৪০ দিনের মধ্যে ওজন কমানোর সহজ উপায় এবং পদ্ধতি সমূহ
প্রিয় পাঠক আপনি কি ওজন কমানোর সহজ উপায় জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আমি এই পোষ্টের মধ্যে ওজন কমানোর সহজ উপায় এবং লিকুইড ক্যালোরি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া ও খাবার আগে পানি খাওয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে ওজন কমানো সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি পোষ্টের মধ্যে পাবেন ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়া জাত খাবার পরিহার করা,ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া,পরিমিত পরিমানে স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া,স্বাস্থ্যকর নাস্তা নির্বাচন করা,নিয়মিত ব্যায়াম করা ও পরিমিত পরিমানে খাওয়া সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।
ভূমিকা
আপনি যত ফিট থাকবেন তত কাজ করে আরাম পাবেন। মোটা হওয়ার কারণে মানুষের সবকিছুতেই সমস্যা হয়ে থাকে যেমন চলাফেরা,বিভিন্ন কাজ করতে এবং সবকিছুতেই। এছাড়াও বেশি মোটা হওয়ার কারণে অনেক জনের কাছ থেকে অনেক রকমের কটু কথা শুনতে হয়। যারা মোটা আছেন এবং ওজন কমানোর জন্য চিন্তা করছেন কিন্তু কোন উপায়ে কাজ হচ্ছে না তাহলে আপনি এই পোস্টটি পড়ুন।
আরো পড়ুন :: সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
এই পোস্টের মধ্যে কিভাবে আপনি ৪০ দিনের মধ্যে ওজন কমাবেন সেই সম্পর্কে বলা হবে। আপনি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনার ওজন কমিয়ে নিজের শরীরকে ফিট করে নিতে পারবেন।
ওজন কমানোর সহজ উপায়
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সবকিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে এবং সবকিছু নিয়মের মধ্যে করতে হবে। যেমন খাবার,ঘুম, ব্যায়াম এগুলো। আপনি যদি নিয়মের বাইরে কোন কিছু করেন সেক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবে ওজন কমাতে পারবেন না। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মমাফিক এবং পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে আপনি যদি সেই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি নিজের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন এবং সব কিছুতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। আপনি নিচে পড়তে থাকুন তাহলে সব উপায় গুলো জানতে পারবেন।
ওজন কমানোর লিকুইড
লিকুইড জাতীয় যেসব ড্রিংকস রয়েছে সেগুলো একেবারে পরিহার করা যেমন পেপসি,কোক,চা,কফি,জুস এসব খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা। আমরা অনেকে আছি এগুলোকে খাবার হিসেবে মনে করি না। ভালো লাগে বা খাওয়ার ফলে রিফ্রেশ ভাব আসে এজন্য খায়।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আপনার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট।আপনি যদি নিজের ওজন কমাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখবেন ১০০ ক্যালরির জন্য আপনাকে এক কিলোমিটার হাটলে আপনার শরীর থেকে ১০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
এজন্য আপনি যত বেশি ক্যালরি আপনার শরীরে প্রবেশ করাবেন আপনাকে তত বেশি পরিমাণেই ব্যায়াম বা হাটা চলার মাধ্যমে সেই ক্যালরিগুলো ক্ষয় করতে হবে। লিকুইড জাতীয় খাবারগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়ার ফলেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এজন্য যারা নিজের ওজন কমাতে চান অথবা নিজের শরীর নিয়ে সচেতন থাকতে চান তারা অবশ্যই লিকুইড জাতীয় যেসব খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো একেবারে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
ওজন কমাতে পানির ভূমিকা
