বেদানা লিচুর বৈশিষ্ট্য- লিচু খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং লিচুর ফুলের মধুর উপকারিতা সম্পর্কে বলবো। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে লিচু এবং লিচুর মধু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন লিচু খাওয়ার নিয়ম,বেদানা লিচুর বৈশিষ্ট্য,লিচু ফুলের মধু চেনার উপায়,লিচু খাওয়ার অপকারিতা এবং লিচু চারা লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

লিচু একটি মৌসুমী ফল এবং লিচুতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। লিচুর অনেক জাত রয়েছে বাংলাদেশে সাধারণত কয়েকটি জাতের লিচু হয়ে থাকে। এসব জাতের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জাত হচ্ছে বোম্বাই লিচু এবং বেদানা লিচু। শীত আসার সাথে সাথে লিচু উঠতে শুরু করে এবং লিচু খাওয়ার ফলে শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের দিকে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই লিচুর গাছ রয়েছে। এই পোষ্টের মধ্যে লিচু সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হবে।

লিচু খাওয়ার নিয়ম

লিচু খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে। চলুন লিচু খাওয়ার যেসব নিয়ম রয়েছে সেসব সম্পর্কে জেনে নেই
  • খালি পেটে লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। লিচুতে হাইপোগ্লাসিন নামক একটি উপাদান থাকে। খালি পেটে লিচু খাওয়ার কারণে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে।
  • কখনো কাঁচা লিচু খাবেন না। কাঁচা লিচু খাওয়ার ফলে আপনার জন্য ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আনবে।
  • একসঙ্গে অনেক গুলা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দিনের মধ্যে দুই থেকে তিনবারে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ টি করে লিচু খাবেন। এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।
  • খাবার খাওয়ার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পরে লিচু খাবেন। রাতে লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাতে লিচু খাওয়ার ফলে গ্যাস হতে পারে।
  • ব্যায়াম করার আগে বা পরে লিচু খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে।
  • ছোট বাচ্চারা যেন লিচুর খোসা খেয়ে না নেই সেদিকে নজর রাখা জরুরী তাছাড়া তাদের পেটে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
  • বাজারের অনেক লিচুতে কীটনাশক দিয়ে পাকানো হয় সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কীটনাশক শরীরে জন্য বেশ ক্ষতিকর এবং ভয়ংকর রোগ হতে পারে।
  • সবসময় চেষ্টা করবেন নিয়মের মধ্যে লিচু খাওয়ার।
উপরে যেসব নিয়ম বলা হলো সেসব নিয়ম অনুযায়ী লিচু খাওয়ার ফলে আপনার কোন রকম ক্ষতি হবে না। অতিরিক্ত লিচু খাওয়া আপনার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২০১৪ সালের ভারতের মুজাফফরনগরে লিচু খাওয়াই ১২২ শিশু জ্বর এবং খিচুনিতে মারা গিয়েছিল এজন্য অবশ্যই সতর্কভাবে লিচু খাবেন।

লিচুর চারা লাগানোর নিয়ম

আপনি যদি বাসায় লিচু চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চারাগাছ সঠিকভাবে লাগানোর নিয়ম জানতে হবে তাছাড়া গাছ হবে না। কিভাবে চারা গাছ রোপন করবেন সে সম্পর্কে জানুন-
  • উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়াতে লিচুর গাছ ভালো হয় এবং উর্বর দোআঁশ মাটিতে লিচুর গাছ লাগানোর ফলে বেশি পরিমাণ ফলন হয়।
  • আপনি যে জায়গায় লিচুর গাছ লাগাবেন সে জায়গায় আগে ভালোভাবে খুঁড়ে নিবেন এবং জায়গা সমতল করে নিবেন যাতে মাটি উর্বর হয়ে যায়। উর্বর করার ফলে মাটির ভিতরে সহজে বায়ু চলাচল করতে পারবে এবং মাটির পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে।
  • লিচুর মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই লিচুর গাছ লাগানোর মৌসুম শুরু হয়। বর্ষাকালের শেষে মাটির রস চুষে নেয় এবং আস্তে আস্তে কমতে থাকে তখন লিচু গাছ লাগানো সবচেয়ে উত্তম সময়।
  • আপনি মাটিতে ছাই পাউস বা জৈব সার ভালোভাবে মিশানোর পরে সেখানে আপনার লিচু গাছ লাগিয়ে দিন এবং এমন জায়গায় গাছ লাগাবেন যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো যায়।
  • একসাথে অনেক লিচুর গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ মিটার দূরে দূরে লাগে এতে করে প্রতিদিন কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো পরবে। তবে এদিকেও খেয়াল রাখবেন যেন সেখানে প্রচুর পরিমাণে রোদ না পরে তাছাড়া চারা মরে যাবে।
  • লিচুর গাছ যখন বড় হবে তখন আগাছা পরিষ্কার করে দিবেন এবং যেসব মরা ডাল সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করবেন তাহলে আপনার গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
  • লিচু গাছের গোড়ায় ঘন ঘন পানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে লিচু গাছ ভালো থাকবে তবে এদিকে খেয়াল রাখবেন পানির পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায়। বেশি পরিমাণ পানি হওয়ার ফলে আপনার গাছের জন্য ক্ষতিকর হবে।

