বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা এবং বালিশে মাথা রাখার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা এবং বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অপকারিতা ও বালিশে মাথা রাখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বালিশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন বাচ্চাদের বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা,শিমুল তুলার বালিশ সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভুমিকা

আমাদের পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য বালিশ অত্যন্ত একটি জরুরী বস্তু। বালিশ ছাড়া ঘুমানোর কথা চিন্তা করাও কঠিন। বালিশ অনেক রকমের হয়ে থাকে কোনটা ফোমের হয়,কোনটা তুলার হয়,কোনটা শিমুল তুলার। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের বালিশ ব্যবহার করে থাকে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বালিশ ভিন্ন হয়ে থাকে।


বালিশ ব্যবহার করার ফলে অনেক উপকৃত হওয়া যায় আবার অপকৃতও হওয়া যায়। এই পোষ্টের মধ্যে এজন্যই বালিশের যাবতীয় তথ্য, ডিজাইন,উপকারিতা,অপকারিতা এবং কোন বালিশ ভালো এসব সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা

অনেকে আছে যারা মাথার নিচে খুব কম সময় বালিশ ব্যবহার করে বা ডাক্তারের পরামর্শ অথবা কোন সমস্যার জন্য বালিশ ছাড়া ঘুমিয়ে থাকে। চলুন এবার জানি বালিশ না নিয়ে ঘুমালে কি কি উপকৃত হওয়া যায়
  • আমাদের অনেকের এমন হয় ঘুম থেকে উঠার পরে ঘাড় এবং পিঠ ব্যথা হয়ে থাকে। আপনি যদি বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করেন তাহলে এরকম ব্যথা হবে না কারণ বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে মেরুদন্ড সোজা থাকে।
  • বালিশ নিয়ে ঘুমানোর পরেও ত্বকের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে।
  • অনেকে আছেন যারা বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকে যার কারণে তাড়াতাড়ি বার্ধ্যর্ক আসবে এবং চেহারায় বলিরেখা পরবে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে আপনি এই সমস্যাগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
  • যাদের বালিশ ব্যবহার করার কারণে ঠিক মত ঘুম হয় না অথবা ঘুম ভেঙ্গে যায় তাহলে বালিশ তারা বালিশ ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং ঘুমও ভালো হবে।
  • বালিশ ঘুম ভালো হওয়ার জন্য এবং খুব খারাপ হওয়ার জন্য একটি অনেক জরুরী ব্যস্ত। অনেক ক্ষেত্রে বালিশের কারণে ঠিকমতো ঘুম হয় না পরবর্তীতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে এবং মানসিক চাপও বাড়ে।
  • যারা ঘাড়,পিঠ,মেরুদন্ড এগুলোর সমস্যায় রয়েছেন তারা বালিশ ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। গবেষণায় এখন দেখা গেছে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে এই সমস্যা গুলো ভালো হয়ে যায়।
ঘুমের মধ্যে আমাদের কোন ঠিক থাকে না। বালিশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমাদের মুখে ব্রণ হতে পারে।

যেভাবে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করা যায়

বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস এক দিনেই করা সম্ভব নয়। আমরা জন্মের পর থেকে বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত এজন্য বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করার ক্ষেত্রে কিছু সময়ের প্রয়োজন। প্রথম সপ্তাহে আপনি মোটা কোন কম্বল বা মোটা তোয়ালে ভাজ করে মাথার নিচে দিয়ে থাকবেন। দ্বিতীয় সপ্তাহে তার চেয়ে একটু পাতলা নিবেন।


তৃতীয় সপ্তাহে তার চেয়ে আরো একটু পাতলা বা এমন কিছু নিবেন যেখানে হালকাভাবে মাথা থাকে। এরপরের সপ্তাহ থেকে একেবারে বালিশ ছাড়াই ঘুমানোর চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারছেন। উপরে যে সব উপকারিতা বলা হলো এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য হলে এবং ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে হলে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করা জরুরী।

