কাঁচা ও সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি জলপাই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোষ্টের মধ্যে জলপাই খাওয়ার উপকারিতা এবং জলপাই তেলের উপকারিতা ও জলপাই সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হবে। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন জলপাই সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
জলপাই খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন জলপাই খাওয়ার নিয়ম জলপাই এর আচার রেসিপি,জলপাই এর অপকারিতা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

জলপাই একটি শীতকালীন ফল। শীত আসার সাথে সাথে বাজারে অনেক রকমের সবজি এবং ফলমূল পাওয়া যায়। সেসবের মধ্যে একটি হচ্ছে জলপাই। জলপাই অনেক ভিটামিনযুক্ত ফল। জলপাইয়ের মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি আরও বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে। জলপাই খাওয়ার পাশাপাশি জলপাই তেল অনেক দামি এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এছাড়াও জলপাই এবং জলপাই তেল আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।


এজন্য এই পোস্টের মধ্যে জলপাই সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে। আপনি এ পোস্টটি পড়ার পরে জলপাই খাওয়ার প্রতি আপনার আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।

জলপাই খাওয়ার নিয়ম

জলপাই যেহেতু শুধু শীতকালে পাওয়া যায় এক্ষেত্রে জলপাই খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি নিয়ম অনুযায়ী জলপাই খাওয়ার ফলে জলপাই খাওয়ার যেসব উপকারিতা রয়েছে সেসব পাবেন এছাড়া উপকৃত হবেন না। এজন্য চলুন এবার জলপাই খাওয়ার নিয়ম জানুন
  • প্রতিদিন কিছু পরিমাণ হওয়ার চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত জলপাই খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • জলপাই বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন কাঁচা জলপাই লবণ দিয়ে খেতে পারেন। এটা অনেকের পছন্দনীয় যে কাঁচা জলপাই লবণ দিয়ে খাওয়া।
  • জলপাই আচার করেও খেতে পারেন এবং এই আচার আপনি সারা বছর সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন এতে করে আপনার জলপাইয়ের উপকারিতা সারা বছরই পাবেন।
  • অনেকে জলপাই ভর্তা করে খায়। আপনি জলপাই ভর্তা করেও খেতে পারবেন এটা আপনার জন্য বেশ উপকারী হবে এবং খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করব।
  • অনেকে রান্নায় টক করার জন্য জলপাই ব্যবহার করে থাকে আপনি এ পদ্ধতিতেও জলপাই খেতে পারবেন।
  • আপনি শুধু জলপাই সিদ্ধ করেও খেতে পারেন এটাও আপনার জন্য বেশ উপকারী হবে।
  • চেষ্টা করবেন জলপাইয়ের সাথে লবণ না খাওয়ার এবং খাওয়ার প্রয়োজন হলে ভাজা লবণ খাবেন,কাচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আপনি এই নিয়ম অনুসারে জলপাই খেলে জলপাই খাওয়া উপকারিতা যেসব রয়েছে সেসব উপকারিতা গুলো পাবেন।