আমরা খাবার ওই সময়ে খায় যখন আমাদের ক্ষুধা লাগে। যখন আমরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় খেতে বসি তখন আমাদের অনেক খাওয়া হয়ে যায়। যার ফলে ওজন কমতে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনি খাবার খাওয়ার আগে হাফ লিটার পানি খেয়ে নিবেন এতে করে আপনি খাবার খাওয়ার সময় কম পরিমাণে খেতে পারবেন এবং আপনার পেটও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভরা থাকবে।
এতে করে আপনার ২ টা লাভ হবে ১ আপনার ওজনও কমতে সাহায্য করবে।২ আপনার পেটও ভরে যাবে।আপনি অনেকের মুখে বলতে শুনবেন খাবারের আগে যদি পানি খাওয়া হয় তাহলে পাকস্থলী থেকে যে রস বের হয় সেগুলো পাতলা হয়ে যায়। এই কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট আপনি।
একটা দিক লক্ষ্য করুন আমরা যেসব ফল খায়,শাকসবজি খায় এগুলোতেও কিন্তু পানি থাকে এগুলো খাওয়ার ফলে তো আমাদের পাকস্থলী থেকে হজমের পান রস পাতলা হয় না তাহলে গ্লাসর করে পানি খাওয়ার ফলে কিভাবে আমাদের পাকস্থলীর রস পাতলা হয়। তাই এসব বানোয়াট কথায় কান না দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আপনি ওজন কমানোর জন্য যদি চেষ্টা করেন তাহলে প্রতিবেলা খাবারের আগে আপনি হাফ লিটার (৫০০ গ্রাম) পানি অবশ্যই খেয়ে নিবেন।
ওজন কমানোর সঠিক খাবার
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি তা হচ্ছে আপনি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে না খেয়ে থাকবেন না বরং আপনার পেট পর্যাপ্ত পরিমাণে ভরা থাকবে । এমন খাবার খাওয়া যেগুলোতে ফাইবার বেশি থাকবে কিন্তু ক্যালরি কম থাকবে এতে করে নিজর যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো কাজ করার ক্ষেত্রেও শক্তি পাবেন এবং ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকা লাগবে না।
ওজন কমানোর জন্য অনেকে না খেয়ে থাকে যার ফলে খুব সহজে অসুস্থ হয়ে যায় মোটেও এই কাজ করা উচিত নয়। ফাইবার যুক্ত খাবারের মধ্যে সবচেয়ে সহজ যে খাবার সেটি হচ্ছে লাল চালের ভাত খাওয়া। আমরা সাধারণত সাদা চাউলের ভাত খেয়ে থাকি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে লাল চালের ভাত খাওয়া।
কারণ লাল চালের ভাতে সাদা ভাতের তুলনায় বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে এবং লাল চাল একটু শক্ত হয়ে থাকে এজন্য আপনি যখন খাবেন তখন চাবানোর ফলে আপনার শরীর থেকে বেশি পরিমাণে ক্যালরি ক্ষয় হবে। এতে করে আপনার ওজন কমানো সহজ হবে এবং ফাইবার যুক্ত খাবারও পাচ্ছেন।
ওজন কমানো বাদেও লাল চালের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে,হার্টের রোগের ক্ষেত্রে এগুলোর জন্য লাল চালের উপকারিতা বেশ। তাই এখন থেকে চেষ্টা করবেন আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়া। লাল চাল খাওয়ার পাশাপাশি আপনি যদি রুটি খান তাহলে লাল আটার রুটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ওজন কমানোর জন্য কি কি খাব না
বাড়ির বাহির থেকে খাবার অর্থাৎ রেস্টুরেন্টের খাবার বা ফাস্টফুড,আইসক্রিম,চকলেট এই জাতীয় খাবার একেবারে পরিহার করতে হবে। এই জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং ক্ষতিকর উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের শরীরকে আস্তে আস্তে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ খাবার বানানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়ে চিন্তা করে না যে খাবারটা কিভাবে স্বাস্থ্যকর করা যায়।
তাদের সবসময় চিন্তা থাকে খাবারকে কিভাবে মজাদার এবং মুখরোচক বানানো যায়। এজন্য তারা বিভিন্ন রকমেম মসলা ব্যবহার করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তারা চিনির পরিমাণ বেশি দেয়, বা লবণের বা তেলের পরিমাণ বেশি দিয়ে থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং ওজন কমানোর জন্য প্রতিবন্ধক।