আপনি এই পদ্ধতিতে গাছ লাগালে খুব সহজেই আপনার কাজ বড় হবে এবং তাড়াতাড়ি ফল দিবে।

বেদানা লিচুর বৈশিষ্ট্য

লিচুর অনেকগুলো জাত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বেদনা। এই লিচু স্বাদে খুব সুস্বাদু হয়। চলুন এবার সেই বেদনা লিচুর কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো জানুন
  • বাংলাদেশে দিনাজপুরের দিকে বেদানা লিচুর চাষ বেশি হয়ে থাকে।
  • বেদানা লিচু অনেক রসালো হয় এবং এই জাতের লিচুর রং গোলাপি হয়ে থাকে।
  • অন্য লিচুর তুলনায় বেদানা লিচুর বীচ ছোট হয় এবং খোসা পাতলা হয় বেদনা লিচু খাওয়ার ফলে আপনি লিচু খাওয়ার প্রকৃত স্বাদ পাবেন।
  • বেদানালি লিচুর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
  • আপনি বেদনালী লিচু কিনতে গেলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সেই লিচু গোল হয় এবং চামড়া পাতলা ও মসৃণ হয় তাহলে আপনি বুঝে নিবেন এটা বেদানা লিচু।

লিচু খাওয়ার উপকারিতা

লিচু একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। লিচুতে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব জরুরী। চলুন এবার সেই লিচুর উপকারিতা গুলো জানি-
  • হজমের সমস্যার জন্য লিচু খুব কার্যকারী একটি ফল। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা লিচু খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • আপনি লিচুর এক গ্লাস শরবত করে খাওয়ার ফলে রিলাক্স ফিল করবেন এবং অস্বস্তি বোধদূর হয়ে যাবে।
  • লিচুতে ফাইবার থাকার কারণে লিচু ওজন কমাতে সাহায্য করবে এজন্য ওজন কমানোর জন্য পরিমাণ মতো লিচু খেতে পারেন।
  • লিচু আপনার হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে কারণ লিচুতে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস এগুলো থাকে।
  • আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা উন্নত করবে এবং লোহিত কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি হয়।
  • শীত আসার আগে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায় এজন্য লিচু খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে।
  • লিচুতে পর্যন্ত পানি এবং পটাশিয়াম থাকার কারণে লিচু আপনার কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে এবং দূষিত পদার্থ বের করে দিবে।
  • শরীরের বিভিন্ন রকমের ব্যথা দূর করতে লিচু কার্যকারী। হার্ট সুস্থ রাখতে লিচুর কাজ অতুলনীয়।
  • লিচুতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে যেগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
  • লিচু খাওয়ার ফলে ত্বকের বলিরেখা সরে গিয়ে বয়সে ছাপ পরে না।
  • লিচু খাওয়ার ফলে পেট অনেক সময় ধরে ভরে থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে।
  • লিচু খাওয়ার ফলে লিভার ভালো থাকে এবং লিভারের যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যায়।
আপনি এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য লিচুর মৌসুমে নিয়মিত কিছু পরিমাণ লিচু খাওয়ার চেষ্টা করুন।

