তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক- তুলসী পাতা এবং তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম ও তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা এবং তুলসী পাতা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন এতে করে আপনি তুলসী পাতা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।
তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা
এছাড়া আপনি পোস্টের মধ্যে পাবেন বাচ্চাদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম, তুলসী পাতার ব্যবহার, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

তুলসী পাতা একটি ওষুধি গাছ। প্রাচীনকালে মানুষ তুলসী পাতা খেয়ে নিজের অনেক রকমের রোগ সারাতো। বর্তমানেও অনেক রোগের জন্য মানুষ তুলসি পাতা খেয়ে থাকে। বিশেষ করে কাশির জন্য তুলসী পাতা বেশ উপকারী। তুলসী পাতা আমাদের আশেপাশেই জন্ম নেয় এ জন্য তুলসী পাতা খুঁজতে বেশি কষ্ট হয় না।


নিয়ম অনুযায়ী তুলসী পাতা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি তুলসী পাতার যাবতীয় উপকার পাবেন। নিচে তুলসী পাতার উপকারিতা সবকিছু তুলে ধরা হলো।

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

সবকিছু খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে নিয়মের বিপরীত সেটা খাইলে ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসে। তুলসী পাতাও নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
  • তুলসী পাতা রস করেও খেতে পারেন এবং চিবিয়েও খেতে পারেন। দুইভাবে খাওয়ার ফলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
  • আদা কিংবা মধু যে কোন একটা দিয়ে আপনি তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারবেন কারণ তুলসী পাতার রস তিতা হয়ে থাকে।
  • আপনি চাইলে তুলসী পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন এতে করেও আপনি উপকৃত হবেন।
  • চায়ের সাথেও তুলসী পাতা দিয়ে খেতে পারেন যেমন ভাবে আদা দিয়ে খান তেমনি ভাবে তুলসী পাতা দিয়েও খেতে পারবেন।
  • আপনি তুলসী পাতা রোদে শুকিয়ে সেটা গুড়ো করেও ব্যবহার করতে পারেন এবং গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।এতে করেও আপনি উপকৃত হবেন।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসি পাতার রস খাওয়া চেষ্টা করুন। এতে করে পেটের সমস্যা দূর হবে।
  • শ্বাসকষ্টের জন্য তুলসী পাতার ঘ্রাণ নিলেও শ্বাসকষ্ট কমে।
  • লেবু,আদা, তুলসির পাতা ও পানি একসাথে করে গরম করে সে পানিও খেতে পারেন।
তুলসী পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের বাসায় চাষ করা তুলসি পাতা খাবেন। বাহির থেকে কিনলে সেখানে কেমিক্যাল মেশানো থাকতে পারে। আপনি এসব পদ্ধতিতে তুলসী পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন

বাচ্চাদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম

বাচ্চারা কোন কিছু সহজে খেতে চায় না। তাদের যেকোন খাবার খাওয়ানো কষ্টকর হয়ে যায়।তুলসী পাতা যেহেতু একটু তিতা এজন্য তুলসী পাতা খাওয়ানো আরো কঠিন হয়ে যায় এজন্য নিচে বাচ্চাদের কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়াবেন সে সম্পর্কে বলা হল।
  • আপনি বাচ্চাদেরকে তুলসী পাতা মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন এতে করে তারা খুব সহজে খেয়ে নেবে।
  • মিষ্টি জাতীয় সিরাপের সাথে খাওয়াতে পারেন এক্ষেত্রে তারা বুঝতে পারবেনা।
  • বাচ্চাদেরকে একসাথে সব খাবার না খাওয়াই কয়েকবারে খাওয়ান। অল্প কয়েক ফোটা করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন তাহলে তারা খুব সহজে খেয়ে নিবে।
  • শীতকাল আসার সাথে সাথেই বাচ্চাদের জ্বর,সর্দি,কাশি এগুলো শুরু হয়। তুলসী পাতার খাওয়ানোর ফলে খুব তাড়াতাড়ি এগুলো ভালো হয়ে যাবে।
  • লেবুর রস দিয়েও খাওয়াতে পারেন এতে করে সহজে খেয়ে নিবে।
বাচ্চাদেরকে তুলসী পাতা এবং যেকোনো খাবার খাওয়া দরকার ক্ষেত্রে জোর করে খাওয়াবেন না,তাদেরকে সবসময় কৌশলে খাওয়ানোর চেষ্টা  করবেন এতে করে তারা তাড়াতাড়ি এবং সহজে খেয়ে নিবে।