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা

জলপাই এমন একটি ফল যেটাতে বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে এবং সেগুলো আপনার শরীরের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। চলুন জলপাই খাওয়ার ফলে কি কি উপকার আপনি পাবেন সে সম্পর্কে জানুন-
  • যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত জলপাই খাবেন এতে করে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের খাবারের প্রতি রুচি কম তারা জলপাই ভর্তা করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার খাবার রুচি বৃদ্ধি হবে।
  • জলপাই আপনার হৃদরোগের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। জলপাই ক্ষতিকর কলেস্ট্রোরল প্রতিরোধ করে।
  • জলপাইয়ে ভিটামিন ই থাকার জন্য আপনার ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
  • যারা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত তারা নিয়মিত জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করুন। জলপাই খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমবে।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • আপনার দেহের রক্ত চলাচলের সচ্ছলতা নিয়ন্ত্রণের রাখতে জলপাই বেশ কার্যকারী।
  • জলপাই আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের এমন একটি গুণ রয়েছে যা আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে সাহায্য করে এজন্য আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে। যাদের ডাইবেটিস নেই তাদের ডায়াবেটিস হওয়া থেকে নিশ্চিত থাকা যায়।
  • জলপাই ভিটামিন সি থাকে যা ইনফেকশন এবং অন্যান্য ক্ষতকে খুব দ্রুত সারিয়া তুলে। এমনকি এলার্জির সমস্যার দূর করতে সক্ষম।
  • আপনি জলপাই দিয়ে রূপচর্চা এবং চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • জলপাই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে যার ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • যারা চোখে কম দেখে বা দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয় তাদের চোখের সমস্যা দূর করতে জলপাই অত্যন্ত কার্যকারী কারণ জলপাই ভিটামিন এ থাকে যা চোখের জন্য উপকারী।
  • জলপাই খাওয়ার ফলে আস্তে আস্তে হাড় শক্ত হতে থাকে এবং হাড় ক্ষয় রোধ হয়।
  • যাদের আলসার এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে জলপাই খাওয়ার ফলে এই দুই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • কালো জলপায়ে লোহিত কণিকা থাকে। রক্তের লোহিত কণিকা শরীরে অক্সিজেন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।
  • নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে পিত্তথলির রস স্বাভাবিক থাকে যার ফলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
  • জলপাই আঁশ এবং ফাইবার জাতীয়। জলপাই খাওয়ার ফলে সবজি এবং ফলমূল দুইটারই উপকার পাওয়া যায়।
  • মাঝে মাঝে দেখা যায় কারো রক্তে জমাট বেঁধে গেছে যার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ সৃষ্টি হয়। নিয়ম করে নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে রক্তে কোন ধরনের জমাট বাঁধে না।
  • জলপাই খাওয়ার ফলে যৌন চাহিদা বৃদ্ধি হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে যৌন কাজে সক্ষম হওয়া যায়।
  • নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে শতকরা 25 ভাগ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
  • জলপাইয়ে আইরন থাকে যা আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ করতে সক্ষম।
  • নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে যাদের ঘন ঘন ক্ষুধার সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • জলপাই হৃদরোগের রক্তনালীতে চর্বি জমা থেকে বাধা দেয় যার ফলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।.
  • জলপাই হচ্ছে প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং জ্বর সর্দি থেকে বেঁচে থাকা যায়।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা জলপাই খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় কারণ জলপাই আঁশযুক্ত একটি ফল।
  • জলপাই ভিটামিন সি থাকে আর ভিটামিন সি এর অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয় এবং দ্রুত শরীর ক্লান্ত হয়। জলপাই খাওয়ার ফলে ক্লান্তি এবং মেজাজ খিটখিটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • চোখ উঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশন হওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এগুলো সমস্যা থেকে জলপাই দূরে রাখে।

আপনি নিয়মিত জলপাই খাওয়ার ফলে উপরে যে উপকার গুলো বলা হলো সেই উপকার গুলো পাবেন। যেগুলো আপনার জন্য ভীষণ জরুরী তাই নিয়মিত জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা

জলপাই অনেকভাবে খাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে একটি পদ্ধতি হচ্ছে সিদ্ধ করে খাওয়া। আপনি যদি জলপাই সিদ্ধ করে খান সেক্ষেত্রেও আপনি জলপাই থেকে যেসব উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় সেই সব উপকারিতা গুলোই পাবেন। অনেকে আছে যারা কাঁচা জল পায় অতিরিক্ত টক হওয়ার কারণে খেতে পারে না।

তারা যদি সিদ্ধ করে খায় তাহলে খুব সহজেই জলপাই খেয়ে নিতে পারবে কারণ সিদ্ধ করার পরে টক ভাব অনেকটা কমে আসে। সিদ্ধ জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,ফ্যাটি এসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ আরও বিভিন্ন রকমের এমন এমন ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

সিদ্ধ জলপাই খাওয়ার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে, ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়, ওজন কমাতেও সাহায্য করে,হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়, চোখের ইনফেকশনের সমস্যা দূর হয়, চোখে কম দেখা রাতকানা এই সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যায়, শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে, রক্তে লোহিত কণিকা বৃদ্ধি করে, পিত্তথলিতে পাথর জমা হতে নিরাপদ রাখে।

ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে,এলার্জি প্রতিরোধ করে, ত্বক সুন্দর রাখে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, ওজন কমে, শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে সহজে শুকিয়ে দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, জ্বর সর্দি ঠান্ডা লাগা খুব সহজে ভালো করে দেয়।

তাই যারা কাচা জলপাই খেতে পারেন না বা সিদ্ধ জলপাই খেতে ভালোবাসেন তারাও নিয়মিত সিদ্ধ জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনি এইসব উপকারিতা গুলো পাবেন এবং অনেক রোগ হতে মুক্ত থাকবেন।

জলপাই তেলের উপকারিতা

জলপাই শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই উপকারী নয় বরং জলপাইয়ের তেলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন এবার জলপাইয়ের তেলের যেগুলো উপকারিতা রয়েছে সেগুলো জানুন।
  • জলপাইয়ের ভিটামিন ই এবং সি থাকার কারণে চেহারা সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
  • আপনি আপনার মুখের মেকআপ এবং ময়লা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। জলপাইয়ের তেল আপনার মুখের ময়লা খুব সহজে দূর করে দিবে।
  • নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করার কারণে আপনার ত্বকের আদ্রতা দূর হয়ে যাবে।
  • বয়সের ছাপ চেহারা থেকে দূর করার জন্য আপনি অলিভ অয়েল তেল নিয়মিত ব্যবহার করুন।এতে করে আপনার বয়স বোঝা যাবে না।
  • নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খাওয়ার চেষ্টা করুন জলপাই তেল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের যে ক্ষতিকর কলেস্টেরল রয়েছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পরা বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল গজাবে।
  • জলপাইয়ের তেল খাওয়ার ফলে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন কিছু পরিমাণ তেল জলপাইয়ের তেল শরীরে ব্যবহার করবেন এবং খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