বাচ্চাদের বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা

বাচ্চারা অনেক কোমল স্বভাবের হয়। ছোট থেকেই তাদেরকে অনেক সতর্কতার সাথে বড় করতে হয় তাছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। বালিশ শিশুদের জন্য ঘুমের সামগ্রীগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জরুরী একটি জিনিস। চলুন এবার আমরা জানি শিশুদের বালিশ ছাড়া ঘুমালে কি কি পাওয়া যায়
  • শিশুদেরকে অতিরিক্ত নরম বালিশে ঘুমাতে দেওয়ার ফলে তাদের মাথা এক জায়গায় স্থির থাকে এবং ভিতরে ডুবে যায় এক্ষেত্রে তাদের দম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে এই ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকা যাবে।
  • শিশুদের বালিশ সাধারণত নরম এবং ফাঁপা হয়ে থাকে এজন্য তাদেরকে দীর্ঘ সময় সেখানে ঘুমাতে দিলে তাদের মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে।
  • বাচ্চাদের দীর্ঘ সময় নরম বালিশে শোয়ায় রাখলে ক্রমাগত চাপের ফলে শিশুর ফ্ল্যাট হেড সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার জন্য শিশুর মাথা আস্তে আস্তে ভিন্ন আকৃতি নিয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত সময় নরম বালিশে এক কাধ করে শুয়াই রাখার ফলে তাদের মাথা চ্যাপ্টা হয়ে যেতে পারে।
  • শিশুদের বালিশের পরিবর্তে মাথায় নরম কোনো কাপড় গোল করে পেচিয়ে রাখা উত্তম।
এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য বাচ্চাদেরকে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। অবশ্যই কিছুক্ষণ পরপর এসে তাদের কাত পরিবর্তন করে দিবেন। এক কাতে কখনো তাদেরকে ঘুমাতে দিবেন না।

বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অপকারিতা

বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে কারণ এই সময় আমাদের শোয়ার ধরন ভিন্ন হয়ে যায়। চলুন এবার আমরা সেই অপকারিতা গুলো জানি
  • বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে অনেকের ঘুমের সমস্যা হতে পারে কারণ সে বালিশ নিয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এখন বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে কিছুদিন ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
  • অনেকে আছেন যারা সোজাসুজি ঘুমাতে পারেন না। তারা বালিশ ছাড়া ঘুমালে তাদের ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস নেয়ার সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি বালিশ নিয়ে ঘুমাবেন।
  • ঠিকমতো ঘুম না হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথার নিচে কোন নরম কিছু না রাখার ফলে ঠিকমতো ঘুম হয় না বা রাত্রে অনেক সময় ঘুম ভেঙ্গে যায়। আপনি বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে এই সমস্যা হবে এতে করে আপনার পরবর্তী দিন মেজাজ খিদমতে থাকবে এবং বিরক্ত কর ভাব থাকবে।
  • মাথা ব্যাথার মত সমস্যা হতে পারে কারণ আপনি যখন বালিশ ছাড়া ঘুমাবেন আপনার মাথা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে থাকবে এক্ষেত্রে আপনার মাথা ব্যাথা সমস্যা হতে পারে।
  • বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে আপনার ঘুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নড়াচড়া হতে পারে যার ফলে আপনার ঘাড়ে আঘাত লাগতে পারে।

এসব অপকারিতা গুলো থেকে বেঁচে থাকতে বালিশ ব্যবহার করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আপনি যদি কিছুদিন অভ্যাস করে নেন বালিশ ছাড়া ঘুমানোর সেক্ষেত্রে আপনার এরকম সমস্যা হবে না এবং বালিশ ছাড়া ঘুমানো বালিশ সহ ঘুমানোর চেয়ে অনেক বেশি ভালো।