লিচু খাওয়ার অপকারিতা

লিচুতে বেশকিছু অপকারিতা রয়েছে যেগুলো শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। চলুন সেসব অপকারিতা গুলো জেনে নেই
  • অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট,বুক ধরফর বমি ভাব হতে পারে।
  • লিচু একটি গরম ফল।অতিরিক্ত না লিচু খাওয়ার পরে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে না, যার ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
  • যেসব রুগির সার্জারি করা হয়েছে তাদের জন্য লিচু খাওয়া উচিত নয় কারণ লিচু খাওয়ার ফলে রক্তের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
  • যারা লো প্রেসারের রোগী রয়েছেন তারা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে সমস্যা হবে।
  • খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে মৃত্যু হতে পারে এবং ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লিচু খাওয়ার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
  • লিচুতে থাকা হাইপোগ্লাইসিন নামের একটি রাসায়নিক উপাদান শরীরের শর্করা তৈরি করতে প্রতিবন্ধক হয়।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে চুলকানি এবং এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • নিয়ম করে লিচু খাওয়ার ফলে যেমন ওজন কমে তেমনভাবে অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাবে কারণ লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি থাকে যা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
এইসব ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মের মধ্যে লিচু খান এবং অতিরিক্ত লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লিচু ফুলের মধুর উপকারিতা

গাছে লিচু আসার আগে লিচুর ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে থাকে এবং এই মধুর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এবার সেসব উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
  • লিচুর ফুলের মধুতে শর্করা, মিনারেল,ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
  • পেটের হজমে সমস্যার দূর করতে জন্য লিচুর ফুলের মধুর ভূমিকা অপরিসীম।
  • লিচুর ফুলের মধু আপনার গলা ব্যাথার কাজে, ঠান্ডা লাগা এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা লিচুর ফুলের মধু খাওয়ার ফলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • লিচুর ফুলের মধু দিয়ে আপনি রূপচর্চা করতে পারবেন। এই মধু দিয়ে রূপচর্চা করা ফলে আপনার রূপের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • যাদের ঘুমের সমস্যা হয় রাত্রে তারা ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণ লিচু ফুলের মধু খেয়ে নিন এতে করে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
  • লিচু ফুলের মধু আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং যেকোনো ব্যাকটেরিয়া থাকলে সেগুলোকে প্রতিহত করতে ভূমিকা রাখবে।
  • আপনার শরীরের নতুন রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করবে।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা ফুলের লিচু ফুলের মধু খাওয়ার ফলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • হাড় এবং দাঁত মজবুত করার জন্য লিচু ফুলের মধুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
  • লিচুর ফুলের মধু খাওয়ার ফলে আপনার গলার স্বর সুন্দর হবে।
  • এই মধুতে কোন রকমের চর্বি নেই যার ফলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • লিচু ফুলের মধু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা সঠিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন।
  • প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানি এবং মধু একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আপনার লিভার ভালো এবং অতিরিক্ত চর্বি থাকলে সেগুলো গলে যাবে।

এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য শীতের মধ্যে লিচু ফুলের মধু খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন লিচু ফুলের শুধু শীতকালেই পাওয়া যায় এছাড়া কোন সময় লিচু ফুলের মত পাওয়া যায় না। লিচু ফুলের মধুর ঘ্রাণ অনেক সুন্দর হয়ে থাকে যেটা ব অন্যান্য মধুর তুলনা থেকে ভিন্ন।

লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন লিচু খেলে কি ওজন কমে?

উত্তর

আপনি প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি লিচু খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমবে আর আপনি যদি অতিরিক্ত লিচু খান সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়বে।

২ প্রশ্ন লিচু এ কি ভিটামিন আছে?

উত্তর

লিচুতে ভিটামিন এ থাকে এবং পাশাপাশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকারী প্রতিটি উপাদান।

৩ প্রশ্ন লিচুতে কি সুগার বেশি?

উত্তর
লিচুতে সুগারে পরিমাণ বেশি থাকে না। লিচুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে যা শরীরের জন্য খুব উপকারী এবং সুগার রোগের জন্য উপকারী কারণে এতে খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়।

৪ প্রশ্ন ৬ মাসের বাচ্চাকে লিচু খাওয়া যাবে কি?

উত্তর

শিশুদের সকালে খালি পেটে লিচু খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন এবং তাদেরকে লিচু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে একটি বাটিতে ছিলে দিন এবং এদেরকে খেয়াল রাখবেন যেন তারা খোসা খেয়ে না নেই আর ছয় মাসের বাচ্চাকে লিচু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই তা বিলিন্ডার করে অল্প অল্প করে খাওয়াবেন অতিরিক্ত খাওয়ানোর ফলে মৃত্যু হতে পারে।

শেষ কথা

লিচু একটি মৌসুমী ফল হওয়ার কারণে লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন থাকে। এজন্য চেষ্টা করবেন লিচু বাজারে উঠার পর থেকেই কিছু কিছু পরিমাণে লিচু খাওয়া তবে অবশ্যই অতিরিক্ত লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত লিচু আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও লিচু খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে সেসব জানতে পারে এবং উপকৃত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url