কমলা এবং কমলার খোসার অপকারিতা উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি পোষ্টের মধ্যে কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা এবং কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে কমলার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা এবং কমলা খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন কমলা খাওয়ার নিয়ম,গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা, কমলা খাওয়ার অপকারিতা,কমলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

কমলা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল যেটা সারা বছর জুড়ে পাওয়া যায়। কমলা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কমলা দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজও করা যায় যেমন রূপচর্চা,জুস বানিয়ে খাওয়া, চায়ের মধ্যে ব্যবহার করা আরো বিভিন্ন রকম। কমলাতে ভিটামিন সি,ভিটামিন এ আরো বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে যেগুলো প্রত্যেকটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী।


আপনি বাজারে গেলে কমলার মত দেখতে আরো দুই রকমের ফল পাবেন সেগুলো হচ্ছে মান্দারিন ও ট্যাঞ্জারিন। এগুলো কেউও কমলা বলে চালানো হয় এজন্য অবশ্যই কমলা কেনার ক্ষেত্রে একটু সর্তকভাবে কিনবেন তাছাড়া আপনাকে প্রতারিত হতে হবে।

কমলা খাওয়ার নিয়ম

কমলা খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে খাওয়া উচিত তাছাড়া কমলা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। চলুন আমরা এবার কমলা খাওয়ার কি কি নিয়ম রয়েছে এবং কিভাবে কিভাবে খাওয়া যায় সেসব সম্পর্কে জানি
  • প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ টি কমলা খাবেন। এর চেয়ে বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তাছাড়া আপনার পেটে সমস্যা এবং আরো বিভিন্ন সমস্যায় ভুগবেন।
  • কখনো খোসা সহ কমলা খাবেন না। কমলা খাওয়ার ক্ষেত্রে খোসা আলাদা করে নিবেন।
  • চেষ্টা করবেন সকালে নাস্তায় কমলা খাওয়ার। ওই সময় কমলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে ফাইবার থাকবে এবং পেট অনেক সময় ভোরে থাকবে।
  • আপনি কমলা চিপে রস ছোট বাচ্চাদের খাওয়াতে পারবেন এতে করে তাদের শরীরের জন্য বেশ পুষ্টিকর হবে।
  • কমলার জুস করে খাওয়ার ফলে আপনার ভিতরে একটি রিফ্রেশমেন্ট কাজ করবে এবং অস্বস্তি ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • কখনো খালি পেটে কমলা খাবেন না সবসময় চেষ্টা করবেন ভরা পেটে খাওয়ার।
  • কমলা চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং খাবার শেষে কুয়া ফেলে দিবেন না বরং সেটাও খেয়ে নিবেন তাহলে পুষ্টি বেশি পাবেন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলা খাবেন না বরং কমলা খাওয়ার আগে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে নিয়ে তারপরে কমলা খাবেন।
  • দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তাছাড়া আপনার গ্যাসের সমস্যা হবে।
  • খাবার খাওয়ার  ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে খাবেন অথবা দুপুরে খাবারের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে খাবেন।
আপনি কমলার উপকারিতা পাওয়ার জন্য এসব নিয়ম অনুসরণ করে কমলা খাবেন তাহলে উপকৃত হতে পারবেন এবং ক্ষতি হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা

