বাথরুম ফিটিংস এর নাম- বাথরুমের টাইলস এর ডিজাইন,

প্রিয় পাঠক আপনি কে বাথরুম ফিটিংস এর নাম জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে বাথরুম ফিটিংস এর নাম এবং বাথরুমের টাইলস এর ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বাথরুমের ডিজাইন সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
বাথরুম ফিটিংস এর নাম এবং বাথরুমের ডিজাইন
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন বাথরুমের প্লাস্টিকের দরজার দাম,বাথরুমে প্রবেশ করার নিয়ম,বাথরুম থেকে বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায় এবং স্বপ্নে বাথরুম দেখলে কি হয় সেসব সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বাথরুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের প্রয়োজনীয় একটি স্থান।অনেকে নিজের রুমে আ্যাটাস্ট বাথরুম করে পরবর্তীতে দেখা যায় বাথরুমের ডিজাইন বা টাইলসের ডিজাইন সুন্দর নয় এজন্য দেখতে খারাপ দেখায়। বাথরুম যতো পরিপাটি সাজানো গোছানো সুন্দর হবে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে ততই ভালো লাগবে।


এই পোষ্টের মধ্যে বাথরুমের ডিজাইন এবং টাইলসের ডিজাইন কেমন হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

বাথরুমের টাইলস এর ডিজাইন

আমরা বাথরুমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য টাইলস করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেসব টাইলস আমাদের মন মত হয় না। এজন্য চলুন এবার বাথরুমের ডিজাইনের জন্য কোন টাইলস দেখতে সুন্দর হবে সে সম্পর্কে জানি।
  • আপনি আপনার বাথরুমের দেয়ালে এবং মেঝেতে মার্বেল টাইলস ব্যবহার করতে পারেন। মার্বেল টাইলস ব্যবহার করার ফলে সুন্দর দেখাবে এবং মজবুত হবে। মার্বেল টাইলস কোন স্থানকে আরো বেশি সৌন্দর্য করতে সাহায্য করে।
  • বার্গাকার প্যাটার্ন ডিজাইন এর টাইলসও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এই ডিজাইনের টাইলস গুলো একটু ক্লাসিক হয়ে থাকে এবং দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। এই টাইলসের কালার সাদা হয়ে থাকে যে কারণে বাথরুমের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়।
  • ঢালু নিদর্শন মার্বেল টাইলস ব্যবহার করার ফলে আপনার বাথরুম চাকচিক্যময় দেখাবে। এই টাইলস বাথরুমের চেহারা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • ধূসর কালারের টাইলস। আপনি এই কালারের টাইলস ব্যবহার করার ফলে কোন রকমের দাগ লাগবে না এবং এটি মূল্যবান ডিজাইনের মধ্যে একটি। আপনি এ ধরনের টাইলস বাথরুমে ব্যবহার করার ফলে আপনার বাথরুমের কারুকার্য এবং ডিজাইন অনেক বেশি বিদেশিদের মত দেখাবে।
  • অ্যাকসেন্ট টাইলস। এই টাইলস ব্যবহার করার ফলে আপনার বাথরুমের রঙ এবং টাইলসের রং দুইটা মিলে যাবে আর এই টাইলসের রং নীল হয়ে থাকে এজন্য বাথরুমে আকর্ষণ বেশি হবে।