তুলসী পাতার ব্যবহার

তুলসী পাতা অনেকভাবে ব্যবহার করা যায়।  এটা  ওষুধ হিসেবে খেতে পারবেন। রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার শরীরের কোথাও ব্যাথা থাকলে সেখানে তুলসী পাতা ব্যবহার করলে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। মোটকথা তুলসী পাতা একটি ওষুধ যেখানে কোন রকমের কোন ভেজাল মেশানো নাই একদম প্রাকৃতিক খাঁটি ওষুধ।

অবশ্যই চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত না খাওয়ার এবং অতিরিক্ত ব্যবহার না করার এতে করে আপনার ক্ষতি হতে পারে। আপনি যেহেতু তুলসী পাতা খান সেক্ষেত্রে আপনি পিষে চিবিয়ে খেতে পারবেন অথবা সেটার রস বের করেও খেতে পারবেন। তুলসি পাতা এবং পানি একসাথে গরম করে সেই গরম পানিও খেতে পারবেন।

তুলসী পাতা গুড়া করে সে গুড়া গরম পানিতে মিশেও আপনি খেতে পারবেন। তুলসীর পাতা ব্যবহারের পদ্ধতি অনেক রকম উপরে সব কিছু বলা হলো। 

তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

এটি এমন একটি প্রাকৃতিক গাছ যেটাতে অনেক উপকার রয়েছে। তুলসী পাতা আপনার অসুখ দূর করতে এবং আরও বিভিন্ন সমস্যার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে তুলসী পাতার উপকারিতা বলা হলো-
  • ঠান্ডা কাশি দূর করার জন্য উপকারী। শীত আসার সাথে সাথে আমাদের ঠান্ডা কাশি জ্বর বৃদ্ধি হয় এ সময় আপনি তুলসী পাতা খাইলে ভালো ফল পাবেন।
  • যাদের মস্তিষ্কের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে আপনার ব্রেনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • তুলসী পাতা খাওয়ার সাথে সাথে আপনার ব্রেনের মস্তিষ্কের ভিতরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়।
  • যদি আপনার মুখে ঘা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। তুলসী পাতা মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকারী।
  • মুখে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য তুলসী পাতা অতুলনীয়। যাদের মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে তারা তুলসী পাতা দিনে কয়েকবার চিবিয়ে খান এতে করে আপনার মুখে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের চর্ম রোগের সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতার রস সেই স্থানে দিয়ে রাখুন এতে করে আপনার চর্ম রোগ ভালো হয়ে যাবে।
  • শরীরের ক্ষত দূর করতেও তুলসী পাতার রস কার্যকারী। আপনার শরীরে কোথাও ক্ষত হয়ে গেলে সেখানে তুলসী পাতার রস লাগিয়ে দেন এতে করে খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
  • খাবারের রুচি বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতা সহায়ক হয় এজন্য প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার খাবার রুচি বৃদ্ধি হবে।
  • যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে পানি চোখে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয় তারা তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই রস খান এতে করে আপনার প্রসাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।
  • জন্ম থেকে মৃত্যুর মধ্যে সবার একবার বসন্ত বের হয়। বসন্ত বের হলে আপনি তুলসী পাতার রস বসন্তে দিয়ে রাখুন এতে করে  খুব তাড়াতাড়ি বসন্ত শুকিয়ে যাবে।
  • বমি বমি ভাব দূর করতে তুলসী পাতা এবং গোলমরিচ একসাথে খান এতে করে আপনার বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চাও করতে পারবেন। ত্বকের জন্য তুলসী পাতা বেশ কার্যকারী।
  • তুলসী পাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, এন্টি ফাঙ্গাস সমৃদ্ধ যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়।
  • হজম শক্তির ঠিক রাখতে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার কার্যকারিতা অতুলনীয়।
  • মানসিক চাপ এবং বিভিন্ন রকমের স্ট্রেস কমাতেও তুলসী পাতা সাহায্য করে।
  • রক্তের সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে ডায়াবেটিস থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত তুলসির পাতার খাওয়ার ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকেও নিরাপদ থাকা যায়।
  • যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতার রস খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এভাবে খাওয়ার ফলে খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি ওজন কমে যায়।
  • নিয়ম করে নিয়মিত তুলসী পাতার রস খাইলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বেঁচে থাকা যায়।
  • যাদের মাথাব্যথা সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সে পানি তোয়ালে ভিজিয়ে তা মাথায় পেচিয়ে রাখলে মাথা ব্যথা কমে যায়।
আপনার উচিত হবে প্রতিদিন এইসব উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য হলেও সামান্য পরিমাণে তুলসী পাতা খাওয়ার। তুলসী পাতা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