অনেক খাবারের প্যাকেটে বা অনেক রেস্টুরেন্টে দেখবেন লেখা থাকে যে এই খাবার উপকার সমৃদ্ধ। তখন আপনার এতটুকু বুঝতে হবে খাবারের উপকার ঠিক ততটুকুই পাবেন পাশাপাশি আপনি আরও ক্ষতিকর দিক যেগুলো রয়েছে সেগুলোও পাবেন। এজন্য আপনার উচিত হবে আপনি বাইরের খাবার একেবারে পরিহার করবেন।
কোনভাবে কখনো ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাবেন না। বিশেষ করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একেবারেই না।
ওজন কমানোর শাকসবজি ও ফলমূল
ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন রকমের শাকসবজির প্রতি আকৃষ্ট হওয়া জরুরী। সব সময় চেষ্টা করবেন একেবারে ফ্রেশ শাকসবজি কিনে খাওয়ার। কোনভাবে ফ্রিজে রেখে শাক সবজি খাবেন না। শাকসবজিতে ফাইবারের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন অনেক থাকে।
এজন্য আপনার শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকবে এবং পাশাপাশি পেট ভরা থাকবে ও ওজন বৃদ্ধি হবে না। ওজন কমাতে গিয়ে নিজের শরীর থেকে পুষ্টি কমানো এটা কোনভাবে উচিত না এজন্য আপনি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। শাক-সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে যা আপনাকে মোটা করতে সাহায্য করবে না বরং ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং পেটও ভরিয়ে রাখবে।
সব সময় চেষ্টা করবেন বিভিন্ন রংয়ের এবং বিভিন্ন রকমের শাকসবজি একসাথে রান্না করে খাবার তাহলে আপনার শরীরের সব রকমের পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন প্রবেশ করবে। লাল রঙের সবজিতে লাইকোপিন থাকে যেমন টমেটো। টমেটো প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
হলুদ এবং কমলা কালারের যে ফল রয়েছে যেমন গাজর,মিষ্টি আলু,আনারস,পেঁপে এ ধরনের ফল শাকসবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন আমাদের শরীরে ভিটামিন এ তৈরি করতে সাহায্য করে। সবুজ কালারের শাকসবজি যেমন পাতাকপি পুঁইশাক পালং শাক সিম বরবটি ঢেঁড়স। আমাদের আশেপাশের সবুজ কালারের শাকসবজি বেশি।
আপনি একই ধরনের সবজি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন পাবে না এজন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে বিভিন্ন রকমের শাকসবজি মিক্স করে খাওয়া তাহলে আপনার শরীর সব রকমের পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন পাবে। এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
ওজন কমানোর তেলের গুরুত্ব
রান্নায় তেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। চেষ্টা করবেন যত কম পরিমাণে তেল ব্যবহার করে রান্না করা যায় আর কিছু সবজি আছে সেগুলো চাইলে আপনি শুধু সিদ্ধ করে খেতে পারেন। এক টেবিল চামচে ১২০ ক্যালোরি থাকে।
আপনি সামান্য পরিমাণ তেল খাওয়ার ফলেও আপনাকে শরীর থেকে ক্যালরি ক্ষয় করতে হবে এজন্য আপনার অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে। যদি খাবারে তেল বেশি খেতে চান সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর যে তেলগুলো রয়েছে সেই তেল গুলো খাওয়া উচিত যেমন অলিভ অয়েল,ক্যানলা অয়েল। অনেকে বলে থাকে ক্যানলা অয়েল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল তথ্য। হার্ভাট স্কুল অফ পাবলিক এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে উপকারী যেসব তেল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে ক্যানলা অয়েল।
ওজন কমানোর নাস্তা
আমরা দুই খাবারের মাঝে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের খাবার খেয়ে থাকি। যেমন সন্ধ্যায় বিকালে বা দুপুরের আগে নরমাল কিছু স্ন্যাক জাতীয় খাবার খায়। এই খাবারগুলোকে পরিহার করা জরুরী এবং ওসব খাবারগুলোর পরিবর্তে এমন কিছু খাবার যুক্ত করা যেগুলোতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকবে কিন্তু সেগুলো খাওয়ার ফলে পেট ভরবে।