  • আলংকারিক টাইলস। আপনার বাথরুম যদি আকারে ছোট হয় তাহলে এই টাইলস বাথরুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে সেরা উপায় হবে।
  • পাথর টাইলস। পাথর টাইলস ব্যবহার করার ফলে আপনার বাথরুমের টাইলস দীর্ঘ মেয়াদি হবে এবং সহজে দাগ পড়বে না। সৌন্দর্যের দিক দিয়েও এই ধরনের টাইলস যথেষ্ট মানসম্মত।
  • কালো স্ক্যাম সাথে বর্গক্ষেত্র টাইলস। যদি আপনি বাথরুমের সাধারণ লুক পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের টাইস ব্যবহার করতে পারবেন। এটা সিম্পল হওয়ার পাশাপাশি বাথরুমকে গর্জিয়াস লুক দিবে।
  • প্রতিফলন কালো টাইলস আপনি এই টাইলস বাথরুমে লাগানোর ফলে আপনার বাথরুম চাকচিক্য অনেক বেশি বৃদ্ধি হবে এবং সৌন্দর্য বেড়ে যাবে। এই ধরণের টাইলসের দামি একটু বেশি এবং সৌন্দর্য দিক দিয়েও অনেক বেশি বৃদ্ধি করে ।
  • চারকোল কালো প্রাচীর টাইলস। আপনি যদি আধুনিক চেহারার বাথরুম করতে চান তাহলে এই টাইলস ব্যবহার করতে পারবেন। এটা ব্যবহার করলে আপনি বিভিন্ন আসবাবপত্র রাখতে পারবেন এবং সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন টাইলস ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে চিনামাটি টাইলস এতে নিতে পারেন। এটি শক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই ধরনের টাইটেলসে খুব কম দাগ পড়ে।
  • চিনামাটি টাইলসের মতো আরেকটি টাইলস হচ্ছে সিরামিক টাইল। এই টাইলস সাধারণত মোটা হয়ে থাকে। এই ধরণের ব্যবহার করার ফলে বাথরুম সুন্দর দেখায় এবং দামেও কম।
  • কাচের টাইলস। এই টাইলস আপনার বাথরুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে। এই টাইলস উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার থাকে যা আপনার বাথরুমকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।
  • চুনাপাথর টাইলস। এই টাইলস একটু ধূসর কালারের হলেও বাথরুমের সাথে মানানসই। গুণগত দিক দিয়ে শক্ত হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। আপনার বাথরুমকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
  • এসব টাইলস বাদেও আপনি আপনার বাথরুমের জন্য মুজাইক টাইলস,ধাতব টেরাকোটা টাইলস, ভিনাইল টাইলস,সিমেন্ট চাইলস ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার বাথরুম সুন্দর দেখাবে এবং টাইলস গুলো দীর্ঘস্থায়ী হবে।
  • আপনি যদি বাথরুমে টাইলস না করে কোন রং করতে চান সে ক্ষেত্রে সাদা কালো উভয় সমন্বয়ে অথবা জলীয় রং বা সবুজ রং অথবা সাদা এবং বাদামি মিক্স কালার করেও বাথরুমকে রঙিন করতে পারেন। এতে করেও আপনার বাথরুম সুন্দর দেখাবে।
উপরে টাইলস এবং কালার উভয় সম্পর্কে বলা হলো এখন আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী বাথরুমে কোন জিনিস ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন তারপর যেকোনো একটু উপায় ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার বাথরুম সুন্দর দেখাবে।