কমলার খোসাতেও অনেক রকমের ভিটামিন এবং পুষ্টিগুন থাকে। আপনি কমলার খোসা ব্যবহার করে অনেক রকমের উপকৃত হতে পারবেন। চলুন এবার কমলার খোসা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় এবং উপকৃত হওয়া যায় সেসব জানি
  • কমলার খোসাতে ভিটামিন সি রয়েছে যা মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
  • কমলার খোসার সাথে এসে নিওশিয়াল অয়েল থাকে আর সেটা লাইমোমেন দ্বারা সমৃদ্ধ এজন্য চামড়ার ক্যান্সার হওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।
  • কমলার খোসায় আঁশ থাকে যেটা খাওয়ার ফলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থাকলে সেগুলো ভালো হয়ে যাবে।
  • আপনি কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চাও করতে পারবেন। ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কমলার খোসা বেশ কার্যকারী।
  • কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে আপনি সেটা দিয়ে রুম ফ্রেশনারও বানাতে পারবেন। এতে করে আপনার রুম সব সময় সুগন্ধ হয়ে থাকবে।
  • রান্নাঘর পরিষ্কার করতে কমলার খোসা আপনাকে সাহায্য করবে। ভিনেগার এবং কমলার খোসা একসাথে করে রান্নাঘর পরিষ্কার করার ফলে খুব দ্রুত পরিষ্কার হয় এবং সব ধরনের দাগ উঠে যায়।
  • রান্নার ঘ্রাণ এবং স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারবেন। কমলার খোসায় যেহেতু ভিটামিন সি থাকে সেহেতু আপনার খাবারকে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ করে তুলবে এবং সুগন্ধিময় করে তুলবে।
  • দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে কমলার খোসা বেশ কার্যকারী। কমলার খোসা এবং সামান্য লবণ দিয়ে দাঁতে ঘষামাজা করার ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে যাবে এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • যারা বাসায় কেক,বিস্কিট বা এরকম খাবার তৈরি করেন তারা কমলার খোসা গুড়ো করে সেগুলো দেয়ার ফলে স্বাদ বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাণ সুন্দর হবে।
  • কমলার খোসা খাওয়ার ফলে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • আপনি এই কমলার খোসা চা খাওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে আপনি উপকৃত হতে পারবেন এবং সুন্দর একটি ঘ্রাণ উপভোগ করতে পারবেন।
  • আপনি কমলার খোসা গুড়ো করে সে গুড়ো শরবত করে খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শ্বাস প্রশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন।
  • কমলার খোসায় আদ্রতা ভাব বেশি থাকে এজন্য লবণ বা চিনিতে যদি কোন কারণে। পানি পড়ে ভিজে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি সেগুলোর উপরে কমলার খোসা দিয়ে রাখুন এতে করে খুব সহজে পানি চুষে নিয়ে সেগুলো ঝরঝরা করে দেবে।
  • আপনি যদি গোসল সময় কুসুম গরম পানিতে কমলার খোসা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে ঘুমের সময় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • কমলার খোসা রস করে খাওয়ার ফলে পিত্তের এবং কফের যদি কোন রকমের সমস্যা থাকে তাহলে সে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা বেশ কার্যকারী একটি উপাদান সাথে সাথে রক্তের ক্ষতিকর কলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আপনি এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে যত্ন সহকারে রাখুন এবং খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

