মেকাপের জিনিসের নাম এবং দাম - মেকাপ আইটেম নাম

প্রিয় পাঠক আপনি কি মেকাপের জিনিসের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টে আপনার জন্য। আমি এ পোস্টের মধ্যে মেকাপের জিনিসের নাম এবং কোন ব্রান্ডের মেকাপ ভালো ও মেকাপ সম্পর্কে যাবতীয় সব কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন আশা করি আপনি মেকাপ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
মেকাপের জিনিসের নাম এবং দাম
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন মেকাপ সেটিং স্প্রে, মেকাপ ব্রাশের ব্যবহার, মেকাপ কিভাবে করে এসব সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

সাজসজ্জা মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ। সাজসজ্জা করার অনেক রকমের জিনিস রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মেকাপ। মেকাপ এমন একটি জিনিস যেটা সব মেয়েরা ব্যবহার করে থাকে। মেকাপ করার কারণে মেয়েদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়। যারা প্রাথমিক অবস্থা মেকাপ শুরু করে তারা মেকাপের নাম জানে না এবং কোন মেকআপ ভালো এ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান থাকে না। এই পোস্টের মধ্যে মেকআপ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


যাতে করে আপনি ভালো মেকআপ এবং মেকআপের জিনিসের নাম সম্পর্কে জানতে পারেন।

মেকাপের জিনিসের নাম

পৃথিবীতে অসংখ্য মেকাপ করার জিনিস রয়েছে। কোনগুলো ভালো আবার কোন গুলো খারাপ এজন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য যেসব মেকাপের নাম প্রয়োজন সেসবের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো
  • প্রাইমার মেকআপের জিনিসের নামসমূহের মধ্যে প্রথমে হচ্ছে প্রাইমার। আপনি যখন মেকাপ করবেন তার আগে প্রাইমার প্রয়োজন। প্রাইমার এমন একটি জিনিস যেটা আপনার মেকআপ কে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • কালার ফাউন্ডেশন কাউন্সিলর প্যালেস মেকাপের ক্ষেত্রে এই জিনিসটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করে দেয়।
  • আইশ্যাডো হচ্ছে চোখের মেকাপ। এটা ব্যবহার করার দ্বারা আপনার চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যাসিক লিপিস্টিক প্যালেট পৃথিবীতে অসংখ্য পরিমাণে লিপস্টিক রয়েছে। আপনি লিপিস্টিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পছন্দের কালার অনুযায়ী লিপিস্টিক বেছে নিবেন তবে সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার কাপড়ের সাথে ম্যাচিং কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করার।
  • ব্লো এটি একটি পাউডার জাতীয় জিনিস এটা আপনার মেকাপের ব্যালেন্স ঠিক করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • আইলাইনার এবং লিফলাইনার আইলানার চোখের পাপড়ির জন্য ব্যবহার করা হয়। চোখের পাপড়িকে কালো করার জন্য মেয়েরা আইলাইনার ব্যবহার করে থাকে। অনেকে লিপিস্টিকের পরিবর্তে লিফলাইনার ব্যবহার করে থাকে।
  • সেটিং পাউডার আপনার যেকোনো লুক পরিপূর্ণ করার জন্য সেটিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।
  • আপনার মেকআপ যাতে ঠিক থাকে এজন্য সেটিং স্প্রে ব্যবহার করা হয়। আরো অনেক জরুরি জিনিস রয়েছে।
একেকটি জিনিস একেক রকমের কাজ। এখানে কিছু মেকাপের কাজ বলা হলো। নিচে মেকাপের কিছু নাম দেয়া হল-
  • বিউটি ব্লেন্ডার। এটা দিয়ে মেকআপ করার ফলে মেকাপের মধ্যে কোন রকমের স্পট পড়ে না। এটা দিয়ে মেকআপ করলে ব্রাশ দিয়ে মেকআপ করার তুলনায় তুলনায় বেশি সুন্দর দেখায়।
  • মেকাপ কেস। এখানে অনেক ধরনের মেকআপ থাকে যেগুলোকে একটি কেস হিসেবে বা প্যাক হিসেবে ধরা হয়।
  • ফেস কমপ্যাক্ট। এটা মুখের সম্পূর্ণ মেকআপ কে কভার করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • মেকাপ ব্লাশার। এটা মেকআপ করার যে ব্রাশ সেট গুলো রয়েছে সেগুলোকে বুঝায়। 
  • লিকুইড লিপস্টিক। এটা এক ধরনের পানি জাতীয় লিপস্টিক। অনেকে ক্রিম জাতীয় লিপস্টিকের পরিবর্তে এই লিপিস্টিক ব্যবহার করে থাকে। এই লিপিস্টিক ঠোঁটের সাথে একেবারে লেগে থাকে যার কারণে সুন্দর দেখায়।
  • কাজল। কাজল চোখকে অসম্ভব সুন্দর করে তুলে পাশাপাশি মেকআপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কাজলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