বাথরুম ফিটিংস এর নাম

একটা বাথরুমে অনেক রকমের জিনিসের প্রয়োজন হয় যেগুলো ছাড়া বাথরুমের সৌন্দর্য বৃষ্টি হয় না এবং বাথরুম ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়। চলুন এবার সেসব জিনিসের নাম জানি
  • সাবানের বক্স অথবা হ্যান্ডওয়াশের বক্স যে কোন একটি থাকা জরুরী তাছাড়া আপনার বাথরুমের মানানসই নষ্ট হবে। নিজের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করার পরে প্রথমেই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশের প্রয়োজন পরবে।
  • আপনার বাথরুমে যদি গোসলেরও স্থান থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি তোয়ালের রিং রাখতে হবে। ফ্রেশ হবার পরে ব্যবহার করার জন্য তোয়ালের রিং রাখা অত্যন্ত জরুরি।
  • রেল বা গ্রাপ এটা রাখাও জরুরী কারণ এবং প্রতিবন্ধী মানুষ যখন বাথরুমে যাবে তখন এটা ধরে তারা আরামে বসতে পারবে তাছাড়া বাথরুমে পরে যেতে পারে এতে করে তাদের ক্ষতি হবে।
  • পেস্ট এবং ব্রাশ রাখার পাত্র। আপনি যদি বাথরুমে পেস্ট এবং ব্রাশ রাখার পাত্র না রাখেন সে ক্ষেত্রে আপনার বাথরুম অপরিপূর্ণ দেখাবে।
  • টয়লেট পেপার রাখার স্থান। টয়লেট পেপার রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি রিং বা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে রাখতে হবে। আপনি বাথরুমে টয়লেট পেপার না রাখলে বাহিরে মানুষ বা আপনি নিজে অস্বস্তি বোধ করবেন।
  • ওয়াল হুক। গোসল করার সময় অথবা বিভিন্ন প্রয়োজনে নিজের অনেক কিছু ঝুলিয়ে রাখার প্রয়োজন হয় তাই অবশ্যই আপনার বাথরুমের দেয়ালে ওয়াল হুক লাগিয়ে নিবেন।
  • ডাস্টবিন।বাথরুমে অবশ্যই একটি ডাস্টবিন রাখবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শ্যাম্পুর প্যাকেট অথবা বোতল বাথরুমের মেঝেতে ফেলে রাখে। এজন্য চেষ্টা করবেন একটি ডাস্টবিন রাখার যাতে করে সেসব ডাস্টবিনে রাখতে পারে এবং বাথরুম পরিষ্কার থাকে।
  • বাথরুমের ব্যাসিনের পাশে একটি টিস্যু কভার রাখুন। ফ্রেশ হওয়ার পরে টিস্যুর প্রয়োজন পড়ে এজন্য অবশ্যই বেসিনের উপরে একটি টিস্যু কভারে টিস্যু রাখবেন।
  • মিরর ক্যাবিনেট। বাথরুমে একটি মিরর থাকা অবশ্যই জরুরী। যদি আপনার বাথরুমে ঠিকমতো আয়না না থাকে তাহলে বাথরুম অনেকটাই অসুন্দর দেখায়।
  • অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটা করে সেটা হচ্ছে গোসল খানায় কোন পর্দা অথবা আবরণ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে না। অবশ্যই আপনি আপনার বাথরুমের গোসল খানার জায়গায় পর্দা অথবা এমন কিছু ব্যবহার করবেন যেটার মাধ্যমে গোসলের স্থান দেখা না যায়।
  • টয়লেট ফ্রেশনার রাখা অত্যন্ত জরুরি। আপনি দিনে এক থেকে দুইবার বাথরুমে স্প্রে করে দিবেন তাহলে আপনার বাথরুমের পরিবেশ এবং গন্ধ বজায় থাকবে। তাছাড়া দুর্গন্ধ দিয়ে আপনার সুন্দর বাথরুম অসুন্দর হয়ে যাবে।
  • এমন একটি পাত্র রাখবেন যেখানে আপনার বাথরুম পরিষ্কার করার সকল প্রয়োজনীয় বস্তু রাখা যায় যেমন হারপিক ডিটারজেন্ট দেমফিক্স।
  • আপনার বাথরুমে দেয়ালে অথবা ব্যাসিনে এমন একটি পাত্র রাখবেন যেখানে শ্যাম্পু,বাথরুম স্প্রে এগুলো রাখা যায় যার ফলে বাথরুম গোছানো থাকবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে।

উপরে যেসব জিনিসের নাম বলা হলো আপনি চেষ্টা করবেন অবশ্যই আপনার বাথরুমে সেসব জিনিস রাখার এতে করে আপনার বাথরুম সুন্দর এবং পরিপূর্ণ হবে।

বাথরুমের প্লাস্টিকের দরজার দাম

বাংলাদেশের সাধারণত বাথরুমে প্লাস্টিকের দরজা ব্যবহার করে থাকে। চলুন এবার সেই দরজার দাম কেমন হয় জেনে নিন-
Popular Spring
এটার দাম ৩৪২০ টাকা।
Cosmic Door Unique
এটার দাম ৯৬৮০ টাকা।
Eco Door Pink Belly
এটার দাম ২৭৯০ টাকা।
Diamond Door Supreme
এটার দাম ৭৫৫০ টাকা।
Popular Door Champa
এটার দাম ৩৮২০ টাকা।
Popular Door Gorgeous
এটার দাম ৩৪২০ টাকা।
Popular Door China Marble
এটার দামও ৩৪২০ টাকা।
Jhumka Door Britto
এটার দাম ৩৩৭০ টাকা।
Popular Red Rose
এটার দাম ৩৩৭৫ টাকা।
Gold Door Optima
এটার দাম ৪১৪০ টাকা।
Jhumka Door Lily
এটার দাম ৩৪২০ টাকা।
Premium Door Square
এটার দাম ৩৪৬০ টাকা।
Premium Door Square
এটার দাম ৩৫০০ টাকা।
আপনি বাজারে ২৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত গেট পাবেন। এখন আপনার বাজেটের মধ্যে যেটা হয় সেটা কিনে নিবেন। এগুলো সব দরজায় বাথরুমের জন্য খুব ভালো।