জলপাই এর আচার রেসিপি

জলপাই এর আচার অনেক জনপ্রিয় এবং অনেক পছন্দের। জলপাইয়ের আচার করার পদ্ধতি হচ্ছে
  • প্রথমে আপনি জলপাই ভালো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিবেন।
  • এরপরে একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল রসুন আরও বিভিন্ন রকমের প্রয়োজনীয় মসলা দিবেন।
  • কালোজিরা এবং এরকম উপকারী কিছু মসলা রাখবেন।
  • তেল গরম হওয়ার সাথে সাথে আপনি রসুন এবং সে মসলা তেলে দিবেন এরপর কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করার পরে আপনি সেখানে জলপাই দিয়ে দিবেন।
  • জলপাই দেয়ার পরে যখন জলপাই একটু লালচে ভাব হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে চিনি দিবেন।
  • চিনি দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করবেন এতে করেই আপনার জলপাই এর আচার তৈরি হয়ে যাবে।
আচার তৈরি করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন যেন জলপাই ভেঙ্গে না যায়। জলপাই ভেঙ্গে গেলে আপনি জলপাই এর আচার খেয়ে মজা পাবেন না। জলপাইয়ের উপকারিতা যেমন কাঁচা জলপাইতে রয়েছে তেমনি ভাবে জলপাইয়ের আচারেও রয়েছে। চেষ্টা করবেন জলপাই এর আচার করার সময় চিনি কম দেওয়ার।

জলপাই এর অপকারিতা

জলপাই অনেক উপকারী ফল। জলপাইয়ের উপকারিতার পাশাপাশি জলপাইয়ের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
  • আপনি অতিরিক্ত জলপাই খাওয়ার কারণে আপনার রক্ত পানি হয়ে যেতে পারে কারণ জলপাই টক জাতীয় ফল। চেষ্টা করবেন সীমার মধ্যে জলপাই খাওয়ার।
  • অতিরিক্ত জলপাই খাওয়ার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এবং বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
  • জলপাইয়ের আচার প্রতিদিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন জলপাইয়ের আচার খাওয়ার ফলে আপনার সমস্যা হবে।
  • অতিরিক্ত জলপাই খাওয়ার ফলে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে এজন্য নিয়মের মধ্যে জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • অতিরিক্ত জলপাই খাওয়ার ফলে আপনার প্রোটিন,ফ্যাট,কার্বনহাইড্রেড পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এতে করে আপনার উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস হতে পারে এজন্য নিয়মের মধ্যে জলপাই খাবেন।

জলপাই সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন দিনে কয়টি জলপাই খাওয়া উচিত?

উত্তর

দিনে দুই থেকে তিন আউন্স অর্থাৎ ৫০ থেকে ৬৫ গ্রাম জলপাই খাওয়া উচিত। আপনি যদি ছোট মাঝারি আকার হিসাব করতে যান তাহলে ১৪ থেকে ১৫ পিচ জলপাই হবে।

২ প্রশ্ন 30 থেকে 40 টি জলপাই খেলে কি হয়?

উত্তর

প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ পিস জলপাই অনেক বেশি হয়ে যায়। এ পরিমাণ জলপাই খাওয়ার ফলে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ বেড়ে যাবে আরো বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হবে। কখনো অতিরিক্ত জলপাই খাবেন না।

৩ প্রশ্ন জার থেকে জলপাই খাওয়া যাবে কি?

উত্তর

আপনি যদি জলপাই সিদ্ধ করে কাচের কোন বয়াম বা ভিন্ন কোন বয়ামে সংরক্ষণ করেন সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে খেতে পারবেন এতে করে কোন রকমের কোন সমস্যা হবে না।

৪ প্রশ্ন জলপাই এর রং কি?

উত্তর

জলপাই বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে সবুজ,কালো,লাল, বেগুনি।

শেষ কথা

জলপাই একটি মৌসুমী ফল এজন্য উচিত শীত আসার সাথে সাথে অল্প করে জলপাই খাওয়ার চেষ্টা করা যাতে করে শীতকালে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং জলপাই খাওয়ার যেসব উপকারিতা রয়েছে সেগুলো নিজের শরীরে প্রবেশ করে। জলপাই কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন যেন সেগুলো মেডিসিন ব্যবহার করা না হয়। অতিরিক্ত জলপাই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও জলপাই খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা  সম্পর্কে জানতে পারে এবং শীতকালে জলপাই খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url