  • মাসকারা। এটা চোখের ভ্রকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে চোখের ভ্রকে সুন্দর এবং কালো দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • হাতের ক্রিম। হাতকে শুষ্কতা থেকে বাঁচাতে হাতের ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহার করার ফলে হাতে শুষ্ক ভাব দূর হয় এবং হাতকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলে।
  • নেইল পেইন্ট। হাতের নখকে কালারফুল করতে এবং দৃষ্টিনন্দন দেখাতে এটা ব্যবহার করা হয়। 
  • মেকআপ স্পঞ্জ। এটাও মেকআপ ব্রাশের মত এক ধরনের নরম জিনিস এটা দিয়ে মেকআপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • ঠোঁটের আভা। এটা ঠোঁটকে গোলাপি এবং সুন্দর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা ব্যবহার করার ফলে মেকাপের সাথে ঠোঁট মানানসই হয়ে ওঠে।
  • লিপস্টিক। ফোটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং সুন্দর দেখাতে লিপিস্টিক ব্যবহার করা হয়।বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কালারের লিপস্টিক রয়েছে। লিপিস্টিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কাপড়ের কালার এর উপর এবং নিজের চেহারা সৌন্দর্যের উপর ভিত্তি করে ব্যবহার করা উচিত।
  • মেকাপ এপ্লিকেটর
  • মাসকারা। যাদের চোখের পাপড়ি কম তাদের জন্য এটা ব্যবহার করা ভালো। এটা চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলে চোখকে সুন্দর দেখায়।
  • ব্রোঞ্জার। স্কিনের সাথে মেকআপ কে সুন্দরভাবে ফিট করে রাখার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • আইশ্যাডো প্যালেট। চোখকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং চোখের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে তুলতে এইটা ব্যবহার করা হয়। এটা অনেক রকমের হয়ে থাকে।
  • কন্সিলার। মুখে বিভিন্ন রকমের কালো দাগ এবং চোখের নিচের কালো দাগ থাকার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
  • লেন্স। চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই কৃত্রিম লেন্স ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহার করার ফলে চোখ আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
  • ফেক ল্যাশ। এটা এক ধরনের কৃত্রিম পাপড়ি। যাদের চোখের পাপড়ি ছোট অথবা কম তারা এটা ব্যবহার করে থাকে। এটা ব্যবহার করলে চোখকে সুন্দর দেখায়।
  • কমপ্যাক্ট পাউডার। মুখে ব্যবহৃত ফাউন্ডেশন এবং কন্সিলরকে মুখের উপরে ভালোভাবে সেট করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • বিউটি ব্ল্যান্ডার। অনেকে মেকআপ করার জন্য মেকআপ ব্রাশের পরিবর্তে এটা ব্যবহার করে থাকে। এটা মূলত মেকআপ করার একটি ব্রাশের মতোই জিনিস।
  • ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং মেকআপ করার আগে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে মেকআপ খুব সুন্দর ভাবে মুখে বসে।
  • ফেস সিরাম। মুখের ত্বককে রোদ থেকে দূরে রাখতে এবং মুখের ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • আইভ্রু কিট। আইভ্রুকে ঘন এবং সুন্দর করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহার করার ফলে আইভ্রুকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর দেখায়।
  • লিপবাম। ঠোঁটে নরম এবং গোলাপি করার জন্য লিপবাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • টোনার: মাস্ক / ফেসওয়াশ। এটা ব্যবহার করলে ত্বক থেকে জীবাণু দূর হয়ে যায় এবং ত্বকে শুষ্কভাবে দূর করে আর্দ্রতা ভাব ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
  • কালার কারেক্টার। চেহারার বিভিন্ন রকমের দাগ ঢাকতে এইটা ব্যবহার করা হয়।
  • কন্টোর Contour মেকআপ করার পরে চেহারায় ন্যাচারাল লুক নিয়ে আসার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • Highlighter এটা আপনার চেহারার সৌন্দর্য তুলে ধরতে এবং মেকআপ কে স্পষ্ট করে তুলতে ব্যবহার করা হয়।
  • আই প্রাইমার। চোখের মেকআপ অক্ষত এবং নিখুঁত রাখার জন্য এইটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • কনট্যুরিং প্যালেট । এটা ব্যবহার করলে মেকআপের সুন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে তুলে এবং মেকআপ কে আরো আকর্ষণীয় করে।
  • লিপ গ্লস। ঠোঁটে নরম এবং সুন্দর রাখার জন্য মেকআপ করার পরে ঠোঁটে এটা ব্যবহার করা হয়।
  • নেইল পেইন্ট। হাতের নখকে চাকচিক্যময় করতে এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এটা নখে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • ফেস কমপ্যাক্ট। বিভিন্ন রকমের মেকআপ করার পর চেহারায় তৈলাক্ত ভাব থাকে সেই তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয় ফলে মেকআপকে সুন্দর দেখায়।