বাথরুমে প্রবেশ করার নিয়ম

বাথরুমে প্রবেশ করার কিছু নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম গুলো অনুসরণ না করলে আপনার বিভিন্ন রকমের রোগ হতে পারে অথবা শয়তানের আছর লাগতে পারে। চলুন এবার সে নিয়ম গুলো জানি
  • কখনো খালি গায়ে বাথরুমে যাবেন না। খালি গায়ে/শরীরে বাথরুমে যাওয়ার ফলে বাথরুমের জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।
  • খালি পায়ে বাথরুমে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খালি পায়ে বাথরুমে যাওয়ার ফলে জীবাণু আপনার পায়ের ভিতর দিয়ে শরীরে প্রবেশ করবে।
  • বাথরুম থেকে একটি গ্যাস বের হয় এজন্য অবশ্যই আপনি আপনার মাথায় কোন কাপড় বা কিছু রাখবেন তাছাড়া সে গ্যাস গুলো আপনার মাথায় প্রবেশ করবে।
  • বাথরুমে প্রবেশ করার পূর্বে দোয়া পড়ে নিবেন এবং বের হওয়ার সময়ও দোয়া পড়ে নিবেন।

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

 اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবা-ইস। অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ-জ্বিন ও দুষ্ট নারী-জ্বিনের অনিষ্ট থেকে। (বুখারি, হাদিস : ১৪২ )

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া

الحمدُ للهِ الذي أَذْهَبَ عَنَّى الأَذَى وعَافَانِي উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি। অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমার হতে কষ্টদায়ক বিষয়সমূহ দূর করেছেন এবং আমাকে নিস্তার দিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস  : ৩০ : ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩০১)
  • বাথরুমে অতিরিক্ত সময় বসে থাকবেন না। অতিরক্ত সময় বসে থাকার ফলে আপনার বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
  • অবশ্যই বাথরুম শেষে টিস্যু বা অন্য কোন কাগজ বা কাপড় দিয়ে জায়গা মুছে নিবেন তাছাড়া সমস্যা হতে পারে।
  • বাথরুমে প্রবেশের পূর্বে কখনো মুখে কোন খাবার বা কোন কিছু রাখবেন না।
  • বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাথরুমে পানি আছে কিনা এ বিষয়ে দেখে নিবেন।

উপরে বলা নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি বাথরুমে যান তাহলে আপনি বাথরুমে প্রবেশের পরে নিরাপদ থাকবেন।