কমলা একটি উপকারী ফল। কমলাতে বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে। কমলা খাওয়ার ফলে আপনি কি কি উপকারিতা পাবেন এবার সেসব জানুন
  • কমলা এমন একটি ফল যেটা খাওয়ার ফলে অসুস্থতা দূর হয়ে। শরীর সুস্থ হয়ে যায় এবং শরীরের দুর্বলতা দূর হয়ে যায়।
  • কমলাতে ভিটামিন সি থাকে এবং ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম ফাইবার এসবও থাকে যেগুলো প্রত্যেকটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়।
  • কমলা খাওয়ার ফলে ওজন খুব দ্রুত কমে। যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত একটি থেকে দুইটি কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • কমলা খাওয়ার ফলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়।
  • প্রতিদিন একটা করে কমলা খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের রোগ হতে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। কমলা ফুসফুস ক্যান্সার,ত্বক,চামড়া পাকস্থলি এসবের ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • যারা চোখে কম দেখেন বা দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয় তারা নিয়মিত কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষদের দৃষ্টি শক্তি কম হয়ে যায় এজন্য তাদেরকে নিয়মিত কমলা খাওয়া উচিত।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে।
  • নিয়মিত কমলা খাওয়ার ফলে শরীরের শর্করা এবং রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়া থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
  • আপনি যদি ক্লান্ত হয়ে যান সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ কমলা খেয়ে নেন তাহলে আপনার ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে কারণ কমলাতে পটাশিয়াম রয়েছে।
  • কমলা খাওয়ার ফলে মুখের ঘা ভালো হয়ে যায়।
  • কমলা খাওয়ার ফলে দাঁত এবং শরীরের হাড় শক্ত হয় এবং দ্রুত গঠনের সাহায্য করে এজন্য ছোট বাচ্চাদের নিয়ম প্রতিদিন কমলা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
  • আপনি যদি নিয়মিত কমলা খান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এবং শরীরে আয়রন সঞ্চয় করতেও সহায়তা করবে।
  • কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা এখন অধিকাংশ মানুষের হয়ে থাকছে। আপনি নিয়মিত যদি কমলা খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে আপনি সুস্থ থাকবে এবং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবেন।
  • শরীরের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে যার ফলে ত্বক সুন্দর থাকে।
  • যাদের বাতের ব্যাথার সমস্যা রয়েছে বা শরীরের গিরায় গিরায় ব্যথা তারা নিয়মিত কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার বাতের ব্যথা এবং গিরার ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের আলসারের সমস্যা রয়েছে তারা কমলার রস খান। কমলার রস খাওয়ার ফলে আলসারের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • রক্তচাপ এবং স্পন্দনের গতি ঠিক রাখতে কমলা বেশ কার্যকারী এক ফল।
আপনি কমলা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য এবং এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিয়মিত কিছু করে হলেও কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় একটি মহিলার জন্য অনেক রকমের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। সেগুলো খাবারের তালিকায় কমলাকেও উপরের দিকে রাখা জরুরি। চলুন গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে কি কি উপকার পাবেন সেগুলো জানুন
  • প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার জুস খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে শরীরে ভিটামিন সি প্রবেশ করবে এবং পটাশিয়াম যেগুলো একটা গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক জরুরী।
  • গর্ভবতী মহিলা কমলা বা কমলা জুস খাওয়ার ফলে পেটের বাচ্চার ত্বক এবং সেই মহিলার ত্বক সুন্দর থাকবে।
  • রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং উচ্চ রক্তচাপের যেগুলো হয় সেসব সমস্যা গুলো থেকে নিরাপদ রাখবে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিটি মহিলার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে। কমলা বা কমলার রস খাওয়ার ফলে সে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং পেটের আরও বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • শিশুর শরীরে ওজন বৃদ্ধি করতে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে কমলালেবুর গুরুত্ব অপরিসীম।
  • গর্ভবতী থাকাকালীন একজন মহিলার অনেক রকমের রোগ হয়ে থাকে। নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে।
  • গর্ভাবস্থায় কচুর শাক এবং কমলা খাওয়ার ফলে শরীরে রক্ত তৈরি হয়। এসব রক্ত বাচ্চা হওয়ার সময় রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে দিবে।
  • যেসব গর্ভবতী মহিলার অনিদ্রার সমস্যা হয়,রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না তারা কমলা বা কমলার রস খাওয়ার ফলে তাদের এই ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। গর্ভবতী অবস্থায় একজন মহিলার জন্য ঘুম অত্যন্ত একটি জরুরি বিষয়।
  • পেটে বাচ্চা আসার সময় থেকে বমি বমি ভাব প্রায় থাকে। বমির ভাব দূর করতে কমলা বেশ কার্যকারী।
  • গর্ভবতী মহিলার বেশি করে খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। অনেকে দেখা যায় যে হজম শক্তির সমস্যা হয় এজন্য যাদের হজমশক্তির সমস্যা হবে তারা কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে।

তাই চেষ্টা করবেন প্রতিটি মহিলাকে পেটে বাচ্চা আসার সময় থেকেই প্রতিদিন কিছু কিছু করে কমলা অথবা কমলার রস খাওয়ানোর এগুলোর ফলে মহিলা সুস্থ থাকবে এবং পেটের বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসতে পারবে।

