পেয়ারা পাতার অপকারিতা এবং পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা ও নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি পেয়ারা পাতার উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে পেয়ারা পাতার উপকারিতা এবং পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা এবং পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোস্টেন মধ্যে পাবেন পেয়ারা পাতার অপকারিতা পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা সেসব সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

পেয়ারা বাংলাদেশে বারো মাসনপাওয়া যায়। পেয়ারা দামে কম হলেও মানে এবং গুনে পরিপূর্ণ। পেয়ারা যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ প্রয়োজনীও। পেয়ারা খেতেও অনেক সুস্বাদু যার ফলে খুব সহজেই পেয়ারা খেয়ে নেয়া যায়। পেয়ারা যেমন উপকারি তেমনিভাবে পেয়ারার পাতাও উপকারি।


পেয়ারার পাতাও আমাদের অনেক কাজে লাগে এবং পেয়ারার পাতাতেও পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন ভরপুর থাকে। এই পোস্টের মধ্যে পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা উভয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম

পেয়ারা পাতার যেসব উপকারিতা রয়েছে সেসব পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা পাতার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। তাছাড়া আপনি বিন্দুমাত্র উপকৃত হতে পারবেন না বরং ক্ষতিকর দিকগুলো পাবেন। চলুন এবার জানি পেয়ারা পাতার খাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে
  • আপনি চেষ্টা করবেন কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার তাহলে বেশি উপকৃত হতে পারবেন।
  • যদি আপনি এভাবে শুধু পাতা খেতে না পারেন তাহলে একটি পাত্রে দুই থেকে তিন কাপ পানি নিবেন। এরপরে সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি পেয়ারা পাতা দেন। তারপরে পানি গরম করতে থাকুন যখন তিন কাপ পানি গরম হয়ে ফুটতে ফুটতে এক কাপ হবে তখন তা নামিয়ে নিন। এরপরে একটি ছাকনা দিয়ে ছেঁকে নিন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই থেকে তিনটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খাবেন। এভাবে খাইলে আপনার যদি অতিরিক্ত মেদ থাকে তাহলে মেদ কমে যাবে।
  • আপনি চাইলে পেয়ারা পাতা দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারবেন। পেয়ারা পাতার চা ডায়াবেটিস কমানোর জন্য উপকারী। নিয়মিত পেয়ারা পাতা দিয়ে পানি গরম করে সেই পানি খাবেন।
  • আপনি সালাত হিসেবেও পেয়ারা পাতা খেতে পারবেন। টমেটো গাজর শসা এগুলোর সাথে ছোট ছোট করে পেয়ারা পাতা দিতে পারেন।
  • তরকারিতে যেমন ভাবে রসুন দেন তেমনিভাবে পেয়ারা পাতাও কয়েকটি করে দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
আপনি এসব উপায় অনুসরণ করে পেয়ারা পাতা খেতে পারবেন। এই উপায়গুলোতে আপনার জন্য পেয়ারা পাতা খাওয়া অনেক সহজ হবে এবং আপনার জন্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আনবে।

পেয়ারা পাতার উপকারিতা

শুধু পেয়ারাতে উপকারিতা থাকে এটা সম্পূর্ণ ভুল বরং পেয়ারার পাতাতেও উপকারিতা আছে।আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে এমন কিছু উপকারিতা পাবেন যা আপনার কল্পনার বাহিরে। চলুন এবার সেই উপকারিতা গুলো জানি
  • ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য পেয়ারা পাতা সবচেয়ে ভালো ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। যাদের ডেঙ্গু হয় তারা নিয়মিত পেয়ারা পাতা অথবা পেয়ারা পাতা দিয়ে ফুটন্ত পানি খাওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি ডেঙ্গু ভালো হয়ে যায়।
  • পেয়ারা পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এজন্য নিয়মিত সকালে পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মত করে পান করুন তাহলে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনি ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকবেন।
  • যদি ডায়রিয়া সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা এবং পানি একত্রে গরম করে যেটাকে পেয়ারা পাতার চা বলা হয় তা পান করার ফলে খুব দ্রুত ডায়রিয়া সমস্যা দূর হয়ে যায়। গবেষণায় জানা গেছে যে পেয়ারা পাতার চায়ে এন্টিডায়রিয়াল থাকে।
  • নিয়মিত পেয়ারা পাতা অথবা পেয়ারা পাতা চা পান করার ফলে আপনি ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের আক্রমণের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। কারণ পেয়ারার পাতাতেও ভিটামিন সি থাকে।
  • আমাদের শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • পেয়ারা পাতার রসে এবং পেয়ারা পাতার চায়ে ক্যালোরি থাকে।
  • যাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং হজমের সমস্যা রয়েছে তারা পেয়ারা পাতা চা খাওয়ার ফলে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
  • যারা নিজের ওজন নিয়ে চিন্তিত, ওজন কমানোর অনেক উপায় পদ্ধতির গ্রহণ করেও কাজ হয়নি তারা নিয়মিত পেয়ারা পাতা এবং পেয়ারা পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। এই পদ্ধতি আপনার ওজন কমতে আপনাকে সাহায্য করবে।
  • পেয়ারা পাতার চা দাঁত ব্যথা এবং মারি ফুলে যাওয়ার মত সমস্যার কেউ দূর করে।
  • দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে পেয়ারা পাতা পেস্ট করেও দাঁতে মাজন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে যার ফলে আপনি নিয়মিত পেয়ারা পাতা চা পান করলে মুখ থেকে ব্রণ দূর হয়ে যায়।
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেয়ারার পাতায় লাইকোপেন নামের একটি উপাদান থাকে যা ক্যান্সারের মতো রোগ কেউ দূরে রাখতে সাহায্য করে।