বাথরুমের পোকা তাড়ানোর উপায়

অনেক সময় দেখা যায় বাথরুমে অনেক রকমের পোকা মাকড় হয়ে থাকে বা ঘুরে বেড়ায়। যার ফলে বাথরুমের পরিবেশ নষ্ট হয়। চলুন এবার জানি কিভাবে আপনি বাথরুমের পোকা দূর করবেন সে সম্পর্কে-
  • সাইট্রাস ফলের গন্ধেও পোকামাকড় বাথরুম থেকে দূর হয়ে যায়। লেবু বা কমলার রস নিয়ে তা পানির সাথে মিক্স করে বাথরুমে স্প্রে করুন তাহলে বাথরুম থেকে পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে।
  • লেভেন্ডার অয়েল বা টি ট্রি অয়েল এর মত কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল বোতলে ভরে স্প্রে করার মাধ্যমেও বাথরুম থেকে পোকামাকড় দূর হয়ে যায়।
  • কয়েকটি রসুন নিন তারপরে তা থ্যাতা করে পানির সঙ্গে মিক্স করে বোতলে ভরে বাথরুমের বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করুন তাহলে বাথরুম থেকে পোকামাকড় মশা দূর হয়ে যাবে।
  • ভিনেগার বাথরুম থেকে পোকামাকড় বিদায় করতে বেশ কার্যকারী একটি উপাদান।ভিনাগার এবং পানি একসাথে মিক্স করে বাথরুমে যেসব জায়গায় পোকামাকড় হয় সেসব জায়গায় স্প্রে করুন। দেখবেন আপনার বাথরুম থেকে পোকা মাকড় চিরতরে দূর হয়ে গেছে।
  • দারুচিনি বাথরুমের বিভিন্ন কোনায় রেখে দেয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার বাথরুম থেকে পোকামাকড় পিঁপড়া এগুলো চলে যাবে কারণ তারা দারুচিনির গন্ধ সহ্য করতে পারেনা।
  • কেরোসিন তেল অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি এসব বাথরুমের কোনায় যেখানে পোকামাকড় রয়েছে সেসব কোনায় লাগিয়ে দেন। তাহলে দেখবেন খুব সহজেই তারা দূর হয়ে যাবে।
  • মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবেন কেরোসিন তেল ও পানি এবং সাবান বা শ্যাম্পু মিক্স করে বাথরুম পরিষ্কার করেন তাহলেও আর পোকা মাকড় হবে না।
  • বাথরুমের বিভিন্ন কোনায় কর্পূর রেখে দেন। কর্পূর রাখার ফলে তারা বাথরুম থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। আপনি এ পদ্ধতি নিজের বিছানার এবং আলমারির পোকা মাকড় দূর করার জন্যও ব্যবহার করতে পারবেন।
উপরে বর্ণিত পদ্ধতি গুলোর মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজে বাথরুম থেকে পোকামাকর তাড়িয়ে দিতে পারবেন এবং আপনার বাথরুমের সৌন্দর্য বজায় থাকবে।

