দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ -দেশি মুরগির খাবার তালিকা

প্রিয় পাঠক আপনি কি দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধি করার ওষুধ যেসব আছে সেগুলোর নাম জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে মুরগির ওজন বৃদ্ধি করার ওষুধ এবং দেশি মুরগির বাচ্চা পালন করার পদ্ধতি ও দেশি মুরগির খাবার তালিকা কি কি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন।
দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বয়লারের তুলনায় দেশি মুরগি অনেক ভালো এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বয়লার খাওয়ার পরে বিভিন্ন রকমের রোগ হতে পারে কিন্তু দেশি মুরগি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে পারে। দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অনেক রকমের উপায় থাকে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি দেশি মুরগির খামার করে সেখানে মুরগি পালন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।


ঠিক যেমনভাবে বয়লার মুরগির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে এজন্য আপনার কিছু উপায় এবং পদ্ধতি জানতে হবে।

দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি

দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম এবং পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করলে আপনি ভালোমতো মুরগি পালন করতে পারবেন এবং অসুখ-বিসুখ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। চলুন এবার আমরা সেই পদ্ধতি গুলো জানি
  • মুরগি পালনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভালো জাতের মুরগি বেছে নিতে হবে। দেশি মুরগির মধ্যেও বেশ কয়েক রকমের জাত রয়েছে। দেশি মুরগি সাইজে ছোট হয়ে থাকে এবং এদের পা ছোট হয় এবং সাদা হয়ে থাকে হয়।
  • এরপর সেসব মুরগি রাখার জন্য আপনাকে একটি ঘর বানাতে হবে। ঘরটা এমন ভাবে বানাবেন যেখানে আলো পৌছাতে পারে এবং বৃষ্টির পানিও না ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরকে সবসময় শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিষ্কার রাখার ফলে মুরগি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
  • তাদেরকে নিয়মিত কয়েক বার করে খাবার দিতে হবে। সব সময় তাদের কাছে পানি রাখতে হবে।
  • অতিরিক্ত গরম পড়লে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে এজন্য চেষ্টা করবেন গরমকালে ফ্যান দিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।
একটা বিষয় সবসময় মনে রাখা জরুরী দেশি মুরগি আপনি যদি এক জায়গায় বেঁধে পালন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি হবে আর গ্রামে যেই ঐতিহ্য ভাবে পালন করা হয় তা হচ্ছে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ তাদেরকে ভিন্ন করে খাবার দিতে হয় না,দেখাশোনা করতে হয় না,সারাদিন ঘুরে তারা নিজেরাই নিজেদের খাবার সংগ্রহ করে এবং রাতে এসে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে যায়।

আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার খরচ কম হবে। শুধু ঘর বানাতে যে খরচ এতোটুকুই প্রয়োজন হবে। ঘর বানানোর ক্ষেত্রে এমন ভাবে ঘর বানাবেন যেন তাদের চলাফেরা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকে তাছাড়া তারা বেড়ে উঠতে পারবে না। মুরগির শরীরে যেন রোগ না হয় সেজন্য ভ্যাকসিন করে নিবেন। ভ্যাকসিন করে নিলে ৮০% নিশ্চিত থাকা যায় মুরগী জীবিত থাকবে।

মুরগি পালনের ক্ষেত্রে আপনি এসব নিয়ম অবলম্বন করলেই দেশি মুরগি লালন পালন করতে পারবেন এবং সেখান থেকে লাভ করতে পারবেন।

দেশি মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ

যারা খামারে দেশি মুরগি লালন পালন করে তারা কিছু ভিটামিন ওষুধ খাওয়ায় থাকে যার ফলে মুরগি খুব দ্রুত বড় হয়। আপনি যদি আপনার বাড়িতে পোষা মুরগিকে বা খামারের পোষা মুরগি বড় করতে চান তাহলে নিচে বলা ওষুধ গুলা খাওয়াতে পারেন
  1. Calgophos এই ওষুধের দাম ৮৫০ টাকা। এই ওষুধের পরিমাণ এক লিটার হয়ে থাকে। এই ওষুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি হচ্ছে সকাল এবং রাত ১২ ঘণ্টা পরপর একবার করে দিবেন দুই লিটার পানিতে এক গ্রাম করে এই ওষুধ মিশিয়ে খেতে দিবেন তাহলে ওজন দ্রুত বাড়বে।
  2. এমাইনোভিট প্লাস। এই ওষুধের দাম ৪৫০ টাকা। এই ওষুধের পরিমাণ হাফ লিটার হয়ে থাকে। ৩ লিটার পানির মধ্যে আপনি এই ওষুধ এক গ্রাম বা ১ মিলি দিবেন।
  3. প্রভিট প্লাস। এই ওষুধের দাম ৫৫০ টাকা। এটা হাফ লিটারের বোতল হয়ে থাকে। এই ওষুধ আপনি দুই লিটার পানির মধ্যে এক গ্রাম বা এক মিলি করে দিবেন। এই পদ্ধতি গরমের দিনের জন্য আর শীতকালে আপনি এক লিটার পানিতে এক গ্রাম করে দিবেন।
  4. G min liquid এই ওষুধের দাম ৭৮০ টাকা। এটাও এক লিটারের বোতল হয়ে থাকে। এই ওষুধ সকালে এবং রাত্রে অর্থাৎ 12 ঘন্টা পর পর দিবেন। এই ওষুধ আপনি এক লিটার পানিতে এক গ্রাম দিবেন।
  5. P Booster এই ওষুধ ঘ্রাণের দিক দিয়ে অতুলনীয়। এই ঔষুধ মুরগি বড় করার জন্য খুব ভালো কার্যকারী। এই ওষুধটি আপনি ৫০ কেজি খাবারের মধ্যে ৫০ গ্রাম দিবেন অর্থাৎ প্রতি খাবারে এক প্রতি কেজি খাবারে ১ গ্রাম করে দিবেন। এই ওষুধটির দাম ৯০০ টাকা।

