খুলতে হবে এবং আপনি যে জিনিস বিক্রি করবেন সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে এবং আর্কষণীয় ছবি।এভাবেই আস্তে আস্তে শুরু হবে।

মেটা মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে মেটা মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি মেটা মার্কেটিংয়ের কোর্স করার মাধ্যমে এই বিষয়ে একজন দক্ষ হতে পারলে খুব সহজেই আপনি এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মেটা মার্কেটিং এর আন্ডারে বেশ কিছু সার্ভিস রয়েছে আপনি যেকোন একটি বিষয় দক্ষ হলেই সেখান থেকে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হতে পারেন তাহলে আপনার পথচলা অনেক দূর হবে কারণ ভিডিও এডিটিং এর গুরুত্ব অনেক।অনেক কোম্পানি এবং অনেক প্রতিষ্ঠান এবং অনেক ভ্লগার ভিডিও এডিটর খুঁজে এজন্য দক্ষ হতে পারলে আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিংকে অনলাইনে কাজ সমূহের মধ্যে একটি ধরার কারণ হচ্ছে আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টের অথবা বাংলাদেশী ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার নেয়ার মাধ্যমে তাদের ভিডিও এডিট করে দিতে পারবেন।

শেষ কথা

আপনি অনলাইন জগতে কাজ করতে হলে সর্বপ্রথম আপনার ধৈর্য্য থাকতে হবে বাকিটা আপনি আস্তে আস্তে কাজ শিখে যাবেন।একদিনে কোনকিছুই হয় না তবে চেষ্টা করতে থাকলে একদিন ঠিকি হয়।অনলাইন জগতে যেমন টাকা আছে তেমনি পরিশ্রমও আছে। আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট হবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এতে করে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

আমার পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে বা উপকৃত হোন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুমহলে শেয়ার করবেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url