স্বপ্নে বাথরুম দেখলে কি হয়

আমরা স্বপ্নে অনেক সময় অনেক কিছু দেখে থাকি। বিভিন্ন রকম স্বপ্নের বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। অনেকে স্বপ্নের মধ্যে বাথরুম দেখে। চলুন এবার আমরা জানি স্বপ্নে বাথরুম দেখলে সেটার ব্যাখ্যা-
  • কেউ যদি স্বপ্নে দেখে তার একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে সে অনেক পাপ করছে বা তার অনেক পাপ এবং সে তার এসব পাপের উপরে কোন তওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা করছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে পাপগুলোর জন্য ক্ষমা না চাইবে তখন সে এই দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে বের হতে পারবে না।
  • আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, কেউ যদি স্বপ্নে বাথরুম দেখে তাহলে তার অন্য ধর্মের লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা তাকে গুনাহের পথে চলানোর চেষ্টা করছে।
  • কোন অবিবাহিত মেয়ে যদি স্বপ্ন বাথরুম দেখে তাহলে তাকে ইশারা দেওয়া হয় যে তার জন্য ভবিষ্যতে একটি সুন্দর সাফল্য অপেক্ষা করছে যেটাতে তার সম্মান মর্যাদা আরো উন্নত হবে এবং তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
  • কোন মেয়ে যদি বাথরুমকে অপরিষ্কার অবস্থায় দেখে তাহলে তাকে ইশার দেওয়া হয় যে সে আল্লাহকে ভয় করেনা এবং অনেক গুনাহের কাজে লিপ্ত আছে।
  • কোন মেয়ে যদি স্বপ্নে দেখে যে সে বাথরুম পরিষ্কার করছে তাহলে তাকে ইশারা দেয়া হয় সে এমন মানুষের থেকে মুক্তি পাবে যারা তাকে কষ্ট দেয়।
  • কোন কুমারী মেয়ে যদি স্বপ্নে দেখে বাথরুম পরিষ্কার করছে তাহলে সে এমন একটি সফলতা অর্জন করবে যা সে বহু বছর ধরে চেষ্টা এবং পরিশ্রম করছে।
  • কোন অবিবাহিত মেয়ে স্বপ্নে দেখছে সে বাথরুমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে তাহলে তার বুঝতে হবে সে এমন কিছু করতে যাচ্ছে যেটা তার জন্য ক্ষতিকর হবে।
  • কোন কুমারী মেয়ে যদি স্বপ্নে দেখে যে সে বাথরুমে প্রবেশ করছে তাহলে তাকে বুঝতে হবে সে এমন একটি পথের দিকে যাচ্ছে যে পথ তাকে ধ্বংস করে দিবে এজন্য তাকে সতর্ক হতে হচ্ছে।
  • কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে সে বাথরুমে বসে আছে এবং গরম পানি ব্যবহার করছে তাহলে তাকে বুঝতে হবে তার জীবনে এমন কিছু ঘটবে যা তার জীবনের অনেক বিষয় পরিবর্তন করে দিবে।
  • কোন বিবাহিত মহিলা যদি স্বপ্নে দেখে যে সে বাথরুমে প্রবেশ করছে তাহলে তার বুঝতে হবে তার চরিত্র খারাপ। সে যেন সাবধান হয়ে যায়।
  • কোন বিবাহিত মহিলা যদি স্বপ্নে বাথরুম দেখে তাহলে তাকে বুঝতে হবে সে গীবতের সাথে লিপ্ত এবং সে অধিকাংশ মিথ্যা কথা বলে যার কারণে মানুষ তাকে ঘৃণা করবে।
  • বিবাহিত মহিলারা যদি স্বপ্নে বাথরুমে প্রবেশ করতে দেখে তাহলে তার বুঝতে হবে সে তার স্বামীকে খুব সন্দেহ করে এবং তার একটি বন্ধ করা উচিত তাছাড়া তাদের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হবে।
  • কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে সে বিবাহের সময় বাথরুমে বসে পেশাব করছে তাহলে তাকে ইশারা দেয়া হয় খুব তাড়াতাড়ি তার জীবনে এমন একটি দুঃখ আসবে যার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তার জীবনে অব্যাহত থাকবে।
  • কোন গর্ভবতী মহিলা যদি স্বপ্নে দেখে যে সে বাথরুমে গোসল করছে তাহলে তাকে ইশারা দেওয়া হয় যে সে খুব সহজেই সন্তান প্রসব করতে পারবে।
  • কোন গর্ভবতী মহিলা যদি দেখে যে সে স্বপ্নে বাথরুম পরিষ্কার করছে তাহলে তাকে এটার ইশারা দেয়া হয় যে সে পূর্বে কোন এমন ভুল করেছিল যার জন্য তার তওবা করা উচিত।
  • কোন তালাকপ্রাপ্ত মহিলা যদি স্বপ্নে বাথরুম দেখে তাহলে তাকে এটা ইশারা দেয়া হয় যে তার চরিত্র খুব ভালো এবং সে খুব তাড়াতাড়ি সুখী হবে।
  • কোন অসুন্দর তালাকপ্রাপ্ত মহিলা যদি স্বপ্নে দেখে যে সে বাথরুমে বসে আছে তাহলে তার বুঝতে হবে সে তার স্বামীর প্রতি সৎ ছিল এবং তার স্বামী খুব তাড়াতাড়ি তার কাছে ফিরে আসবে।
  • কোন তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের স্বপ্নে অপরিষ্কার বাথরুম দেখে তাহলে তার বুঝতে হবে সে তার স্বামীর কাছে যাওয়ার ইচ্ছা করবে কিন্তু তার স্বামী তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হবে না।

এখানে স্বপ্নে বাথরুম দেখার সব ব্যাখ্যায় বর্ণনা করা হলো। এখন আপনি যে অবস্থায় স্বপ্নের বাথরুম দেখবেন সেটা ধারণা করে নিন। যদি আপনি গুনাহ করে থাকেন তাহলে তওবা করে নেওয়া আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম সমাধান।

শেষ কথা

এই পোষ্টের মধ্যে বাথরুমের ডিজাইন,ফিটিংস এর নাম এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে সবকিছুই বলা হলো। এখন আপনি আপনার যে বিষয়ে দরকার হয় সে বিষয়ে জেনে নিবেন। আশা করি আপনি পোস্টটি পড়ে সন্তুষ্ট হতে পারবেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও বাথরুমের বিষয় সম্পর্কে জানে এবং স্বপ্নে বাথরুম দেখার ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url