সেই খাবারগুলো হচ্ছে টমেটো,গাজর,শসা। এগুলো খাওয়ার সাথে সাথে হালকা করে পানি খেয়ে নিবেন এতে করে আপনার শরীরে ক্যালরিও কম প্রবেশ করবে এবং পেট ভরে থাকবে। আপনি চাইলে কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম বা সাধারণ যে বাদাম রয়েছে সে বাদামগুলো খেতে পারেন। বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া জরুরী কারণ বাদামে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে।
তাই বাদাম খাইলে অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ওজন কমানোর ব্যায়াম
ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। ব্যায়াম আপনি বিভিন্নভাবে করতে পারেন যেমন জোরে হাটার মাধ্যমে অথবা দৌড়ানোর মাধ্যমে বা বিভিন্ন যেসব শরীর চর্চার পদ্ধতি রয়েছে সে পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে। আপনার অফিস যদি বাসা থেকে কাছে হয় সেক্ষেত্রে আপনি হেটে অফিসে যেতে পারেন।
অথবা বাচ্চাকে স্কুলে রেখে আসার ক্ষেত্রে হেঁটে যাতায়াত করলেন আর যদি স্কুল দূরে হয় তাহলে স্কুলের কিছু পূর্বে নেমে হেঁটে স্কুলে প্রবেশ করলেন এতে করে আপনার শরীরচর্চা হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় কাজও হয়ে যাবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরী এবং আবশ্যক।
ওজন কমানোর জন্য কতটুকু খাবার খাওয়া
খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাওয়া জরুরি। আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাবেন তখন আপনার শরীরে ক্যালরি প্রবেশ করতে থাকবে যা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়াবে। তাই আপনি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমান মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আপনার শরীর যে পরিমান ক্যালরি ক্ষয় করেন যদি সেই পরিমাণের চেয়ে বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার ওজন অবশ্যই বাড়বে। এই কথা এতটাই সত্য যে যেমনভাবে একটি মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নিলে তার মৃত্যু হবে এটা যেমন চিরন্তন সত্য তেমনভাবে আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে আপনার ওজন বাড়বে এটাও তেমনি ভাবে সত্য।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরেও পেট ভরে যায় আপনি সেই খাবারগুলো খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরে ক্যালরি কম প্রবেশ করবে এবং পেট ভরে থাকবে। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে ডিটেইলস দেখে নিবেন যে এই খাবারে কি পরিমাণ ক্যালরি থাকে।
সবসময় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যে খাবারগুলোতে ক্যালরির পরিমাণ একেবারে কম থাকে তাহলে আপনার ওজন কমানো একেবারে সহজ হয়ে যাবে।
শেষ কথা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যেসব সঠিক পদ্ধতি রয়েছে সেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন। ভিন্ন যে সব পন্থা রয়েছে নিজেকে ক্ষুধার্ত করে রাখা বা দুর্বল করে দেওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো এই পন্থা অবলম্বন করা থেকে একেবারে বিরত থাকবেন। এই পন্থা আপনার জন্য ক্ষতিকর।অবশ্যই নিজের শরীরকে সুস্থ রেখে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন ।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ারে করুন যাতে করে তারাও ওজন কমানোর যে সহজ উপায় গুলো রয়েছে সে সহজ উপায় গুলো জানতে পারে এবং নিজের স্বাস্থ্যের উপরে সচেতন হতে পারে।
সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url