মুরগির ওজন বৃদ্ধি করার জন্য আপনি এই ওষুধগুলো খাওয়াতে পারেন। এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ওষুধ খাওয়ানোর ফলে খুব সহজে আপনার মুরগি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাবে।

দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি

অনেকে আছেন যারা দেশি মুরগির বাচ্চা পালন করতে চান এবং বাচ্চা থেকে বড় করে বাসায় খেতে চান বা ব্যবসা করার ইচ্ছা করে থাকেন। বাচ্চা পালন পদ্ধতি কিভাবে করতে হয় এখন তা বলা হবে
  • বাচ্চা কেনার পূর্বে অবশ্যই ভালো জাতের বাচ্চা কিনতে হবে।
  • বাচ্চা নিয়ে আসার পরে ভ্যাকসিন দিয়ে নিতে হবে যাতে করে অসুস্থ হয়ে না যায়।
  • বাচ্চাদের যেখানে থাকতে দিবেন সে জায়গাটা পর্যাপ্ত পরিমাণ বড় হতে হবে তাছাড়া তারা বৃদ্ধি হবে না।
  • বাচ্চাদের যেখানে রাখা হবে তার নিচে ধানের তুষ কারেতের গুঁড়ো এগুলো বিছিয়ে দিবেন।
  • ঠিকমতো খাবার খেতে দিতে হবে। তাদেরকে ভিটামিন খাওয়াতে হবে যাতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে বৃদ্ধি হয়।
  • তাদের বাসস্থান এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে সেখানে ক্ষতিকর কোন পোকা বা সাপ ঢুকতে না পারে তাছাড়া বাচ্চা মেরে ফেলবে।
  • ঠিকমতো তাদের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত খাবার খেতে দিতে হবে এবং পানি দিতে হবে।
বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় লক্ষ্য রাখলে আপনি খুব সহজে দেশি মুরগির বাচ্চা পালন করতে পারবেন। বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যদি বাচ্চাকে তার মায়ের সাথে রাখা হয় সেক্ষেত্রে তা খুব সহজে বড় হবে এবং ভিন্ন ভাবে দেখাশোনা করা লাগবে না। তাই যখন আপনি বাচ্চা কিনে নিয়ে আসবেন চেষ্টা করবেন সাথে একটি বড় মোরগ কেউ কিনে নিয়ে আসার তাহলে সেই বাচ্চা গুলোকে ঠিকমতো দেখাশোনা করতে পারবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার

গামবোরো রোগ এই রোগ একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগের কারণে ৩০% মুরগি মারা যায়। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগটি সাধারণত ১০-১৫ দিন বয়সে হয়ে থাকে। এই রোগ হলে আপনি ভ্যাকসিন বা টিকা প্রয়োগ করে নিবেন এবং ভিটামিন খাওয়াবেন তাহলে ঠিক হয়ে যাবে।

ফাউল পক্স রোগ হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। মুরগির যে কোন বয়সে এই রোগ হতে পারে। এই রোগ একজনের হলে সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। ফাউল পক্স রোগ হওয়ার সাথে সাথে এই রোগের টিকা দিয়ে নিবেন তাহলেই আপনার মুরগি সুস্থ হয়ে যাবে। এছাড়া মুরগি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃমির সংক্রামন। কৃমি হলে মুরগির খাবারের রুচি কমে যাবে এবং শরীর থেকে আস্তে আস্তে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকবে। তাই যখন আপনি আপনার মুরগির মধ্যে খাবারের অরুচি ভাব লক্ষ্য করবেন তখনই তাকে কৃমির ওষুধ খাওয়ায়ে দিবেন তাহলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং মুরগি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।