কোন ব্রান্ডের মেকাপ ভালো

মেকাপ কিনতে গেলে মেকআপ সমূহের নাম জানার পাশাপাশি কোন ব্রান্ডের ভালো সেটাও জানা জরুরি। অনেক ব্রান্ড পাবেন যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো খারাপ এবং অনেকগুলো ভালো। কোন কোন ব্র্যান্ডের মেকাপ ভালো সেগুলো জানুন
  • meyblline fit me matte + poreless এই ব্রান্ডের মেকআপ গুলা ভালো।এই মেকাপগুলো প্রতিটা স্কিনের জন্য মানানসই । যাদের অয়েলি স্কিন তারা মেকাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এসব ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন। এই মেকাপ গুলো ছয় থেকে সাত ঘন্টা আপনার চেহারায় থাকবে কোন রকমের সমস্যা ছাড়া।
  • loreal আপনি এই ব্র্যান্ডের মেকাপ গুলো কিনতে পারেন। এই ব্রান্ডের মেকাপ গুলো সব ভালো এগুলো। এগুলো যেহেতু বিদেশি পণ্য এগুলো কেনার ক্ষেত্রে দাম একটু বেশি নেবে কিন্তু এই মেকআপ গুলো ভালো।
  • wet n wild এই ব্রান্ডের মেকআপ গুলো খুব মানসম্মত হয়। আপনি কেনার ক্ষেত্রে এই ব্র্যান্ডের মেকআপ কিনতে পারেন।
  • note mattifyling আপনি এ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এই ফাউন্ডেশন আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটা আপনার ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ বের করবে না।
  • Lakme. এটি একটি ইন্ডিয়ান কোম্পানি। এ কোম্পানির মেকাপ গুলো অনেক ভালো এছাড়াও এ কোম্পানিতে ভালো ভালো ত্বকের জন্য ক্রিম পাওয়া যায়।
  • Naykaa এটি একটি ইউরোপিয়ান মেকআপ কোম্পানি। এ কোম্পানির প্রতিটি মেকআপ খুব উন্নত মানের।
  • Mac এটি একটি উন্নত এবং দামি মেকআপ কোম্পানি। এ কোম্পানির মেকআপ করার ফলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।
  • Eveline এটি একটি আমেরিকার মেকআপ কোম্পানি। এ কোম্পানির মেকআপ গুলো খুব উন্নতমানের হয়ে থাকে।
আপনি চাইলে দোকানে গিয়ে কিছু বাংলাদেশের পণ্য আছে সেগুলো আপনি কিনতে পারেন ওগুলো আপনার জন্য ভালো হবে তবে চেষ্টা করবেন মেকআপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের ব্যবহার করা।

মেকাপ সেটিং স্প্রে

মেকাপের বিভিন্ন জিনিসের নাম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মেকাপ সেটিং স্প্রে। চলুন এবার এর কাজ সম্পর্কে জানুন মেকআপ সেটিং স্প্রে আপনার মেকাপ কে চেহারার সাথে লেগে থাকে সাহায্য করবে। বাংলাদেশে যেহেতু গরম সেক্ষেত্রে মেকআপ করার সাথে মেকাপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাছাড়া আপনার মেকাপ গরমে ঘেমে নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি মেকআপ করার পরে মেকআপ স্প্রে ব্যবহার করলে আপনার মেকআপ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

চেহারা থেকে গলে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার কোন রকমের ভয় থাকে না। আপনার চেহারায় মেকআপ করার পরে যে একটা পাউডার পাউডার ভাব থাকে সে পাউডার ভাবো দূর করতে সাহায্য করে। মেকাপকে টিস্যু দিয়ে বার বার মুছার ঝামেলায় পরতে হয় না।
  • মেকাপ করা হলে মুখ থেকে ৯ থেকে 10 ইঞ্চি দূরত্বে আপনার মুখে স্প্রে করুন।
  • স্প্রে করার সময় চার থেকে পাঁচবার স্প্রে করবেন এতে করে আপনার মেকাপ দীর্ঘ স্থায়ী হবে।
  • যাদের চেহারা একটু তৈলাক্ত ভাব রয়েছে তারা matt এই ব্যবহার করতে পারেন।
  • যাদের ত্বক শুকনো টাইপের তারাdewy এই স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

মেকাপের যেসব নাম রয়েছে সেসব জানার সাথে সাথে স্প্রের নাম জানাও অত্যন্ত জরুরী তাছাড়া আপনি আপনার মেকাপ কে ঠিক রাখতে পারবেন না।