পেয়ারা পাতার চা বানানোর নিয়ম

কয়েকটি পেয়ারা পাতা এবং আপনার যতটুকু পরিমাণ পানি প্রয়োজন সেই পরিমাণ পানি নিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট গরম করুন। এরপরে সেখানে চায়ের পাতি দিয়ে দিন। আপনি আপনার মন মতো লিকার হয়ে গেলে তা নামিয়ে নিন। ছেকে একটি কাপে নিয়ে খাওয়ার সময় কিছু পরিমাণ মধু মিশিয়ে দিবেন তাহলে আপনার জন্য উপকারী। পেয়ারা পাতার চা তৈরি হয়ে যাবে।


  • পুরুষের শরীরে শুক্রানু বৃদ্ধি করতেও পেয়ারা পাতা বেশ কার্যকারী।
  • আপনি পেয়ারা পাতা দিয়েও রূপচর্চা করতে পারবেন। পেয়ারা পাতা আপনার রূপচর্চার কাজেও বেশ কার্যকারী একটি উপাদান।
উপরে পেয়ারা পাতার উপকারিতা সবগুলোই বলা হলো। সেই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনার এখন উচিত হবে নিয়মিত পেয়ারা পাতা অথবা পেয়ারা পাতার চা খাওয়া।

পেয়ারা পাতার অপকারিতা

পেয়ারার পাতাতে যেমন উপকারিতার পরিমাণ অনেক তেমনিভাবে কিছু অপকারিতা রয়েছে চলুন এবার সেই অপকারিতা গুলো জানি যাতে করে আমরা সেই ক্ষতিগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারি
  • যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা পেয়ারা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • আমাদের আশেপাশে এমন কিছু লোক আছে যাদের অধিকাংশ সময় সর্দি কাশি হয়েই থাকে এসব ব্যক্তি পেয়ারার পাতা কে একেবারে না বলুন।
  • গর্ভবতী মহিলার জন্য অতিরিক্ত পেয়ারা পাতা খাওয়া উচিত নয় কারণ পেয়ারার পাতায় ফাইবার থাকে অতিরক্ত খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা তৈরি হবে।
  • বেশি পরিমাণে পেয়ারা পাতা খেলে রক্তস্বল্পতা মাথাব্যথা কিডনির সমস্যা হতে পারে এবং হজম শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে।
  • অতিরিক্ত পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের একজিমার সমস্যা রয়েছে তারা পেয়ারা পাতা খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকবেন।
উপরে পেয়ারা পাতা যাবতীয় অপকারিতা বলা হলো। পেয়ারা পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে খাবেন। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তাহলে আপনার কোন রকম ক্ষতি হবে না।

পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম

পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম করে খাওয়া উচিত পেয়ারা খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার ফলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন চলুন এবার সেই নিয়ম গুলো জানি
  • প্রতিদিন সকালে নাস্তায় পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • আপনি পেয়ারা সালাদ হিসেবেও খেতে পারবেন।
  • সন্ধ্যাবেলায় নাস্তার কয়েক টুকরা পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন।
  • আপনি পেয়ারা কাসুন্দি লবণ মরিচ এসব দিয়েও ভর্তা বানিয়ে খেতে পারবেন।
  • দুপুরে এবং রাতে খাওয়ার মাঝা মাঝে মাঝে সময়ও পেয়ারা খাওয়া ভালো।
  • আপনি পেয়ারা শরবত করেও খেতে পারবেন এভাবে খাওয়ার ফলে আপনার মধ্যে রিফ্রেশ ভাব কাজ করবে।
  • প্রতিদিন চেষ্টা করবেন একটা করে পেয়ারা খাওয়ার। এর বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • কাঁচা এবং পাকা দুই রকমের পেয়ারায় আপনার শরীরের জন্য উপকারী।
  • পেয়ারা খাওয়ার সময় কখনো পেয়ারার খোসা ফেলে খাবেন না। পেয়ারার খোসাতে উপকারিতা রয়েছে।

আপনি পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে খাবেন তাহলে ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