ফাউল কলেরা অতিরিক্ত গরম পরার কারণে কলেরা হয়ে থাকে এজন্য সবসময় বলা হয় মুরগিকে এমন জায়গায় রাখা যেখানে অতিরিক্ত শীত হবে না এবং অতিরিক্ত গরমও হবে না। কলেরা হইলে ৩৫ থেকে 40% মুরগি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কলেরা হওয়ার সাথে সাথে কলেরা টিকা বা যেসব এন্টিবায়োটিক রয়েছে সেগুলো খাওয়াই দিলেই ঠিক হয়ে যাবে।

এসব রোগ ছাড়াও মুরগির ফাউল টাইফয়েড,রক্ত আমাশয়,ডাক প্লেগ কানে বা শরীরে বিভিন্ন রকমের কাটা ছিরা দাগ এগুলো দেখা যেতে পারে। এগুলো প্রত্যেকটির জন্যই আপনি টিকা বা কিছু এন্টিবায়োটিক পাবেন সেই ওষুধগুলো খাওয়ায় দিলে খুব সহজেই আপনার মুরগির রোগ ভালো হয়ে যাবে।

দেশি মুরগির খাবার তালিকা

মুরগি পালনের ক্ষেত্রে তাদেরকে নিয়মিত খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে খাবারের কিছু নিয়ম এবং খাবারের তালিকা রয়েছে সেই অনুপাতে তাদেরকে খাবার খাওয়ালে খুব সহজে তারা বড় হয় এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হয়। খাবারের দিক দিয়ে দুইটি পদ্ধতি রয়েছে

আপনি যদি মুরগির ছেড়ে দিয়ে পালন করতে চান তাহলে আপনার কোন রকমের খাবারের প্রয়োজন হবে না। হয়তো সামান্য পরিমাণে চাল বা গমের প্রয়োজন হবে এছাড়া কিছু দরকার হবে না। তারা নিজেরাই সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করে নিজেদের খাবার ব্যবস্থা করে নিবে। এক্ষেত্রে শুধু তাদেরকে রাতে থাকার জন্য একটি জায়গা করে দিলে তারা খুব সহজে সেখানে বসবাস করতে পারবে। এভাবে মুরগি পালন করলে মুরগি খুব দ্রুত বড় হয় না এবং ডিম পাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমে যায়।

আপনি যদি খামার হিসেবে লালন পালন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত ধান গম ভুট্টা এগুলো একসাথে করে খাওয়াতে হবে। যদি আপনি ফিট খাওয়ান তাহলে দেশি মুরগির মধ্যে পুষ্টিগুণ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে আর আপনি যদি ফিট খাওয়ানোর পাশাপাশি পুঁইশাক পালং শাক পাতাকপি এগুলো খাওয়ান তাহলে আস্তে আস্তে তা ফিরে আসবে।


অবশ্যই আপনি মুরগিকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে শামুক তালিকায় রাখতে পারেন। শামুক খাওয়ানোর ফলে মুরগির পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়। মুরগিকে কখনো কোন রকমের পোকা মাকড় এই জাতীয় কিছু খেতে দিবেন না। দেশি মুরগির জন্য সবচেয়ে প্রধান খাবার হচ্ছে চাউল ধান গম এগুলোই। তাই আপনি যদি দেশি মুরগি পালন করতে চান সেক্ষেত্রে এই খাবারগুলো খাওয়াতে পারেন।

এতে করে আপনার মুরগি দ্রুত বড় হবে এবং পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ হবে। একটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন কখনো মুরগিকে এমন কিছু খাওয়াবেন না যার ফলে মুরগির গোস্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায় অথবা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ না হয়।

মুরগি পালন সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন মুরগির সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার কোনটি?

উত্তর

মুরগির দেহে সবসময় পুষ্টিকর ভিটামিন এবং শতকরা জাতীয় খাবার প্রয়োজন হয়। এজন্য আপনি তাদেরকে গম,চালের খুদ,চাল,ভুট্টা,ধান এগুলো খাবেন।

২ প্রশ্ন মুরগির ত্বক কি ভালো?

উত্তর

দেশি মুরগির ত্বক খাওয়া হার্টের রোগীর জন্য খুব উপকারী এছাড়াও এই ত্বক রক্তে কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩ প্রশ্ন মুরগিকে হলুদ খাওয়ালে কি হয়?

উত্তর

আপনি মুরগিকে হলুদ খাওয়ানোর ফলে মুরগির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে কারণ হলুদ হচ্ছে উন্নতমানের এন্টিসেপটিক তাই সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন এক লিটার পানিতে দুই চামচ হলুদ বাটা বা হলুদের গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে মুরগি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

শেষ কথা

দেশী মুরগির চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এজন্য আপনার এখন থেকে উচিত আপনি যদি চান সে ক্ষেত্রে দেশি মুরগি চাষ শুরু করতে পারেন আপনি নিয়মমাফিক দেশি মুরগি চাষ করলে লাভবান হতে পারবেন আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url