তুলসী পাতা শুধু এমনিতে খাওয়ার ফলে উপকার হয় এমন না বরং আপনি চা দিয়ে খাওয়ার ফলেও আপনার উপকার হয়।
  • অনেকে আছে যারা তুলসী পাতা এমনিতে চিবিয়ে খেতে পারে না এক্ষেত্রে চায়ের সাথেও তুলসী পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। তুলসী পাতা আপনাকে খুব রিফ্রেস করতে সাহায্য করবে।
  • তুলসী পাতা আদা কুচি একসাথে খেলে আপনার কফ জমে থাকলে সেটা ভালো হয়ে যাবে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এবং রক্তে যে ক্ষতিকর কলেস্টেরলর রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে।
  • তুলসী পাতার চা খাওয়ার ফলে আপনার ঘুম খুব ভালো হবে। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
  • যাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতার চা খাবেন এতে করে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তুলসী পাতার চা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম যেসব বলা হয়েছে সেগুলো লক্ষ্য করে খাবেন। অতিরিক্ত খাবেন না এতে করে আপনার সমস্যা হতে পারে।

তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চা

তুলসী পাতা শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রে উপকারী নয় বরং তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চা করা যায় এবং এটব রূপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী। নিচে কিভাবে আপনি তুলসী পাতা দিয়ে রূপচর্চা করবেন তা সম্পর্কে বলা হলো
  • আপনার গালে ব্রণ বের হলে আপনি তুলসী পাতা পিষে বা গুড়া করে সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।
  • আপনার মুখে যদি ব্রনের দাগ থেকে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি তুলসী পাতা পিষে সেখানে দিয়ে রাখবেন এতে করে আপনার ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
  • ঠোট গোলাপি করতে এবং নরম করতে তুলসী পাতা পিষে দিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার ঠোঁট সুন্দর হবে।
  • তুলসী পাতা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে যেটাকে আমরা গ্লো বলে থাকি। ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে তুলসী পাতা কিছু পরিমান গুঁড়ো দুধ এগুলো একসাথে মিশিয়ে  মুখে দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • শীতে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং অনেকের ত্বক শীতে ফেটে যায়। তুলসী পাতা বেটে এবং টক দই একসাথে করে শরীরে এবং চেহারায় ব্যবহার করুন এতে করে আপনার ত্বক শুষ্ক থাকবে না বরং আপনার ত্বক নরম হয়ে যাবে।

যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সে পদ্ধতিতে ব্যবহার করবেন তাছাড়া আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতি বয়ে নিয়ে আনবে।