পেয়ারা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। পেয়ারায় অনেক উপকারিতা লুকায়িত রয়েছে।পেয়ারা দামে কম হলেও সেটার উপকারিতা গুলো অনেক বড় বড়। চলুন এবার আমরা সেইনাই উপকারিতা গুলো জানি
  • পেয়ারার মধ্যে পটাশিয়াম থাকে যার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • পেয়ারায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • পেয়ারা খাওয়ার ফলে মুখের ঘা বা বিভিন্ন রকমের ফাঙ্গাস হওয়া থেকে বিরত থাকে।
  • পেয়ারার মধ্যে এমন একটা উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টোরের কমিয়ে দেয় এবং নরমাল কলেস্টোরের মান নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় এজন্যে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত পেয়ারা খাবেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা একটি খুব বড় বিপদ। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা পেয়ারা এবং পেয়ারার পাতা খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • পেয়ারাতে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • আপনি যদি পেয়ারা চিবিয়ে খান তাহলে আপনার দাঁত ভালো থাকবে এবং দাঁতের মাড়ির পোকা এবং জীবাণুগুলো দূর হয়ে যাবে।
  • পেয়ারাতে অনেকগুলো ভিটামিন থাকে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভিটামিন এ ভিটামিন। পেয়ারায় ভিটামিন এ থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • আপনি পেয়ারা দিয়ে রূপচর্চাও করতে পারবেন এবং চুলের যত্নেও পেয়ারা ব্যবহার করতে পারবেন।
  • পেয়ারায় ভিটামিন বি ৩ এবং বি ৬ থাকে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের চলমান সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • পেয়ারায় আঁশ থাকে এজন্য পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় কারণ সে আশগুলো চিনি শোষণ করতে পারে।
  • সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ ভূমিকা রাখে।
  • পেয়ারা খাওয়ার ফলে স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • পেয়ারা ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক সমস্যা সাথে লড়াই করতে কার্যকারী এজন্য পেটের ব্যথা এবং আমোশয়ের মতো সমস্যাও দূর করতে পারে।
  • নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ত্বক সুন্দর থাকে এবং ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন চেষ্টা করবেন একটি করে পেয়ারা খাওয়ার। পেয়ারা দাম কম হওয়ায় আমাদের জন্য পেয়ারা খাওয়া সহজ হয়। তাই উচিত নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া।

পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা

পেয়ারায় অনেকগুলো উপকারিতা আমরা উপরে জানলাম। এবার আমাদের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানা উচিত যাতে আমরা সেই ক্ষতিগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারি এবং আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।চলুন এবার সে ক্ষতিকর দিকগুলো জানি
  • পেয়ারা যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তেমনি ভাবে অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
  • যাদের বমি বমি ভাব হয় বা বমির সমস্যা রয়েছে তারা সফরের সময় পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেটে কামড় হতে পারে বা ডায়রিয়া হতে পারে।
  • যাদের দাঁতের ব্যথা রয়েছে বা মারি ফুলে গেছে এমন অবস্থায় আপনারা পেয়ারা খাবেন না।
  • ডায়রিয়া অবস্থায় কোনোভাবে পেয়ারা খাবেন না এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা আপনার জন্য উপকারী কিন্তু পেয়ারা আপনার জন্য ক্ষতিকারি।
  • অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এমনকি পেট ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যাদের হজম শক্তি দুর্বল তারা অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে আপনার পেটে সমস্যা হবে।

এসব সমস্যাগুলো থেকে বেঁচে থাকতে নিয়মের মধ্যে পেয়ারা খান এবং অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া থেকে বেঁচে থাকুন।

পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন সকালে খালি পেটে পেয়ারা খেলে কি হয়?

উত্তর

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা কমে যায়। সকালে পেয়ারা খাওয়ার ফলে ওজন কমাতেও আপনাকে সাহায্য করবে।

২ প্রশ্ন পেয়ারা খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয় কেন?

উত্তর

কোন ফল খাওয়ার পর পরে পানি খেলে সেই ফলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এজন্য পেয়ারা খাওয়ার পরে পানি খাওয়া উচিত নয়। এমনকি কোন ফল খাওয়ার ফল পরেই পানি খাওয়া উচিত নয়।

৩ প্রশ্ন পেয়ারা পাতায় কি কি ভিটামিন আছে?

উত্তর

পেয়ারার পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন বি এসব পেয়ারা এবং পেয়ারার পাতায় থাকে।

৪ প্রশ্ন প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে কি হয়?

উত্তর

প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের ডাইবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

শেষ কথা

পেয়ারা আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। আপনার উচিত হবে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়া। পেয়ারা অনেক সুস্বাদু এজন্য সুস্বাদু বলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তাছাড়া আপনার জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো বয়ে নিয়ে আনবে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও পেয়ারা খাইলে কি কি উপকার হয় সেই উপকারিতা গুলো জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url