কমলা খাওয়ার অপকারিতা

কমলা খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো বিশেষ কারণে হয়ে থাকে।চলুন এবার সেসব অপকারিতা গুলো জেনে নেই
  • বাচ্চাদের কখনো অতিরিক্ত কমলা খাওয়াবেন না। তাদেরকে অতিরিক্ত কমলা খাওয়ানোর ফলে পেটব্যথা এবং পেটের আরো সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত কম খাওয়ার ফলে গ্যাস বুক জ্বলা এবং এসিডের সমস্যা হতে পারে।
  • আপনার শরীরে যদি এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ওই সময় কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তাছাড়া আপনার অ্যালার্জি সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। শরীর চুলকানো শরীর ফুলে যাওয়া এরকম সমস্যা হয়ে যাবে।
  • অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার ফলে হার্ট দুর্বল হয়ে যায এতে করে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
  • অনিয়মিত এবং পরিমাণ এর চেয়ে বেশি কমলালেবু খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাই চেষ্টা করবেন নিয়ম করে কমলা খাওয়ার তাহলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
  • কমলা খাওয়ার ফলে যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় তেমনিভাবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বদহজম হবে এবং এখান থেকে আপনার ডায়রিয়া আরও বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের হার্ট এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তাছাড়া আপনাদের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
এই সমস্যাগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য অতিরুক্ত কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়ম করে কমলা খান তাহলে উপকৃত হতে পারবেন এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।

কমলার খোসার অপকারিতা

কমলার খোসা খাওয়া বা ব্যবহার করার মধ্যে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন সমস্যা বা ক্ষতিকর দিক নেই যতক্ষণ আপনি নিয়ম করে খাবেন অথবা ব্যবহার করবেন। যখন আপনি অতিরিক্ত খাবেন বা ব্যবহার করবেন তখন আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। অতিরিক্ত কমলার খোসা খাওয়ার ফলে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে, হার্টের সমস্যা,কিডনির সমস্যা হতে পারে।

বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কমলার খোসা খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। তাদের পাকস্থলীতে কমলার খোসা গ্রহণ করতে এখনও সক্ষম হয়নি। আপনি যদি নিয়মের মধ্যে যে কোন খাবার বা কমলার খোসা খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোনরূপ কোন ক্ষতি হবে না বরং আপনি এগুলো থেকে অনেক উপকৃত হতে পারবেন।


যদি সহজ ভাবে বলা যায় কমলার খোসার উপকারিতা যেগুলো উপরে বলা হয়েছে আপনি যদি অতিরিক্ত খান বা ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে আপনি সেগুলোরই ক্ষতিকর দিকের সম্মুখীন হবেন।

কমলা এবং কমলার খোসা সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন কমলালেবুর খোসা মুখে দিলে কি হয়?

উত্তর

মুখে কমলার খোসা ব্যবহার করার ফলে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর হয়ে যায, চেহারা উজ্জ্বল হয় এবং চেহারায় জীবাণু থাকলে সেগুলো দূর হয়ে যায়।

২ প্রশ্ন কমলার খোসায় কি আছে?

উত্তর

কমলার খোসাতে এন্টি মাইক্রোবিয়াল,এন্টি ইনফ্লেমেটরি,এন্টি ফাঙ্গাল থাকে এবং ভিটামিন সি,ভিটামিন এ থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি।

৩ প্রশ্ন কমলার সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশ কোনটি?

উত্তর

কমলার মাংসের চেয়ে কমলার খোসায় বেশি ফাইবার এবং ভিটামিন সি থাকে এজন্য চেষ্টা করবেন কমলা খাওয়ার পাশাপাশি কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে খাওয়া এবং রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করার।

৪ প্রশ্ন ঠান্ডা লাগলে কমলা খাওয়া যাবে কি?

উত্তর

আপনি যদি ঠান্ডা দূর করার জন্য কমলা খেতে চান বা কমলা রস খান সে ক্ষেত্রে এটা আপনার জন্য কোন কার্যকরী চিকিৎসা হবে না। আপনি সুস্থ হওয়ার জন্য খেতে পারেন তবে এগুলো দূর করার জন্য খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি ঠান্ডা লাগা দূর না হতেও পারে।

৫ প্রশ্ন কমলার খোসা কি চুলের জন্য ভালো?

উত্তর

কমলার খোসা চুলের জন্য অনেক উপকারি। এটা আপনি হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। কমলার খোসা চুলে ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল সিল্কি হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পুষ্টি সমৃদ্ধ হবে।

শেষ কথা

কমলা খাওয়া এবং কমলা খোসার খাওয়ার উপকারিতা অনেক এজন্য চেষ্টা করবেন প্রতিদিন বা সপ্তাহে কিছু পরিমাণ কমলা খাওয়ার যাতে করে আপনি উপকৃত হন এবং সুস্থ থাকেন।আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url