বালিশে মাথা রাখার নিয়ম

বালিশ মাথায় রেখে ঘুমানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে ঘুমানো জরুরী তাহলে আপনি ঘাড় ব্যথা আরো এরকম সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। নিয়মগুলো হচ্ছে
  • বালিশে মাথা রাখার ক্ষেত্রে এমন ভাবে মাথা রাখবেন যেন আপনার মাথার সমান ভাবে থাকে।
  • ঘাড় এবং মাথার সমান ভাবে রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার কোন রকমের ঘাড় ব্যথা,মাথা ব্যথা হবে না।
  • বেশিক্ষণ এক কাত হয়ে শুয়ে থাকবেন না। বেশিক্ষণ এক কাত হয়ে শুয়ে থাকার ফলে মাখার এক পাশ ব্যথা হয়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত নরম বালিশ নিয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত নরম বালিশ নেওয়ার ফলে আপনার মাথা বালিশের ভিতর ঢুকে যাবে এবং ঘাড়ে চাপ লাগতে পারে।
  • অতিরিক্ত উচু বালিশ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন মাঝারি সাইজের যে বালিশগুলো রয়েছে সেই বালিশ সবচেয়ে ভালো হয়।
  • আপনি উপর হয়ে শুয়ার ফলে যদি মাথার নিচে বালিশ রাখেন সেক্ষেত্রে আপনার মেরুদন্ড ব্যাথা হতে পারে এজন্য তখন বালিশ ছাড়া ঘুমাবেন।
  • বালিশ সেই সময় ব্যবহার করবেন যে সময় আপনি কাঁত বা চিত হয়ে শুয়ে থাকবেন।
  • কখনো বালিশকে খাড়াভাবে নিবেন না তাহলে অনেক উঁচু হয়ে যাবে। সব সময় চেষ্টা করবেন বালিশ সোজা রাখার তাহলে আপনার ঘুম ভালো হবে।
  • কখনো একসাথে জোড়া বালিশ নিয়ে ঘুমাবেন না। জোড়া বালিশ নিয়ে ঘুমানোর ফলে আপনার ঘাড়ের রগ টেনে ধরতে পারে।
  • বালিশ নিয়ে শুয়ার সময় অতিরক্ত নড়াচড়া এবং দলাদলি করবেন না তাহলে আপনার ত্বকে ভাজ পরে যেতে পারে।

বালিশ কেমন হবে

আপনার মাথার আকার যদি বড় হয় সেক্ষেত্রে কিং বা কুইন সাইজের বালিশ বানাবেন আর যদি মাথা রাখার ছোট হয় সেক্ষেত্রে মিডিয়াম বা স্ট্যান্ড আকারে বালিশ বানাবেন। অনেকে আছে যারা ফোমের বালিশ ব্যবহার করে থাকে। ফোমের বালিশের তুলনায় তুলার বালিশ ব্যবহার করার ফলে আরামদায়ক বেশি এবং উপকারিতাও বেশি।

সবসময় বালিশে একটি কভার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কভার ব্যবহার করার ফলে বালিশে কম জীবাণু জমবে। সুতি কাপড়ের কভার সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে। বালিশের উচ্চতার ক্ষেত্রে ঘাড়ের উপরিভাগ এবং বালিশের শেষভাগ এমন হওয়া উচিত যেন একে অপরকে স্পর্শ করতে পারে।

আপনি বালিশ বানানোর ক্ষেত্রে এবং মাথার নিচে বালিশ রাখার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার বাতে মেরুদন্ডের ব্যথা ঘাড় ব্যথা পিঠ ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন এবং আরামে ঘুমাতে পারবেন।

বালিশের কভার ডিজাইন

বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন
বালিশের কভার ডিজাইন

শিমুল তুলার বালিশ

বালিশ বানানোর ক্ষেত্রে ফোম এবং ভিন্ন তুলার চেয়ে শিমুলতলা সবচেয়ে উন্নত এবং উপকারী। শিমুল তুলার বালিশে ঘুম ভালো হয় এবং ঘাড় মেরুদন্ড এগুলোর ব্যথা হওয়া থেকেও নিরাপদ থাকা যায়। শিমুলতলা দিয়ে বালিশ বালানের ক্ষেত্রে অনেক টেকসই হয়ে থাকে এবং এই বালিশ দীর্ঘদিন ধরে নরম এবং সুন্দর থাকে।