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

তুলসী পাতায় যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি ভাবে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো জানা জরুরী তাছাড়া আপনি সেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে তা নিচে বর্ণনা করা হচ্ছে
  • গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি খেতে চান তবে নিয়মের মধ্যে খান। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তাছাড়া আপনার ক্ষতি হতে পারে।
  • যাদের রক্তের সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতা খাবেন না কারণ তুলসী পাতা শরীরে রক্ত স্বাভাবিক যে জমাট হয়ে থাকর থাকে সেটা নষ্ট করে।
  • আপনার কাটা ছেঁড়া হলে আপনি তুলসী পাতা সেখানে ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তুলসী পাতা খাওয়ার পরে আপনার ক্ষত শুকাতে আরও দেরি হবে।
  • যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে দ্বারা তুলসী পাতা খাবেন না কারণ তুলসী পাতা খাওয়ার পরে আপনার রক্তের চাপ আরো কমে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ জন্ম দিতে পারে যেটা শরীরের ক্ষতির জন্য কাজ করবে এজন্য অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • অন্য কোন ওষুধের সাথে তুলসী পাতা মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না এতে করে আপনার বিপরীত হতে পারে। শুধু তুলসী পাতা এবং মধু একসাথে খেতে পারেন এছাড়া অন্য কোন ওষুধের খাবেন না।
  • অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে মুখের ভেতরে সমস্যা তৈরি হতে পারে কারণ তুলসী পাতা কিছুটা  অ্যাসিডিক।
  • তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁতের বিভিন্ন রকমের দাগ পড়ে যায়।
  • পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে দাত আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে থাকে।
  • ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইন্সুরেন্স চলাকালীন তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তাছাড়া আপনার জন্য হিতের বিপরীত হবে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে বমি বুক জ্বলা এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
  • তুলসী পাতা ব্যথা দূর করে কিন্তু যারা ব্যথা দূর করার ওষুধ খাচ্ছেন তারা ব্যথা দূর করার জন্য তুলসী পাতা খাবেন না।
আপনি নিয়ম যেগুলো আছে সেগুলো মেনে চলুন তাহলে আপনার কোন রকমের কোন ক্ষতি হবে না। সব সময় চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত কোন কিছু না খাওয়ার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার সমস্যা বৃদ্ধি হবে।

তুলসী পাতা সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

তুলসী পাতা কিভাবে খাবেন?

তুলসী পাতা আপনি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন। চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা শুধু রস খেতে পারেন। তুলসী পাতা রোদে শুকিয়ে সেসব পিষে গুড়া করে গরম পানি দিয়ে খেতে পারে। অথবা তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানীয় খেতে পারেন।

মধু ও তুলসী পাতা খেলে কি হয়?

মধু এবং তুলসী পাতা কাশি কমানোর জন্য বেশ উপকারী এবং যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তারা তারা মধু এবং তুলসীপাতা খাওয়ার ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয়ে যায় , তুলসী এবং মধুপাতা একসাথে খাওয়ার ফলে ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

পবিত্র তুলসী এবং তুলসী একই

তুলসী পাতাকেও পবিত্র বলা হয় কারণ হিন্দুরা তুলসী পাতা দিয়ে তাদের প্রার্থনার কাজ করে থাকে এজন্য  হিন্দুদের দিক দিয়ে পবিত্র বলা হয় তবে সব ধরণের তুলসি পাতা  একই রকমের।

তুলসী in english

তুলসী শব্দের ইংরেজি অর্থ হচ্ছে Basil.এই শব্দ দিয়ে তুলসী পাতা,পুদিনা পাতা বা তুলসী জাতীয় গাছ বোঝাই।

বাড়িতে কোন তুলসী গাছ ভালো

তুলসী গাছের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। হিন্দুরা মনে করেন কৃষ্ণ তুলসী বা রাম তুলসী লাগানো শুভ এক্ষেত্রে বাড়িতে সুখ শান্তি হয় এবং অশুভ ছায়া থেকে রক্ষা থাকা যায়। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি বাসায় যেকোন রকমের তুলসী গাছ লাগাতে পারেন। এটাতর কোন সমস্যা নেই তবে অবশ্যই জাত ভালো দেখে তুলসী গাছ লাগাবেন।

তুলসী ও অরিগানো কি এক

তুলসী এবং অরিগানো এক জিনিস নয় । তুলসী একটি সুগন্ধী যুক্ত পাতা। অরিগানো একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পাতা যেটার পুদিনা পাতার সাথে মিল থাকলেও গুনে পুরোপুরি আলাদা।

শেষ কথা

তুলসী একটি অনেক উপকারী গাছ এজন্য চেষ্টা করবেন নিজের বাসায় এনে তুলছে গাছ লাগানোর যাতে করে আপনি প্রয়োজনের সময় সে গাছ থেকে পাতা ছিড়ে খেতে পারেন অথবা আপনার পাড়া প্রতিবেশীর কেউ এই গাছ থেকে উপকৃত হতে পারে। তুলসী পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তুলসী পাতা খাওয়ার যেসব নিয়ম রয়েছে সে অনুযায়ী খাবে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তুলসী পাতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url