মেকাপ ব্রাশের ব্যবহার

মেকাপ করার ক্ষেত্রে মেকাবেদ জিনিসের নাম জানার সাথে সাথে মেকাপের ব্রাশের ব্যবহার জানা খুব জরুরী তাছাড়া আপনি পারফেক্টভাবে মেকআপ করতে পারবেন না।
  • ফাউন্ডেশন ব্রাশ এটি আপনার মুখের ফাউন্ডেশন সুন্দর করে এবং ফুল কভারেজ করার জন্য এই ব্রাশ ব্যবহার করা হয়।
  • কনসিলার ব্রাশ এটি আকারে অন্য ব্রাশের তুলনায় ছোট হয়ে থাকে। মুখের কোথাও দাগ অথবা ড্রাক সার্কেল থাকলে সেখানে আপনি মেকাপ করবেন।
  • পাউডার ব্রাশ ঘন ফাইবার দিয়ে বানানো হয়ে থাকে আপনার মুখে পাউডার জাতীয় মেকাপ ব্যবহারের জন্য এই ব্রাশ ব্যবহার করা হয়।
  • আইব্রাও এর জন্য থিম এবং অ্যাঙ্গেল ব্রাশ ব্যবহার করলে চোখের মেকআপ খুব সুন্দর ভাবে করা যায় এবং মেকআপ চোখের উপরে খুব সুন্দর ভাবে ফিট হয়।
  • ক্রিস ব্রাশ মিডিয়াম সাইজের এবং হালকা ফ্লাফি হয়ে থাকে। এই ব্রাশ দিয়ে চোখের পাতা মেকআপ করা হয়ে থাকে।
  • আইশ্যাডো ব্লানডিং ব্রাশ তুলনায় একটু বেশি হোয়াইট এবং ফ্লাপি হয়ে থাকে। এই ব্রাশ দিয়ে চোখের পাতায় করা মেকআপ গুলা ভালোভাবে নাড়াচাড়া করলে সুন্দর কালার আসে এবং ঘন হয়ে যায়।
এছাড়াও আরও অনেক রকমের ব্রাশ রয়েছে যেগুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন রকমের। আমি নিচে ব্রাশের নাম গুলো বলে দিলাম
  • ব্লাড ব্রাশ
  • ফ্লাট ব্রাশ
  • হাইলাইটার ব্রাশ
  • আইশ্যাডো ব্রাশ
  • আইলাইনার ব্রাশ
এগুলো একেকটার কাজ একেক রকম। মেকাপের যেমন বিভিন্ন নাম রয়েছে তেমনি ব্রাশের নামও অনেকগুলো রয়েছে। প্রতিটি মেকাপের কাজ যেমন ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন তেমনিভাবে ব্রাশের কাজে ভিন্ন ভিন্ন।

মেকাপ কিভাবে করে

মেকাপ করার জন্য প্রথমে আপনাকে মেকাপের যেসব জিনিস রয়েছে সেসবের নাম জানা দরকার এতে করে আপনি মেকআপ খুব সুন্দরভাবে করতে পারবেন। আপনার এটা জানা জরুরী কোন মেকআপের কাজ কি এবং কোন মেকআপ কোথায় সুন্দর ভাবে মানানসই হয়। অনেকজন অনেকভাবে মেকআপ করে থাকে।

আপনার কাজ হবে প্রথমে মেকআপ বক্স নিয়ে আপনি কোথায় কোন জিনিস কিভাবে কতখানি দিবেন সে সম্পর্কে মনে মনে ধারণা করে নিয়ে মেকআপ করতে শুরু করবেন।খেয়াল রাখবেন কোন জিনিস যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় এক্ষেত্রে আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করে দিবে। সব সময় চেষ্টা করবেন সিম্পল লুকের মেকআপ করার তাহলে আপনার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে তাছাড়া আপনার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।


আপনি যদি চান তাহলে মেকআপ সম্পর্কে কোন কোর্স করতে পারেন। অনেকে মেকাপ আর্টিস হয়ে থাকে এজন্য আপনার জরুরী হবে কোন মেকআপ কোর্স করা।

শেষ কথা

মেকআপ যেমন ভাবে আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনিভাবে অনেক সময় মেকআপ করার কারণে আপনার সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং আপনার চেহারায় অনেক রকমের ব্রণ বা এ জাতীয় কিছু বের হয়। আপনি অবশ্যই সাবধান থাকবেন। আপনি মেকআপের জিনিসের নাম জেনে সে অনুপাতে মেকআপ করবেন তাহলে আপনার এরকম সমস্যা হবে না।

একেক রকম স্ক্রিনের জন্য একেক রকমের মেকআপ রয়েছে। আপনি সেই অনুপাতে মেকআপ করার চেষ্টা করবেন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও মেকআপ সম্পর্কে ধারণা পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url