শিমুল তুলায় কোন রকমের ফাইবার না থাকার কারণে তা কখনো চুপসে যায় না বরং সব সময় নরম এবং ফুলে থাকে যার কারণে ঘুম আরামদায়ক হয়। শিমুল তুলা প্রাকৃতিকভাবে চাষ করা। শিমুল তুলাকে সকল তোলার রাজা হিসেবে ধরা হয়।

শিমুল তুলার দাম

আপনি যদি একটু ভালো মানের বালিশ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার দুই কেজি তোলার প্রয়োজন পরবে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি হয়ে থাকে। গুণমান ভেদে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকাও হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার একটি বালিশ বানানোর ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকার উপরে পড়ে যাবে।

আপনি যদি শিমুল তুলার সাথে অন্য কোন তুলা যোগ করতে চান সেক্ষেত্রেও পারবেন। কার্পাস তুলা। এই তুলা প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে অথবা দেশি ফাইবার এবং কৃত্রিম তুলাও ব্যবহার করতে পারবেন। এই তুলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি হয়ে থাকে। আপনি চাইলে শিমুল তুলা দিয়ে লেপ এগুলো বানাতে পারবেন তাহলেও মান অনেক ভালো থাকবে।


তাই আপনি যদি বালিশ বানানো চিন্তা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হবে শিমুল তুলা দিয়ে বালিশ বানানোর ফলে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

বালিশ সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন ঘুমানোর জন্য কোন বালিশ ভালো?

উত্তর

ঘুমানোর জন্য এমন বালিশ নেওয়া ভালো যেগুলোর মধ্যে একেবারে মাথা ভেতরে ঢুকে যায় না এবং আকারে মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে। ফোমের চেয়ে শিমুল তুলার বালিশ অনেক ভালো।

২ প্রশ্ন তোমার বালিশ কত নোংরা?

উত্তর

আমাদের অধিকাংশের বালিশ নিয়মিত পরিস্কার করা হয় না যার ফলে অনেক ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া ধুলোময়লা জমে। এখান থেকে বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন এলার্জি চুলকানি ঘুমের সমস্যা এজন্য অবশ্যই বছরে তিন থেকে চারবার বালিশ পরিষ্কার করার চেষ্টা করবে।

৩ প্রশ্ন বালিশ ধোয়ার পর গন্ধ হয় কেন?

উত্তর অনেকদিন বালিশ ব্যবহার করার পরে যখন আপনি তা ধুয়ে দিবেন তাহলে তা নতুন ভাবে তুলতুলে এবং ফুলে উঠবে এক্ষেত্রে শুকানোর জন্য একটু সময় লাগে। যখন ঠিকভাবে শুকিয়ে যাবে তখন সে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

৪ প্রশ্ন রাতে কয়টি বালিশ নিয়ে ঘুমানো উচিত?

উত্তর রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সবসময় একটি বালিশ নিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। দুইটা বালিশ নিয়ে ঘুমানোর ক্ষেত্রে আপনার মাথা এবং ঘাড় সমান্তরাল না হওয়ার কারণে ব্যাথা হতে পারে। যদি সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে বালিশ ছাড়াই ঘুমানোর চেষ্টা করবেন বালিশ ছাড়া ঘুমানোর ফলে উপকারিতা অনেক।

শেষ কথা

বিছানার সৌন্দর্য এবং ঘুমানোর ক্ষেত্রে বালিশ অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। এক্ষেত্রে অবশ্যই বালিশ বানানোর ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো রয়েছে সে নিয়ম অনুযায়ী বালিশ বানানো চেষ্টা করবেন আর যদি সম্ভব হয় তাহলে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url